হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
মুহিবুল্লাহ হত্যার তদন্ত দাবি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কর্মীদের ওপর অন্যান্য হামলার দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য মুহিবুল্লাহ ছিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর। তিনি সবসময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন, তাদের অধিকার, জীবনমান ও ভবিষ্যত করণীয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করেছেন।’
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহর মৃত্যু শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও নিরাপত্তার হুমকির পাশাপাশি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদে প্রত্যবাসনের প্রচেষ্টাকেও বাধাগ্রস্ত করবে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ এন্ড হিউম্যান রাইট সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে (৪৬) কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের গভীর শোক
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক মামলা বাতিলে দাবি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগকে ‘নিপীড়নমূলক’ উল্লেখ করে মামলা বাতিলে আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, রোজিনার সহকর্মীরা মনে করেন তাকে (রোজিনা) উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তার অনুসন্ধানী কাজের জন্য আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ
‘সরকারি নথি চুরি এবং অবৈধভাবে ছবি তোলার’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেসি আইনের ৩ ও ৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস্ বলেন, ‘বাংলাদেশের সব জায়গায় সাংবাদিকরা রোজিনার মুক্তির দাবি জানাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিৎ রোজিনা বিরুদ্ধে প্রমাণ তুলে ধরা, নয়তো তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মুক্তি দেয়া। সরকারের দোষ তুলে ধরলেও, সাংবাদিকদেরকে তাদের কাজ করার জন্য আটক করা বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
তিনি আরও বলেন, রোজিনা ইসলামের এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরা সাংবাদিকদের প্রতি ভীতিকর বার্তা প্রদান করছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার নিজ দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘সরকারি গোপনীয় নথি চুরির’ অভিযোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত পৌনে ১০টায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওই রাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা করে করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: রোজিনার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল গোয়েন্দা পুলিশ
অভিযোগ আছে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মন্ত্রণালয়ের কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানি হবার কথা রয়েছে।
৩ বছর আগে