ইন্দুরকানী উপজেলা
পিরোজপুরে বাসচাপায় যুবক নিহত
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় বনফুল পরিবনের একটি বাসের চাপায় মারুফ নামে এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমিদপুর এলাকায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ মারুফ তালুকদার (৩২) উপজেলার টগড়া এলাকার মাওলানা আব্দুস সালাম তালুকদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে বাসচাপায় রিকশাচালক নিহত
নিহত মারুফের বাবা আব্দুস সালাম তালুকদার জানান, সকালে মারুফ ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে টগড়া এলাকায় তাদের বাড়ি থেকে পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। পরে উমিদপুর এলাকায় এলে ঢাকা থেকে আসা বনফুল পরিবহনের একটি বাস তার ছেলেসহ মোটরসাইকেলটি চাপা দেয়। এতে তার ছেলে মারুফ গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরত্বর হওয়া জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপালে পাঠানো হয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স মারুফ মারা যান।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় বাসের চালক ও বাসটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ৩
কক্সবাজারে বাসচাপায় দুই শিশু নিহত
১ বছর আগে
পিরোজপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভেযোগে আটক ২
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে দুদিন বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের আ. রহমান হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার (৩০) এবং বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সন্ন্যাসী এলাকার মোয়াজ্জেম খানের ছেলে তরিকুল ইসলাম (১৮)।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: একজনের স্বীকারোক্তি, ৫ জন রিমান্ডে
ভুক্তভোগীর নানী জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে মোড়েলগঞ্জ থেকে ছবি তুলতে তাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলার ইন্দুরকানীর ঘোষের হাট বাজারে যায় তার নাতনি। তখন তার নাতনির সাথে আগে থেকে পরিচিত তরিকুল ইসলামের সাথে দেখা হয়। এ সময় তরিকুলের দুলাভাই মাসুম হাওলাদার তাদেরকে দেখে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। মাসুম হাওলাদার পরে তরিকুলকে মাসুদদের বাড়িতে আগে থেকে পাঠিয়ে দিয়ে তার নাতনিকে নিজের বাড়িতে না নিয়ে এনামুল মৃধার বাড়িতে আটকে রেখে দুদিন ধর্ষন করে।
তিনি জানান, তার নাতনি বাড়িতে ফিরে না গেলে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তরিকুলের মাধ্যমে জানতে পারে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তখন তাদের পরিবারের সদস্যরা ইন্দুরকানী পুলিশের সহায়তায় শুক্রবার রাতে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে অটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
৩ বছর আগে