কে এম নুরুল হুদা
ইসি গঠনের বিলের প্রতিবেদন সংসদে পেশ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার অংশে কিছু পরিবর্তন এনে বুধবার ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ সংসদে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি এম শহীদুজ্জামান সরকার প্রতিবেদনটি পেশ করেন।
কমিটি বিলের ধারা ৬ (ঘ) পরিবর্তন করেছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য যোগ্য হবেন না।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার জন্য যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা বেসরকারি পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন বিল অনুগত লোকদের নিয়ে আরেকটি ইসি গঠনের চক্রান্ত: বিএনপি
সংসদীয় কমিটি এই ধারায় সংশোধনী এনে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা বেসরকারি পদ ছাড়াও 'স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য পেশা' যুক্ত করার সুপারিশ করেছে।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে আইনটি পাস হলে বিভিন্ন পেশাজীবী সংস্থা-স্বায়ত্তশাসিত এবং অন্যান্য পেশার ব্যক্তিরা সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য যোগ্য হবেন।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান ও আগের নির্বাচন কমিশনকে আইনে রূপ দিতে ২৩ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি পেশ করেন।
পরে বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
আইনটি পাস হলে সার্চ কমিটির যাবতীয় কার্যক্রমকে আইনি সুরক্ষা দেবে।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে।
পড়ুন: ইসি গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
২ বছর আগে
এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তর করতে চাইলে আলোচনায় বসতে হবে: সিইসি
নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম স্থানান্তর করতে চাইলে কমিশনের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘তারা যদি আমাদের কাছ থেকে এটি স্থানান্তর করে নিতে চায় তবে তারা কীভাবে এটি নেবে সে বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের কথা বলতে হবে। তারপর আমরা আমাদের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরব।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে: সিইসি
এক প্রশ্নের জবাবে কে এম হুদা বলেন, ‘সরকারের উচিত এই বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া। শেষ পর্যন্ত কী হবে বা না হবে তা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়।’
এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তরের গেজেট জারির পরও আলোচনার সুযোগ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই সুযোগ রয়েছে, যেহেতু এটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান, এভাবে স্থানান্তর করা যায় না।’
‘কীভাবে স্থানান্তরিত হবে তা নিয়ে তাদের অবশ্যই আলোচনা করা উচিত। অবশ্যই একটি আলোচনা হতে হবে। এটি কোনও টেবিল বা চেয়ার না যে আলোচনা না করে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম,’ বলেন সিইসি।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনআইডির কার্যক্রম চালু হবে: মন্ত্রী
নুরুল হুদা জানান, ইসি এনআইডি সেবা পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করেছে। যদি পরিষেবাগুলো অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তরিত হয় তবে এর জন্য নতুন জনশক্তি তৈরি করা দরকার।
তিনি বলেন, ‘তাই পরিষেবাগুলো যদি আমাদের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা সরবরাহ করা যায় তবে ভালো হবে।’
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের বেশি বয়সীদের স্মার্ট এনআইডি দিতে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন
সরকার ইসি থেকে এনআইডি পরিষেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তর করতে চায়। তবে ইসি এনআইডি কার্যক্রম সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে চায়।
৩ বছর আগে