প্রেস সচিব
সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করছে সরকার: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশের সব রাজনৈতিক দল সমান দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আমাদের মূল কাজ হচ্ছে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। আমরা সেটা করছি।’
শনিবার (১ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘এই সরকার সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করছে, যাতে একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে পারে। এটা হচ্ছে আমাদের মূল দায়িত্ব।’
‘সব দল আমাদের কাছে সমান। সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, বাস রিকুইজিশন নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে, সেটার মধ্যে বেশিরভাগই আতিরঞ্জিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সামাজিকমাধ্যমে একটি অভিযোগ করতে দেখেছি যে, জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে পিরোজপুর থেকে পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করে আনা হয়েছে। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অফিস থেকে এক্ষেত্রে (তাদের) সহায়তা করেছে।’
‘অভিযোগে আমাদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে যে, এ বাসগুলো রিকুইজিশন করতে অন্তর্বর্তী সরকার সাহায্য করছে। আমরা দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলব, এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাচ্ছে বিএনপি: প্রেস সচিব
শফিকুল আলম বলেন, ‘পিরোজপুরের ডিসি আশরাফুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, গতকাল বা তার আগের দিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পিরোজপুর শাখা ও নাগরিক কমিটি তাদের কাছে বাস রিকুইজিশনের জন্য আবেদন করেছে। ডিসির কাছে তারা একটি চিঠিও দিয়েছেন।’
‘এছাড়া এ বিষয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবার এসেও তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। এই অনুরোধ ও চাপের মুখে তারা পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করতে সহায়তা করেন। কিন্তু বাসের পেট্রোল কিংবা যাতায়াতের কোনো খরচ ডিসির অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।’
২৪ দিন আগে
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাচ্ছে বিএনপি: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ আগেই দিয়েছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিএনপি হয়তো নির্বাচনের একটি তারিখ চাচ্ছে।
শনিবার (১ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি হয়তো একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ চাচ্ছে। আমরা বলে দিয়েছি, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যদি দলগুলো মনে করে কম সংস্কার করে তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিকে দেশ ধাবিত হবে, তাহলে সেটা ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে।’
‘আর যদি রাজনৈতিক দলগুলো চায় যে আরও কিছু সংস্কার হওয়ার পর নির্বাচন হোক, তাহলে আরও তিন মাস দেরি হতে পারে। কিন্তু এপ্রিলের পরে থেকে কালবৈশাখীর মৌসুম শুরু হয়। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়ে যায়। এই সময়টা নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত নয়।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যে সংলাপ হওয়ার কথা, সেটা কবে নাগাদ শুরু হবে—জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ‘আশা করছি, খুব শিগগিরই এটা শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়িতে যেতেই কর্ণফুলী টানেল করা হয়েছে: প্রেস সচিব
রমজানে ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়ে ওঠে, নকল টাকা বাজারে ছাড়া হয়। এই পরিস্থিতির জন্য ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা থাকবে কি?—জবাবে তিনি বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই দেখেছেন যে আমরা অনেকগুলো তল্লাশি-চৌকি বসিয়েছি। টহল সহজ ও দ্রুত করার জন্য পুলিশসহ অন্য বাহিনীকে মোটরসাইকেল দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে টহল বাড়ানো হয়েছে।’
‘আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশপ্রধান, ডিএমপিপ্রধান বিভিন্ন জায়গায় সফর করে সবার সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা মনে করছি, রমজানে আইনশৃঙ্খলার আরও উন্নতি আপনারা দেখবেন।’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে (সংস্কৃতি) উপদেষ্টা তার ফেসবুক পেজে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত করার কিছু নেই। এটি শিল্পকলার ডিজির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি এ বিষয়ে আসলে মন্তব্য করতে পারি না।’
‘তিনি (সৈয়দ জামিল) ছয় মাস আমাদের সঙ্গে ছিলেন, এটা সম্মানের। তিনি নামকরা নাট্যকার, নাট্যাঙ্গনের একজন সেলিব্রেটি। নাটকে বাংলাদেশকে তিনি আরও সমৃদ্ধ করবেন বলে আশা করি।’
২৪ দিন আগে
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়িতে যেতেই কর্ণফুলী টানেল করা হয়েছে: প্রেস সচিব
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘এটি আমাদের এখন প্রয়োজন ছিল না। আরও ১০ বছর পরে এই টানেল হলে ভালো হতো।’
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ডিজেএফবি টকে একক আলোচনায় শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেন, ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। সেখানে তেমন কিছু নেই। নিজের এলাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প নেন। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন।’
টানেল এলাকায় ৪৫০ কোটি টাকায় সাত তারকা মানের হোটেল করা হয়েছে এবং ‘এটা অপচয়’ বলেও মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ‘তিনি ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন ধরে নিয়ে এ আয়োজন করেছেন। তার বাড়ি আনোয়ারায়। এজন্য টানেল নির্মাণ করেছেন।’
আরও পড়ুন: দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যা থেকেই টহল বাড়বে: প্রেস সচিব
প্রেস সচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকার ধসে পড়ার (কলাপসড) সম্মুখীন একটি অর্থনীতি পেয়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। গত ছয় মাসে অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে যা অকল্পনীয় (মিরাকল)।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর টানেলটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন সেটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরের পতেঙ্গাকে পূর্ব পাশের আনোয়ারার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
২৭ দিন আগে
দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যা থেকেই টহল বাড়বে: প্রেস সচিব
ঢাকাসহ দেশের যে সকল জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে সেসকল জায়গায় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই টহল বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে, এসব জায়গায় টহল বাড়াবো। এই টহল আজকে সন্ধ্যা থেকে আপনারা দেখবেন। পুরো ঢাকা শহরেই দেখবেন।’
প্রেস সচিব বলেন, 'এজন্য যে জিনিসটা করা হচ্ছে, যৌথ টহল হবে। পুলিশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল হবে। জায়গায় জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। তল্লাশির ব্যবস্থা করা হবে।'
গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টিলিজেন্স উইং, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি— তারা তাদের মতো করে নজরদারি করবেন। সেই অনুযায়ী আমরা অ্যাকশনে যাব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কেনা হবে মোটরসাইকেল
শফিকুল আলম বলেন, ঢাকা যানজট প্রবণ এলাকা। কোথাও কিছু ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে যেতে যেতে অনেক সময় দেরি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রচুর মোটরসাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত মোটরসাইকেলগুলো কেনা হবে। যাতে দুজনে খুব দ্রুত মোটরসাইকেল করে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: সিনিয়র সচিবের মর্যাদা পেলেন প্রেস সচিব শফিকুল
প্রেস সচিব আরও বলেন, পুলিশের ক্ষেত্রে আপাতত ১০০ মোটরসাইকেল কেনা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও ১০০টি কেনা হবে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—যারা আইন-শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত, তাদের জন্য আরও ৫০টি করে মোটরসাইকেল নেওয়া হবে।
সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা এমন প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে বলেই আজকের মিটিংটা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে এজেন্সিগুলো কাজ করে— তারা সবাই এখানে ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অসহযোগিতা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব উন্নতি করা। কারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আমরা এই কাজটি সুচারুভাবে করতে চাই। 'আমরা আশা করছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি খুব দ্রুত দেখবেন।'
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কক্সবাজারের এসপি এবং যে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো রয়েছে তাদের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে, তারা রিপোর্টটা দিলে আপনারা জানবেন।'
২৯ দিন আগে
কেমন বাংলাদেশ চাই, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তা নির্ধারিত হবে: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের মাধ্যমে আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই, তা নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আজকে একটি ঐতিহাসিক দিন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। বলা যায়, এটি প্রস্তুতিমূলক সভা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২৬টি দল ও জোটের প্রায় ১০০ জন রাজনীতিবিদ এতে অংশগ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যতগুলো দলকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তারা সবাই অংশ নিয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আর জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।’
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে আ.লীগের পাশাপাশি ভারতীয় মিডিয়াও: প্রেস সচিব
শফিকুল আলম বলেন, ‘ড. ইউনূস বলেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে প্রথম ছয় মাসে। আজকের সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হচ্ছে। আমরা যে বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার প্রতি সবার সমর্থন আছে। বড় বড় দেশগুলো বলেছে— আপনাদের কী চাই? আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘেরও পুরো সমর্থন আছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের যে প্রতিবেদন এসেছে, তাতে পুরো পৃথিবী জানতে পেরেছে— এখানে কীরকম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, কে সেই নির্দেশ দিয়েছে ও কীভাবে এ দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। কাজেই নতুন যে বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার সঙ্গে পুরো পৃথিবী ও বাংলাদেশের সবাই আছে। এখন এই সংলাপের মাধ্যমে কীরকম বাংলাদেশ আমরা চাই, সেটি নির্ধারিত হবে।’
৩৮ দিন আগে
ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে আ.লীগের পাশাপাশি ভারতীয় মিডিয়াও: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জঙ্গি নেতা হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে শেখ হাসিনার ‘অলিগার্ক গোষ্ঠীর’ পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেছেন, ‘তারা একটা নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাচ্ছে। বিশ্বকে বোঝাতে চাইছে, তোমরা যে এটাকে গণঅভ্যুত্থান বলছ, সেটা আসলে তা না।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দ্রোহের গ্রাফিতির প্রকাশনা উৎসবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও পতিত স্বৈরাচার, চোরতন্ত্রের জননী, গুমের জননী; তারা চাইছেন বাংলাদেশের যে ন্যারেটিভ, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতে।’
‘ওদের বার্তাগুলো খেয়াল করেন— তিন হাজার পুলিশ মারা গেছে; ড. ইউনূস জঙ্গি লিডার; ইউনূসকে জঙ্গিরা ঘিরে আছে। এগুলো কেন বলছে জানেন? এটা সুপরিকল্পিত প্রচারাভিযান। এতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও জড়িত। এর পেছনে মিলিয়ন ডলার খরচ করছেন হাসিনার অলিগার্করা।’
আরও পড়ুন: ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আ.লীগকে বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
তিনি বলেন, ‘এটা বড় রকমের একটা চক্রান্ত। বিদেশিদের তারা বোঝাতে চাইছে, আমাদের দেশে যেটা হয়েছে, সেটা আসলে গ্লোবাল অর্ডারের বাইরের একটা কিছু।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘ড. ইউনূস ছয় দশক ধরে জনজীবনে আছেন এবং সবাই তাকে চেনেন। তাকে তারা এমনভাবে উপস্থাপন করছে, বাংলাদেশের যে অনন্য ইতিহাস, নতুন বাংলাদেশের ইতিহাস, এটা উল্টে দিতে চায়।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে অনেকেই ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। অথচ ড. ইউনূস কিন্তু ছয় দশক ধরে পাবলিকলি আছেন একটা স্বচ্ছ ইমেজ নিয়ে। আমাদের অপপ্রচার যারা করে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে কী ভয়াবহ ১৫টা বছর ছিল—সেটা গবেষণার মাধ্যমে সবাইকে জানানো। প্রত্যেক ক্যাম্পাসে সেমিনার করব, দেওয়ালে দেওয়ালে অন্যায়-অবিচারের কথা লিখে রাখব, যেন বাংলাদেশে এই পতিত স্বৈরাচার ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা ফিরতে না পারে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের একটি মহৎ-মহান বিপ্লব হলো, একটি মুক্তিযুদ্ধ করলাম, ভয়ঙ্কর রকমের একটি মিলিটারির বিরুদ্ধে, কিন্তু এটার ডকুমেন্টেশন নেই। খুবই দুর্বল ডকুমেন্টেশন।’
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবের প্রথম কয়েকটা মাসে একটা ভঙ্গুর অর্থনীতির মাঝে ছিলাম। আরেকটা হচ্ছে, তার বাজে রকমের অর্থনৈতিক পলিসি, এটাকে আমি সুইসাইডাল বলব। সেটা বাংলাদেশকে আরও গরিবীর দিকে নিয়ে গেছে।’
‘মানুষ তখন বাঁচার যন্ত্রণায় ছিল, গ্রাফিতি কী করবে আর! ফলে ১০-১৫ বছর পর দেখা গেল, ১৯৭১ সালের পরে জন্ম নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে, এমনকি ডাকাত হয়ে গেছে মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রীও হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণেই ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও স্বাস্থ্যকর জায়াগায় নিতে হবে: প্রেস সচিব
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী; সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাংবাদিক কাজী রওনাক হোসেন ও ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান’ বইয়ের লেখক জি এম রাজীব হোসেন।
৪৫ দিন আগে
ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আ.লীগকে বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (জানুয়ারি) সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা লেখেন।
সরকারে থাকাকালে আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিবরণ দিয়ে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন। প্রায় তিন হাজার জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের সমাবেশ এবং মাওলানা সাঈদীর বিচারিক রায়ের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ বাহিনী হাসিনার শাসনামলে পুলিশ লীগে পরিণত হয়েছিল। হাসিনার একনায়কতন্ত্রে প্রায় ষাট লাখ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়া ও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়। এমনকি দেশের প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতিকেও নির্মমভাবে মারধর করা হয়, পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং নির্বাসনে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণেই ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও স্বাস্থ্যকর জায়াগায় নিতে হবে: প্রেস সচিব
‘যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ এই গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং প্রকাশ্য দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাইবে এবং যতক্ষণ না তাদের অন্যায়কারী নেতাকর্মীরা বিচার ব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করে তাদের অপরাধের জন্য বিচারকার্যের প্রক্রিয়া শুরু করে পাপমোচন করতে উদ্যোগ না নেবে এবং যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছিল?’
আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো নায্য বিক্ষোভ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সমাবেশ করার স্বাধীনতা এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আজ সকালে গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাড়ে পাঁচ মাসে কেবল ঢাকায় কমপক্ষে ১৩৬টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্ষোভের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবুও, সরকার কখনো বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেননি।’
আমাদের কি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার সুযোগ দেওয়া উচিত?—প্রশ্ন রেখে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যায় অংশ নিয়েছিল। তাদের পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছেন কয়েকশ তরুণ শিক্ষার্থী, এমনকি নাবালক শিশুরাও। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা, খুন ও তাণ্ডবের জন্য দায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার।’
তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল কয়েকজন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মীর সাক্ষাৎকারের বরাতে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের একনায়কত্বের শাসনামলে সরাসরি হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: জুলাই ঘোষণার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে: প্রেস সচিব
‘তিনি (হাসিনা) একটি চোরতন্ত্র (ক্লেপ্টোক্রেসি) এবং খুনি শাসনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিরপেক্ষ ও স্বাধীন একটি প্যানেল বলছে, শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়নে তার ঘনিষ্ঠরা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত চুক্তি থেকে কোটি কোটি ডলার চুরির দায়ে হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে।’
পৃথিবীর কোনো দেশ কি একদল খুনি এবং দুর্নীতিবাজ চক্রকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেবে?—প্রশ্ন রেখে তিনি আরও লিখেছেন, ‘কোনো দেশই জবাবদিহিতা ছাড়া স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অনুমতি দেয় না। বাংলাদেশের জনগণ এই খুনিরা কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করলে তার বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে।’
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো ধরনের প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেব না। আওয়ামী লীগের পতাকাতলে কেউ যদি অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস করে তবে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
৫৫ দিন আগে
‘২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন’
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কাজ করছে সরকার। নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কী হতে পারে? প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন; সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন দেবে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের চিন্তা
এর আগে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনের আওতায় এনে দোষীদের সঠিক বিচারে সরকার বদ্ধ পরিকর।’
৯৮ দিন আগে
ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভুল তথ্য মোকাবিলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নারী প্রতিবেদক ও সম্পাদকসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের উৎসাহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গল্পগুলো আমাদের মতো করে বলতে হবে। অন্যথায়, তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী আমাদের আখ্যান প্রতিষ্ঠা করবে।’ তিনি ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে লিখেছেন, ভারতীয়দের জানা উচিত যে, এর পূর্ব সীমান্তেও বুদ্ধিমান লোকেরা বাস করে এবং কয়েক মাস আগে এই মানুষগুলো মানব ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিপ্লবের মাধ্যমে একটি ‘নিষ্ঠুর স্বৈরাচারকে’ উৎখাত করেছে।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রেস সচিব বলেন, কিছু সাংবাদিক বন্ধু ভারতীয় গণমাধ্যমে বিশেষ করে তাদের পক্ষপাতদুষ্ট টিভি স্টেশনগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন দেখে তিনি আনন্দিত।
আলম বলেন, 'আমাদের মধ্যে অনেকেই ভয় পাচ্ছিলাম যে তাদের টিভি উপস্থাপকদের মৌখিক আক্রমণকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, কেউ কেউ ভয়কে উপেক্ষা করেছেন এবং তারা ‘সাহসের সঙ্গে আমাদের পক্ষের গল্পটি বলছেন।’
আলম বলেন, তারা বুঝতে পেরেছেন যে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যম এবং তাদের সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা ‘সাজানো ভুল তথ্য প্রচার’ মোকাবিলা করার সময় এসেছে।
প্রেস সচিব বলেন, তিনি জানেন তারা ভুল করবেন এবং তাদের ভয়ও দেখানো হবে।
আলম আরও বলেন, ‘কারও কারও মনে হতে পারে যে ভারতীয়রা বেশি বুদ্ধিমান। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আপনি যদি সত্যসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন, তাহলে কোনো ভুল তথ্যের প্রচারণা আপনাকে থামাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১১৬ দিন আগে
গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না।
রাজশাহীতে প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় তিনি বলেন, 'প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বা অন্য কোনো গণমাধ্যমের সাংবাদিকতা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আইনি প্রতিকার চাইতে আদালতে যেতে পারেন।’
তিনি বলেন, 'আপনারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও করতে পারেন। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নতুন নয়। এটা শত শত বছর ধরে চলে আসছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশের ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি
১১৯ দিন আগে