মুচলেকা
মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল
প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের তিনদিন পর মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল।
সোমবার (২২ মে) ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত আপসের শর্তে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামি নোবেলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল!
নোবেলকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
নোবেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
নোবেলের আইনজীবী আদালতে বলেন, আসামি বাদীর সঙ্গে আপস করে সকল টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাদী সকল টাকা বুঝে পেয়েছেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত নোবেলের জামিনের আদেশ দেন।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ১৬ মে নোবেলের নামে মামলাটি করেন।
এ মামলায় গত ২০ মে নোবেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার অভিযোগে বলা হয় যে ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন নোবেল।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গায়ক নোবেলকে আইনি নোটিশ
সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এক রাতে চারটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সেই নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব বাল্যবিয়ে বন্ধ করাসহ বর ও কনের অভিভাবকদের মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবেন না মর্মে মুচলেকাও নেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রাজাপুর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৪), এরপর মাইঝাইল গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৫), পরে আটারদাগ গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) ও শোলাকুড়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর (১০) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাল্যবিয়ে রোধ
এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দুইবার একরাতে সাত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছিলেন আনিসুর রহমান। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর ও চৌহালীতে একই পদে কর্মকালীন প্রায় দুই শতাধিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে একাধিকবার পুরষ্কৃতও হয়েছেন।
৩ বছর আগে
৯৯৯ এ প্রতিবেশীর ফোন কলে বন্ধ হলো বাল্য বিয়ে
‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে প্রতিবেশী এক কলারের ফোন কলে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ভোলার লালমোহন থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১১টায় ভোলার লালমোহন থানাধীন চরবোতা ইউনিয়নের বালুর বাজার থেকে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানায়, তাদের গ্রামে তার প্রতিবেশী ১৫ বছর বয়সী নবম শ্রেণির ছাত্রী এক কিশোরীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল দিয়ে ছিনতাইকৃত গরুর ট্রাক উদ্ধার, আটক এক
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সাথে লালমোহন থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার থেকে অজগর উদ্ধার
সংবাদ পেয়ে লালমোহন থানার একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়েটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কিশোরীর অভিভাবক এই মর্মে মুচলেকা দেয় যে তাদের মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্কা না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ের আয়োজন করবেন না।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: ১৬ তলার কার্ণিশ থেকে আটকে পড়া বিড়াল উদ্ধার
৩ বছর আগে