পিএসসি
পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।
বুধবার (৯ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ কমিশনের ১২ সদস্যের পদত্যাগের একদিন পরই এ নিয়োগ দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক মোনেমকে নিয়োগ দেন।
সংবিধানের ১৩৯(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধ্যাপক মোনেম পাঁচ বছর মেয়াদে অথবা ৬৫ বছর বয়সে পদার্পণ না হওয়া পর্যন্ত, যেটি আগে আসবে তার আলোকে দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া কমিশনে নতুন চার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন সদস্যরা হলেন- নুরুল কাদির, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. নাজমুল আমিন মজুমদার ও মো. সুজায়েত উল্লাহ। তারা পাঁচ বছরের মেয়াদে বা ৬৫ বছর বয়সে পৌঁছানো পর্যন্ত, যেটি আগে আসবে তার আলোকে দায়িত্ব পালন করবেন।
অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতক এবং ১৯৯৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের পদত্যাগ
৩ সপ্তাহ আগে
পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের পদত্যাগ
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ ১২ জন সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পিএসসি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন সোহরাব।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস: পিএসসি চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম পিএসসির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা এই সপ্তাহেই শুরু হওয়া উচিত বলে জোর দেন তিনি। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া যুবকদের অগ্রাধিকারের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি।
২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান সোহরাব হোসাইন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা সোহরাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টরসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেলেই রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল: পিএসসি চেয়ারম্যান
৩ সপ্তাহ আগে
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নিয়োগ প্রমাণিত হলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সরকারি কর্মকমিশন থেকে ফাঁস হওয়ার প্রশ্নে কর্মকর্তাদের নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গাড়িচালক আবেদ আলীর ফাঁস করা প্রশ্ন নিয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে- জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, 'পিএসসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে করবে। সংসদে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বিষয়গুলো প্রমাণ হতে হবে এবং সেটার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।'
সরকার এ বিষয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এটি খুবই শক্তভাবে সরকার দেখছে। সিআইডি এটার ওপর স্পেশাল ফোকাস করছে।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের চাকরিবিধি অনুযায়ী কেউ যদি শঠতা বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কিন্তু চাকরিতে আসতে হবে। পিএসসি ও কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সেগুলোর ব্যাপার আছে। বিষয়টি কিন্তু সবার মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমরা বিষয়টি দেখছি।'
বিষয়টি আগে প্রমাণিত হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিষয়টি প্রমাণিত হতে হবে, যে এটি আদৌ সঠিক কি না। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রমাণিত হবে- যে ড্রাইভার এ কথা বলছে, সে সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে। ততক্ষণ কিছু প্রমাণিত নয়।’
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, 'যে ড্রাইভার এ কথা বলছেন, সেই ড্রাইভারকে দেখলাম অন্য একটা দলের স্লোগান দিচ্ছেন। সে একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না। সে তো একটা দলের হয়ে কাজ করছে, সরকারের ইমেজ নষ্ট করার জন্য। অনেকগুলো বিষয় কিন্তু এখানে আছে। অনেকদিন আগে সে কাজের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছে।'
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা মাঠে সরকার পতনের আন্দোলন করে তেমন একটা দলের হয়ে, সে সরকারের উন্নয়নের কাজে বাধা দিতে চায়, তাদের হয়ে স্লোগান দিচ্ছে। আসলে সে কোন এজেন্ডা নিয়ে কথা বলছে, সেটি একটি বিষয়। তবে সত্য না মিথ্যা সেটি সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অনুসন্ধান চলছে।'
৩ মাস আগে
নিয়োগের সময় ও জটিলতা কমাতে পদক্ষেপ নিন: পিএসসিকে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সরকারি নিয়োগে জটিলতা ও প্রক্রিয়াকরণে দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩ পেশ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি কমিশনের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাক্ষাৎকালে পিএসসি চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের মেধাবী তরুণরা যাতে তাদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে জনগণের সেবার মনোভাব নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কর্ম কমিশনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাছাই প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কিত বিষয়াদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পিএসসির কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে পিএসসি আরও গতিশীল হবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সময় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
৮ মাস আগে
৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৮৪১ জন
৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
রবিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ফলাফল প্রকাশ করেছে।
৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় ১৫ হাজার ২২৯ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষা ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
৪৩তম বিসিএস থেকে ১ হাজার ৮১৪ জন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর মধ্যে প্রশাসনে ৩০০, পুলিশে ১০০, ফরেন সার্ভিসে ২৫, শিক্ষায় ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সেশনে ১৯, কাস্টমস ১৪ ও সমবায় ক্যাডারে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজের লিখিত পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি
সুপারিশপ্রাপ্ত পাঁচজনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ
১ বছর আগে
পিএসসির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল, সংসদে বিল পাস
পিএসসি পরীক্ষায় কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার শাস্তির বিধান রেখে সংসদে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) বিল ২০২৩ পাস হয়েছে।
সোমবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
খসড়া আইন অনুযায়ী যে কোনো পিএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে ১০ বছরের জেল বা আর্থিক জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
সামরিক শাসনের আইন সম্পর্কে হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিলটি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অধ্যাদেশ, ১৯৭৭ এর প্রতিস্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
পরীক্ষায় অন্যায্য উপায় অবলম্বন করা এবং উত্তরপত্র জালিয়াতিতে জড়িত থাকার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে দুই বছরের জেল বা আর্থিক জরিমানা বা উভয়ই।
কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সাহায্য করলে, ভুয়া পরীক্ষার্থী এবং উত্তরপত্রে কারচুপি করতে সহায়তা করার শাস্তিও একই।
পরীক্ষায় বাধা সৃষ্টি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য এক বছরের জেল বা আর্থিক জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।
বিলে প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াও অন্যান্য অপরাধেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন নামে একটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন থাকবে।
আরও পড়ুন: সংসদে বিইআরসি সংশোধনী অধ্যাদেশ-২০২২ পাস
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি
১ বছর আগে
পিএসসির সামনে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের মানববন্ধন
বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসির দেয়া নতুন পদ্ধতি বাতিল এবং আগের নিয়োগ বিধি পুনর্বহাল দাবিতে সোমবার ৪০তম বিসিএসের শতাধিক নন-ক্যাডার প্রার্থী রাজধানীর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন।
তারা কমিশনের কাছে ৪০-৪৪তম বিসিএসের নন-ক্যাডারদের জন্য নতুন নিয়োগ নীতি বাতিলের দাবি জানান।
আয়োজকরা বলছেন, সোমবার৮০০ জন প্রার্থী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।
গত ১৬ অক্টোবর নন-ক্যাডার প্রার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে পিএসসিকে আল্টিমেটাম দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৮ কেন্দ্রে হবে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
আগের নিয়োগ পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের
২ বছর আগে
পিএসসিকে সরকারি নিয়োগ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে পিএসসির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
এ সময় রাষ্ট্রপতি বাছাই পরীক্ষার কেন্দ্র বিকেন্দ্রীকরণ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করায় পিএসসিকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তি লাঘব হবে।
বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম সহজ করার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের পরিচয়পত্র পেশ
এছাড়া পরীক্ষার সব স্তরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর নির্দেশনাও দেন তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগের জন্য পিএসসি’র সুপারিশপ্রাপ্ত বিভিন্ন ক্যাডারের ৮৪ জনকে কোন সুনির্দিষ্ট মামলা না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিবকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এই ৮৪ জনের মধ্যে ৩৬তম থেকে বিসিএস-এ সুপারিশপাপ্ত ১০ জন, ৩৭তম থেকে ৩৮ জন ও ৩৯তম বিসিএস’এ ৩৬ জন সুপারিশপ্রাপ্ত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য কাম্য নয়: হাইকোর্ট
রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এসব চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ জন্য এই ৮৪ জন প্রার্থী ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট করে। প্রথমে হাইকোর্ট এসব রিটের শুনানি করে রুল জারি করেন। রুলে তাদের নাম নিয়োগের জন্য জারিকৃত গেজেটে অন্তর্ভূক্ত না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের কেন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে রুলের ওপর শুনানিকালে সরকারপক্ষ বাদপড়ার কারণ হিসেবে তারা আনফিট বলে উল্লেখ করেন। পরে হাইকোর্ট তাদের নিয়োগের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ দুই হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর ওই সুপারিশ করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুই হাজার ২০২ জনকে নিয়োগের গেজেট প্রকাশ করা হয়। বাদ পড়ে ১২১ জন। এর মধ্যে এর আগেও অনেকে রিট করে ও বিভিন্ন ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। সর্বশেষ ১০ জন ২০২০ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ছবির স্বত্ব ব্যক্তির নয়, রাষ্ট্রের: হাইকোর্ট
৩৭তম বিসিএসে এ বিভিন্ন ক্যাডারে ২০১৮ সালের ১২ জুন মোট এক হাজার ৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এবং পরে বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট এক হাজার ২৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু সুপারিশকৃত এক হাজার ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৮ জন রিটপিটিশনারসহ সর্বমোট ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।
এরপর ৩৯তম বিসিএসে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মোট চার হাজার ৭৯২ জনকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর এবং পরবর্তী বিভিন্ন তারিখে চার হাজার ৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ৩৬ জন রিটকারীসহ সর্বমোট ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।
বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদের নিয়োগ না দেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন।
২ বছর আগে
৪২তম বিশেষ বিসিএস: ৪ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ
করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে চার হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার পিএসসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪২তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের মধ্যে সব মিলিয়ে সহকারী সার্জন পদে চার হাজার প্রার্থীর সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার ৯১৯ প্রার্থী নন-ক্যাডার হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পদ স্বল্পতার কারণে তাদের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: www.bpsc.gov.bd. এছাড়া পিএসসি ৪২ রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ এ পাঠিয়েে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে।
করোনা সংকটের মধ্যে সহকারী সার্জনের দুই হাজার শূন্য পদ পূরণের জন্য পিএসসি ২০২০ সালের নভেম্বরে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। পরে পিএসসি আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সহকারী সার্জনের আরও দুই হাজার পদ যুক্ত করে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
৩ বছর আগে