হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে মাদরাসা ছাত্র খুন, অভিযোগের তীর সহপাঠীর দিকে
হবিগঞ্জের মাধবপুরে হাফিজিয়া মাদরাসার আট বছর বয়সী এক ছাত্রকে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মাদরাসার পাশের একটি ঝোপ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ছাত্র আশরাফুল ইসলাম রাফি (৮) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে মাধবপুরের ইটাখোলাস্থ আলহাজ ইয়াসমিন ফয়সল দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, গুরুতর আহত ১
স্থানীয়রা জানান, আজ (মঙ্গলবার) ফজরের নামাজ ও সকালের পড়া শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে পড়লে, নবীন (৯) নামের এক সহপাঠী সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে রাফিকে জুতা আনার কথা বলে মাদরাসা প্রাঙ্গণের দক্ষিণ পাশে একটি ঝোপে নিয়ে ছুরি দিয়ে উপুর্যপুরি আঘাত করে রাফিকে হত্যা করে এবং লাশ কাদামাটির ভেতর ফেলে চলে আসে।
পরবর্তীতে মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী বিষয়টি জানতে পেরে নবীনকে আটক করে শিক্ষকদের খবর দেয়। এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সুহেল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১১৫ দিন আগে
হবিগঞ্জে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড, ১০টি গাড়ি পুড়ে ছাই
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগুন লেগে অন্তত নয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি যাত্রীবাহী বাস পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা-হবিগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত আউশকান্দি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, সকালে একটি পুরনো যাত্রীবাহী বাস স্টেশন থেকে গ্যাস নিচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তা আশপাশে থাকা গাড়িতে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ, বাহুবল ও ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জানান, আগুনে স্টেশনে অফিস ও শয়নকক্ষ, দাঁড়িয়ে থাকা বাস ও বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে যায়। তবে ফিলিং মেশিন অক্ষত রয়েছে।
এ সময় স্টেশনের স্টাফ রাসেল আহমদ(৩০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাবিবুর রহমান।
১২০ দিন আগে
হবিগঞ্জে শহিদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি, ক্ষুব্ধ এনসিপি নেতারা
হবিগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সমাবেশের অনুমতি দেননি জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান। এ কারণে তাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিযোগ করেছেন হবিগঞ্জের এনসিপি নেতারা।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে শহরের শ্মশানঘাটস্থ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা এনসিপির কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন শেষে এ অভিযোগ করেন পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল।
তিনি বলেন, নিমতলা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। তবে বুধবার বিকালে ডেকে নিয়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রাম হওয়ার কারণে শহিদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: এনসিপির নেতৃত্বে সরকার গঠনে দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী
মোস্তাফা কামাল অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হলেও বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আঁতাত করে চলছেন। তার আচরণে আমরা বিস্মিত হইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের (২৪ জুলাই) পদযাত্রা শহরের নিমতলা (শহিদ মিনার) থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনুমতি না পাওয়ায় পৌরসভা মাঠ থেকে শুরু হয়ে টাউন হলে এসে শেষ হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— এনসিপি হবিগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সমন্বয়কারী মাহবুবর বারী চৌধুরী মুবিন, বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব এড. ফখরউদ্দিন জাকি, আব্দুল বাছিত তরফদার মিঠু, এ কে এম নাছিম ও মীর দুলাল।
১৪৮ দিন আগে
হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ২, নবীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি
পূর্ববিরোধের জের ধরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৯ জনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরের পরপরই উত্তেজনা দানা বাঁধতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ই সংঘর্ষে রুপ নেয়। এরপর বিকাল ৫টা থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আশাহিদ আলীকে গত ৪ জুলাই নবীগঞ্জ উপজেলার আনমুন এলাকায় মারধর করেন অপর গণমাধ্যমকর্মী সেলিম তালুকদার ও তার লোকজন। এ সময় আনমুন গ্রামের লোকজন হামলাকারীদের মধ্য থেকে ২ তরুণকে আটক করে পুলিশে দেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশু নিহত
পুলিশে দেওয়া এই দুই তরুণের বাড়ি উপজেলার তিমিরপুর গ্রামে। এ ঘটনায় তিমিরপুর গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে তিন দিন আগে ওই দুই গ্রামের মানুষের মারামারিও হয়। সেই মারামারির সূত্র ধরে গতকাল (সোমবার) দুপুরে ঘোষণা দিয়ে আনমুন ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নিজ নিজ এলাকায়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল, বল্লম, ধারালো অস্ত্রসহ নানা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেন। সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকানপাট। এতে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে পূর্ব তিমিরপুরের ফারুক মিয়া (৪০) ও আনমনু গ্রামের রিমন মিয়া (২৫) নামে দুই ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামরুজ্জামান জানান, ওই ঘটনার নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতি যাতে আর অবনতি না হয়, সে কারণে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আজ মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
১৬৪ দিন আগে
হবিগঞ্জে চোরের ছুরিকাঘাতে এসএসসি ফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থী নিহত
চোরের ছুরিকাঘাতে জনি দাশ (১৬) নামে এসএসসির এক পরীক্ষার ফলপ্রত্যাশী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকা( দিয়ানত সাহা বাড়ি) এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে জনি দাশ ঘরের দরজায় নড়াচড়ার আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। চোরের আগমন টের পেয়ে তার বড় ভাই কলেজছাত্র সাগর দাশ জয়কে ঘুম থেকে জেগে তোলেন।
জনি দাশ ও তার ভাই দরজা খুলে বের হয়ে এক চোরকে ধরে ফেলেন। এসময় দুই ভাইয়ের সঙ্গে চোরের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে চোর জনির বুকসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়।
চোরের ছুরিকাঘাতে জনির ভাই সাগরও আহত হন। আহত দুই ভাইকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জনি দাশকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নিহত জনি এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি নরধন দাশের ছেলে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
হবিগঞ্জ থানার ওসি ( তদন্ত) সজল সরকার খুনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চোরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখনও মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
পড়ুন: যশোরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত
১৬৯ দিন আগে
হবিগঞ্জে ভাবি ও তার সন্তানদের হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাবি, ভাতিজা ও ভাতিজিসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় তাহের নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ (১) সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মোশারফ ইউসুফ এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামি শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) জেলার মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, তাহের উদ্দিনের সঙ্গে তার ভাবি জাহানারা খাতুনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুরি নিয়ে ভাবিকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন তিনি। এ সময় তার চিকৎকারে মেয়ে শারমিন আক্তার ও ছেলে শিমুল মিয়া এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার দুই সন্তানকেও হাসপাতালে নেওয়া হলে তারাও মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় জাহানারা খাতুনের দুলাভাই মোহন মিয়া বাদী হয়ে ওই বছরের ২৪ আগস্ট হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ (মঙ্গলবার) আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন বলে জানান অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আফজল হোসেন।
২১৩ দিন আগে
বজ্রপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জে নিহত ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে বজ্রপাতের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (১১ মে) বিকালে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও আখাউড়ায় উপজেলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, সরাইলের কালিকচ্ছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, নাসিরগরের গোর্কণ গ্রামের শামসুল হুদা, আখাউড়া উপজেলার রুটি গ্রামের সেলিম ও বনগজ গ্রামের জামির খাঁ।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বিকালে নাসিরনগরের টেকানগর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক কৃষক ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই উপজেলার গোকর্ণ গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকায় ফসলি মাঠে কাজ করার সময় কৃষক শামসুল হুদা বজ্রপাতে মারা যান।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
এদিকে আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের ধান কাটার মেশিন নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় জামির খাঁ ও রুটি গ্রামে নিজ জমিতে কাজ করার সময় সেলিম মিয়া বজ্রপাতে মারা যান।
আখাউড়া ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজ্রপাতে চারজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে হবিগঞ্জে বজ্রপাতে বজ্রপাতে সাজু মিয়া (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। রবিবার (১১ মে) জেলার আজমিরীগঞ্জে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ডেমিকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাজু জমিতে পানি দেওয়ার ড্রেনে গোসল করছিলেন। গোসলরত অবস্থায়ই বজ্রপাতে আহত হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২২২ দিন আগে
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে হবিগঞ্জে আহত অর্ধশতাধিক
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে চলে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াগড় গ্রামের বিএনপি নেতা আক্তার মিয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান মিয়া ওরফে শাজাহান মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২২ এপ্রিল একটি পারিবারিক ঝগড়ার ঘটনায় আক্তার মিয়ার পক্ষের একজনকে মারধর করে শাজাহান মেম্বারের লোকজন। এরপর থেকেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
শুক্রবার সকালে সেই উত্তেজনার রেশ ধরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মাঈদুল হাছান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
২৩৮ দিন আগে
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৪, আহত ৫
হবিগঞ্জে ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে মাধবপুর উপজেলার বাখরনগরে ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের কারও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
স্থানীয়রা জানান, বাসা বাড়ির মালামালসহ পিকআপটিতে অনুমান ১৬/১৭ জন যাত্রী ছিলেন। পিকআপটি রাত ২টার দিকে মাধবপুর উপজেলার বাখরনগরে পৌঁছালে সামনের দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় চারজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, ‘ট্রাক ও পিকআপটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে আছে। লাশগলো উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।’
২৪৫ দিন আগে
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে দিনমজুর ছাবু মিয়াকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ এ কে এম কামাল উদ্দিন এই দণ্ড দেন। ১৬ বছর পর এই হত্যাকাণ্ডের রায় দেন আদালত।
আসামিরা হলেন— মাধবপুর উপজেলার বার চান্দুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান মিয়া, মারাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান, মৃত হরমুজ আলীর ছেলে জাহেদ মিয়া ও মুরাদপুর গ্রামের মৌলা মিয়া ছেলে আবুল। তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজা দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি মারাজ মিয়ার মৃত্যু হওয়ায় অব্যাহতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, নানা-নানীকে কুপিয়ে জখম
আদালত সূত্র জানায়, মাধবপুরের বার চান্দুরা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে দিনমজুর ছাবু মিয়াকে ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আসামিরা খুন করেন। এরপর গ্রামের একটি জঙ্গলে লাশ ফেলে রাখে। পরদিন তার স্বজনরা লাশ খুঁজে পায়। এ ব্যাপারে ছাবু মিয়ার ভাই হাফিজ মিয়া ৩ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন।
মাধবপুর থানার এসআই আলমগীর তদন্ত শেষে ওই বছরের ২১ মে তারিখে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষী শেষে বিচারকিআজ (বুধবার) রায় দেন।
২৫৪ দিন আগে