বিচ্ছিন্ন মাথা, পা উদ্ধার
হত্যার ৯ দিন পর মাগুরায় নিহতের বিচ্ছিন্ন মাথা, পা উদ্ধার
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কালুকান্দি গ্রামে নৃশংস ভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার আজিজুর রহমানের (৩০) বিছিন্ন মাথা ও একটি পা ৯ দিন পর উদ্ধার করেছে র্যাব।
মাগুরা সদরের জগদল এলাকা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় নিহতের অঙ্গগুলো উদ্ধার করা হয়।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোরের শার্শা থেকে হত্যাকারী আশরাফকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জগদল এলাকার একটি কালভাটের নিচ থেকে নিহত আজিজুরের মাথা ও পা উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনি র্যাবের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর নাটোরে শিশুর বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার
এ বিষয়ে র্যাব কর্মকর্তা রওশনুল ফিরোজ জানান, আশরাফ সদর উপজেলার মালিকগ্রামের আহম্মদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। মাগুরা শহরের বেলতলায় তার হোমিও প্যাথির ব্যবসা আছে।
পাশাপাশি তিনি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এমএলএম ব্যবসা করে। এই ব্যবসার সূত্রে আজিজুরের সাথে তার পরিচয়।
আশরাফ আজিজুরের কাছে তিন হাজার টাকার ইনসেন্টিভ পেত কিন্তু আজিজুর তাকে ৫০০ টাকা দিতে চাওয়ায় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ৫ জুন আশরাফ আজিজুরকে মাগুরা শহরের নিজ হোমিও দোকানে ডেকে এনে হত্যা করে। পরে শরীর থেকে মাথা ও পা খণ্ডিত করে জগদলের ওই কালভার্টে ফেলে দেয়। দেহের বাকি অংশ বস্তাবন্দি করে আজিজুরের মামার বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের কালুকান্দি একটি পুকুরে ফেলে আত্মগোপন করে।
গ্রেপ্তার আশরাফকে মঙ্গলবার মাগুরা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গত ৫ জুন আজিজুর রহমান সকালে বাসা থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হবার পর নিখোঁজ হন। পরে ৬ জুন সকালে কালুকান্দি গ্রামের মতিয়ার মোল্যার পুকুরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত একটি বস্তা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে বস্তাটি উদ্ধার করলে তার ভেতর মাথা ও একটি পা বিহীন লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় মানুষের হাত-পা ও মাথা উদ্ধার
পরে লাশের পরিহিত পোষাক দেখে এটি আজিজুর রহমানের লাশ বলে দাবি করে তার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান। ওই দিন হাবিবুর রহমান মহম্মদপুর থানায় হত্যা ও আলামত গোপনের অভিযোগে একটি মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব এ হত্যাকাণ্ডে অভিযান শুরু করে।
৩ বছর আগে