প্রেস সচিব
‘২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন’
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কাজ করছে সরকার। নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কী হতে পারে? প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন; সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন দেবে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের চিন্তা
এর আগে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।’
জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘আইনের আওতায় এনে দোষীদের সঠিক বিচারে সরকার বদ্ধ পরিকর।’
৫ দিন আগে
ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভুল তথ্য মোকাবিলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নারী প্রতিবেদক ও সম্পাদকসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের উৎসাহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গল্পগুলো আমাদের মতো করে বলতে হবে। অন্যথায়, তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী আমাদের আখ্যান প্রতিষ্ঠা করবে।’ তিনি ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে লিখেছেন, ভারতীয়দের জানা উচিত যে, এর পূর্ব সীমান্তেও বুদ্ধিমান লোকেরা বাস করে এবং কয়েক মাস আগে এই মানুষগুলো মানব ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিপ্লবের মাধ্যমে একটি ‘নিষ্ঠুর স্বৈরাচারকে’ উৎখাত করেছে।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রেস সচিব বলেন, কিছু সাংবাদিক বন্ধু ভারতীয় গণমাধ্যমে বিশেষ করে তাদের পক্ষপাতদুষ্ট টিভি স্টেশনগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন দেখে তিনি আনন্দিত।
আলম বলেন, 'আমাদের মধ্যে অনেকেই ভয় পাচ্ছিলাম যে তাদের টিভি উপস্থাপকদের মৌখিক আক্রমণকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, কেউ কেউ ভয়কে উপেক্ষা করেছেন এবং তারা ‘সাহসের সঙ্গে আমাদের পক্ষের গল্পটি বলছেন।’
আলম বলেন, তারা বুঝতে পেরেছেন যে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যম এবং তাদের সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা ‘সাজানো ভুল তথ্য প্রচার’ মোকাবিলা করার সময় এসেছে।
প্রেস সচিব বলেন, তিনি জানেন তারা ভুল করবেন এবং তাদের ভয়ও দেখানো হবে।
আলম আরও বলেন, ‘কারও কারও মনে হতে পারে যে ভারতীয়রা বেশি বুদ্ধিমান। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আপনি যদি সত্যসহ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন, তাহলে কোনো ভুল তথ্যের প্রচারণা আপনাকে থামাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
৩ সপ্তাহ আগে
গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না।
রাজশাহীতে প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় তিনি বলেন, 'প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বা অন্য কোনো গণমাধ্যমের সাংবাদিকতা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আইনি প্রতিকার চাইতে আদালতে যেতে পারেন।’
তিনি বলেন, 'আপনারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও করতে পারেন। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নতুন নয়। এটা শত শত বছর ধরে চলে আসছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সমাবেশের ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি
৩ সপ্তাহ আগে
আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
ভারতের আদানি পাওয়ারকে অর্থ প্রদানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছে, যতই শক্তিশালী হোক না কেন, কোনো একক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর কাছে জিম্মি হবে না সরকার।
৭ নভেম্বরের মধ্যে আর্থিক সমস্যার সমাধান না হলে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি এটি সত্য হয়, তবে আমরা বলব যে আমরা হতাশ এবং অত্যন্ত মর্মাহত।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আলম বলেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এখনও এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি, তবে আদানিকে দ্রুত অর্থ প্রদানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব হলেন শফিকুল আলম
অর্থ পরিশোধ বাকি থাকার জন্য তিনি পূর্ববর্তী ‘স্বৈরাচার সরকারকে’ দায়ী করেন।
আলম বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে শুরু করায় তারা পেমেন্ট ত্বরান্বিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। ‘রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি আন্তর্জাতিকভাবে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে সক্ষম হব।’
এ সময় প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
‘বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে। তাদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে: একটি বেসরকারি সংস্থা এবং অন্যটি বাংলাদেশ সরকার।’
শনিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনা ভূমিকা নেই।’
এই মুহূর্তে শেয়ার করার মতো আর কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলে জানান মুখপাত্র।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ার অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সরকার ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাদের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
বকেয়া পাওনার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাসের পর, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ সরকারকে মোট প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের পাওনা মেটানোর বিষয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
এর আগে আদানি পাওয়ার বকেয়া অর্থ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) ৩১ অক্টোবরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল এবং নিরাপদ পেমেন্ট নিশ্চিত করতে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট লেটার (এলসি) দিয়েছিল।
বিপিডিবি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বকেয়া অর্থের জন্য এলসি ইস্যু করার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্তের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ডলার সংকটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান বিদ্যুৎ ঘাটতিকে আরও খারাপ করেছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানির প্ল্যান্ট ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১ মাস আগে
আমাদের কাজ হচ্ছে স্বচ্ছ ও জোরালো উপায়ে সত্য বলা: ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে পুনরায় প্রার্থী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের ঘটনাবলি সম্পর্কে কী ভাবছেন তা 'স্পষ্টতই গুরুত্বপূর্ণ'। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারে তাদের কাজ সত্য বলা।
তিনি বলেন, 'তিনি (ট্রাম্প) শিগগিরই মুক্ত বিশ্বের নেতা হতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও বাধ্যতামূলক উপায়ে সত্য বলা।’
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছরে সরকারি খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে: উপদেষ্টা আসিফ
আলম বলেন, শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কৌশল ছিল সকল বিদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো।
প্রেস সচিব বলেন, 'তারা বাংলাদেশকে নিজেদের মতো করে আবিষ্কার করুক, কারণ আমরা আমাদের সমাজ, আমাদের জনগণ, আমাদের দেশ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।’
তিনি নেত্র নিউজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানিত অনুসন্ধানী সংবাদ মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন, যা সাংবাদিকতার একটি 'চমৎকার অংশ' করেছে।
শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বলেন,‘এতে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রচারিত কিছু মিথ্যাচারকে ভেঙে দিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ট্রাম্প হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে 'বর্বরোচিত সহিংসতার' তীব্র নিন্দা জানান, যারা 'বাংলাদেশে উন্মত্ত জনতার দ্বারা আক্রান্ত ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে, যা এখনও পুরোপুরি বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।’
আলম বলেন, তারা জানেন যে এই গোষ্ঠীর দাবি বিপ্লবের সবচেয়ে মিথ্যা আখ্যান তৈরিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতার বিষয়ে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তারপরও অতিরঞ্জিত। মিথ্যা কোনো বিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায় না, জনগণের সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি ও মানুষ হিসেবে তাদের সম্মান করতে হবে। ক্ষণিকের মধ্যে সেই অনুপ্রাণিত গোষ্ঠীগুলো জয়ী হতে পারে। তবে শিগগিরই তারা বুঝতে পারবে যে তাদের আখ্যানের কোনো ভিত্তি নেই। নিউইয়র্কের গণপরিবহন ও ভ্যান নিয়ে যতই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুস্টিং করা বা ব্যানার থাকুক না কেন, তা তাদের কোনো কাজে লাগবে না ‘
ধর্ম নির্বিশেষে যেখানেই থাকুক না কেন সংখ্যালঘুদের রক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া মুশফিকুল ফজল আনসারী।
ট্রাম্পের এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য ফ্যাক্ট চেকিং অপরিহার্য।’
আনসারী সুইডেন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্র নিউজের একটি ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ প্রতিবেদনও শেয়ার করেছেন যা বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রচারিত বিষয়ে আলোকপাত করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
১ মাস আগে
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে ইউনূস-বাইডেনের বৈঠক: প্রেস সচিব
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে (নিউ ইয়র্ক সময় মঙ্গলবার সকালে) বৈঠক করছেন, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে নতুন স্তরে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। বৈঠকটিকে একটি বিরল ঘটনা হিসেবেও মনে করা হয়।
নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ ধরনের বৈঠক খুবই বিরল। আমরা আশা করছি বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসূ হবে।’
শফিকুল আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে এবং এই বৈঠকের মাধ্যমে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং বাংলাদেশের সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভালো খবর যে, এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’
শ্রমখাতের সংস্কার ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রতিফলন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউইয়র্কে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, এটি একান্ত বৈঠক হতে যাচ্ছে।
কর্মকর্তা আরও বলেন, এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।
বৈঠকটি কমপক্ষে ১৫ মিনিট স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়া স্বাভাবিক নয় এবং ঢাকা আশা করছে এই বৈঠক থেকে একটি নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব বেরিয়ে আসবে, যা সব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফর করছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক গঠন ও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে তাদের নিবেদনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশ সফর।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধান বৈঠক করলেন।
২ মাস আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত প্রেস সচিবের শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন নাঈমুল ইসলাম খান।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন ও এম এম ইমরুল কায়েস।
এর আগে ৮ জুন ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান।
৬ মাস আগে
সিঙ্গাপুরে হোটেল থেকে দাপ্তরিক কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি: প্রেস সচিব
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হোটেল থেকে এখন দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেছেন, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এখন হাঁটাচলা ও স্বাভাবিক কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
এদিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট থারমান শানমুগারাতনাম।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট তার সুস্থতা ও আশু আরোগ্য কামনা করেন।
শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে ফুল ও ফলের ঝুড়ি পাঠান সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি বুধবার হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরবেন
রাষ্ট্রপতি এখন কেবিনে সীমিত আকারে চলাফেরা করতে পারছেন: প্রেস সচিব
১ বছর আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই: প্রেস সচিব
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শনিবার ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুক,টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মিথ্যা ও ভুয়া পোস্টে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য প্রেস সচিব সবাইকে অনুরোধ করেন।
২ বছর আগে
প্রেস সচিবের ভাইয়ের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিনের ভাই হারুন রশিদের অকাল মৃত্যুতে শনিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিন সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হারুন রশিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
২ বছর আগে