সামিট
সেপ্টেম্বরের আগে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা নেই
আগামী সেপ্টেম্বরের আগে সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, আবহাওয়া ও সমুদ্র পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে আগস্টের শেষ নাগাদ ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) প্লাগের পুনঃস্থাপন ও পুনঃসংযোগ সম্পন্ন করবে সামিট। এরপর আগামী সেপ্টেম্বরে জাহাজ থেকে জাহাজ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিটিএম হস্তান্তরে একটি শক্তিশালী ও উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেনের জন্য সামিট 'ওরিয়েন্টাল ড্রাগন' নামে একটি ডাইভিং সাপোর্ট ভেসেলের (ডিএসভি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে; যা ২২ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে মহেশখালীতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সফরে ষষ্ঠ সামিটের প্রত্যাশা তুলে ধরলেন বিমসটেক মহাসচিব
এর আগে গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সামিটের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) বা এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যালাস্ট ওয়াটার ট্যাংক মেরামতের পর গত ১০ জুলাই সিঙ্গাপুর থেকে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ফিরে আসে।
১১ জুলাই, সাবসি ল্যান্ডিং প্যাডে ডিটিএম প্লাগ দিয়ে এফএসআরইউ মুরিংয়ের প্রস্তুতির সময়, ডিটিএম বয়া মেসেঞ্জার লাইনে একটি অপ্রত্যাশিত জট বাঁধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ দুর্ঘটনার পর সামিট এফএসআরইউ থেকে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এক্সিলারেট এনার্জি দ্বারা পরিচালিত বঙ্গোপসাগরের অন্য এফএসআরইউ ৬০০ এমএমসিএফডি চালু রয়েছে এবং এটিই এখন সর্বমোট সক্ষমতা।
এর ফলে প্রায় ৪০০০ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশের মোট গ্যাস সরবরাহ ৩১০০ এমএমসিএফডি থেকে কমে ২৬০০ এমএমসিএফডিতে নেমে এসেছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সামিট ও এর আন্তর্জাতিক অংশীদাররা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মান বজায় রেখে এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জুলাই মাসে নরওয়েভিত্তিক মেরিটাইম কোম্পানি ম্যাকগ্রেগর ও সিএএন সিস্টেম এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি শেলফ সাবসিকে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি (এসএলএনজি) নিয়োগ করে। সামিটের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের সাবসি ল্যান্ডিং প্যাডের ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) মেরামত করে নিরাপদে মুরিং করতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
সমুদ্রের প্রতিকূল আবহাওয়া এবং পানির ভেতর প্রায় শূন্য দৃশ্যমানতার কারণে, আন্তর্জাতিকভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সাবসি ডাইভিং দলের চিহ্নিত ক্ষতিটি সংশোধন করতে উল্লেখযোগ্য বাধা সৃষ্টি করেছে।
এফএসআরইউ পুনরায় সংযোগ করতে ল্যান্ডিং প্যাডের কেন্দ্রে (সমুদ্রতলে অবস্থিত) পুনরায় স্থাপন করতে হবে ডিটিএম প্লাগটি।
এজন্য অ্যাঙ্কর হ্যান্ডলিং টগ কোরাল এই পুনঃস্থাপনের জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে এটি ডিটিএমকে পুনরায় স্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করতে সক্ষম ছিল না।
সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানির এফএসআরইউ মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টাইম চার্টারের অধীনে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর: বিজনেস সামিটে ৭০০ কোটি ডলারের তহবিল চাইবে বাংলাদেশ
ঢাকায় দ্বিতীয় সার্কুলার ইকোনমি সামিট মঙ্গলবার
৩ মাস আগে
সামিটের এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহে লাগতে পারে আরও ১০ দিন: নসরুল হামিদ
জাতীয় গ্যাস গ্রিডে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহের জন্য সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম ফের শুরু করতে আরও ১০ দিন সময় লাগবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামিটের এফএসআরইউতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে আরও ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার সামিট গ্রুপের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সরবরাহ ৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে ও গ্যাস সরবরাহ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে: নসরুল হামিদ
কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গত ২৭ মে থেকে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতাসম্পন্ন এলএনজি টার্মিনালটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এটিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় এবং মেরামত কাজ শেষ করে মহেশখালীতে অপারেশন সাইট এলাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
কিন্তু কার্যক্রম শুরুর আগে আবার যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় এটি। এরপর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা পুনলায় গ্যাস সরবরাহ চালুর জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
সামিটের এলএনজি টার্মিনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সামগ্রিকভাবে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়া। এতে বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
সারা দেশে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। একটি হলো ৬০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সিলারেট এনার্জি এবং অপরটি সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন ৫০০ এমএমসিএফডি টার্মিনাল।
কর্মকর্তারা জানান, সামিট এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দেশে চলমান গ্যাস সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বুধবার প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৬৩৭ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে: নসরুল হামিদ
৩ মাস আগে
ঢাকায় দ্বিতীয় সার্কুলার ইকোনমি সামিট মঙ্গলবার
বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটের দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার (১১ জুন)।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এ সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ।
বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে ‘লিনিয়ার’ ব্যবসায়িক মডেল থেকে ‘সার্কুলার ইকোনমি’তে রূপান্তরের পথকে সুগম ও অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করাই এ সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য।
জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ‘জিআইজেড’র সহযোগিতায় ও বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় আয়োজিত দিনব্যাপী এই সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকবে চারটি প্লেনারি আলোচনা সভা।
যেখানে বিশেষজ্ঞরা পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে সার্কুলার অর্থনীতিবিষয়ক তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ ইকোনমি সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশেষ অতিথি থাকবেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন থিজস ওয়াউডস্ট্রা এবং বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জ্যান জানোস্কি।
চারটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো, ফরমালাইজিং দ্যা ইনফরমাল ঝুট সেক্টর, ক্লোজিং দ্য লুপ অব টেক্সটাইল ওয়েস্ট, সার্কুলার ডিজাইন: বাস্তবতা বনাম চ্যালেঞ্জসমূহ এবং ট্রান্সপারেন্সি ও ট্রেসেবিলিটি ইন সার্কুলারিটি।
এ সামিটে ইইউ ডিউ ডিলিজেন্স অ্যান্ড লেজিসেশন অন সার্কুলারিটি শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। ব্রাসেলস স্কুল অব গভর্নেন্সের রিসার্চ সেন্টারের সহপরিচালক অধ্যাপক হ্যারি কালিমো মার্কেট ইনসেন্টিভ ফর ইকো-ডিজাইনের: দ্যা কেস অব ইকো-মডুলেশন শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরবেন।
‘এ ন্যাশনাল সার্কুলার টেক্সটাইল রোডম্যাপ ফর বাংলাদেশের’ উপর আলোচনা করবেন চ্যাথাম হাউসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্যাট্রিক শ্রোডার।
এই সামিটে ‘ম্যাপিং দ্য ওয়ে ফর দ্য আরএমজি সার্কুলারিটি’ শীর্ষক একটি ‘ব্রেকআউট সেশন’ থাকবে। যার আয়োজক বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সার্কুলারিটি বর্তমান সাসটেইনেবল ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে সার্কুলারিটি বাস্তবায়নের পথকে সুগম ও অগ্রযাত্রাকে বেগবান করাই বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন বলেন, ‘বাংলাদেশের আছে একটি শক্তিশালী তৈরি পোশাক শিল্প এবং অন্যদিকে সার্কুলার ইকোনমি বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের রয়েছে জ্ঞান। এই দুটি একত্রিত করার মাধ্যমে আমরা উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারি। এতে বাংলাদেশ যেমন অধিকতর টেকসই উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে লাভবান হবে, অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস তার সার্কুলারিটি অভিমুখে অগ্রযাত্রায় একটি মূল্যবান অংশীদার হিসাবে পাবে।’
জিআইজেডের ‘প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবিলিটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টরের’ প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. মাইকেল ক্লোড বলেন, ২০৩০ সালের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা, ২০২৫ সালের ডিকার্বনাইজেশন লক্ষ্যমাত্রা, ২০২৬/২০২৯ এ এলডিসি থেকে উত্তোরণ-এগুলো সবই অনেক দূরে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা নিকটে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি সার্কুলার ইকোনমির দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হলে যেমন জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রাগুলির প্রতি সচেতন হতে হবে, তেমনি ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতার বিষয়ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অনবদ্য প্লাটফর্ম নারী স্পিকারদের সামিট: স্পিকার
শ্রীলঙ্কা সফরে ষষ্ঠ সামিটের প্রত্যাশা তুলে ধরলেন বিমসটেক মহাসচিব
৫ মাস আগে
ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং গ্রুপ ৭৭ ও চীনের তৃতীয় সাউথ সামিটে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে উগান্ডায় পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে শুক্রবার বিকেলের মধ্য উগান্ডার এনটেবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান কেনিয়ায় নিযুক্ত ও একই সঙ্গে উগান্ডায় স্বীকৃত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ। ন্যামের প্রাক-শীর্ষ সম্মেলন সেশনে যোগ দেওয়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
এই দুই বহুপাক্ষিক সম্মেলনে যোগদান শেষে ২২ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
দ্বিতীয় গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ভারত শুক্রবার(১৭ নভেম্বর) ভার্চুয়াল ফরম্যাটে দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের (ভিওজিএসএস) আয়োজন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এই সামিটে যোগ দেবেন।
দ্বিতীয় ভিওজিএসএস ১০টি সেশনে অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী এবং সমাপনী অধিবেশনগুলো রাষ্ট্র / সরকার প্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটির উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনী নেতাদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিল‘একসঙ্গে, সবার বিকাশে, সবার আস্থা’ এবং সমাপনী নেতাদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দক্ষিণ বিশ্ব: একসঙ্গে সবার ভবিষ্যৎ’।
২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি ভার্চুয়াল ফরম্যাটে প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের (ভিওজিএসএস) আয়োজন করেছিল ভারত।
এই অনন্য উদ্যোগটি গ্লোবাল সাউথের ১২৫টি দেশকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে বিনিময়ের জন্য একত্রিত করেছে।
জি-২০ প্রেসিডেন্সির সময় ভারত গ্লোবাল সাউথের উদ্বেগগুলো যথাযথভাবে গ্রহণ করে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে গ্লোবাল সাউথের অগ্রাধিকারগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয় তা নিশ্চিত করতে কাজ করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভিওজিএসএস ভারতের সভাপতিত্বকালে বিভিন্ন জি-২০ বৈঠকে অর্জিত মূল ফলাফলগুলো গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর সঙ্গে বিনিময় করে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করবে।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
এতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উন্নয়নের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলোও নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, এই শীর্ষ সম্মেলন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রতিনিধিত্বমূলক এবং প্রগতিশীল বিশ্ব ব্যবস্থার আমাদের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার দিকে সৃষ্ট গতি বজায় রাখার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।
এ ছাড়া ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল সাউথ: এমার্জিং টুগেদার ফর এ বেটার ফিউচার’ শীর্ষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশন, 'মানবসম্পদের ভবিষ্যত প্রস্তুত করা' শীর্ষক শিক্ষামন্ত্রীদের অধিবেশন, 'জনকেন্দ্রিক উন্নয়নে অর্থায়ন' শীর্ষক অর্থমন্ত্রীদের অধিবেশন, 'জলবায়ু সহনশীলতা ও জলবায়ু অর্থায়নের জন্য টেকসই সমাধান' শীর্ষক পরিবেশ মন্ত্রীদের অধিবেশনসহ ৮টি মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
১ বছর আগে
পুতিনের সাথে বৈঠকে প্রস্তুত বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর নিজের প্রথম বিদেশ সফরে ইউরোপকে বেছে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এই সফরের মূল আকর্ষণ হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক।ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে বৈঠকের পর মঙ্গলবার জেনেভায় পৌঁছে নিজেকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেন বাইডেন। সেখানে এক সাংবাদিক বাইডেনের দিকে পুতিনের সাথে বৈঠকের প্রস্তুতির ব্যাপারে প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক সুগভীর করতে চান বাইডেন
বুধবার যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার এই বৈঠকে প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের মুখোমুখী হতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া রাষ্ট্রপতি বাইডেন। আজকের এই আলোচনা যথেষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশের প্রধানদের এই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব।
আরও পড়ুন: বাইডেন-পুতিনের প্রথম ফোনালাপ: কী কথা হলো তাদের মধ্যে?
দীর্ঘ এক সপ্তাহের ইউরোপ সফরের পর এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে, জো বাইডেন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবেই ইউরোপীয় বন্ধু দেশগুলোর সাথে নিবিড় সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছেন। এর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও চীনের সাথে লড়াইয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টাও করছেন।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি ইস্যুতে শি জিনপিং-পুতিন ফোনালাপ
এর আগে গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭), ন্যাটো এবং মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সামিটে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
৩ বছর আগে
ফাইভজি সামিট আয়োজন করবে রিয়েলমি
তারুণ্য-কেন্দ্রিক ব্র্যান্ড রিয়েলমি ফাইভজি’র উন্নয়ন এবং এর সম্ভাবনা নিয়ে ‘মেকিং ফাইভজি গ্লোবাল: অ্যাক্সেসিবিলিটি ফর অল’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল বৈশ্বিক ফাইভজি সামিট আয়োজন করতে যাছে।
আগামী ৩ জুন এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে তাদের সাথে আছে জিএসএমএ, কাউন্টারপয়েন্ট ও কোয়ালকম।
এই সামিটটি জিএসএমএ’র লাইভস্ট্রিম চ্যানেল ও রিয়েলমি’র অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো থেকে সম্প্রচারিত হবে।
উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমান সময়ে আইসিটি খাতের নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। সামিটে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা ফাইভজি সম্পর্কে তাদের ভাবনা তুলে ধরবেন এবং ফাইভজি’র বিকাশের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বিশ্বে কী ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হবে তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: অন্ধকারে ছবি তুলতে আসছে ডুয়েল স্পটলাইট স্মার্টফোন ভিভো ভি২১
জিএসএমএ ইন্টেলিজেন্সের প্রিন্সিপাল ইকোনোমিস্ট ক্যালভিন বাহিয়া, কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ভিপি ও কো-ফাউন্ডার পিটার রিচার্ডসন, রিয়েলমির ব্র্যান্ড ডিরেক্টর জনি চেন, কোয়ালকম ইন্ডিয়া ও সার্কের ভিপি ও প্রেসিডেন্ট রাজেন ভাগাদিয়া, এবং রিয়েলমির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রিয়েলমি ইন্ডিয়া ও ইউরোপের সিইও মাধব শেঠ এ সামিটে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদে আসছে স্লিম এবং ট্রেন্ডি রিয়েলমি ৮, সি২৫ এবং গেম প্রো কিট
অংশগ্রহণকারীরা বর্তমানের উদীয়মান বাজারে ফাইভজি’র প্রত্যাশিত বিকাশ, মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা, বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী সময়ে এর বিকাশের সম্ভাব্য উপায়, নিম্ন মূল্য পরিসীমায় ফাইভজি নামিয়ে আনা, ফাইভজি’র জন্য ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন তৈরি এবং ফাইভজি প্রযুক্তিকে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে এমন অ্যাপ্লিকেশন করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করবেন।
রিয়েলমি এই ভার্চুয়াল সামিটে ফাইভজি যুগে তাদের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পণ্য নিয়ে আলোচনা করবে।
প্রতিষ্ঠানটি তুলে ধরবে, কেন তারা মনে করে তরুণদের জন্য ফাইভজি ইন্টারনেট সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে?
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে শীর্ষ চারে উঠে আসলো রিয়েলমি
রিয়েলমি’র পণ্যগুলো কীভাবে ফাইভজি প্রযুক্তির সাথে অনবদ্য একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে সে সম্পর্কে আলোকপাত করবে রিয়েলমি।
এ সামিট নিয়ে রিয়েলমি বাংলাদেশের টিম শাও বলেন, ‘এই সামিটটি রিয়েলমি’র জন্য অনেক গুরত্বপূর্ণ একটি আয়োজন, কারণ আমরা এ সামিটের মতামতগুলো গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করবো। এটি উল্লেখযোগ্য যে, তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেসব ফাইভজি সমর্থিত মোবাইলফোন আনবে সেগুলো সবার জন্য সহজলভ্য হবে এবং সর্বোচ্চ ফাইভজি সুবিধা নিয়েই ফোনগুলো আসবে। আমরা নিশ্চিত করবো যে সর্বোচ্চ সুবিধাসহ মোবাইল ফোনগুলো মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পর্যায়ের সকল মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে।’
৩ বছর আগে