ইনস্টিটিউট
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত
‘বিনা খরচে নিন আইনি সহায়তা, শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস - ২০২২।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় রাজধানীর নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া আইন ও বিচার বিভাগ এবং এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়ায় তেঁতুলতলা মাঠ অধিগ্রহণ করা হয়েছে: ডিএমপি
র্যালি শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে আইন ও বিচার বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে অধিদপ্তরে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে লিগ্যাল এইড অফিসারের পদকে যুগ্ম জেলা জজ পদে উন্নীত করার পরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে।
আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারণে তিনি জেলা পর্যায়ে এডিআর সেন্টার গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ তফাজ্জল হাসান হিরুসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খাদ্যদ্রব্যে অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইনের খসড়া অনুমোদন
২ বছর আগে
দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি করতে সরকার আন্তর্জাতিক মানের একটি ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করতে যাচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটে অন্যান্য টিকার পাশাপাশি করোনার টিকাও তৈরি করা হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলামের এক প্রশের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ করলে ‘বঙ্গভ্যাক্সের’ ট্রায়ালের অনুমতি: বিএমআরসি
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় সরকার দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সাথে একটি চুক্তি সম্পন্ন করবে। ইতোমধ্যে এই চুক্তির বিভিন্ন দিক বিবেচনা এবং মন্ত্রীসভায় এর অনুমোদনের কার্যক্রম চলছে।’
শেখ হাসিনা সংসদকে জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার বিদেশ থেকে করোনার টিকা সংগ্রহের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেসকল দেশ ইতোমধ্যে করোনার টিকা তৈরি করেছে, সেসকল দেশের সরকারের সাথে তাদের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে শিগগরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টিকা উৎপাদনের সক্ষমতার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। অপরদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের টিকা এখনও ট্রায়াল পর্যায়ে আছে।’
আরও পড়ুন: সিনোফার্ম-ফাইজারের টিকা কার্যক্রম ১৯ জুন থেকে শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সংসদে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ইতোমধ্যে জরুরি ব্যবহারের জন্য পাঁচটি টিকা অনুমোদন করেছে। এগুলো হলো- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা, সিনোফার্ম (চীন), স্পুটনিক-ভি (রাশিয়া), ফাইজার-বায়োটেক (ইউএস/জার্মানি) এবং করোনা ভ্যাক (চীন)।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্স থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত ৫ জুন পর্যন্ত দেশের ৫৮ লাখ ২২ হাজার ১৭৭ জন নাগরিক করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অপরদিকে এই সময় পর্যন্ত ৪২ লাখ ৯ হাজার ৫১০ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
৩ বছর আগে