হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পৌরসভার গয়াহরি গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর প্রানেশ দেবের মা অনিমা রানী দেব ও ছেলে নিপেশ চন্দ্র দেব।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট-দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে অনিমা বাথরুমে গোসল করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় মাকে বাঁচাতে নিপেশ এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পরে অচেতন অবস্থায় মা ও ছেলেকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু
৫ দিন আগে
হবিগঞ্জে মা-মেয়েকে হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি
হবিগঞ্জের বাহুবলে মা ও মেয়েকে হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহুবল উপজেলার নোয়াঐ গ্রামের মনির মিয়া, একই উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজার এলাকার আমির হোসেন ও আব্দুল হান্নান।
আরও পড়ুন: নড়াইলে স্ত্রীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ দুইজনকে ফাঁসির আদেশ
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৭ মার্চ দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি বাজারের একটি দ্বিতল ভবনের একটি কক্ষে আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে বাসার বাসিন্দা অঞ্জলি মালাকার (৩৫) ও তার মেয়ে পূজা মালাকারকে (৮) হত্যা করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন নিহত অঞ্জলির স্বামী সঞ্জিত চন্দ্র বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে বাহুবল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রজিত সরকার তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
আদালত ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পিপি হাবিবুর রহমান বলেন, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা চাই দ্রুত রায় কার্যাকর করা হোক।
আরও পড়ুন: সূত্রাপুরে অপু হত্যার চূড়ান্ত রায়ে ২ জনের ফাঁসির দণ্ড বহাল
৩ সপ্তাহ আগে
হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অরণ্য ভ্রমণ মানে প্রকৃতির শান্ত প্রাণের এক স্নিগ্ধ পুনরুজ্জীবনের আলিঙ্গন। সবুজের ভিড়ে হারানোর সময় সঙ্গী হয় পাতার শব্দ আর পাখির কিচির-মিচির। বনের যত গহীনে যাওয়া যায় ততই প্রবল হতে থাকে বিস্ময়কর কিছু খুঁজে পাওয়ার আকর্ষণ। কখনো তা দুর্লভ প্রজাতির কোনও গাছ বা অদ্ভূত কোনও বন্যপ্রাণী। কখনও তা হতে পারে কোনও এক আদিবাসী শিশুর স্তম্ভিত চাহনী। বিশেষ করে বাংলাদেশের পাহাড়ি বনগুলোতে এ সবকিছুরই দেখা মেলে। তন্মধ্যে জঙ্গলেই মঙ্গল সন্ধানীদের জন্য প্রিয় একটি গন্তব্য হচ্ছে হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য। চলুন, দেশের প্রসিদ্ধ এই পর্যটন কেন্দ্রটি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের অবস্থান
অভয়ারণ্যটির অবস্থান দেশের পূর্বাঞ্চলের বিভাগ সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরত্বে এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলটির অবস্থান। সুন্দরবনের পরেই এই শুকনো ও চিরহরিৎ বনটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক বনভূমি। একই সঙ্গে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবেও স্বীকৃত এই অঞ্চলটি।
ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত সংলগ্ন সমগ্র অভয়ারণ্যটির আয়তন ১ হাজার ৭৯৫ দশমিক ৫৪ হেক্টর। হবিগঞ্জ বনবিভাগের কালেঙ্গা রেঞ্জের রেমা, কালেঙ্গা, ও ছনবাড়ী- এই তিনটি বিট পড়েছে অভয়ারণ্যের মধ্যে। অরণ্যের ভেতর দিয়ে ট্রেকিং পথে সিন্দুরখান ইউনিয়ন হয়ে পিচঢালা পথে শ্রীমঙ্গল পৌঁছা যায়।
ঢাকা থেকে হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য যাওয়ার উপায়
ঢাকাবাসীদের সড়কপথে এই অভয়ারণ্যে যাওয়ার জন্য প্রথমে পৌঁছাতে হবে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে। আরও একটু এগিয়ে শ্রীমঙ্গল হয়ে গেলে একসঙ্গে দুই অঞ্চলের পর্যটন স্থানগুলো ভ্রমণ করা যায়। ঢাকার সায়েদাবাদ বা গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাস আছে। এগুলোতে ভাড়া পড়বে ৪৬০ টাকা এবং হবিগঞ্জের আগে শায়েস্তাগঞ্জে নেমে পড়তে হবে।
অপরদিকে শ্রীমঙ্গলের বাসে উঠলে খরচ হবে ৫৭০ থেকে ৮০০ টাকা।
যারা ট্রেনে যেতে চান তাদেরকে উঠতে হবে সিলেটগামী ট্রেনে। এই ট্রেনগুলো শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উভয় জায়গাতেই থামে। সিটের ধরন ভেদে ভাড়া নিতে পারে ২৬৫ থেকে ১ হাজার ৯৯ টাকা।
আর সবচেয়ে দ্রুত যাওয়ার জন্য রয়েছে বিমান, যেখানে সিলেট পর্যন্ত যেতে খরচ হবে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সিলেট থেকে বাসে করে শায়েস্তাগঞ্জ বা শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত আসতে হবে। দুই জায়গা থেকেই সরাসরি কালেঙ্গা যাওয়ার অটোরিকশা বা জিপ গাড়ি পাওয়া যায়। শ্রীমঙ্গল থেকে জিপে করে কালেঙ্গা যেতে খরচ পড়বে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।
রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ভ্রমণে কি কি দেখবেন
বনে প্রবেশ করতেই স্বাগত জানাবে মনোরম একটি লেক। পাশেই সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে পুরো বনভূমি এক নজরে দেখে নেওয়া যায়।
এই অভয়ারণ্যে ৬৩৮ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৭ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ, এবং ১৬৭ প্রজাতির পাখি। পাখি প্রেমিদের জন্য এই অভয়ারণ্য সর্বোত্তম জায়গা। তবে একসঙ্গে অনেক পাখির দেখা পাওয়ার জন্য খুব ভোরে বনের ভেতর ঢুকতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাহাড়ি ময়না, ভিমরাজ, কাও ধনেশ, ফোটা কান্টি সাতভারলা, শালিক, শ্যামা, শামুক খাওরি, ও টুনটুনিসহ আরও দুর্লভ প্রজাতির পাখি।
এখানকার প্রধান আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে শকুন দর্শন। বনভূমিটি শকুনের নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে জাতীয়ভাবে স্বীকৃত।
এই বনে ৩ প্রজাতির বানরের দেখা মেলে। এগুলো হলো- লাল বানর, নিশাচর লজ্জাবতী বানর, এবং উল্টোলেজি বানর। এ বনে কাঠবিড়ালী আছে ৫ প্রজাতির, যেগুলোর মধ্যে বিরল প্রজাতির মালয়ান বড় কাঠবিড়ালি শুধুমাত্র এখানেই পাওয়া যায়। সাপের মধ্যে দেখা যায় দুধরাজ, কোবরা, দাঁড়াশ, এবং লাউডগা।
এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ট্রেকিং-এর জন্য রয়েছে ৩টি ট্রেইল। একটি আধ ঘন্টার, একটি ১ ঘন্টার, এবং একটি ৩ ঘন্টার পথ।
এই পথে দেখা হয়ে যাবে আদিবাসীদের সাথে। এখানে মোট ৪ আদিবাসীর বসবাস- ত্রিপুরা, সাঁওতাল, উড়ং, এবং তেলুগু।
রেমা-কালেঙ্গা বনভূমি ভ্রমণের সেরা সময়
এই বনভূমিতে বৃষ্টির মৌসুম বাদে বছরের যে কোনও সময়েই ঘুরতে যাওয়া যায়। বর্ষায় ৩টি ট্রেইলের ২টিই চলাচলের একদম অযোগ্য হয়ে পড়ে। গরমে পাহাড়ি জংলা পথে অল্প হাটতেই ক্লান্তি চলে আসবে। তাই এই অভয়ারণ্য ভ্রমণের সেরা সময় হচ্ছে পুরোটা শীত এবং বসন্তের শুরু তথা ফাল্গুন মাস। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন এখানে ঘুরে আসা যেতে পারে।
অভয়ারণ্য ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
এখানে বন বিভাগের বাংলো রয়েছে, তবে এখানে থাকতে সিলেট বন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া কয়েকটি বেসরকারি রিসোর্টও আছে। এগুলোতে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকায় থাকা যেতে পারে। প্রতিবেলা খাবারের জন্য খরচ হতে পারে মাথাপিছু ২০০ টাকা।
হবিগঞ্জ শহরে কিছু মান সম্পন্ন আবাসিক হোটেল আছে, যেগুলোতে ভাড়া পড়বে ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। বাহুবল উপজেলায় পাওয়া যাবে ৫ তারকা রিসোর্ট যেখানে ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
ভ্রমণকালীন কিছু সতর্কতা
- অভয়ারণ্য ভ্রমণে দিক নির্দেশনা ও থাকা-খাওয়া বন্দোবস্তের জন্য সঙ্গে অবশ্যই গাইড নেওয়া আবশ্যক
- ট্রেকিং-এর সময় সঙ্গে হালকা শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, এবং স্যালাইন রাখা জরুরি
- জংলি জোঁক থেকে বাঁচতে পায়ে বড় মোজা পড়া যেতে পারে কিংবা সঙ্গে লবণ রাখা ভালো
- বনের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার্থে যেখানে সেখানে পলিথিন, খাবারের উচ্ছিষ্ট, প্যাকেট, এবং পানির বোতল ফেলা যাবে না
পরিশিষ্ট
হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে ট্রেইল তিনটির যেকোনো একটির ট্রেকিং-এ পাওয়া যাবে সারা জীবনের জন্য অমূল্য এক অভিজ্ঞতা। তাই শতভাগ উপভোগের জন্য পুরো ট্যুরের জন্য ন্যূনতম ২ দিন সময় নিয়ে যাওয়া উচিত। পাখিপ্রেমিদের জন্য রীতিমত স্বর্গরাজ্য বলা যেতে পারে এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলটিকে। এছাড়াও যত গহীনে প্রবেশ করা যাবে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ততই বিস্ময়ের খোরাক যোগাবে। উপরন্তু, স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোতে মিলবে প্রাচীন ঐতিহ্য এবং জীবনযাত্রার নিদর্শন। সব মিলিয়ে এই অভয়ারণ্য এক স্বতন্ত্র বাস্তুতন্ত্রের আশ্রয়স্থল, যার সুরক্ষার দিকে দর্শনার্থীদেরও খেয়াল রাখা জরুরি।
আরো পড়ুন: দার্জিলিংয়ের টংলু ও সান্দাকফু যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৪ সপ্তাহ আগে
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে সেলিম উদ্দীন (৩২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে বানিয়াচংয়ে সুটকী নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে নিহতের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং উপজেলা বাদাওরী মহল্লার জালাল মিয়ার ছেলে সেলিম উদ্দীন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সুটকী নদীতে মাছ ধরছিলেন সেলিম। সেসময় নদীতে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে নিহত হন সেলিম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশ বলেন, বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের হালতি বিলে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
১ মাস আগে
হবিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ভাইকে হত্যার অভিযোগ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বটোয়ারা নিয়ে বড় ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বানিয়াচং উপজেলার দোয়াখানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নিহত নওশাদ মিয়া (৪০) ঐ এলাকার মৃত কিম্মত আলীর ছেলে। এ ঘটনার পর থেকেই ছোট ভাই জুনেদ মিয়া (২৫) পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ বটোয়ারা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জুনেদ ধারাল অস্ত্র দিয়ে নওশাদকে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর জুনেদ পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নিরাপত্তা কর্মী নিহত
২ মাস আগে
হবিগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার কমেছে
হবিগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নদ-নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার কমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি কমছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) পাউবো কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও অপর দুটি পয়েন্ট শায়েস্তাগঞ্জ ও মাছুলিয়ায় নীচে নেমে গেছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অফিস সূত্র জানায়, জেলার একটি উপজেলা ও ৭টি ইউনিয়ন নতুনভাবে প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার ২৯টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি রয়েছে ১৬ হাজার ৪৪০টি পরিবার।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল' গঠন
এতে ৬৫ হাজার ৫৬০ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১৫২টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি চালু রয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ৯০ জন মানুষ।
দুর্গতদের জন্য ত্রাণ হিসেবে ৩৪১ টন চাল, ১ হাজার ৬৯০প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বন্যায় জেলার ৩৭৩ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, ৬ হাজার ৭২৬ হেক্টর রোপা আমন, ১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর আউশ ও ৪৬৮ হেক্টর শাকসবজির খেত নষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
২ মাস আগে
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে লস্করপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে খোয়াই নদীর উৎসস্থলে ব্যারেজের ৭টি গেইট খুলে দেওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
এছাড়া বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নদীর পানি মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯০ ও বাল্লা পয়েন্টে ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী।
তিনি আরও বলেন, ‘হবিগঞ্জের জালালাবাদে পুরোনো ভাঙন দিয়ে প্রবলবেগে নদীর পানি বের হয়ে যাওয়ায় হবিগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
এছাড়া শামীম হাসনাইন আশা করছেন যে, উজানে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে নদীর পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
৩ মাস আগে
হবিগঞ্জে সাবেক এমপি জাহিরসহ ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
হবিগঞ্জে রিপন শীলকে হত্যার দায়ে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) নিহতের মা রুবী রানী শীল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, তদন্তে পিবিআই
থানা সূত্রে জানা গেছে, আবু জাহির ছাড়াও তার ছেলে ইফাত জামিল, ভাতিজা মহসিন মিয়া, ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান শামীম, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম,লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুশফিউল আলম আজাদ, হবিগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
গত ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা মিছিল বের করেন। মিছিলটি টাউন হলের কাছে পৌঁছালে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে পথচারী রিপন শীল বুকে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান। ঘটনাস্থলে রিপন শীলকে বাঁচাতে ভাই শিপন শীল এগিয়ে এলে তিনিও পেটে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় হবিগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র হামজাসহ ছাত্র-জনতার আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের
৩ মাস আগে
হবিগঞ্জে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, নিহত ৬
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত অর্ধশতাধিক।
সোমবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘর-আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা, আগুন
নিহতরা হলেন- যাত্রাপাশা গ্রামের ছানু মিয়ার ছেলে হাসান (১২), মাইজের মহল্লা গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে আশরাফুল (১৭), পাড়াগাঁয়ের শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির (৪০), কামালকানি গ্রামের নয়ন (১৮), জাতকর্ন পাড়ার আবদুর রউফের ছেলে তোফাজ্জল (১৮), পূর্বঘর গ্রামের ছাদিকুর (৩০)।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীসহ জনগণ স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।
পরে মিছিল নিয়ে বানিয়াচং থানার কাছে এলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ছয়জন নিহত হয়। গুলিতে আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা।
সেনাবাহিনীকে নিয়ে জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা বানিয়াচং থানা পরিদর্শনে যান।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা বলেন, সেখানে বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলামকে আহত করেন। এছাড়া বানিয়াচং থানার পুলিশকে বেশ কিছু সময় ঘেরাও করে রাখে জনতা।
বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: এটিএন বাংলার কার্যালয়ে তাণ্ডব, এটিএন নিউজের সম্প্রচার বন্ধ
রাজশাহীতে বিক্ষোভকারী-আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫
৩ মাস আগে
হবিগঞ্জে আন্দোলনকারী-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ৩
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তিনজন যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
সোমবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১০
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীসহ জনগণ স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।
পরে মিছিল নিয়ে বানিয়াচং থানার কাছে এলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন নিহত হয়। নিহতের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নুরুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এদের দুইজনের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্য এবং অপরজন মধ্য বয়সি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
চাঁদপুরে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, জেলা আ. লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
৩ মাস আগে