কলকারখানা
বর্ধিত পানির চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীতে ভবিষ্যতে বর্ধিত পানির চাহিদা পূরণ করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের ইন্টেক পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন মন্ত্রী।মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার উদ্যোগে গন্ধবপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, সায়দাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ফেইজ-৩) সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ঢাকা নগরবাসী এবং শিল্প কলকারখানায় পানি সরবরাহে কোনো সমস্যা থাকবে না। ঢাকা শহরে বর্তমান ও আগামী দিনে পানির যে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ঢাকায় পানি সরবরাহে যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে এটি ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে এবং এ থেকে প্রতিদিন পঞ্চাশ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত প্রকল্প উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে: এলজিআরডি মন্ত্রীমন্ত্রী আরও বলেন, মেঘনা নদীসহ বিভিন্ন নদী থেকে পানি ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে দূষণ মুক্ত করে নেয়া হচ্ছে। ওয়াসার দায়িত্ব ঢাকা শহরের নাগরিকের বাসায় ওয়াটার রির্জাভে পানি পৌঁছানো এবং সেটি করতে প্রতিষ্ঠানটি সক্ষম হচ্ছে।পদ্মা-জশলদিয়া ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে ঢাকা শহরে যে পারিমাণ পানি আসার কথা সে অনুযায়ী সংযোগ লাইন না থাকার কারণে তা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঐ প্লান্টে উৎপাদিত সম্পূর্ণ পানি শহরে নিয়ে এসে মানুষের বাসায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। বিদেশি একটি সংস্থা এই সরবরাহ লাইনে অর্থ সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এটি না হলে সরকার নিজস্ব অর্থায়নেই পানির এই সংযোগ লাইন স্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: পানির জন্য দেশে এখন মিছিল-মিটিং হয় না: এলজিআরডি মন্ত্রীপদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্পের ন্যায় গন্ধবপুর প্রকল্পেও সংযোগ লাইন ছাড়াই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে একই ঘটনা ঘটবে না। কারণ এখানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং সংযোগ লাইন তৈরির কাজ সমানতালে এগিয়ে চলছে।তিনি জানান, মানুষের নিকট পানি পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা ঢাকাসহ সকল ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পৌরসভাসহ অন্যান্য সংস্থা, প্রতিষ্ঠান নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যার ফলে দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশের বেশি মানুষ এখন সুপেয় পানি পাচ্ছে।মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে একশোটি অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। এগুলোতে শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা গড়ে উঠবে। যেখানে ব্যাপক পানির প্রয়োজন হবে। এই চাহিদা পূরণ করতেও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।এসময় তিনি ইনটেক পাম্পিং স্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে, বিআইডব্লিউটিএ এর একটি জাহাজযোগে মেঘনা নদীর দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী ঢাকা শহর গড়ে উঠবে: এলজিআরডি মন্ত্রীপরিদর্শনকালে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জার্মানি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, এডিবি ও কেএফডব্লিউ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। এই বিধি নিষেধের আওতায় সকল প্রকার কলকারখানা বন্ধ রয়েছে। এই দুর্যোগ মুহূর্তে কোন শ্রমিক ছাঁটাই এবং কোন প্রকার শিল্প-কলকারখানা লে-অফ ঘোষণা না করতে মালিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
আজ এক বিবৃতিতে আরএমজি এবং নন আরএমজিসহ সকল প্রকার শিল্প ও কলকারখানা মালিক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি এ অনুরোধ জানান।
করোনা মহামারি শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের জন্য দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাই মিলে একসঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।
আরও পড়ুন: কারখানা ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে দেয়ার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের ঈদযাত্রাকে নিরাপদ করতে তৎপর নৌ মন্ত্রণালয়। লকডাউন শিথিলের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাত থেকে চালু হয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে লঞ্চের চালক, সুপারভাইজার ও মাস্টারদের প্রতি যাত্রীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছেন নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লঞ্চ চালালে মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: একদিনে ৬৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নৌ প্রতিমন্ত্রী ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনকালে একটি লঞ্চে উঠে চালক, সুপারভাইজার ও মাস্টারের উদ্দ্যেশে এই হুঁশিয়ারি দেন।
সদরঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরিধান ছাড়া নৌ ভ্রমণ করলে যাত্রীদের জরিমানা করা হবে। এজন্য লঞ্চ মালিক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তাদের সচেতন থাকতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৭ হাজার ছাড়াল
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গার্মেন্টস ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় ঈদের আগে পরে বহু শ্রমিক ঢাকা ছাড়বে। তাদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করা হচ্ছে এবং কর্মহীন নৌ শ্রমিকদের প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে ঈদকে ঘিরে সদরঘাটের টার্মিনাল উন্নয়ন কাজ চলছে। নতুন পন্টুন লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বিষাক্ত বর্জ্যে অস্তিত্ব হারাচ্ছে শীতলক্ষ্যা
সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। কালের পরিক্রমায় শীতলক্ষ্যা ঘিরে গড়ে উঠেছে ৪১৭টি কল-কারখানা। এর মধ্যে ১০৫টি কারখানার কোনো বর্জ্য শোধনাগারই (ইটিপি) নেই। এসব কারখানার বর্জ্য সরাসরি ফেলা হয় শীতলক্ষ্যায়। বাকি ৩১২টি কারখানায় নামে মাত্র শোধনাগার থাকলেও তা ব্যবহার না করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে গোপনে অথবা কৌশলে তারা শীতলক্ষ্যাতেই ফেলে দূষিত বর্জ্য।
৩ বছর আগে