কঠোর বিধিনিষেধ
সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি: ফিরে এল কঠোর বিধিনিষেধ
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় সরকার আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এর ফলে দোকানপাট, শপিংমলসহ সর্বত্র মানুষকে মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে।
ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও সার্বিক করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১০ জানুয়ারি (সোমবার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এছাড়া আগামী শনিবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক এবং আগের ভাড়ায় চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএ পরিচালক মো. সারওয়ার আলম বলেন, বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রী বহন করা হবে তবে বাড়তি ভাড়া নেয়া হবে না।
বুধবার পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ট্রেনে ভ্রমণের সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ১৫ জানুয়ারি থেকে ট্রেনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া ট্রেনের টিকিট প্রদান ও বিক্রির ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।
বিধিনিষেধগুলো হলো
• সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে;
• দোকান, শপিংমল, বাজার, হোটেল, রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে অন্যথায় আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে;
• অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে;
• রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে;
• ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সব ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না;
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৩১ কোটি ছাড়িয়েছে
২ বছর আগে
নগরীর বিভিন্ন স্থানে কঠোর অবস্থানে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন
ঈদপরবর্তী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। ৪০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে চেকপোস্ট বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস ঘোষ
আরও পড়ুন: বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
তিনি জানান, কঠোর বিধিনিষেধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। এ ছাড়া শহরে প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনো গণপরিবহন চলতে দেয়া হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হয়েছে, তাদের মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-চাঁদপুর-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ও নগরীর কান্দির পাড়, টমছমবব্রিজ, জাঙ্গালিয়া, শাসনগাজাসহ কয়েকটি স্থানে চেক পোস্ট বসিয়ে অভিযান চলছে। শুরুতে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। যারা বিনা কারণে বের হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো জরিমানা আদায় হয়নি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন জব্দ
এদিকে, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও সেনাবাহিনী মাঠে আছে। কুমিল্লা নগরীতে ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চলছে। এ ছাড়া ১৭টি উপজেলার প্রতিটিতে ইউএনও, এসি ল্যান্ডের নেতৃত্বে ৩৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।
৩ বছর আগে
ঈদের ছুটি শেষে ফের কঠোর বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকবে সব কারখানা
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আট দিন শিথিল থাকার পর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে আবার কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে। যা আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এসময় পোশাক কারখানাসহ সব কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই লকডাউন। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।’
তিনি বলেন, অফিস-আদালত, পোশাকসহ রপ্তানিমুখী সব ধরনের কলকারখানা বন্ধ থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে আগের মতই।
পড়ুন: ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত
ঈদে যারা বাড়ি গেছেন তাদের ফেরার জন্য লকডাউন কিছুটা শিথিল করার কোন পরিকল্পনা আছে কি-না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বাড়ি গেছেন, তারা জেনে বুঝেই গেছেন, তারা ৫ আগস্টের পরেই আসবেন।’
বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের গার্মেন্টস ও কলকারখানা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত রাখার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস লকডাউনের আওতা বহির্ভূত রাখার বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেই, হলেও অবস্থা বুঝে পরে হতে পারে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি
গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮৭ জনের। এসময় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৬৯৭ জনের।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নতুন মৃত্যুসহ দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮, ৬৮৫ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩২.১৯ শতাংশ। এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৪ শতাংশ।
দেশে সুস্থ হয়েছে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন এবং সুস্থতার হার ৮৫.০৪ শতাংশ।
পড়ুন: ১৫ থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল, ঈদের পর ফের কঠোর
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
৩ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ
ঠাকুরগাঁওয়ে কঠোর বিধিনিষেধ তেমনভাবে কেউ মানছেন না। কমছেও না করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন ১০১ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭ জন, রানীশংকৈলে ১১ জন, বালিয়াডাঙ্গীর ১২ জন, পীরগঞ্জের ১৪ জন ও হরিপুরের ৭ জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২৫
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমিত পীরগঞ্জে ৭৫ বছর বয়সের একজন পুরুষ ও রাণীশংকৈলে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন:রামেকে করোনায় একদিনের রেকর্ড মৃত্যু ১৮
সিভিল সার্জন বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮২১ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৭১২ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫ জন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনাভাইরাসে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ না মানায় বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৩ টি মামলায় বিভিন্ন জনকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
লকডাউন: খুলনায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মঙ্গলবার সকাল থেকে খুলনা জেলা ও মহানগরীতে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে।
২৮ জুন পর্যন্ত এই লকডাইন ও বিধিনিষেধ চলবে।
এর আগে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে সকল ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি অফিস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় একদিনে ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৭
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। সবধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। জেলার অভ্যন্তরে সকল ধরনের সাপ্তাহিক হাট/গরুর হাট বন্ধ থাকবে। সকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলায় ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ যান্ত্রিক যানবাহন ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। একই সাথে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিসেবা যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন ও উৎপাদনশীল শিল্প ও কল-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম এ বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় একদিনে রেকর্ড ২৮ জনের মৃত্যু
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগীরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে এবং বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
হিলিতে বাড়ল কঠোর বিধিনিষেধ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে
দিনাজপুরের হিলিতে করোনার সংক্রমণ না কমায় কঠোর বিধিনিষেধ আরও সাত দিনের বাড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৮ জুন রাত ১২ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে এয়ার রাইফেলের ৪০ হাজার গুলি উদ্ধার
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলমের সভাপতিত্বে সোমবার বিকালে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সময় বাড়িয়ে নতুন বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার রোধে হিলি সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
ওই বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলি হলো-হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আমদানি-রপ্তানি চালু থাকবে, হাট-বাজারে কাঁচাবাজার ও মুদিখানা দোকান সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, মাস্ক ছাড়া চলাচল করলে জরিমানা করা হবে, বিকাল ৪টার পর জরুরি সেবা ব্যতিত কোন দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না, বিকাল ৪টার পর অযথা চলাফেরা করা যাবে না, মাস্ক ছাড়া ক্রয়- বিক্রয় করা যাবে না, কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে লকডাউন করা হবে, করোনায় আক্রান্ত কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না এবং গ্রামে-গ্রামে গিয়ে মেডিকেল টিম করোনা পরীক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈঠকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান, থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক, বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যায় জড়িতদের পালানো ঠেকাতে হিলি সীমান্তে সতর্কতা জারি
৩ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ, লকডাউন বাড়ছে না
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি, স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বিবেচনা করে বিশেষ লকডাউন বাড়ছে না। তবে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত ১১ দফার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ১১ দফা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ১০ গ্রামে লকডাউন শুরু
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ১১ দফা কঠোর বিধিনিধেষ আরোপ করে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরণের দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। তবে হাট বন্ধ থাকবে। আম পরিবহন ব্যতীত সকল আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে জেলার মধ্যে গনপরিবহন গুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থবিধি মেনে চলাচল করতে পারবে। জনসমাবেশ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ২০ জন মুসল্লি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন নামাজ আদায় করবেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালা লকডাউন, করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
এসময় সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাকিউল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলায় করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি হওয়ায় গত ২৫ মে বিষেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয় যা সোমবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ছিলো।
৩ বছর আগে