সম্পূরক শুল্ক
বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) অ্যামটবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপটি টেলিকম শিল্প এবং মোবাইল গ্রাহক উভয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুল্কের এই বৃদ্ধি ভয়েস এবং ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যয় বাড়াবে। যা ব্যবহারকারীদের উপর বিশেষ করে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে এটি সম্ভাব্যভাবে মোবাইল পরিষেবা ব্যবহার হ্রাস করতে পারে। ফলে ব্যবসায়কে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় হ্রাস করবে।
আরও পড়ুন: যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিম কার্ডের ওপর উচ্চ ভ্যাট নতুন ব্যবহারকারীদেরকে নিরুৎসাহিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে মোবাইল সংযোগের প্রবৃদ্ধিকে আরও কমিয়ে দেবে, যেখানে জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ মানুষ এখনো মোবাইল ব্যবহার করে না।
এমটব জোর দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপগুলো দেশের সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশনকে বাধাগ্রস্ত করবে, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এই উদ্বেগ থেকে এমটব সরকারকে এই দায়িত্বগুলো পুনর্বিবেচনা করার এবং তাদের পূর্ববর্তী টেলিকম বাজেটের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিয়ে শিল্পকে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দিকে অব্যাহত অগ্রগতি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ল
৫ মাস আগে
বড় মাইক্রোবাসেও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার চায় বারভিডা
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাইক্রোবাস এবং হাইব্রিড কার ও জিপ আমদানিতে শুল্ক কমানো ও পুনর্বিন্যাস করায় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা।
একই সাথে গণপরিবহন হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ১০-১৫ আসন সেগমেন্টের মাইক্রোবাস (এইচ এস কোড ৮৭ দশমিক ০২), যা নগর ও গ্রামীণ জীবনে বিশেষ প্রভাব রাখছে তা আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার সংগঠনের কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা মহাসচিব মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক।
বারভিডা মহাসচিব বলেন, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে আমরা ৪৫ শতাংশ অবচয় সুবিধা এবং বছরভিত্তিক অবচয় সুবিধা চেয়েছিলাম। কিন্তু তা প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আসন্ন বাজেটে সুবিধাটি প্রদানে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আর্তমানবতামূলক কার্যক্রমে অ্যাম্বুলেন্স দিল বারভিডা
তিনি বলেন, নতুন ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্কায়ন মূল্যে চরম বৈষম্যের ফলে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে, আমদানি হ্রাস পাচ্ছে এবং এ খাতের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটে পড়ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমদানি ক্রমাগত কমতে থাকায় যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২০ হাজার ১৪৯টি এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৭৫টি গাড়ি আমদানি হয়, সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি কমে ১২ হাজার ৫০২টিতে নেমে আসে। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও আমদানি হ্রাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
৩ বছর আগে