এইচডিইউ
মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আমরা ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছি।’
রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় শিগগিরই হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না। শহরে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর ৭৫ শতাংশ গ্রাম থেকে আসা। ঈদে গ্রামে যাওয়া আসার কারণে করোনা সংক্রমণ ৫ থেকে ৬ গুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আইভিআইয়ের সহযেগিতায় দেশেই টিকা উৎপাদন সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী জানান, আগামী শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিএসএমএমইউয়ে এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতালটি চালু করা হবে। এখানে ২০০ আইসিইউ, এইচডিইউসহ এক হাজার শয্যা থাকছে।
করোনা সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে নতুন সংকট তৈরি করেছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই হাসপাতালের বারান্দায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনেকেই হাসপাতালে এসে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। এই নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট হাসপাতালের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: টিকাদান বন্ধ হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউতে হচ্ছে ১২'শ শয্যার করোনা হাসপাতাল
৩ বছর আগে
খুলনার ৪ হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু ২২
খুলনার চার হাসপাতালে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ২১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন।
বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় মৃত্যু ৩, নতুন শনাক্ত ১০৩
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নয়জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন ও আবু নাসের হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। যার মধ্যে রেডজোনে ১২৯ জন, ইয়ালোজোনে ২৫ জন, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫১ জন।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লাতে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৭ মৃত্যু
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১২৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন। এছাড়া পিসিআর ল্যাবে ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়াল
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, রূপসা বাগমারার আনসার শেখ (৬০) ও দিঘলিয়ার উত্তর চন্দনীমহলের আমেনা বেগম (৮০)। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন। তার মধ্যে ৩৩জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় একদিনে মৃত্যু ২০০ ছাড়াল
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, ডুমুরিয়ার আবুল বাশার মোল্লা (৪৬), বটিয়াঘাটার রিজিয়া বেগম (৬৫) ও ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম(৬৫)। এখানে ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন রোগী। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন চারজন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
৩ বছর আগে
করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অনুযায়ী, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৮ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১ ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনায় রেকর্ড শনাক্তের দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনার ১৩০ শয্যা বিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৮ জন, যার মধ্যে রেড জোনে ১০৫ জন, ইয়ালো জোনে ৪৫ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।
জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রামপালের তিমির ঘোষ (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন, আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাটের মোংলার চিলা বাজার কালীকাবাড়ীর বিপ্লব মন্ডল (৩৫) মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৯৩ জন, এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন আর এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন, আর সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
৩ বছর আগে
খুলনা করোনা হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই
খুলনায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। যে কারণে নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অতিরিক্ত রোগী থাকায় নতুন বেড খালি না হওয়া পর্যন্ত রোগী ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১২৬ জন রোগী। যার মধ্যে ৫৫ জন আছেন রেড জোনে, ২৯ জন ইয়োলো জোনে। এছাড়া আইসিইউতে ১২ জন এবং এইচডিইউতে ৩০ জন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন রোগী। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭ জন। দুপুর ১ টায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
১০০ শয্যার হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে ১৩০ জন রোগী ভর্তি থাকায় যেমন চিকিৎসক ও নার্সদের হিমসিম খেতে হচ্ছে, তেমনই রোগীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় আরও অন্তত ৩০টি বেড বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী চেয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে নতুন করে ১২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ শনাক্ত হয়। খুলনায় মোট নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় রামেকে আরও ১২ জনের মৃত্যু
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। বেড খালি না হলে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগীর চাপ বেড়েছে। এর আগে কখনো এতো সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়নি। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শয্যা খালি হওয়া সাপেক্ষে ভর্তি চলছে। ভর্তি বন্ধ হয়নি। আগামীকাল করোনার জেলা কমিটির মিটিং আছে। সেই মিটিং-এ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩ বছর আগে
খুলনার করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি
খুলনা করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
৩ বছর আগে