গাজীপুর ও কুমিল্লা শহরের পাশাপাশি কক্সবাজার পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিন হাজার ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পসহ ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন। নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয়সহ মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধুমাত্র সংশোধিত প্রকল্পগুলোর অতিরিক্ত ব্যয়)।
আরও পড়ুন: একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
তিনি জানান, ব্যয়ের মধ্যে সাত হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে এবং ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি তিন হাজার ৪৩২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ হিসাবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান,এর মধ্যে ১০টি নতুন প্রকল্প এবং বাকি দুটি সংশোধিত প্রকল্প।
প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্ন্যান্স (ইউডিসিজি)’ প্রকল্পটি গাজীপুর ও কুমিল্লা শহর এবং কক্সবাজার পৌরসভায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: একনেক সভায় অনুমোদন পেলো দক্ষিণ সিটির ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপন প্রকল্প
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ তিন হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পে ঋণ হিসেবে দুই হাজার ২১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা দিবে। বাকি এক হাজার ১৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে আসবে।
মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সেতু নির্মাণ, দুটি ওভারপাস, একটি ফ্লাইওভার, ৩২টি বক্স কালভার্ট, ৪৩টি পাইপ কালভার্ট, পাঁচ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল, ৩৭.৬ কিলোমিটার পানির ড্রেন, সাতটি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট (ল্যান্ডফিলিং স্টেশন সহ), নয়টি গভীর নলকূপ এবং জল সরবরাহ ব্যবস্থা, দুই দশমিক ২০ কিমি ওয়াকওয়ে, পাঁচ হাজার বর্গ কি.মি খেলার মাঠ এবং তিনটি বাস টার্মিনালের পাশাপাশি ১৩০ কি.মি রাস্তার আলো স্থাপন।