হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে সিএনজি ও পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩
হবিগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩জন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে জেলার চুনারুঘাট-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের চাঁনভাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক জসিম মিয়া (২৫), একই উপজেলার বড় লাদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে রুমেল আহমেদ (৫০) ও কালিশিড়ি গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩৭)।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
স্থানীয়রা জানান, চুনারুঘাটগামী একটি সিএনজি অটোরিকশা চাঁনভাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে নারীসহ ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। পরে সিএনজি চালক রুমেল মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল হক জানান, দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার পর পিকআপ চালক পালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
হবিগঞ্জে বিএনপির ৬০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর এলাকায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৬০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) পুলিশ অ্যাসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দুটি করা হয়।
মামলা দুটিতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম পুলিশ অ্যাসল্ট এবং এসআই ওয়াহেদ গাজী বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ এবং ১৫০ জন বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ বদিউজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ রবিবার বিকালে শায়েস্তানগর এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এতে আওযামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে নগরীতে মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইনজীবী লুৎফুর রহমান এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।’
শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘লগি, বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘর্ষে প্রায় একশ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকালে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় দেবসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পদযাত্রা উপলক্ষে জেলার ৯টি উপজেলা থেকে সংগঠনের নেতার্মীরা দুপুর থেকেই জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জিকে গউসের বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হন।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত
বিকাল ৫টায় শায়েস্তানগর বাজার এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের কাছে আসতেই পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশের ব্যারিকেড না মেনে বিএনপির মিছিল এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রায় আধঘন্টা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, ‘এখনো ঘটনাস্থলে আছি।’
এদিকে সন্ধ্য সাড়ে ৬টায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গউছ জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা শেষ করে যখন বাসায় যাচ্ছিলাম তখন ওসি অজয়ের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আউয়ালসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হন। আউয়ালের অবস্থা গুরুতর।’
তিনি আরও বলেন, তার বাসার আশপাশে তল্লাশির নামে লোকজনকে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে হাসপাতালে না গিয়ে আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
হবিগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দলগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- ওই গ্রামের জহিরুলের ছেলে আরিফ (৫) এবং একই গ্রামের নাজির মিয়ার মেয়ে কারিমা (৭)।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে ফুপু-ভাতিজির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, আরিফ ও কারিমা বাড়ির পাশে খেলা করছিল। সেখানে জমির মাটি কেটে একটি গভীর গর্ত তৈরি করা হয়েছিল। সম্প্রতি গভীর গর্তটিতে পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছিল। হঠাৎ করে তারা অসাবধানতাবশত ডোবার পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে খোঁজাখুজির পর তাদেরকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর তাদেরকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, লাশের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহে পুকুরে ডুবে দাদি-নাতনির মৃত্যু
হবিগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ৩
হবিগঞ্জে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৪ জুন) সকালে শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের সুদিয়াখলা এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজনকে পুলিশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
নিহতরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সিএনজি চালক রফিক মিয়া (৩৫), বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরী পাড়ার আজির হুসেনের ছেলে জিয়াউল হক (৩৬) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও এলাকার আব্দুল বারিকের ছেলে মুছা মিয়া (৬৪)।
তবে এলাকাবাসীর দাবি- উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কে রাখা পাথরের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী মর্ডান পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কামাল বলেন, সড়কে পাথর রাখার কারণে সিএনজি এবং বাস একই লেনে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সুরতহাল শেষে লাশগুলো হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসচালক পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে ৩ নারী নিহত
হবিগঞ্জে পাথরবোঝাই ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন নারী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল সদরের মৌচাক মোহনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মঞ্জিলা বেগম (৪৫), তানজিলা বেগম (৩৫) ও শাহিনুর বেগম (৪৫)। তারা সবাই কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্র নিহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি পিকআপ সিলেটের হযরত শাহ জালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পিকআপটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিন নারী নিহত হয়। আহত হয় আরও অন্তত ১০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম খান জানান, নিহত নারীদের লাশ বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। সকালে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে ভাইবোন নিহত, আহত ৫
হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্যের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে।এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২৫ জন।
বুধবার সকালে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত জহিরুল ইসলাম (৩০) ওই গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ও বর্তমান ইউপি সদস্য হিরা মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এর পূর্বেও উভয়পক্ষ বেশ কয়েবার সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ফের তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই এলাকায় ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪
হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে লন্ডন প্রবাসী এক ব্যক্তির মা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার আমতইল গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তালেব মিয়া (১৮) এবং বানিয়াচং উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের জাকারিয়া আহমদ শুভ (২০)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩মে রাত ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সুদুল্লাপুর গ্রামের প্রবাসী রাজা মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী মালা বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ রুবি বেগমকে (২২) হত্যা করে পালিয়ে যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা। নিহত রুবি বেগমের ভাই নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ তদন্ত করে একই বছরের ১১ আগস্ট আদালতে ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে, আদালত ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন দণ্ডপ্রাপ্তদের বয়স কম হওয়ায় জোড়া খুনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলো না
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারি নোমান।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুশিয়ারতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই উপজেলার কুশিয়ারতলা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার আজম আলী এবং কাছম আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন বিকালে তাদের বিরোধ মীমাংসায় সালিশ বৈঠক বসে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪
তখন গ্রামের সম্পত্তির আয়ের হিসাব নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) নামে এক যুবক প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হন। তাদেরকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭