খুলনার চার হাসপাতালে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ২১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন।
বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় মৃত্যু ৩, নতুন শনাক্ত ১০৩
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নয়জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন ও আবু নাসের হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। যার মধ্যে রেডজোনে ১২৯ জন, ইয়ালোজোনে ২৫ জন, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫১ জন।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লাতে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৭ মৃত্যু
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১২৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন। এছাড়া পিসিআর ল্যাবে ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়াল
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, রূপসা বাগমারার আনসার শেখ (৬০) ও দিঘলিয়ার উত্তর চন্দনীমহলের আমেনা বেগম (৮০)। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন। তার মধ্যে ৩৩জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় একদিনে মৃত্যু ২০০ ছাড়াল
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, ডুমুরিয়ার আবুল বাশার মোল্লা (৪৬), বটিয়াঘাটার রিজিয়া বেগম (৬৫) ও ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম(৬৫)। এখানে ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন রোগী। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন চারজন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।