ভ্যাকসিন সংকট
পাবনায় পাগলা কুকুড়ের কামড়ে শিশুসহ আহত শতাধিক, ভ্যাকসিন সংকট
পাবনার সাঁথিয়ায় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পাগলা (ক্ষ্যাপা) কুকুরের কামড়ে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার(২৫মার্চ) সকাল ৮টা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত সাঁথিয়া পৌরসদরের পিপুলিয়া, নওয়ানী, ফকিরপাড়া, কালাইচাড়া ও পূর্বভাবানীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুকুরের কামড়ে আহতদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী রয়েছে। এছাড়া গরু ছাগলকেও কুকুর কামড় দিয়েছে। আহতদেরকে সাঁথিয়া হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে একটি কুকুর এসে শিশু,বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী,গরু-ছাগলসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড় দিয়েছে। এইভাবে ওই কুকুর বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ ও বেশকিছু গরুছাগলকে কামড়িয়ে আহত করে। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের ভিড়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটে চাঁদপুরে করোনার ২য় ডোজ দেয়া স্থগিত
এদিকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের দপ্তরে কুকুর কামড়েরর কোনো ভ্যাকসিন নেই।
জানা গেছে, রোগীদের একটা আইজি ভ্যাকসিন হাসপাতাল থেকে দেয়া হয়েছে। অন্যটা র্যাবিস ভিসি রোগীদের স্বজনেরা বাজার থেকে কিনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হঠাৎ করে কুকুড়ের কামড়ে অনেক রোগী আহত হওয়ায় ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। বর্তমানে বাজারেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য পাবনা জেলা সদর থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাঁথিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ রকম ঘটনা সচারাচর হয় না। বিষয়টা হঠাৎ করে হওয়ায় আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অনুদানের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিয়েছি। শুধু একজন রোগীকে আমরা ভর্তি করেছি। বাকিদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন জানান, ভ্যাকসিন কেনার জন্য উপজেলা পরিষদের রোগীকল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রোগীদের সেবা দিতে। কেউ যেন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
১ বছর আগে
ভ্যাকসিন সংকটে চাঁদপুরে করোনার ২য় ডোজ দেয়া স্থগিত
চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রমের ২য় ডোজের টিকা দেয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ১৪ হাজার ১২১ জন ২য় ডোজের ভ্যাকসিন এখনও পান নি।
সিভিল সাজর্ন ডা. এম. সাখাওয়াতউল্লাহ সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের ২য় ডোজ টিকা দেয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। যা নোটিশ আকারে সদর হাসপাতালের দেয়ালে সেঁটে দেয়া হয়েছে। ১ম ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ১৪ হাজার ১২১ জন ২য় ডোজের ভ্যাকসিন এখনও পাননি।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, এখানে টিকার মজুদ শেষ হয়ে গেছে। টিকা আসলে আবার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। চাহিদা অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজের সরবরাহ না পাওয়ায় ভ্যাকসিন দেয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে গত শনিবার থেকে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ অনুদানের আহ্বান ইউনিসেফের
ডা. এম সাখাওয়াতউল্লাহ বলেন, প্রথম ধাপে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে অনেকে অনাগ্রহী ছিলেন। এখন টিকা শেষ হওয়ার পরে টিকা নেয়ার জন্য সকলের মধ্যে আগ্রহ বেড়ে গেছে। টিকার জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: টিকার জন্য রাশিয়ার সাথে শিগগিরই চুক্তি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিভিল সাজর্ন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে চাঁদপুরের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে। সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৭২৯ জন। জেলায় এ পযর্ন্ত করোনায় মারা গেছে ১২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৪০ জন।
৩ বছর আগে