মুখ্য সচিব
প্রধান উপদেষ্টার নতুন মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নতুন মুখ্য সচিব হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
বুধবার (২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিরাজ উদ্দীন মিয়াকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা তার যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টাদের সংলাপ শুরু শনিবার
এই নিয়োগের পর অন্য কোনো সরকার, আধা-সরকার বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে পেশাগত, ব্যবসায়িক বা কাজের সম্পর্ক রাখতে পারবেন না তিনি।
এই নিয়োগের অন্যান্য শর্তাবলী অনুমোদিত চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫৩ শতাংশ ভোটারের মতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ ২ বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত: জরিপ
২ মাস আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির এক আদেশে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ জুন তোফাজ্জলের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছিল সরকার।
৪ মাস আগে
মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হচ্ছে, আলোচনায় ৪ প্রার্থী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ এ বছরই শেষ হতে যাচ্ছে। এরপর কারা এ পদে আসছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এসব শীর্ষ পদ পূরণের জন্য নতুন মুখ বেছে নেওয়া হতে পারে।
মুখ্য সচিব পদের জন্য বর্তমানে চারজন সচিব বিবেচনায় রয়েছেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
তবে এসব পদে সচিব নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমানে শীর্ষ এ দুটি পদে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ১৯৮৬ (৮ম) ও ১৯৮৭ (৯ম) ব্যাচের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের চুক্তি নবায়ন করা না হলে নবম ও দশম বিসিএস ব্যাচ থেকে নতুন নিয়োগ আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এবং মাহবুব হোসেনের সঙ্গে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে চুক্তি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদগুলোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে নিরুৎসাহিত করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে আর প্রয়োজন দেখছি না। তবে প্রশাসনের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কারিগরি পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।
জানা যায়, প্রশাসনের শীর্ষ দুটি পদে সাধারণত জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। এবারও তেমনটি হলে ৩-৪ জনের মধ্যে থেকেই দুজন উঠে আসতে পারেন। নবম ব্যাচের দুজন সচিব নিয়মিত চাকরিতে আছেন।
তারা হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
তবে মুনিরুছ সালেহীনের আগামী ২৮ আগস্ট অবসরে যাওয়ার কথা। মেজবাহ উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের অনেকে বলছেন, সব ঠিক থাকলে মেজবাহ উদ্দিনেরই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মুখ্য সচিব পদের জন্য আলোচনায় আছেন দশম ব্যাচের মোস্তফা কামাল ও জাকিয়া সুলতানা। দুজন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর একই প্রজ্ঞাপনে সচিব হন। তাদের মধ্যে মোস্তফা কামাল আগামী বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ও জাকিয়া সুলতানা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তবে এই পদে মোস্তফা কামালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে।
তিনি প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’র বর্তমান সভাপতি। আর জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা না হলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিন মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তবে নতুন করে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান না প্রশাসনের বেশিরভাগ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর: মন্ত্রী
সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনের কেউই চান না, শীর্ষ পর্যায়সহ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হোক। তাদের মতে, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জনপ্রশাসন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও টানা ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তার নখদর্পণে। তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আর প্রয়োজন নেই।
আবার অনেকে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব দুজনই চুক্তিতে কর্মরত। তারাও কিন্তু একসময় নতুন মুখ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সুতরাং, নতুনেরাও সুযোগ পেলে পুরোনোদের মতো সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। তাই সিনিয়র সচিবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও মেধায় যারা এগিয়ে, তাদেরই এসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে শীর্ষ স্থানীয় আমলারা মনে করেন।
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান ইউএনবিকে বলেন, সচিব পদে চুক্তিতে একটি নিয়োগ হলে, চার স্তরে পদোন্নতি থেমে যায়। এতে অতিরিক্ত সচিব যেমন সচিব হতে পারেন না, তেমনি যুগ্ম সচিবও অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন না। একইভাবে উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবেরাও বঞ্চিত হন। তাই শুধু প্রশাসন নয়, সব ক্যাডারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত কর্মকর্তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের খেলাপ না হলেও চুক্তির সংস্কৃতি থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। চুক্তি হলে তার পরবর্তী ব্যাচের সদস্যরা সচিব থেকে বঞ্চিত হন।
আরও পড়ুন: আমলাদের সন্তানের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তা সরকারের নেই
৬ মাস আগে
চার বছরের মধ্যে চামড়া রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বিদ্যমান ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে আগামী ৩-৪ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সাভার চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিসমূহ, সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ কমপ্লায়েন্স ও লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) মানদণ্ড উন্নীতকরণ সংক্রান্ত একটি সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প সচিব ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির ও শিল্প (বিসিক) চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতিসহ ট্যানারি মালিক ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারকদের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মুখ্য সচিব বলেন, সাভার ট্যানারি এস্টেটে সিইটিপি সংশোধন ও মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘এখন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে দেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা যদি একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, তাহলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা কঠিন হবে না।’
সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ২০২৭ সালের মধ্যে চামড়া খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তোফাজ্জেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে এই পরিবেশ তৈরিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
কমপ্লায়েন্স একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের চামড়া খাতকে সংশোধন ও আপগ্রেড করতে হবে।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সিল ও সাক্ষর জাল করার অভিযোগে এক নাপিতকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ পঞ্চগড় পৌরসভার জালাসি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার মো. মোজাম্মেল হক (৪৮) সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে এবং পেশায় নাপিত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ, ৪ যুবক গ্রেপ্তার
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম সিরাজুল হুদা নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ হাঁস-মুরগি, ছাগল পোড়ানোর বিচারপ্রার্থী হিসেবে আসামিদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য আবেদন জানায়। ওই আবেদনগুলোর স্বপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাক্ষর ও সিল জাল করে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, পরে দরখাস্তগুলোতে সিল সই দেখে সন্দেহ হলে পুলিশ সুপার ও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নেন। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন মোজাম্মেল হকের দরখাস্তের সাক্ষর ও সিল জাল এবং ওই দুই কার্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। পরে তাৎক্ষণিক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করে।
পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলার জেলা প্রশাসক ও এসপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় থানায় নাপিতের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
এছাড়া গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হককে শুক্রবার রিমান্ডের আবেদনসহ পঞ্চগড় আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান এসপি সিরাজুল।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, পঞ্চগড় থানার এস আই রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৫ এপ্র্রিল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মোজাম্মেল হককে আসামি করে এবং একই তারিখে পঞ্চগড় থানার এসআই মাসুদ রানা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হকসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও মাদক জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর নতুন মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ট সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন মুখ্য সচিব করা হয়েছে। তিনি আহমদ কায়কাউসের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তোফাজ্জেলকে তার আগের পদ থেকে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুস সামাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
একটি পৃথক গেজেটে, মন্ত্রণালয় বলেছে যে কায়কাউসকে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মুখ্য সচিব হিসেবে কায়কাউসের মেয়াদ ৯ ডিসেম্বর শেষ হবে বলে মন্ত্রণালয় এই পরিবর্তন করেছে।
মুখ্য সচিব হওয়ার আগে, তোফাজ্জেল ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি ২০২১ সালে ২৯ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে গণটিকা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হতে পারে: মুখ্য সচিব
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কায়কাউস থাকছেন আরও ২ বছর
২ বছর আগে
জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পাচ্ছেন আবুল কালাম আজাদ
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ জাপান সরকারের ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার স্টারস’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
জাপানের সম্রাট দীর্ঘমেয়াদে বিশেষত মেধাবী সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ যোগ্য ব্যক্তিদেরকে দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান পুরস্কারে ভূষিত করেন।
শুক্রবার ঢাকার জাপান দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপান সরকার জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের আজীবন অবদানের স্বীকৃতি দিচ্ছে।
আগামী ১০ মে জাপানের ইম্পেরিয়াল প্রাসাদে দেশটির সম্রাট এই পুরস্কার তুলে দেবেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় আবুল কালাম আজাদ বিদ্যুৎ খাতে মাস্টার প্ল্যান ২০১০ প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে জাইকার কর্মসূচিতে সহায়তা করেন।
তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত জাপানের সেক্রেটারি এমইটিআই এর সাথে বাংলাদেশ-জাপানের সরকারি-বেসরকারি যৌথ অর্থনৈতিক সংলাপের (পিপিইডি) সহ-সভাপতি ছিলেন।
এ সময় টোকিও ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপানের পিপিইডি সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতারা যোগ দেন।
তার নেতৃত্বের কারণে পিপিইডি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জাপান বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মহেশখালী মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (এমআইডিআই) আজাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
২০১৮ সালে এমআইডিআই গঠিত হওয়ার পর এমআইডিআই-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গভীর-সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানের আরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার জাপানিজ ইকোনমিক জোন বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠভাবে নেতৃত্ব দেন।
আজাদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব এবং পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মুখ্য সচিব এবং পরে, প্রধান এসডিজি সমন্বয়কারী হিসেবে তার ভূমিকায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখেন।
বর্তমানে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বায়োডাইভারসিটি বিষয়ক গ্লোবাল কমিশনের কমিশনার এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিযুক্ত ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত হিসেবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সচেতনতার পক্ষে কথা বলছেন।
পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের সহায়ক: জাপান
২ বছর আগে
সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুস সামাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ আব্দুস সামাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এই শোক জানান।
শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাবেক সিএসপি সৈয়দ আব্দুস সামাদ রাঙ্গামাটির এডিসি থাকা অবস্থায় পাকিস্তানি পক্ষ ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, দক্ষ, সাহসী এবং কর্তব্যপরায়ণ একজন সরকারি কর্মকর্তা।’
ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানি চুক্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তি স্থাপনে ড. সামাদের অবদানের কথাও প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
৩ বছর আগে
জুলাইয়ে গণটিকা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হতে পারে: মুখ্য সচিব
আগামী জুলাই মাস থেকে আবারও গণটিকা কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস
বৃহস্পতিবার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আমরা জুলাই মাসে ব্যাপক আকারে টিকাদান কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
মুখ্য সচিব বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ টিকার বিষয়ে বেশ কয়েকটি দেশের সাথে কথা বলেছে। বাংলাদেশ স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি শিগগিরই ভ্যাকসিনগুলো পেয়ে যাব।’
ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন যে বাংলাদেশকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার দরকার নেই, আমরা যেখানেই এইগুলো পাবো সেখান থেকেই কিনবো। আমরা অনেক অগ্রগতি করেছি।’
আরও পড়ুন: সিনোফার্ম-ফাইজারের টিকা কার্যক্রম ১৯ জুন থেকে শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সরকার প্রথম থেকেই ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য অন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশি কূটনীতিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, চীন এবং অন্যান্য দেশের সাথে (কোভিড-১৯ টি ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য) যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে