ইয়াস
ইয়াস মোকাবিলায় তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী'র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৪ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: খুলনা উপকূলে ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে তার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তিনি। বিশেষ করে কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান এবং যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দু'দেশ একযোগে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
এছাড়া বাংলাদেশ এবং ভারতে সম্ভাব্য দুর্যোগের ঘটনার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি, দু'দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশমন ও সহনশীলতা সৃষ্টি, দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিতকরণে দুর্যোগ সাড়াদান, পুনরুদ্ধার, প্রশমন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য, রিমোট সেন্সিং ডাটা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত এবং অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম চর্চাসমূহ বিনিময়, দুর্যোগ প্রস্তুতি, সাড়াদান এবং প্রশমনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, রিমোট সেন্সিং, নেভিগেশন পরিসেবা এবং রিয়েল টাইম ডাটা শেয়ারিংয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
৩ বছর আগে
'ইয়াস' মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি, মাঠ পর্যায়ের সকল সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায় অনলাইনে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ১৪০টি ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন: প্রতিমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলার জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রস্তুতি তদারকি এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (কন্ট্রোল রুমের ফোন নাম্বার ৯৫৪৫৪১৫)।’
যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সহযোগিতায় এই কন্ট্রোল রুমের সাথে উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে খোলা অন্যান্য কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দশনা প্রদান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, হঠাৎ করে জলোচ্ছ্বাস হওয়ায় ওইসব এলাকায় তীব্র পানির সংকট দেখা দেয়। জরুরি পানি সরবরাহ করতে হয়। স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হয়। এই কাজগুলো ওয়াসা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর করে থাকে। এজন্য্ সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলো তৃণমূল পর্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ইতোমধ্যেয মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ওয়াটার পিউরিফাই ট্যাবলেট, স্যা নিটেশন ব্যোবস্থাসহ অন্যািন্যা প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রস্তুত রেখেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সহ যেকোন দূর্যোগ মোকাবিলা করে দেশ উন্নয়ের শিখরে পৌঁছে যাবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যোক্ত করেন তিনি।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকরা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
৩ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সেই সাথে মৃত্যু শূণ্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার প্রচেষ্টা রয়েছে।
শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পলিসি কমিটির' সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে হবে। যে করেই হোক সবাইকে শেল্টারে আনতে হবে, একজনকেও রেখে আসা যাবে না। এবার আমরা টার্গেট রাখবো মৃত্যুহার যেনো জিরো হয়।’
অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছে। আম্পানের সময়ে করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার করবো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার করা হবে। সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। ফনী, বুলবুল, আম্পান মোকাবিলা করেছি । অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ১৪০টি ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন: প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্গত এলাকার শতভাগ মানুষকে শেল্টার সেন্টারে আনতে পারলে মৃত্যুহার শূন্য হবে আশা করা যায়। যারা বাইরে অবস্থান করে তাদের মধ্য থেকেই মারা যায়। আম্পানে আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ মারা যায় নি, যারা মারা গেছে তারা গাছ চাপ পড়ে, টিনের আঘাতে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়।’
ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ২৩ মে'র পর ঠিকভাবে বোঝা যাবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সব সদস্যদের এরই মধ্যে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা প্রচারণা শুরু করেছে। শেল্টার সেন্টারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছে। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে প্রচারণা করছে। ফায়ার সার্ভিসও প্রস্তুত রয়েছে। স্কাউটের ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। শুকনা খাবার মজুত রয়েছে। রবিবার থেকে বিভিন্ন জেলায় এসব খাবার পাঠিয়ে দেয়া হবে ।
এসময় দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘রুল মডেল’ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের যে সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখতে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রস্তুতিমূলক এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শামসুদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা-বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে