ইয়োলো জোন
নাটোরে হাসপাতালে রোগীর চাপ, করোনা আক্রান্তের হার ৬২ শতাংশ
নাটোর সদরসহ পৌর এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনো রয়েছে ৬২ শতাংশের ওপরে।
তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাবে করোনা সংক্রমণের সার্বিক হার বেড়ে ৫৩ শতাংশে গিয়ে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এদিকে স্থান সংকুলান হচ্ছেনা হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার রায় জানান, নাটোর সদর হাসপাতালের ৩১ শয্যার করোনা ইউনিটকে ইয়োলো জোন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করে ৩৯ জন রোগীকে সেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর সিংড়ায় সংক্রমণের হার মাত্র ১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
নাটোরে সংক্রমণের ভয়াবহতা রোধে ৭ দিনের চলমান লকডাউনের তৃতীয় দিনেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে টহলের পাশাপাশি নাটোর শহরের ১২টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। তবে থামানো যাচ্ছেনা বাজার কেন্দ্রীক মানুষের উপস্থিতি।
আরও পড়ুন: করোনায় রামেকে আরও ১২ জনের মৃত্যু
৩ বছর আগে
খুলনা করোনা হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই
খুলনায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। যে কারণে নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অতিরিক্ত রোগী থাকায় নতুন বেড খালি না হওয়া পর্যন্ত রোগী ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মতলবের ইউএনও মেয়েসহ করোনায় আক্রান্ত
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১২৬ জন রোগী। যার মধ্যে ৫৫ জন আছেন রেড জোনে, ২৯ জন ইয়োলো জোনে। এছাড়া আইসিইউতে ১২ জন এবং এইচডিইউতে ৩০ জন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন রোগী। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭ জন। দুপুর ১ টায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় ২.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হবার দাবি নাকচ অর্থমন্ত্রীর
১০০ শয্যার হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে ১৩০ জন রোগী ভর্তি থাকায় যেমন চিকিৎসক ও নার্সদের হিমসিম খেতে হচ্ছে, তেমনই রোগীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় আরও অন্তত ৩০টি বেড বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী চেয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে নতুন করে ১২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ শনাক্ত হয়। খুলনায় মোট নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় রামেকে আরও ১২ জনের মৃত্যু
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী ভর্তি রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। বেড খালি না হলে রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য বেড খালি সাপেক্ষে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগীর চাপ বেড়েছে। এর আগে কখনো এতো সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়নি। ফলে রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শয্যা খালি হওয়া সাপেক্ষে ভর্তি চলছে। ভর্তি বন্ধ হয়নি। আগামীকাল করোনার জেলা কমিটির মিটিং আছে। সেই মিটিং-এ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩ বছর আগে