জঙ্গি গোষ্ঠী
বিএনপি দেশে ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর’ পৃষ্ঠপোষক: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির শেষ আশ্রয় হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে 'জঙ্গি গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক' আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে 'একদলীয় শাসন' ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও পাকিস্তানি আদর্শে বিশ্বাসী জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বজায় রাখায় বিএনপির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।
সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের সব শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
১ বছর আগে
অস্থিরতার মধ্যে ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর ইরানের হামলা
ইরানের শক্তিশালী রক্ষীবাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) শনিবার প্রতিবেশী ইরাকের উত্তরে অবস্থিত একটি কুর্দি জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (আইআরএনএ) জানিয়েছে, ঘটনাটি পুলিশ হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর ঘটল।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের প্রদেশগুলোতে ও রাজধানী তেহরান জুড়ে অস্থিরতা শুরু হয়। আমিনির পরিবার ইরানের কুর্দি অঞ্চল থেকে এসেছে।
আইআরএনএ জানিয়েছে, আইআরজিসির স্থল বাহিনী ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের মধ্য থেকে আর্টিলারির মাধ্যমে গোলা ছুড়েছে। হামলার বিষয়ে ইরাকের সীমান্ত জুড়ে অবস্থিত একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়নি।
আইআরএনএ আরও বলেছে যে ইরানের তথাকথিত ‘কোমলেহ’ নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কিছু সদস্যকে গোয়েন্দা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। তবে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা আইআরজিসি এর বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছে যে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তাসনিম উল্লেখ করেছে, আক্রমণটি ইরাকের উত্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে এবং স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে করা হয় এবং এতে মারাত্মক ক্ষতি সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: ইরানে পুলিশি হেফাজতে নারীর মৃত্যু: বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৯
বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
২ বছর আগে
বুরকিনা ফাসোতে ১০০ বেসামরিক মানুষকে হত্যা
বুরকিনা ফাসোর একটি গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বুরকিনা ফাসো সরকার।
শনিবার এই হামলাকে এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে বর্ণনা করেছে দেশটির সরকার।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির উত্তরের ইয়াঘা প্রদেশের সোলহান গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সরকারের মুখপাত্র ওসেনি তাম্বৌরা এ ঘটনায় জিহাদীদের দায়ী করে এক বিবৃতিতে বলেন, নাইজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয় বাজার ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘরও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন:প্রতিশোধ নিচ্ছে ইরান: ইরাকে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
দেশটির প্রেসিডেন্ট রোচ মার্ক ক্রিশ্চান কাবোর এই হামলাকে বর্বরচিত আচরণ বলে অভিহিত করেছেন।
ইভেন্ট ডেটা প্রকল্পের সিনিয়র গবেষক হেনী নাসাবিয়া বলেছেন, গত পাঁচ বছর এই ঘটনাই বুর্কিনা ফাসোতে সংগঠিত সবচেয়ে মারাত্মক হামালা।
কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: ইরাকে সরকারি বাহিনীর গুলিতে ৪০ বিক্ষোভকারী নিহত
অঞ্চলটিতে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি ফরাসী সেনার উপস্থিতি সত্ত্বেও, জঙ্গি সংগঠনগুলোর সহিংসতা বাড়ছেই। গত এপ্রিলের এক হামলায় দু'জন স্প্যানিশ সাংবাদিক এবং একজন আইরিশসহ বুর্কিনা ফাসোয় অর্ধশতাধিক মানুষ মারা যায়।
৩ বছর আগে