চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, আপনি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসন- ২৯২, চট্টগ্রাম ১৫ এ আওয়ামী লীগ মনোনীত এ নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী। আপনার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব এ মর্মে অভিযোগ করেছেন যে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে দেওদিঘী বাজারে আপনার কর্মী আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন তার সমর্থকদের গাড়িসহ আটক করে দীর্ঘসময় তাদের আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪টায় আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় সাতকানিয়া কেরাণীহাটে আপনার লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গী ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাসাতে থাকে। তারা আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমনাত্মক আচরণ করেছে। তারা স্লোগান ও বক্তৃতায় আব্দুল মোতালেবের ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতি করবে মর্মে আস্ফালন করেছে।
তদুপরি, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আপনি সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এমতাবস্থায় উপরোল্লোখিত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা শনিবারের (২ ডিসেম্বর) মধ্যে ব্যাখা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জানা গেছে সংসদ সদস্য নদভী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে শনিবার বিকালে তার বক্তব্য জমা দেন।
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপির বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তার ছবি পোড়ানো হয়েছে।
ঝাড়ু মিছিল ও ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনে সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর অনুসারীরা রয়েছেন বলে সাংবাদিকদের দাবি করেছিলেন এম এ মোতালেব।