পররাষ্ট্র
কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেছেন, কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার স্টেশন ছেড়ে গেলে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে আয়োজক দেশকে জানানো একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া; তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করে না।
তিনি বলেন, ‘এটি প্রকাশ্যে জানানোর কথা ছিল না।’
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ছুটির বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যখন কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার স্টেশন ছেড়ে যান, তখন তারা একটি কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং সেই বিশেষ কূটনীতিকের অনুপস্থিতিতে কে মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হবেন তাও উল্লেখ থাকে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
মুখপাত্র বলেন, তাদের নিজ নিজ সদর দপ্তরেও এ তথ্য জানাতে হবে।
সেহেলী আরও বলেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র থাকায় ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, একইভাবে যদি কোনো বাংলাদেশি কূটনীতিক স্টেশন ত্যাগ করেন, তাহলে তিনি তা আয়োজক দেশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পৌঁছে দেন।
রাষ্ট্রদূত হাসের বাংলাদেশের বাইরে যাওয়া নিয়ে সকাল থেকে অনেক আলোচনা চলছে, যদিও ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছুটি কাটাতে শ্রীলঙ্কার কলম্বোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
১ বছর আগে
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা ওই দু’দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে, না আসবে তা এই দু’দেশের নিজস্ব ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভারত- যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের 'টু প্লাস টু' সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। 'টু প্লাস টু' সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: সেহেলী সাবরীন
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে কোনো বার্তা পেয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, আপনারা জানেন তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অগ্রগতি হলে তা যথাসময়ে আমরা আপনাদের জানাব।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরে রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ সুবিধা পাবে সে সম্পর্কে ব্রিফ করা এবং অসমাপ্ত ভেরিফিকেশন কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য গত ৩১ অক্টোবর-১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় কাম অ্যান্ড টক ভিজিটের আয়োজন করা হয়েছিল।
এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং যেসব প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেননি; যেমন নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রাখাইনে জাতিসংঘের সরাসরি সম্পৃক্ততা ইত্যাদি। সেসব বিষয়ে পরে তাদের অবস্থান জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ইতোপূর্বে মিয়ানমারের আরেকটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ব্রিফ করেন এবং রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসনের আয়োজন সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেওয়ার জন্য রাখাইন ভ্রমণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
১ বছর আগে
জিনাতুন নেসা তালুকদারের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোকপ্রকাশ
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা একজন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি সারাজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদারের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার রবিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকাল তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আরও পড়ুন: ড. সালিমুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
১ বছর আগে
নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই: শাহরিয়ার আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো দেশের কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উপর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত বিষয়ে সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মোটেই (এমন কিছু হচ্ছে) না।’
অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শাহরিয়ার বলেন, তারা কোথা থেকে এ তথ্য পেয়েছেন তা তারা জানেন না।
পররাষ্ট্র দপ্তরে তার ১০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়গুলো বিচার করার আহ্বান জানান, কারণ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই ভয়কে পুঁজি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন : সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের স্টেট সেক্রেটারি ডায়ানা জানসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, এসব (গুজব) ভেবে আপনাদের ঘুম নষ্ট করবেন না।’
কিছু ব্যক্তির উপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত করে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন ব্যক্তিও আমাদের বলেনি যে একটি টর্নেডো আসছে। আপনারা এই বিষয়ে গল্প বানান। তারা (মার্কিন) শুধুমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দগুলোও উচ্চারিত হয়নি।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব 'শান্তিপূর্ণ অঞ্চল' তৈরি করতে পারে: মোমেন
১ বছর আগে
বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা অনেক দেশের তুলনায় ভালো: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্য অনেক দেশের তুলনায় ‘অনেক ভালো ও দক্ষ উপায়ে’ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং দক্ষতার সঙ্গে নিরাপত্তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে।’
তিনি আরও জানান যে সরকার এই বিষয়ে অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং তাদের হাতে আরও অনেক কাজ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘(এ বিষয়ে) আমরা অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বর্তমানে বিশেষ শাখা থেকে দুজন গানম্যানসহ ১৫৮ জন নিরাপত্তা কর্মী পরিষেবা পাচ্ছে।
এরমধ্যে প্রত্যেক দূতাবাস, বাসভবন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৩৯ জন করে নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে এবং এগুলোর মোট সংখ্যা ১১৭ জন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন দূতাবাসের অন্যান্য কূটনীতিকদের বাসভবনের জন্য আরও ৩৯ জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এসকর্ট হিসেবে ব্যবহার করা অতিরিক্ত ৮জন কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে বর্তমানে ৩৯ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং দুইজন গানম্যান রয়েছে এবং ৭ জন অতিরিক্ত কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যমান সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ঢাকা-সিউল উচ্চ পর্যায়ের সফর প্রয়োজন: শাহরিয়ার
অন্যদিকে, ভারতের হাইকমিশন ৪০ জন নিরাপত্তা কর্মী পায় এবং ঢাকায় সৌদি দূতাবাস ৪৮ জন নিরাপত্তা কর্মী পায়।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আগামীকাল বা রবিবার ঢাকায় কূটনৈতিক মিশনের জন্য আনসাররা যে বিকল্প নিরাপত্তা পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে, সে বিষয়ে সরকার জানিয়েছে।
বাংলাদেশের আনসার ও ভিডিপি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তারা (আনসার) তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছে।
আমরা এক ধরনের ধারণা পেয়েছি, সেই তথ্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় আমরা বিদেশি মিশনে জানিয়ে দেবো।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, আগামীকালের মধ্যে সম্ভব না হলে রবিবার (২১ মে) একটি নোট মৌখিকভাবে মিশনগুলোকে জানাবেন তারা।
আনসার মহাপরিচালক বলেছেন, আনসার ব্যাটালিয়ন অবিলম্বে রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রোটোকল দিতে প্রস্তুত।
আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ইতোমধ্যে সংসদসহ সারা দেশে এ ধরনের প্রটোকল দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন যে সরকার চার কূটনীতিকের জন্য ‘অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট’ প্রত্যাহার করায় বিকল্প হিসেবে ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোতে আনসার (একটি আধাসামরিক সহায়ক বাহিনী) পরিষেবা অফার করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বুধবার তারা (আনসার বাহিনী) কী কী সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবেন এবং এই সেবা নিতে ইচ্ছুক মিশনগুলোর সঙ্গে কিভাবে সংযোগ গড়ে তুলতে পারেন সে বিষয়ে আনসার মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে আয়োজক দেশ হিসেবে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং বিদেশি মিশন ও তাদের কর্মীদের নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব
‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
১ বছর আগে
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম লন্ডনে প্রথবারের মতো বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত রেমিট্যান্স মেলায় মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রবাসিদের পাঠানো অর্থ সুরক্ষিত থাকবে এবং এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ বলে কোনো কোনো মহল বিভিন্ন মাধ্যমে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে কোনো ঝুঁকির মধ্যে নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা উল্লেখ করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩১ তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে তার অবস্থান বজায় রেখেছে।’
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা কারোই কাম্য নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
কোনো ধরনের অপ্রপচারে বিভ্রান্ত না হয়ে বৈধ পথে বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি প্রবাসিদের আহ্বান জানান এবং চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন করে বৈধ পথে যুক্তরাজ্য থেকে অর্থ পাঠানোর পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা বৈধ উপায়ে আরও বেশি অর্থ দেশে পাঠালে এই অবস্থান ভবিষ্যতে উন্নীত হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী এসব বিবেচনার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক চালু করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য থেকে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর সূচনা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা ও সিআইপি মর্যাদাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।’
হাইকমিশনার আশা করেন রেমিট্যান্স মেলা প্রবাসিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আরও উৎসাহিত করবে। তিনি ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় যে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছেন তার প্রশংসা করে বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে তাদের এই গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে কাজ করছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিরিয়াতেও উদ্ধারকারী দল পাঠাতে পারে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সিরিয়ায় উদ্ধারকারী দল পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। কারণ, ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং আফটারশকের পর দুর্ঘটনা কবলিতদের জীবন বাঁচাতে উদ্ধারকারীরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি আমাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া দুই বাংলাদেশি ছাত্র নূর-ই-আলম ও মো. গোলাম সৈয়দ রিংকু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
মুখপাত্র বলেছেন, ‘তুরস্কে বাংলাদেশ মিশন তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তুরস্কে ৬১ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।
সেহেলি সাবরিন বলেন, তুরস্কের সবচেয়ে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া ১৯ বাংলাদেশিকে বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৬৪০
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান হত্যা: বিচারের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি-আমেরিকান ছাত্র সাঈদ ফয়সাল হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার এডমিরাল আইলিন লাউবাচারের নির্ধারিত বৈঠকের (দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে) ঠিক আগে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলছিল, ‘আমরা বিচার চাই।’
আইলিন লাউবাচার শনিবার সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছেছেন এবং মঙ্গলবার তারা ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
গতকাল তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কেমব্রিজ সিটি হলে একজন পুলিশ অফিসার বুধবার একজন কথিত ‘সশস্ত্র’ ব্যক্তি ফয়সালকে গুলি করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীকে হত্যা ও বর্ণ বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়েছেন মোমেন
সাংবাদিক ও কলামিস্ট অজয় দাস গুপ্ত ঘটনাটিকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন যে মার্কিন পুলিশ একজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে, যিনি কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তার বিচার চাই।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে তারা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান মানিক বলেছেন, তারা ফয়সালের মৃত্যুর বিচার চান এবং এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
যোগাযোগ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভালো বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ে প্রথম রেজ্যুলেশন গ্রহণ
১ বছর আগে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান
উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এ বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ প্রদান করেছে সরকার।
শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন হাতে পদকটি তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এই সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন সেল’ কর্তৃক গৃহীত ‘বঙ্গবন্ধু ও তার শান্তি দর্শন: আন্তর্জাতিকীকরণ ও বিশ্ব রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা’ নামক উদ্যোগের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক দর্শন: বহুপাক্ষিকতাবাদ ও শান্তির কূটনীতিকে’ বিশ্বপরিমণ্ডলে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য এই পদক দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গতানুগতিক নিয়মিত দায়িত্ব সম্পাদন ও সেবা প্রদান কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে গত দুই বছরে (মার্চ ২০২০ - মার্চ ২০২২) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি মৌলিক, অনন্য ও বিশেষায়িত কার্যক্রম বাস্তবায়নের সমন্বিত ফলস্বরূপ এই স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যসমূহ হচ্ছে - (১) সদর দপ্তরসহ বিদেশ সকল মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, (২) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ফরেন পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি এবং গণহত্যা কেন্দ্র (জেনোসাইড সেন্টার) স্থাপন, (৩) আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান আলোচকদের নিয়ে 'বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ' আয়োজন, (৪) পোল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ চালুকরণ ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন, (৫) বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’- ১৪টি এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’- দুটি বিদেশি ভাষায় অনুবাদকরণ, (৬) জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ, (৭) বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সসিলেন্স প্রবর্তন, (৮) বঙ্গবন্ধুর নামে মরিশাস, তুরস্ক, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সড়কের নামকরণ, (৯) তুরস্ক ও ভুটানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতি স্থাপন, (১০) বঙ্গবন্ধু-ইউনেস্কো এ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি প্রবর্তন, (১১) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত দশ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে করোনা মহামারী সত্ত্বেও ৫টি প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ছয় জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানের সশরীরে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, (১২) বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, খ্যাতিমান রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণের ২৪০ এর অধিক লিখিত এবং ভিডিও বার্তা সম্বলিত ‘ওয়ার্ল্ড লিডার্স অন বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড বাংলাদেশ’নামে সংকলন প্রকাশ, ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’ মঙ্গলবার শুরু
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান,মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এই গৌরবময় অর্জনের পেছনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের জন্য তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এই পদক প্রাপ্তি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আরও উজ্জীবিত করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে যা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি তথা বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
২ বছর আগে
জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উদযাপন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু স্মরণে স্থাপিত অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
২ বছর আগে