'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর 'বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানকে’ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তরুণ প্রজন্মের কাছে দিনটির তাৎপর্য ও সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এবার দিবসটি ব্যাপকভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সকালে সারা দেশে দলের সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সকাল ১০টায় দলের সিনিয়র নেতারা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে ৬ নভেম্বর আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে দলটি। অনুষ্ঠানের স্থান পরে জানানো হবে।
৮ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
তিনি বলেন, জনসাধারণের অসুবিধা এড়াতে তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কর্মসূচিটি নিয়েছিলেন।
ফখরুল বলেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে অনুরূপ সমাবেশ বের করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে ধরতে বিএনপির সব সহযোগী সংগঠনসহ সব ইউনিট দেশব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে, যা জিয়িউর রহমানের ক্ষমতায় আসার পথকে সুগম করে।