কুমিল্লায় প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।এ ঘটনায় শুক্রবার থানায় অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার রাতে জেলার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মিনার হোসেন। একই গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে নাসির হোসেন, আমিনুল ইসলামের ছেলে নোমান হোসেন, গফুর ভূইয়ার ছেলে সোহেল ভূঁইয়া, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে চুরি হওয়া শিশু সিলেটে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
শুক্রবার রাতে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর সঙ্গে মিনার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে মিনার ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হোসেনপুর গ্রামের উন্মুক্ত মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে আরও পাঁচজন ওই কিশোরীকে সারারাত সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, একপর্যায়ে ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে কুমিল্লা শহরের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের (ধর্ষকদের) কবল থেকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেছি, তারা আমাকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সিএনজিতে তুলে দেয়ার সময় হুমকি দিয়েছিল এ ঘটনা কাউকে না বলতে।
ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ করলে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, শনিবার এ ঘটনায় এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ও অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বন্ধুর হবু স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে মসজিদের ইমামসহ গ্রেপ্তার ৩