হরিজন
পুরান ঢাকায় হরিজন উচ্ছেদ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন চুন্নু
পুরান ঢাকার হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষদের উচ্ছেদ না করে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
বুধবার (১২ জুন) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
চুন্নু বলেন, ' আমি সংসদ নেতাকে অনুরোধ করব, বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত মানবিক কারণে তাদের উচ্ছেদ না করতে।’
তিনি উল্লেখ করেন, হরিজন সম্প্রদায়ের লোকেরা কয়েক দশক ধরে ঢাকা শহরের কিছু এলাকায় বসবাস ও সেবা করে আসছে।
পুরান ঢাকার বংশালের আগা সাদেক রোডের কাছে মীরনজিলা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের কথা উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ : জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের বসবাসের জায়গায় বাজার তৈরি করতে চায়।’
তিনি উল্লেখ করেন, এটি সত্য যে এই জায়গার মালিক নয় হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ নয়।
‘কিন্তু তারা যুগ যুগ ধরে সিটি করপোরেশনের এই জায়গায় আছে, তাদের উচ্ছেদের আগেই বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।’
তিনি বলেন, গতকাল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে হরিজন শিশুরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে। ‘ফলে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, একজন কর কমিশনার গ্রামীণ ফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানির ১৭০ কোটি টাকা মওকুফ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এনবিআর চেয়ারম্যান, অর্থসচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায়? দেশের স্বার্থে এটাকে যথাযথভাবে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
২৮৬ দিন আগে
চাকরির ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কোটা ও আবাসন সমস্যার সমাধান চান হরিজন ও দলিতরা
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন, চাকরির ক্ষেত্রে হরিজন ও দলিতদের ৮০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা নিশ্চিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছে হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের চৌরাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করে হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়।
বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা এ্যাড. ইমরান হোসেন চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. জাহিদ ইকবাল, পৌর কাউন্সিলর নাজিরা আক্তার স্বপ্না, রুনা লায়লা, ইএসডিও প্রেমদীপ প্রকল্পের সদর উপজেলা ম্যানেজার ঝর্না বেগম, হরিজন ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু বাসফোর প্রমুখ।
বক্তারা সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ৮০ ভাগ কোটার বাস্তবায়ন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে হরিজন ও দলিতদের ৮০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে হরিজন ও দলিত শ্রেণির জনগোষ্ঠীর আবাসনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
আরও পড়ুন: ভারতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের জেরে দলিত তরুণীর মৃত্যু
১১৫৪ দিন আগে
বেতন না পাওয়ায় খুমেক হাসপাতালে মল ছিটিয়ে হরিজনদের ধর্মঘট
বেতনের দাবিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী হরিজনরা হাসপাতালের প্রায় সব ইউনিট ও পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে মানুষের মল ছিটিয়ে ধর্মঘট করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট শুরু করেন। এ সময় তারা হাসাপাতালের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ কক্ষ, প্রধান ফটক, রোগী ভর্তি করার অফিস, হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনে মল ছিটান তারা। সেই মল ঝাড়ু দিয়ে ছড়িয়ে দেন এবং বিকাল ৫টার দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
ওই অবস্থায় হাসপাতালে মলের দুর্গন্ধে রোগী ও স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে হাসপাতালের নিয়োগপ্রাপ্ত হরিজনদের দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রেস্টুরেন্ট মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুধুমাত্র করোনাকালীন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার লক্ষ্যে এবং রোগীদের ভোগান্তির রোধে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সংকটের কথা চিন্তা করে ওই সময় ৫৬ জনকে কাজে নেয়া হয়। এর মধ্যে হরিজন ছিল ৪৫ জন। এই ৫৬ জনের প্রত্যেককে বেতন প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা করে দিতো কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে আউটসোর্সিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারিদের মূল বেতনের থেকে ২৬১০ টাকা কর্তন করে তাদের ওই বেতন দেয়া হতো। হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ আউটসোর্সিং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ছয় মাস তারা বেতন পায়।
খুমেক হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত আউটসোর্সিং কর্মচারীরা বলেন, ‘আমাদের কষ্টের বেতনের টাকা কর্তন করার কারো অধিকার নেই। এটা নিয়মবর্হিভূত। আমরা করোনাকালীন সময়ে রোগীদের কথা চিন্তা করে বিষয়টি তখন মেনেও নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের বেতনের টাকা কর্তন করতে দিব না।’
হরিজনরা জানান, গত পাঁচ মাস ধরে হাসপাতাল থেকে কোনো প্রকার বেতন-ভাতা না দেয়ার কারণে তারা এ ধর্মঘট শুরু করেছেন।
ধর্মঘটকারীদের অভিযোগ, হাসপাতালে বর্তমানে হরিজন সম্প্রদায়ের বাইরেও তিন শতাধিক আউটসোর্সিং কর্মচারী আছেন। তাদের বেতনের একটি অংশ কেটে রেখে হরিজনদের বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে চিকিৎসকদের ধর্মঘট
আন্দোলনকারী বিধান হরিজন বলেন, ‘পাঁচমাস ধরে আমরা শুধু কাজই করে যাচ্ছি। আমাদের কোনো বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়েই আমাদের কাজ করাচ্ছেন। অবশেষে আমরা ধর্মঘট করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, ‘ঠিকাদার মাধ্যমে ওই সব হরিজরা টাকা পেতো। তবে তারা ঠিকাদেরর নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা না। আমি এখানে যোগদানের আগে ঠিকাদারের সাথে সমন্বয় করে ঠিকাদারের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারিদের বেতনের একটি অংশ কর্তন করে তাদেরকে দেয়া হতো। দুপুরে হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় হরিজনরা মল ছিটিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের জন্য হরিজনদের সাথে শনিবার আমরা বসবো।’
১২১৬ দিন আগে
গাইবান্ধায় হরিজন সম্প্রদায়ের কিশোরীকে অপহরণের পর ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হরিজন সম্প্রদায়ের এক কিশোরী অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িত এক ইউপি মেম্বারসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অপহরণের পর নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মামলার বিবরণে বলা হয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের হরিজন সম্প্রদায়ের এক কিশোরী বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুরে তার নানার বাড়িতে আসে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় সর্বানন্দ ইউনিয়নের মেম্বার হায়দারের বাড়ির সামনে আসলে কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার হায়দার মেম্বার, আব্দুল মোতালেব, আব্দুল মতিন ও মোজাম্মেল হক চারজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ভোরের দিকে মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে ধর্ষকরা সটকে পরে। পরে মেয়েটির জ্ঞান ফিরে এলে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি খুলে বলে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর আটক
শুক্রবার মেয়ের বাবা ধর্ষণের বিচার চেয়ে গ্রামবাসীর কাছে যায়। তারা বিচারের নামে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে থানা পুলিশকে না বলার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু মেয়ের মা ও বাবা বিষয়টি মেনে নেয়নি। তারা মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে সুন্দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ইউপি মেম্বরসহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তবে তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, ‘আসামি যেই হোক ধর্ষক ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় শহরের ডিবি রোডে হরিজন, আদিবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
১৩৭৬ দিন আগে