শঙ্কা
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈমুর আলমের
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসি এলাকায় নিজের পৈতৃক বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
তৈমুর বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এতদিন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আমার কোনো আশঙ্কা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, তবে রবিবার সকালে বিভিন্ন পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম, রূপগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন।
তিনি বলেন, এতে আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে যে কমিটমেন্ট দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারি দলের বিভিন্ন বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তৈমুর আলম খন্দকার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার দলীয় মনোনীত প্রভাবশালী প্রার্থীসহ মন্ত্রী-এমপিদের পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে নির্বাচনে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।
তাই নির্বাচনের আগেই সরকার দলীয় প্রার্থীদের নিজস্ব বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণসহ সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্রগুলো জমা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তৈমুর।
তিনি মনে করেন, তা না হলে ভয় ও আতঙ্কের কারণে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
১০ মাস আগে
সিলেটে অবিরাম বর্ষণে আবারও বন্যার শঙ্কা
গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ধকল যেতে না যেতেই সিলেটে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। এই বৃষ্টি আরও ১৫ দিন অবহ্যাত থাকবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে। ফলে ঢল নামছে। ঢল আর বৃষ্টিতে সিলেটের নদনদীর পানি বেড়েই চলছে।
পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। ঢল আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে চলতি সপ্তাহেই মাঝারি ধরনের বন্যা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
তাই সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ঢলে ইতোমধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং বিভিন্ন হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এছাড়া বাড়ছে নদীর পানিও।
শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে।
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিফ আহমেদ জানান, নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। সামান্য বাড়লেই তা অতিক্রম করবে।
সিলেটে নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, আবারও বন্যার আশঙ্কা
তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে হাওর ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে ১২ দশমিক ৬৮ এবং সুরমা নদীর পয়েন্টে ১০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বিপদসীমার মধ্যে ৯ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই অবস্থা এ দুই নদীর অন্যান্য পয়েন্টেও।
শুক্রবার সিলেটে ১৩৫ মিলিমিটার এবং এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বর্ষণে নগরীতে জলাবদ্ধতাও দেখা দিচ্ছে।
এছাড়া শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এর আগে গতবছর সিলেটে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে তলিয়ে গিয়েছিলা সিলেটের ৭০ শতাংশ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার প্রায় সব মানুষ।
বন্যায় ভেঙে যায় প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। গতবারের বন্যার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ১৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। এর আগে বুধবার সকাল ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে।
বর্ষণ ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা থেকে বৃহস্পতিবার সিলেটের জেলা প্রশাসন জরুরি সভা করে আগাম বন্যার প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন
১ বছর আগে
বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের কোনও শঙ্কা নেই: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি
সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের কোনও শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
বৃহস্পাতিবার সচিবালয়ে সংস্থাটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন আমন কাটা চলছে। তারা আমাকে বলেছে যে তাদের কাছে তথ্য আছে কোনও ক্রমেই বাংলাদেশে খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার সামান্যতম সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, ‘ইউএন ও বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন মাল্টিলেটারাল ডোনারা অনুমান করছে যে পৃথিবীতে একটি খাদ্য সংকট হওয়ার সম্ভাবনা আছে অতিসত্ত্বর। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতা করছে। ছয় বছর যাবৎ রোহিঙ্গাদের জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন সেটিও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমেই দেয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশকে তারা কিভাবে দেখছে এবং কিভাবে ভবিষ্যতে এখানে তারা কাজ করবে তা নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আমনটা একটি মূল ফসল। প্রতিকূলতার মধ্যে সেচ দিয়ে কৃষকরা ধান লাগিয়েছে। সবাই বলছে যে স্মরণাতীতকালে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি বলি, গরীব মানুষ আছে তাদের কষ্টও হচ্ছে। তবে টাকা নিয়ে খাবার কিনতে পারছে না এমন পরিস্থিতি হয়নি।
ডলার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি সার আমদানিতে কোনও সমস্যা তৈরি করা যাবে না। এটার পেমেন্ট স্মুথ করতে হবে। খাদ্য আমদানিতে কিছু প্রভাব পড়ছে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পরিমাণ খাদ্য আমদানি হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রায় ৮০০ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু দুই থেকে তিন লাখ টনও আসেনি। এই মুহূর্তে খাদ্যের দাম বাড়ার ট্রেন্ড নাই। খাদ্যের দাম কমেছে বলেই মূদ্রাস্ফীতি এ মাসে কমে এসেছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলার সংকট হবে না। এখনও ২৭ বিলিয়ন রিজার্ভ তো আছেই। আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ডলার দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘ফুড কর্নার’ ফের খুলেছে ডব্লিউএফপি
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি বাংলাদেশ
১ বছর আগে
রাসায়নিক দিয়ে পাঁকানো হচ্ছে আম, আতঙ্কে ক্রেতারা
খুলনাঞ্চলের বাজারে আমের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় কেনাবেচা কম। তবে রাসায়নিক প্রয়োগের আতঙ্কে অনেকেই আম কিনতে শঙ্কিত। আম খেতে মন চাইলেও বর্তমানে সচেতন মহল আম রাসায়নিক প্রয়োগের মাধ্যমে পাঁকানো হচ্ছে, সেই আতঙ্কে আম কিনতে নারাজ।
জ্যৈষ্ঠ মাস পড়ে গেছে। সাধারণ এ সময় আম পাঁকে। তবে গাছ পাঁকা আম বাজারে পাওয়া দুস্কর। বর্তমান বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে তা হলো সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার আম। ফল ব্যবসায়ী আমের চালান কেনে। তারপর গাছ হতে আম পেরে মাটিতে নেড়ে ওষুধ স্প্রে করে। এরপর এই কাঁচা আম, কাঁচা অবস্থায় ঝাঁপিতে সাজানোর পর বাজারে আসতে আসতে মাত্র ৬ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ পক্ক বা পেঁকে লাল হয়ে যায়। আর ব্যবসায়ীরা দোকানে সাজালে গাছ পাঁকা আমের মতোই রং হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু ১৫ মে থেকে
আম কিনতে আসা ক্রেতা অনুপ কুমার ঘোষ জানান, বাজারে প্রচুর আম উঠেছে। কিন্তু কিনতে ভয় লাগছে। বোঝার উপর নেই কোনটা ফরমালিন দিয়ে পাঁকানো আর কোনটা ফরমালিন ছাড়া আম। যদিও আম কিনি তবে বাড়িতে গিয়ে আগে আধা ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখি।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সকল প্রকার গুটি আম ১৫ মে, গোপালভোগ ২০ মে, লক্ষনভোগ/লক্ষনা ও রানীপছন্দ ২৫ মে, হিমসাগর/ক্ষিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আমরুপালি ১৫ জুন, ফজলী ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারী আম-(৪) ১০ জুলাই সংগ্রহ করার কথা।
কৃষি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বাজারে সে সকল আম পাওয়া যাচ্ছে তা এখনো সংগ্রহের সময়ের আগেই বাজারে এসেছে। আম চাষি বা ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় আমে ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ইথি প্লাস, ইথোফেন, ইথোলিন রাসায়নিক পদার্থ স্প্রেসহ ধোয়া ব্যবহার করে আম পাঁকিয়ে বাজার জাত করছে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ।
আরও পড়ুন: আড়তের ৭০ টাকার আম খুচরায় ২০০ টাকা!
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন বিভাগ দৌলতপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন অর রশিদ বলেন, বারি কর্তৃক আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ নির্ধারিত সময়ের আগে বাজারে আসা আমে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে আম পাঁকানো হয়। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ।
তিনি বলেন, পাঁকা আমে যথেষ্ট পরিমানে ক্যারেটিন বা ভিটামিন এ এবং খনিজ পদার্থ থাকে। যে কারণে আমের স্থান পৃথিবীর যে কোন ফলের উপরে। তবে বর্তমানে আম পাঁকার আগে চাষিরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় আমে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করছে। যে কারণে সচেতন মহল আম কিনতে আতঙ্কবোধ করছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
৩ বছর আগে