আচরণবিধি
দুঃখ প্রকাশ করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জবাব দিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জ -৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে লিখিত জবাব দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাশরাফির সমর্থকদের জরিমানা
এতে তিনি বলেন, গত ২ জানুয়ারি বিকালে চুনারুঘাট উপজেলা সদরে মধ্যবাজারে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তার জনসভা ছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের এবং নৌকা পাগল জনগণের বিপুল উপস্থিতির কারণে যানবাহন ও জনগণের চলাচলে কোনো প্রকার অসুবিধা হয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
লিখিত জবাবে ভবিষ্যতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার নিশ্চয়তা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ জবাব পাঠান। সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শরীফ মো. রুবেল প্রতিমন্ত্রীর জবাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
১০ মাস আগে
ফরিদপুর-১ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ফরিদপুর-১ আসনের (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমানের প্রতিনিধিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বোয়ালমারী উপজেলায় নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুজ্জামান এ জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
মো. খায়রুজ্জামান বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে বা প্রতীকে আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পৌরসভার শিবপুর রেলগেটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ক্যাম্পে আলোকসজ্জা করা হয়েছে- এ কারণে প্রার্থীর প্রতিনিধিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর, জাতীয় পার্টির মো. আক্তারুজ্জামান, সুপ্রিম পার্টির নূর ইসলাম সিকদার।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
১০ মাস আগে
চট্টগ্রাম-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী 'স্বাস্থ্য কর্মকর্তা'
সরকারি চাকরিজীবী হয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. সালাউদ্দিন নামে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
উপজেলার ৫ নম্বর বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী তিনি। মাঠ পর্যায়ে শিশুদের টিকা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এই সরকারি কর্মচারী। এরই মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি।
নির্বাচনী হলফনামায় ১ শতাংশ ভোটারের তালিকা জমায় ত্রুটির কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে পরে উচ্চ আদালতের রায়ে ফিরে পান তিনি।
সোমবার (২৫) থেকে নির্বাচনী প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেন নি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত চিঠি দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পুলিশ সদস্য ছিলেন মো. সালাউদ্দিন। ২০১০ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। এরপর ২০১১ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়েই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্রে তিনি নিজেকে ফার্মেসি ব্যবসায়ী উল্লেখ করে কাগজপত্র দাখিল করলেও পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেওয়া এবং স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকার কথা গোপন করেছেন। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইকালে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংগ্রহে ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেখানেও প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এরপর উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান সালাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন তার হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রাম–৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
বিষয়টি জানার পর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের পাশাপাশি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম রফিকুল ইসলামকে জানান।
ইতোমধ্যে সালাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তার উত্তর না দিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। যে কারণে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতিও নেননি। তাছাড়া নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বেও তার নাম দেওয়া হয়েছে। তাই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। চিঠিতে তিনি সরকারি এ কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
সরকারি চাকরিতে থাকাবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
এ ছাড়া ১১ নভেম্বর ও ১৮ ডিসেম্বর সালাউদ্দিনকে পরপর দু’টি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ। কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। কিন্তু তিনি নোটিশের সুনির্দিষ্ট কোনো জবাবও দেননি।
সর্বশেষ রবিবার তাকে তৃতীয়বারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরপর ৩ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও জবাব না দেওয়ার পাশাপাশি এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সালাউদ্দিন।
সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিধি পরিপন্থীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন), চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ডের ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যে লিখিত অভিযোগ করেছেন সেটির অনুলিপি এখনো তার হাতে পৌঁছায়নি। অভিযোগ হাতে পেলে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে তিনি লিখিতভাবে জানাবেন।
সরকারি চাকরিতে থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মো. সালাউদ্দিন বলেন,তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে রকেট প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার থেকে জনসংযোগও শুরু করেছেন। তবে সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
১০ মাস আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের (পৌরসভার মধ্যে ওয়ালে পোস্টার লাগানো) অভিযোগে নড়াইল-২ (সদরের একাংশ ও লোহাগড়া উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ তিন প্রার্থীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) শহরের হামিদ মেনশন এলাকা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. অনিসুর রহমান এ জরিমানা করেন।
জরিমানায় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে (নৌকা) ১৫ হাজার টাকা, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজকে (লাঙ্গল) ১৫ হাজার টাকা, গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমানকে (মাছ) তিন হাজার এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাহবুবুর রহমানকে (মিনার) দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নড়াইলে এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শাস্তি দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী পোস্টার রশি দিয়ে ঝুলানোর কথা। কিন্তু তাদের পোস্টার দেয়ালে ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে লাগিয়েছেন। এজন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রতিনিধিসহ অন্য তিন প্রার্থীর প্রতিনিধিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাশরাফীর পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের ইফতারি বিতরণ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে মোট ছয়জন সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করছেন।
তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (নৌকা), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ী), জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল), এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম (আম), গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ) ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার)।
প্রার্থীদের জরিমানার বিষয়টি নড়াইল জেলা প্রশাসক এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামে আচরণবিধিসহ নানা অপরাধে বিচারিক দায়িত্বে ২৩ ম্যাজিস্ট্রেট
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচার এবং তদারকির জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি নির্বাচনী আসনের জন্য ২৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ভোটের দু্ইদিন আগে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচদিন দায়িত্ব পালন করবেন এসব ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো. আল-আমিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
এতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন এবং তার আগের দু’দিন ও পরের দু’দিনসহ মোট পাঁচদিন দায়িত্ব পালন করবেন।
চট্টগ্রামে নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে সহকারী জজ ফারজানা তাবাসসুম মেরী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোছাইন, সহকারী জজ তৈয়ব উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে সহকারী জজ মুজিবুর রহমান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন পারভিন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান পুনম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর আক্তার নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
এছাড়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা, সিনিয়র সহকারী জজ মো. হাসান জামান, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ মো. হেলাল উদ্দিন, সহকারী জজ মোহাম্মদ মোস্তাফা, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে সিনিয়র সহকারী জজ শামসুল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাররাহুম আহমেদ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ার) আসনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হক, সহকারী জজ আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা, সহকারী জজ কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে সহকারী জুডিসিয়াল সুব্রত দাশ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ, সহকারী জজ কাওসার মাহমুদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা প্রভৃতি অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্য হাতির হামলায় কৃষকের মৃত্যু
১১ মাস আগে
গোপালগঞ্জ সফরে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
গোপালগঞ্জে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে সবেমাত্র ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সহকারী প্রেস সচিব জানান, সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গোপালগঞ্জে যান এবং সফরকালে তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়াননি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
গোপালগঞ্জে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করেন।
বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সমাধিতে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাজার থেকে পায়ে হেঁটে তার টুঙ্গিপাড়ার বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
ঢাকার খাল-বিল ও নদীগুলো দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
১১ মাস আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে ফেনী জেলা সিনিয়র সহকারী জজ ও ওই আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন এ শোকজের আদেশ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ১৬ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
আদেশে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে কমিটির কাছে ব্যখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর ১২ ধারা অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা দল মনোনীত ব্যক্তি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
এছাড়া ৬ (গ) ধারায় কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা দল মনোনীত ব্যক্তি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে সভা করতে চাইলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির ব্যাখ্যা তলবের বিষয়ে ফেনী-১ আসনের নৌকা প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে বারবার চেষ্টা করেও মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে প্রতিটি আসনে একজন বিচারককে প্রধান করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখভাল করছেন। শোকজের কপি এখন পর্যন্ত আমার হাতে পৌঁছেনি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগে এমপি মোস্তাফিজুরকে শোকজ
যশোর বোর্ডে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, শোকজের সিদ্ধান্ত
১১ মাস আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একতরফা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেশের জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনই (ইসি) জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সংবিধানের অখণ্ডতা নষ্ট করেছে। এখন আওয়ামী ধাঁচের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য নোটিশ দেওয়া মানে কমিশন জনগণকে নিয়ে মজা করছে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি আরও বলেন, একতরফা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তাৎপর্য নেই। যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ নেই এবং ভোটারদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ নেই।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি একটি একতরফা নির্বাচন, যেখানে একই দল এবং চার ভাগের এক ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কেউ এক নম্বর প্রার্থী, কেউ দুই নম্বর প্রার্থী আবার কেউ তিন নম্বর প্রার্থী। তবে সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ইউএনও ও ওসিদের বদলির ইসির সিদ্ধান্ত আওয়ামী মতাদর্শী ইউএনও ও ওসিদের মধ্যে রদবদল মাত্র। ‘পুরো প্রক্রিয়াটি হাসি ও কৌতুকের একটি অভূতপূর্ব হাস্যরস-উদ্দীপক নাটক।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
রিজভী বলেন, ৬০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল বর্জন করায় এই একতরফা নির্বাচন নিয়ে জনগণ কম উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে সরকারের পেশিশক্তি।
রিজভী বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা অব্যাহত রয়েছে। তারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট করছে এবং আলবদর ও রাজাকারদের মতো পুরুষহীন ঘরে নারীদের হয়রানি করছে।’
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় নির্বাচনকে সামনে রেখে শুধু বিএনপি পরিবারই নয়, সাধারণ ভোটারদেরও ভয় ও উদ্বেগ গ্রাস করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আবারও জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করছে।
রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
১১ মাস আগে
সংসদ সদস্য নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, আপনি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসন- ২৯২, চট্টগ্রাম ১৫ এ আওয়ামী লীগ মনোনীত এ নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী। আপনার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব এ মর্মে অভিযোগ করেছেন যে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে দেওদিঘী বাজারে আপনার কর্মী আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন তার সমর্থকদের গাড়িসহ আটক করে দীর্ঘসময় তাদের আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪টায় আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় সাতকানিয়া কেরাণীহাটে আপনার লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গী ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাসাতে থাকে। তারা আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমনাত্মক আচরণ করেছে। তারা স্লোগান ও বক্তৃতায় আব্দুল মোতালেবের ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতি করবে মর্মে আস্ফালন করেছে।
তদুপরি, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আপনি সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এমতাবস্থায় উপরোল্লোখিত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা শনিবারের (২ ডিসেম্বর) মধ্যে ব্যাখা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জানা গেছে সংসদ সদস্য নদভী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে শনিবার বিকালে তার বক্তব্য জমা দেন।
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপির বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তার ছবি পোড়ানো হয়েছে।
ঝাড়ু মিছিল ও ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনে সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর অনুসারীরা রয়েছেন বলে সাংবাদিকদের দাবি করেছিলেন এম এ মোতালেব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়ের দায়ের কোপে প্রাণ গেল বাবার!
চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
১১ মাস আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতে নিক্সন চৌধুরীর হাজিরা
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় ফরিদপুর আদালতে নির্বাচন তদন্ত কমিটির সভাপতি ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন চৌধুরীর কার্যালয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে হাজির হন।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জনপ্রতিনিধি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কাউকে আমন্ত্রণ করিনি। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে আমি নিজেও জানি না। রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে পাঁচজনের বেশি ঢুকতে দিইনি। আমার মতো জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের নেতার মনোনয়ন জমা দেওয়া দেখতে এসেছেন।’
কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার চালাব। দেশের সব জায়গায় বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়েছিল, কিন্তু আমিসহ কয়েকজনকে তিরস্কার করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
তিনি আরও বলেন, ‘এটা ভালো যে অন্য প্রার্থীরা এখন আরও সতর্ক হবেন। আমিসহ সবাই আগামীতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলব। সরকার যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, তাই আমরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদেরও একই কাজ করার নির্দেশ দেব। গণমাধ্যম আমার ও সাকিব সম্পর্কে বেশি লেখালেখি করেছে, তাই আমরা এই নোটিশ পেয়েছি।’
নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও ২০০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে হুট খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ রয়েছে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং জনসাধারণের অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুর ৪-এর নির্বাচন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, তিনি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণবিধির ধারা ৮(এ) এবং ৩৮(বি), ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল যোগ দিয়েছে
হোম রাজনীতি নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭৪১টি মনোনয়ন ফরম জমা
১১ মাস আগে