শিকার
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব পণ্যের চড়া দামের কারণে এবারের ঈদুল ফিতর দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আনন্দের হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এবারের ঈদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য দুঃখ বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, 'ঈদে সাধারণত পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনার চেষ্টা করে এবং ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু এ বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের (বস্ত্র, খাবার) দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় এক শ্রেণির মানুষ তাদের ঈদের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ অবস্থার জন্য সরকারই দায়ী বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
বর্তমান সরকার তাদের গভীর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলে দাবি তার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশ কঠিন সময় পার করছে। শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থক-কর্মীরাও কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তিনি বরেন, ক্ষমতাসীন মহল বিএনপির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে, গুম করেছে। এছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ মামলা দিয়ে ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অমানবিক নির্যাতনের মধ্যেও দেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের আশাবাদ ব্যক্ত করে ফখরুল বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণের সহযোগিতায় এই ভয়াবহ পরিবেশ বদলে যাবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
৭ মাস আগে
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজার এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
হিরো আলম জানান, সন্ধ্যায় মুরাদপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তার কর্মীদের নিয়ে যান তিনি। প্রচার শুরু করার আগেই আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক এসে বাধা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ওরা পাঁচ জন এসেছিল। এসেই বলে মাইক বন্ধ করতে হবে। এখানে নৌকা ছাড়া অন্য কারো প্রচার চলবে না।
হিরো আলম বলেন, তখন আমার ফোন থেকে ভিডিও নেওয়া হচ্ছে দেখে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। আমাদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু হিরো আলম যা বলেছেন তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরপরেও আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
১০ মাস আগে
বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
বিএনপির বন্দী নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন এবং সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে বিএনপির সকল বন্দীদের সব ধরনের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য বর্তমান আইজি প্রিজন মৌখিকভাবে সব কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শবিবার (৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, আইজি প্রিজন কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও অধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত করে সারা দেশের কারাগারগুলোকে হিটলারের গ্যাস চেম্বার ও কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, 'নির্যাতনের কারণে কারাগারে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন বিপাকে পড়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
রিজভী দাবি করেন, কারাবন্দি বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারের ভেতরের কক্ষ থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে, তাদের জন্য জামাকাপড় দিতে এবং ফোনে কথা বলতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কারাগারগুলো এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ হওয়ায় কারাগারগুলো এখন প্রকৃত সামাজিক অপরাধীদের জায়গা নয়। সুতরাং, তিনি সেখানে ফ্যাসিবাদের নিপীড়নের সমস্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন। জেলখানায় তিনি (শেখ হাসিনা) তার আদর্শে অনুপ্রাণিত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চান বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তারের আগে বাইরে যেমন হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হন, কারাগারেও তারা তেমনি নির্যাতিত হন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন,‘কারাগারের ভেতরে ভয়াবহ নিপীড়ন চলছে। এই নিপীড়ন নজিরবিহীন। এই নিপীড়ন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা আমাদের দলের বন্দীদের বিরুদ্ধে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
তিনি বন্দীদের উপর এ ধরনের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে বন্দীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে শাহবাগ থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের তাড়িয়ে দেয়া এবং জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘জোরপূর্বক গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা নিজেদের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। গুম, ক্রসফায়ার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এই সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এমনভাবে টিকিয়ে রাখতে চায়, যাতে তার অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে না পারে।’
রিজভী দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ১৭৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের ২০ হাজার ৬৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
১১ মাস আগে
সুন্দরবনে বন্ধ হচ্ছে না হরিণ শিকার
বন্যপ্রাণী শিকার আইন প্রণয়নের পরও বন্ধ হচ্ছে না সুন্দরবনের হরিণ শিকার। মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে অনেক শিকারি হরিণ শিকার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এতে একদিকে যেমন সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষণ হরিণ অস্তিত্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ হওয়ায় বনের ইকো সিস্টেম নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস-গুলিসহ এক ‘শিকারি’ আটক
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের হরিণসহ সব বন্য সম্পদ রক্ষায় আরও কঠোরভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আবারও খুলনার কয়রা থেকে হরিণের ৫৩ কেজি মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার ৪ নম্বর কয়রায় শাকবারিয়া খালের পাশে অভিজান চালিয়ে এ মাংস উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া খালে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারী।
উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা উপজেলায় হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম্য সব চেয়ে বেশি।
গত ৩ মাসে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৩২ কেজি হরিণের মাংস, একটি গলাকাটা হরিণ, ৫টি চামড়া ও মাথা জব্দ করে প্রশাসন।
এ সময় মামলা হয়েছে ১০টি, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া গত এক বছরে এর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।
সম্প্রতি ৩ মণ হরিণের মাংসসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল কয়রা উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় নির্বিচারে হরিণ নিধনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায়।
জানা যায়, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই চিত্রা হরিণ। কিন্তু দিনের পর দিন প্রশাসনের রেড এলার্টসহ বিভিন্ন অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হরিণ নিধন করে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
স্থানীয়রা বলছে, সুন্দরবনসংলগ্ন উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় দাম কম হওয়ায় এই বন্যপ্রাণীর মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না। অনেকেই অগ্রিম ‘দাদন’নিয়ে জেলের ছদ্মবেশে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে বনে ঢুকে চোরা-শিকারিরা।
তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে ‘এজেন্ট ব্যবসায়ীদের’। এই এজেন্টদের মাধ্যমে কখনো অগ্রিম, আবার কখনো মাংস এনেও বিক্রি করা হয়।
এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানেও পৌঁছে যায় হরিণের মাংস।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ হলেও আইন অমান্য করে হরিণ শিকার করছে একটি চক্র। এতে সুন্দরবনে দিন দিন কমে যাচ্ছে হরিণের সংখ্যা।
সম্প্রতি সময়ে হরিণ শিকার বেড়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেখানে বনদস্যু আটক হয়ে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হচ্ছে। সেখানে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার বেড়ে যাচ্ছে।
এর পেছনে বনবিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
এ ছাড়া যে পরিমাণ হরিণের মাংস ও চামড়া জব্দ হয়, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি হরিণ শিকার হয়।
অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির আরও বলেন মাঝেমধ্যে দুই-একটা অভিযানে হরিণের মাংস, চামড়া, মাথা জব্দ হলেও মূল চোরাশিকারি ও পাচারকারীরা থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাংস বহনকারীরাই ধরা পড়ে। তারা দুর্বল আইনের কারণে কয়েক দিন পর জেল থেকে ফিরে একই কাজে লিপ্ত হন।
কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বাসিন্দা সোলায়মান গাজী বলেন, সুন্দরবন প্রভাবিত কয়রার গ্রামগুলোতে বেশির ভাগই শ্রমজীবী মানুষের বসবাস।
এসব গ্রামের প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ সুন্দরবনকেন্দ্রিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ উপজেলার ৩০টির বেশি চোরাশিকারি চক্র নির্বিচারে সুন্দরবনের হরিণ নিধন করছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতার চিত্র তাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষত হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বন বিভাগকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, অল্প জনবল দিয়ে এত বড় বনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় বন বিভাগের।
তারপরও হরিণ শিকার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমেছে। র্যাব, কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের নিয়মিত টহলের কারণে এখন বনে হরিণ শিকারের সুযোগ কম।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
মোহসিন বলেন, বনে জলদস্যুরাই বেশি হরিণ শিকার করে খেত। ২০১৮ সালে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ায় পর এবং গত কয়েক বছর রাসমেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বনে হরিণ শিকার কমেছে।
তা ছাড়া সাম্প্রতিক বন্যপ্রাণী রক্ষায় অপরাধে জড়িতদের তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণার ফলে চোরা শিকারিদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ তথ্য দিতে উৎসাহিত হয়েছে।
এখন মাংসসহ হরিণ শিকারি বেশি ধরা পড়ছে।
১ বছর আগে
‘পানির প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার ও অতি ব্যবহারে অপচয় হচ্ছে’
পানি আমাদের এই বিশ্বের প্রাণের উৎস। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি থেকে শুরু করে শিক্ষা ও অবকাঠামো পর্যন্ত সবকিছুতেই মানুষের টিকে থাকা ও ভালো থাকা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য পানি অপরিহার্য।
কিন্তু এই প্রাণের উৎসের প্রতিটি ফোঁটা দূষণের শিকার হচ্ছে, অতি ব্যবহারে অপচয় হচ্ছে। এদিকে চলতি দশকের শেষ দিকে পানির সরবরাহের তুলনায় চাহিদা ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন পানির প্রাকৃতিক চক্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে দূষণ যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি হচ্ছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। ফলে পানিজনিত দুর্যোগ, রোগের প্রাদুর্ভাব, পানির স্বল্পতা ও খরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি অবকাঠামো, খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের শৃংখলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বছর বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য এসব ব্যর্থতার কারণে শত কোটি মানুষকে যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তা-ই স্মরণ করিয়ে দেয়। এই মানুষগুলো নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন: প্রথম জাতিসংঘ পানি সম্মেলন নিউইয়র্কে শুরু ২২ মার্চ
বিশ্বের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে এখন পানির সার্বিক চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে উন্মুক্ত জলপ্রবাহ ও পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে, নতুবা উচ্চমূল্যে তথাকথিত নিরাপদ পানি কিনে। ২২ শতাংশ মানুষ উন্মুক্ত পরিবেশে কিংবা অপরিচ্ছন্ন, বিপজ্জনক অথবা ভাঙাচোরা শৌচাগারে মলমূত্র ত্যাগ করছে এবং ৪৪ শতাংশের ক্ষেত্রে বর্জ্য পানি অপরিশোধিত অবস্থায়ই প্রকৃতিতে ফিরছে। ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হচ্ছে।
সংক্ষেপে বললে, ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করতে আমাদের যে লক্ষ্য তা থেকে আমাদের বিশ্ব বিপজ্জনকভাবে দূরে সরে যাচ্ছে।
এ বছরের বিশ্ব পানি দিবস মানবজাতির প্রাণের উৎস রক্ষা, টেকসই ব্যবহার এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমাদের ব্যক্তি ও সামগ্রিক পর্যায়ে দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
জাতিসংঘ পানি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এই সময়টা সবার জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সব দেশের সরকার, স্থানীয় ও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়িক সমাজ, বিজ্ঞানী, তরুণ সমাজ, নাগরিক সংগঠন ও সমাজকে সম্মিলিতভবে কাজ করার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নতুন ধারণা প্রণয়ন ও বিনিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে জি-২০ এর নেতৃত্বে সরকার, ব্যবসায়িক সমাজ ও বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি কাটিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতাও করতে হবে।
অপচয় করার মতো এক মুহূর্তও আমাদের হাতে নেই। আসুন, ২০২৩ সালকে আমরা পরিবর্তন এবং মানবজাতির প্রাণের উৎস রক্ষায় বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করি।
আসুন, পানির সুরক্ষা, টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং সবার জন্য সমহারে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি পানে ১২ গরু-মহিষের মৃত্যু
১ বছর আগে
পটুয়াখালীতে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গলাচিপায় অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন খন্দকারের (৪২) মৃত্যু হয়।
লিটন জেলার দুলারহাট উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের রফিক খন্দকারের ছেলে।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৩
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২১ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামের নজরুল গাজীর ঘরে চুরি করার সময় নজরুলের ছেলে ইউসুফ বাধা দিলে লিটন তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে স্থানীয় জনগণ তাকে ধরে ফেলে। এ সময় তাকে গণপিটুনি দেয়া হয়।
পরে পুলিশকে খবর দিলে আহত অবস্থায় তাকে রাত তিনটায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।
ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার চোর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
১ বছর আগে
খুলনায় অভিনব পন্থায় অতিথি পাখি শিকার
প্রতিবছরই শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে পাখিরা আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জলাশয়ে। মূলত নভেম্বর থেকে শুরু করে মার্চ-এপ্রিল মাস পর্যন্ত অবস্থান করে এসব পাখি। শীত শেষ হলে আবার ফিরে যায় তারা। এবছরও ব্যতিক্রম ঘটেনি।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নড়াইলসহ খুলনা, বাগেরহাট ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিল ও জলাশয়গুলোতে দল বেঁধে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। পানি কমে আসা জলাশয়গুলোতে খাবারের সন্ধানে অতিথি পাখির সঙ্গে আসছে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখিও। আর এই সুযোগে ফাঁদ পেতে নির্বিচারে পাখি নিধন করছে অসাধু শিকারিরা।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও মাছে বিষ দেয়ার পাশাপাশি প্রযুক্তির ফাঁদ পেতে অভিনব কৌশলে পাখি শিকার করছে তারা। প্রতি বছর প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার্থে সুদূর হিমালয়, সাইবেরিয়াসহ শীত প্রধান অঞ্চল থেকে অতিথি পাখি এ অঞ্চলে আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বালি হাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী, কাস্তে চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদা খোচা, ডংকুর, হুরহুর, খয়রা ও সোনা রিজিয়া অন্যতম। স্থানীয় পেশাদার শিকারিরা আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিবছরেই মেতে ওঠে পাখি নিধনে। এতে করে কমতে থাকে অতিথি পাখির সংখ্যা।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখিতে মুখরিত রাণীসাগর দিঘি
১ বছর আগে
কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লায় প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।এ ঘটনায় শুক্রবার থানায় অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার রাতে জেলার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মিনার হোসেন। একই গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে নাসির হোসেন, আমিনুল ইসলামের ছেলে নোমান হোসেন, গফুর ভূইয়ার ছেলে সোহেল ভূঁইয়া, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে চুরি হওয়া শিশু সিলেটে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
শুক্রবার রাতে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর সঙ্গে মিনার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে মিনার ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হোসেনপুর গ্রামের উন্মুক্ত মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে আরও পাঁচজন ওই কিশোরীকে সারারাত সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, একপর্যায়ে ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে কুমিল্লা শহরের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের (ধর্ষকদের) কবল থেকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেছি, তারা আমাকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সিএনজিতে তুলে দেয়ার সময় হুমকি দিয়েছিল এ ঘটনা কাউকে না বলতে।
ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ করলে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, শনিবার এ ঘটনায় এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ও অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বন্ধুর হবু স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে মসজিদের ইমামসহ গ্রেপ্তার ৩
ঢাকায় ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
১ বছর আগে
বরগুনায় ইলিশ শিকারে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন যুবক
বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে গিয়ে গভীর রাতে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ হন সুজন মল্লিক নামে এক জেলে। ঘটনার তিন দিন পর ওই জেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের গোড়া পদ্মা এলাকায় লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়িতে অটোচালকের লাশ উদ্ধার
নিহত সুজন বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী গ্রামের আক্কাস মিয়ার ছেলে।
বরগুনা সদর থানার স্থানীয় বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার রাতে ‘এমভি মা’ নামের ট্রলারে ১৫ জন জেলে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকারে রওনা দেন। কিন্তু পথে ওই ট্রলার থেকে পড়ে সুজন নামের এক জেলে ওই রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এঘটনার তিন দিন পর সোমবার রাতে নলটোনা ইউনিয়নের গোড়া পদ্মা এলাকায় তাকে ভাসতে দেখা যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, স্থানীয়রা লাশ ভাসতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন করে দিয়ে জানালে পুলিশ গিয়ে ওই জেলের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৩দিন পর যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার, আটক ১
মাগুরায় নিজ ঘর থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২২ জন: বিএইচআরসি
বাংলাদেশে গত অক্টোবর মাসে ২২২ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির অক্টোবর মাসের প্রস্তুত করা প্রতিবেদনের আলোকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বিএইচআরসি’র ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান এবং ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করেছে।
বিএইচআরসি’র জরিপ অনুযায়ী অক্টোবরে মোট ২২২ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে দেশে ২৬১ জন খুন হয়েছেন: বিএইচআরসি
এছাড়া সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬১ জনের। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুইজনের মৃত্যু এবং হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রায় ৭টি করে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অধিক দায়িত্ববান হওয়ার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় প্রতিবেদনে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, গেল অক্টোবর মাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২৬১ জন মানুষ। এরমধ্যে পারিবারিক সহিংসতায় ১৬ জন, সামাজিক সহিংসতায় পাঁচজন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন, চিকিৎসা অবহেলায় পাঁচজন, অপহরণের শিকার হয়ে মৃত্যু তিনজনের, গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আরও ছয়জনকে।
এছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৩ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১৬ জন মানুষ।
আরও পড়ুন: মার্চে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন, আর করোনায় ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে: বিএইচআরসি
সামাজিক দূরত্ব: কাঁচাবাজারের সময় বাড়ানোর দাবি বিএইচআরসি’র
২ বছর আগে