ফেসবুক স্ট্যাটাস
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে খুনের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মসমর্পণ!
ঝালকাঠিতে নিজের স্ত্রীকে খুনের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক যুবক। সোমবার (১৫ মে) সকাল ১০ টার দিকে সুগন্ধা নদী সংলগ্ন গাবখান ইকোপার্কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোসা. সায়মা পারভিন (১৯) ঝালকাঠি শহরের ফকিরবাড়ি এলাকার শাহাদাত তালুকদারের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সাবেক ইউপি সদস্য ও তার ভাতিজা নিহত
অভিযুক্ত আলী ইমাম খান অনু (২৮) ঝালকাঠি শহরের ফকিরবাড়ি এলাকার দলিল লেখক নান্না খানের ছেলে এবং ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টায় নিহত সায়মাকে সঙ্গে নিয়ে ইকোপার্কে যায় তার স্বামী। এরপর ছুরি দিয়ে সায়মার পেটে ও বুকে আঘাত করে হত্যা করে লাশ ইকোপার্কের পূর্বাংশে ফেলে রেখে যায়।
এরপর তিনি তার স্ত্রীর ‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে’ জড়িত থাকার এবং স্ত্রীকে হত্যার কথা জানিয়ে ফেসবুকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন এবং নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পরে অভিযুক্ত নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। অনুশোচনার কারণে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে তিনি জানান। তাকে নিয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। তার দাবি স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ক্রোধান্বিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে সে একাই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজারসহ নিহত ২
ঝালকাঠিতে স্বামীকে খুন, ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণ!
১ বছর আগে
রাজশাহীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফ্রিল্যান্সারের আত্মহত্যা
রাজশাহীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এক ফ্রিল্যান্সার আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত আনারুল ইসলাম টুটুল নগরীর হোসেনীগঞ্জের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:মাগুরায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
মারা যাওয়ার আগে রবিবার রাত ১১টা ১৩ মিনিটে আনারুল ইসলাম তার ফেসবুক এক্যাউন্টে লিখেছেন, তিনি ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা আয় করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অসুস্থতার কারণে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুটা সুস্থ হলে আবার তিনি ফ্রিল্যাসিং শুরু করেন। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এইজন্য তাকে কাজ বন্ধ রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলতে এমবি কেনার টাকা না দেয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা!
এদিকে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঋণগ্রস্থ থাকায় তার পরিবারে ব্যাপক অভাব-অনটন দেখা দেয়।
এছাড়া স্ট্যাটাসে উল্লিখিত আইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ১৭ লাখ টাকা না পাওয়ায় হতাশাবোধও তৈরি হয়। এসব কারণেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবকের ‘আত্মহত্যা
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মণ জানান, রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার পরে যেকোনো সময় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি যেহেতু সারা রাত জেগে সকালে ঘুমান তাই বাড়ির লোকজনের জানতে দেরি হওয়ায় আমাদেরকে জানাতে দেরি হয়েছে। বাসার লোকজনই সকাল ১১ টার দিকে জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়।
৩ বছর আগে