অভিযুক্ত
আবু সাঈদ হত্যা: অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে শুনানি শেষে বিচারক আসাদুজ্জামান তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান রোকন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এবং গত ৩ আগস্ট এই দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়। পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আগে তারা পুলিশ লাইন্সে কড়া নজরদারিতে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৩০-৩৫ জন
আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে
২ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে গত ১৭ অক্টোবর গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পিচ্চি মনির।
লালবাগ ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, লালবাগ জোনের ডিবি পুলিশের একটি দল বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদশেষে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নভেম্বর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৭ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরে নিজ বাসার সামনে রমজান আলী ওরফে পেটকাটা রমজান নামে এক অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, চুরি যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্র ও মাদক বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে পিচি মনিরের সঙ্গে রমজানের শত্রুতা ছিল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সিলেট মহানগর বিএনপি ও জেলা যুবদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
১০ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে মারধর: অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত
চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরিন এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে অভিযুক্ত ছাত্র।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
এদিকে, এ ঘটনায় ওই ছাত্রের শাস্তির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
জানা গেছে, এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে থাপ্পড় মারার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঘটনার দিন, পরীক্ষার হলে বিশৃঙ্খলা ও অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির এক ছাত্রের খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক হাফিজুর। এতে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষককে থাপ্পড় মারে অভিযুক্ত ছাত্র।
এ ঘটনায় শিক্ষকদের পক্ষে রবিবার রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান।
অভিযোগটি পুলিশ মামলা হিসেবে রুজু করে আমলে নেয়।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
এসময় কিছুক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর রোডে অবস্থান নিলে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে যানযট নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি’ প্রতিষ্ঠা করল পুলিশ
মানববন্ধনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা আর যেন চুয়াডাঙ্গায় না ঘটে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। সামাজিকভাবে আমরা এত নিচে নেমে গেছি, এটা থেকে উত্তরণ দরকার।
তারা আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চাই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানছিল না। যে কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষক তার খাতাটি নিয়ে নেন এবং বসতে বলেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের ওপর চড়াও হয় এবং একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক লিখিতভাবে বিচারের আবেদন করেছেন। তার আবেদন ও সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সহকারে বিদ্যালয়ের সভাপতির পরামর্শে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, সরকারি কর্মচারিকে কর্তব্য পালনে বাধাপ্রদান, আক্রমণ, অপরাধমূলক বল প্রয়োগ এবং আঘাতসহ ভয়-ভীতি প্রদানের অপরাধে ৩৩২, ৩৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী আবু তালেব বলেন, আদালতে হাজির হয়ে ওই শিশু জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শিশুটি সংশোধনাগারে (যশোর শিশু ইন্নয়ন কেন্দ্র) পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
১ বছর আগে
তদন্ত করতে এসে অভিযুক্তকে নিয়ে দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ালেন তদন্তকারী দল!
প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে খোদ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দুইদিন ধরে কুষ্টিয়া এবং পাশের মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেরিয়েছেন তদন্ত দলের সদস্যরা।
শুধু দুই জেলার দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণই নয়,অভিযুক্ত ব্যক্তি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত টিমকে ভূরিভোজও করিয়েছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটে আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই মোছা. কাঞ্চন মালার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক কেলেংকারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি চলে আসছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ইউপি সদস্য হলেন তৃতীয় লিঙ্গের পায়েল
ইনচার্জ কাঞ্চন মালার স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে ইতোপূর্বে শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানের স্টাফরা বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক কেলেংকারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ইতোপূর্বে দুইবার তদন্ত হলেও অদৃশ্য কারণে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন ইনচার্জ কাঞ্চন মালা।
ইনচার্জের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সম্প্রতি ইনচার্জ কাঞ্চন মালার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শারীরিক লাঞ্ছনাসহ অসদাচরণ, প্রতিষ্ঠানের ৩০ সিটের কোচ ব্যবহার করে নিয়মিত নিজ বাড়ি মেহেরপুরে যাতায়াত, অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর প্রদান, অবৈধভাবে পরিবার নিয়ে হোস্টেলে বসবাস করা, পছন্দের শিক্ষকদের পরীক্ষার ডিউটি ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সুযোগ প্রদান, বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিজ বাড়ি মেহেরপুর নিয়ে যাওয়াসহ ১৩টি অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষিকা মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উপসচিব পরিচালক (শিক্ষা) মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর স্বাক্ষরিত তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়-সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর সুলতানা পারভীন, খুলনা নার্সিং কলেজের প্রভাষক লীলাবতী বিশ্বাস এবং ঢাকা নার্সিং কলেজের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর মো. খোরশেদ আলমকে।
ওই কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
ইনচার্জ কাঞ্চন মালার অর্থ আত্মসাৎসহ অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম কুষ্টিয়ায় আসে।
প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, তদন্তকালে অভিযোগকারীদের সঙ্গে পৃথক-পৃথকভাবে মৌখিক কথা বলেন তদন্ত দল। দুপুরে প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই তদন্ত টিমের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন অভিযুক্ত ইনচার্জ কাঞ্চন মালা। মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকালে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে তদন্ত দল প্রতিষ্ঠানের কোচে চড়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার বাউল সম্রাট লালন সাঁই’র আখড়া বাড়ি পরিদর্শনে যান এবং লালন একাডেমির শিল্পীদের গান উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কৃষকের ধানের গাদায় আগুন দেয়ার অভিযোগ
১ বছর আগে
জাপানে শিনজো আবের হত্যায় ইয়ামাগামিকে অভিযুক্ত দেশটির আইনজীবীদের
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যায় তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে (৪২) অভিযুক্ত করেছেন দেশটির আইনজীবীরা। শুক্রবার বিচারের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের নারাতে একটি ট্রেন স্টেশনের বাইরে নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা দেয়ার সময় গুলি লেগে মারা যান আবে। তাকে গুলি করার অভিযোগে অবিলম্বে তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের শেষকৃত্য আজ
এরপর ইয়ামাগামিকে প্রায় ছয় মাসের জন্য ওসাকার একটি মানসিক মূল্যায়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার যার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর ইয়ামাগামি নারায় পুলিশ হেফাজতে ফিরে এসেছে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ইয়ামাগামির মানসিক মূল্যায়নের ফলাফলে জানা গেছে তিনি বিচারের উপযুক্ত।
এছাড়া নারা জেলা আদালতে ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে।
পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন যে, একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকার কারণে তিনি আবেকে হত্যা করেন।
তার দেয়া বিবৃতিতে এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে ইয়ামাগামি বলেছিলেন, তিনি (আবে) বিদ্বেষ তৈরি করেছিলেন। যার কারণে তার মাকে ইউনিফিকেশন চার্চে অনেক বড় অংকের টাকা দিতে হয়। যার ফলে তার পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়; যা তার জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।
তার আইনজীবীদের একজন মাসাকি ফুরুকাওয়া বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ওসাকায় তার মানসিক মূল্যায়নের সময় ইয়ামাগামি সুস্থ ছিলেন। সেসময় কেবল তার বোন এবং তিনজন আইনজীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়।
ফুরুয়া বলেছেন, মামলার জটিলতার কারণে তার বিচার শুরু হতে অন্তত কয়েক মাস সময় লাগবে।
পুলিশ ইয়ামাগামির বিরুদ্ধে অস্ত্র উৎপাদন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন এবং ভবনগুলোর ক্ষতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ যুক্ত করার কথাও বিবেচনা করছে।
তবে কিছু জাপানি ইয়ামাগামির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে যারা দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ইউনিফিকেশন চার্চের অনুসারীদের সন্তান। অনুগামীদের বড় দান করার জন্য চাপ দেয়ার জন্য এটি পরিচিত এবং জাপানে এটি একটি ধর্ম বলে বিবেচিত হয়।
হাজার হাজার মানুষ ইয়ামাগামির লঘু শাস্তির জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে এবং অনেকে তার আত্মীয়দের বা আটক কেন্দ্রে কেয়ার প্যাকেজ পাঠিয়েছে।
এই মামলার তদন্তের ফলে আবের শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গির্জার মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা নিবিড় সম্পর্কের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে।
কারণ আবের দাদা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নোবুসুকে কিশি ১৯৬০-এর দশকে রক্ষণশীল ও বিরোধীদের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থের জন্য জাপানে এই চার্চের শিকড় বিস্তৃত করতে সাহায্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান
শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন মোদি
১ বছর আগে
টুকরো করে শিশু হত্যা, অভিযুক্তের বাবা-মা ৩ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের ইপিজেডে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে ছয় টুকরা করে হত্যার পর খালে ও সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনায় আসামি আবীর আলীর মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালত পিবিআইয়ের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আবিরের পিতা-মাতাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
তিনি বলেন, আসামি আবীর আলীকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মঙ্গলবার তার বাবা-মাকেও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে ছয় টুকরা করে কেন সাগরে ফেলা হলো এবং শুধু মুক্তিপণ আদায় নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা জানা যাবে।
এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বন্দরটিলার বাসা থেকে আবির আলীর পিতা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম ও মা আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে বলে জানায় পিবিআই।
উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত (৫)। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় ২৪ নভেম্বর রাতে শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় আবীরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায় পুলিশ।
রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থান থেকে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু আয়াত হত্যা: আসামি আবীর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
উত্তরায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
১ বছর আগে
নরসিংদীতে তরুণীকে হেনস্তা: অভিযুক্ত নারী ৩ দিনের রিমান্ডে
আধুনিক পোশাক পড়াকে কেন্দ্র করে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে এক তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলা আক্তার সায়মাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক (প্রথম আদালত) দেলোয়ার হোসেন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তা, মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেনস্তাকারী মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলা আক্তার সায়মাকে গ্রেপ্তারের পর রেলওয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে র্যাব। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক হারুনুজ্জামান রুমেল আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ৩ শিক্ষার্থী রিমান্ডে
নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থী রিমান্ডে
২ বছর আগে
নাটোরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে ৬ বছরের শিশু খুন
নাটোরে হাবিব নামে ৬ বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাই।
রবিবার, জেলার নল ডাঙ্গায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসিফকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, লুকিয়ে রাখা বিস্কুট খেয়ে নেয়ার অপরাধে আসিফ তার চাচাতো ভাই হাবিবকে মারপিটের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ প্রথমে নিজেদের নির্মাণাধীন বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। সন্ধ্যার পর হাবিবের লাশ পাশের একটি ভুট্টাক্ষেতে ফেলে দেয় সে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সন্তানকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হত্যা করে লাশ গোপন করার কথা স্বীকার করে।
খবর পেয়ে রবিবার রাত ১২ টায় পুলিশ গিয়ে ভুট্টাক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করে। আটক করে আসিফকে।
৩ বছর আগে
পল্লবীতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে নারীর মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) ইউএনবিকে এখবর নিশ্চিত করে পুলিশ।
নিহত উমামা বেগম কনক (৪০) উমর ফারুকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা, গণপিটুনিতে যুবক নিহত
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ জানান, উমর এবং তার স্ত্রী ডিওএইচএস এর একটি ফ্ল্যাটে একসাথে থাকতেন। শুক্রবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে এই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এক পর্যায়ে উমর ফারুক রাগান্বিত হয়ে তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে।
আহত উমামাকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভোর ৫টার দিকে উমামা চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিম অভিযুক্ত উমরকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
৩ বছর আগে
চাঁদপুরে তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক পলাতক
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কুটিয়া-লক্ষীপুর গ্রামে রবিবার ১৯ বছরের এক তরুণীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩ বছর আগে