সিনোফার্মা
কোভিড-১৯: সিনোফার্মার টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিল সরকার
চীন থেকে করোনাভাইরাসের সিনোফার্মের টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক বিফ্রিংয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার।
যদিও তিনি চীনা ভ্যাকসিন কী পরিমাণ সংগ্রহ করা হবে এবং কত টাকা লাগবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেন নি।
তিনি বলেন, 'এটা টিকা ক্রয়ের একটি প্রস্তাব। যখন এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে তখন এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।'
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে বেসরকারি খাতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের বিপক্ষে বিশেষজ্ঞরা
ড. শাহিদা জানান, ভার্চুয়াল মিটিং চলাকালে তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন সিএমএসডি কর্তৃক কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীর ব্যবহারের জন্য ৪০টি অক্সিজেন জেনারেটর ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোর ডিপার্টমেন্ট এই অক্সিজেন ক্রয় করবে।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চলতি রাজস্ব বছর ২০২১-২০২২ সালে তিনটি দেশ থেকে ১.২৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন সার আমদানির আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
মুনতাজাত-কাতার কোম্পানির কাছ থেকে ৫ লাখ টন, সৌদি আরবের সাবিক এর কাছ থেকে ৫ লাখ টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোবের কাছ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার সংগ্রহ করা হবে।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি এবং চীনের সাথে চুক্তিবদ্ধ ৪০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন সহ ৯টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ৫ লাখ টিকা বাংলাদেশে
এছাড়া পেট্রোবাংলার সুইজারল্যান্ডের এওটি ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে ৩৪০ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ৩০১ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার একটি প্রস্তাব রয়েছে। এই প্রস্তাবে প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম পড়েছে ১০ দশমিক ১৯৯৭ ডলার।
চট্টগ্রামের রাউজানে পুরোনো উৎপাদন ইউনিট স্থানান্তর করে সেখানে ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের রাউজানে চীনের সেপকো-থ্রি ইলেক্ট্রনিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশনস এর পাওয়া ৭৯৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার ১৫০ টাকায় ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পুরনো প্রকল্পটির জায়গায় নতুন প্রকল্পটি প্রতিস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য সার্ভেইলেন্স সিস্টেম চালু করতে ‘হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় একটি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
চুক্তির আওতায় সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম ও হাইওয়েতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হবে।
এছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেও দুটি চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
দেশব্যাপী সব খাদ্য গুদামে ডেটা সেন্টার স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো কম্পিউটার লিমিটেড, বাংলাদেশ এক্সপার্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, ভারতের টেক মাহিন্দ্রার জয়েন্ট ভেঞ্চার এবং টেক ভ্যালি নেটওয়ার্ক। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ সুবিধার জিডি-২৭ প্যাকেজের আওতায় এই প্রকল্পে ব্যায় হবে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এছাড়া বরিশালে চাল সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশের কনফিডেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও যুক্তরাষ্ট্রের জিএসআই গ্রুপের অধীনে ৩৩০ কোটি ৮৬ লাখ ১৫ হাজার ৮২২ টাকায় একই প্রকল্পের ২১নং প্যাকেজের একটি স্টিলের সাইলো স্থাপন করার অনুমোদন পেয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।