মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
মাদকাসক্তদের জন্য পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মাদকাসক্তদের জন্য সরকার বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র’ নির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি সাতটি বিভাগীয় শহরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এ ছাড়া মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (কর্মকর্তা-কর্মচারী) অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা-২০২৪’ প্রণয়ন করেছে। এই নীতিমালার আওতায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রথম ব্যাচের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।’
এর ফলে আভিযানিক ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় আরও সাফল্য আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেকোনো দেশের উন্নতির প্রধান নিয়ামক হলো কর্মক্ষম বিপুল যুবশক্তি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখনই বৈষম্য, বঞ্চনা, অবিচার ও মূল্যবোধের সংকট তৈরি হয়েছে, তখনই যুব সমাজ সংকল্প ও ঐক্যের মাধ্যমে তা প্রতিহত করেছে। জুলাই ছাত্র-যুব-জনতার গণঅভ্যুখান যুব সমাজ এবং তারুণ্যেরই বিজয়। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের একটি ভয়াবহ বিষয় হলো নারী, শিশু ও কিশোরদের এ গর্হিত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।’
এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। শুধু আইনের প্রয়োগে এর সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগস বা নতুন ধরনের মানসিক প্রভাবসৃষ্টিকারী মাদকদ্রব্যের (এনপিএস) আবির্ভাবের ফলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারজনিত সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে।’
‘এসব মাদক নিয়ে নতুনভাবে কর্মকৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। এসব নতুন মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এগুলোকে আইনের তফসিলভুক্ত করার পাশাপাশি কৌশলগত নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘যে পরিবারের সদস্য মাদকাসক্ত হন, কেবল তারাই এর গভীরতা, ভয়াবহতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝতে পারে। মাদকের বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের দিকটি ইদানীং কমে গেছে। এটিকে বাড়িয়ে মাদকের পারিবারিক, ব্যক্তিক ও রাষ্ট্রীয় কুফল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
নাসিমুল গনি বলেন, ‘মাদকের উৎপাদন বাংলাদেশে হয় না। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে পাচারের মাধ্যমে আমাদের দেশে এসে এটি যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। আর এটিকে সফল করতে হলে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থী, সেরা তিনটি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং মাদকবিরোধী প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সেরা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তাছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্যুভেনির ও বার্ষিক মাদক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
এর আগে, বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। এরপর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের অংশগ্রহণে নির্মিত মাদকবিরোধী স্টল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু মাদকের বাহকদের নয়, গডফাদারদেরও ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৬১ দিন আগে
সিলেটে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে নগরীর পাঠানটুলার পল্লবী মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
মৃত আদিল আহমদ (২৯) সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার মান্দারুকা গ্রামের আব্দুল মসব্বিরের ছেলে।
আদিল পল্লবী মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, নিরাময় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ভোররাত ৪টার দিকে জালালাবাদ থানাপুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার। আদিল তার শোবার কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশির মাধ্যমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মাদকাসক্তের পাশাপাশি তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে নিজ ঘর থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
৮০১ দিন আগে
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মাহফুজুরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, ১৪ জন আটক
যশোর শহরের রেলরোডে ফুড গোডাউনের বিপরীতে অবস্থিত বেসরকারি যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পূর্নবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মাহফুজুর রহমান অসুস্থ হয়ে মারা যায়নি। তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ ১৪ জন মিলে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
রবিবার দুপুরে নিহত মাহাফুজুর রহমানের পিতা কোতয়ায়ী থানায় মামলা করেন।
মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাসুদ করিম, ও আশরাফুল কবিরসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাড়ির আইসি রকিবুজ্জামান জানান, ঘটনা জানতে পেরে যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ শনিবার রাত থেকে বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয় কেন্দ্রের পরিচালকসহ ১৪ জনকে।
মামলার আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মাসুদ করিম, বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল কবির, চৌগাছা উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে রিয়াদ, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সাবদার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে আরিফুজ্জামান, শহরের কাজীপাড়া মসজিদের পাশের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান, মনিহার নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ মিয়াজীর ছেলে রেজাউল করিম রানা, আরবপুর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে অহিদুল ইসলাম, হুসতলা বকচর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল শাহরিয়ার রোকন, বেনাপোল পোর্ট থানার শাখারীপোতা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের আসর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার এস এম জি মুক্তাদিরের ছেলে এস এস সাগর আজিজ, শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বামখালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সাগর।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ কারাগারে বন্দিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহতের বাবা মনিরুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, তার ছেলে মাহাফুজুর রহমান (১৯) মাদকাসক্ত হওয়ায় ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন। তারপর থেকে মাহাফুজুর সেখানেই ছিলেন। ২২ মে দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক মাসুদ করিম তাকে মোবাইলে জানায় যে মাহফুজ অসুস্থ, তিনি যেন দ্রুত যশোর আসেন। এ খবর শুনে মনিরুজ্জামানসহ তার এলাকার সাইদুর রহমান ও আক্তার হোসেন যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিছু সময় পর পথিমধ্যে পরিচালক তাকে আবারও মোবাইল করে জানায়, তিনি যেন শক্ত হন তার ছেলে মারা গেছে। লাশ যশোর সদর হাসপাতালে রয়েছে। বাদী মনিরুজ্জামান বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে ছেলে মাহফুজুর রহমানের লাশ দেখতে পান।
মামলায় আরও উল্লেখ করেন, ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে বাদীর সন্দেহ হওয়ায় ছেলের শরীর ভাল ভাবে পরীক্ষা করেন বাদী। মাহফুজুরের শরীরের ডান হাতের কবজির উপর কামড়ানোর দাগ, পিঠের ডান ও বাম পাশে কালচে থেথলানো দাগ, বাম কাঁধের উপরে থেতলোনো দাগসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও অন্ডকোষ ফোলা দেখতে পান। পরে বাদী মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে নিরাময় কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে তারা জানতে পারেন যে মাহফুজুরকে হত্যা করা হয়েছে।
বাদী মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, ২২ মে রাত সাড়ে ১২ টায় ঘুমাতে যায় মাহফুজুর রহমান। পরে ভোর ৫টা ২০ মিনিটে মাহফুজুর রহমান প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে যান। বাহিরে যাওয়ার পরে নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসাধীন কয়েকজন, পরিচালক মাসুদ করিম ও আশরাফুল কবিরের নির্দেশে মাহফুজুরকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম করে ও নাকে মুখে অতিমাত্রায় পানি ঢালে। আসামিদের নির্যাতনে মাহফুজুর অচেতন হয়ে পড়লে আসামিরা তাকে ভ্যানে করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাহফুজুরকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে চিকিৎসার জন্য ভিতরে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. তন্ময় বিশ্বাস দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হিসেবে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার ভোর ৫টা ২০ মিনিট থেকে একই দিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটি পর্যন্ত যেকোনো সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মাহফুজকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
১৬৫৫ দিন আগে