করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মঙ্গলবার সকাল থেকে খুলনা জেলা ও মহানগরীতে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে।
২৮ জুন পর্যন্ত এই লকডাইন ও বিধিনিষেধ চলবে।
এর আগে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে সকল ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি অফিস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় একদিনে ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৭
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। সবধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। জেলার অভ্যন্তরে সকল ধরনের সাপ্তাহিক হাট/গরুর হাট বন্ধ থাকবে। সকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলায় ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ যান্ত্রিক যানবাহন ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। একই সাথে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিসেবা যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন ও উৎপাদনশীল শিল্প ও কল-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম এ বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় একদিনে রেকর্ড ২৮ জনের মৃত্যু
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগীরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে এবং বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে।