ডিসেম্বর
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে সবচেয়ে আগের সময়টি ধরে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেটা তাদের আমরা বলেছি। আমাদের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫–এ ইলেকশন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬–এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব।’
বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, একটি প্রশ্ন এসেছিল, দুটো নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কি না। এতে কেমন সময় লাগতে পারে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সব কটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ধাপে ধাপে করতে গেলে এক বছর সময় লেগে যায়।
‘পুরোপুরি এভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করতে হলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচন এখন নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই এ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের, সেটা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কি না। তার আগে এটি বলা সম্ভব নয়।
১১ দিন আগে
ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানিয়েছেন ড. ইউনূস : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছে বলে তাদের জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ও তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, খুব শিগগিরই তারা নির্বাচন আয়োজন করবেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য তারা কাজ করছেন।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠকে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল আশা করে— সরকার তাদের এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক
রোডম্যাপ কবে ঘোষণা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সরকার ঠিক করবে। ফখরুল বলেন, 'সম্ভবত ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা এ বিষয়ে কিছু বলবেন।’
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রবিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এস নাছির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
১২ দিন আগে
ডিসেম্বরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন
ডিসেম্বরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, সরকার 'রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা' বজায় রাখা ও সমঝোতাকে 'অত্যন্ত গুরুত্ব' দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই এ বৈঠকের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের সুবিচার হতে হবে, অবিচার যেন না হয়: প্রধান উপদেষ্টা
১২ দিন আগে
ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কখন হবে; সেটা সরকার নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁও রোড ডিগ্রি কলেজ হলরুমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের আগামী নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াটাই হবে স্বচ্ছ। আমরা নির্বাচন কমিশন যদি স্বচ্ছ পাত্র উপহার দিতে পারি, তবে সেই পাত্রে যে পানিই দেওয়া যাক না কেনো; তা স্বচ্ছ রং ধারণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বের বাস্তবতা থেকে আমরা সতর্ক আছি। পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন কাজ করছে।’
সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম চলমান। তাই জেলা উপজেলাসহ নির্বাচন পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে সংস্কার করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খসড়া তালিকা হয়ে গেলে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হয়ে যাবে। ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা হালনাগাদ করা হবে।’
আরও পড়ুন: স্থানীয় নয়, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবছে ইসি: মাছউদ
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভুয়া ভোটার তালিকা, মৃত ভোটারদের উপস্থিতি, বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি, দ্বৈত ভোটারদের উপস্থিতি, এগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্যই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ যাতে না আসে; সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করবে কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে আগামীতে একটা সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নহীন নির্বাচন করার। এ ধরনের নির্বাচনের প্রথম শর্তই হচ্ছে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোটার তালিকা। আগামীতে আর বাড়ি বাড়ি ভোটার করার কাজ না-ও হতে পারে। কারণ ডিজিটাল সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। এর পর থেকে ঘরে বসেও ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকতা-কর্মচারীরা।
২৫ দিন আগে
ডিসেম্বরে সারা দেশে সড়কে ঝরেছে ৫৩৯ প্রাণ
বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে মোট ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭৬৪ জন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন; ১৯টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন।
মোট নিহতের মধ্যে ৭৯ জন নারী ও ৭৭টি শিশু রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে।
এছাড়া, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২০৬ জন (৩৮.২১ শতাংশ) মোটরসাইকেল আরোহী; ১১৪ জন (২১.১৫ শতাংশ) পথচারী ছিলেন, আর ৭২ জন (১৩.৩৫ শতাংশ) ছিলেন যানবাহনের চালক ও সহকারী।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৯৩টি (৩৮.২৯ শতাংশ); আঞ্চলিক সড়কে ২১৪টি (৪২.৪৬ শতাংশ); গ্রামীণ সড়কে ৫৫টি (১০.৯১ শতাংশ); শহুরে সড়কে ৩৮টি (৭.৫৩ শতাংশ) এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (০.৭৯ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ৯৮টি (১৯.৪৪ শতাংশ); নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪৭টি (৪৯ শতাংশ); পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ায় ১১৬টি (২৩ শতাংশ); যানবাহনের পেছনে ধাক্কার ঘটনা ৩৫টি (৬.৯৪ শতাংশ) এবং ৮টি (১.৫৮ শতাংশ) দুর্ঘটনা অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
বেপরোয়া গাড়ি চালানো, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন, চালকদের জন্য নির্ধারিত বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সীমিত সক্ষমতা এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির প্রকোপসহ দেশের সড়কে হতাহতের সংখ্যা বেশি হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
গত নভেম্বর মাসে সারা দেশে ৫৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত ও ৬৭২ জন আহত হয় বলে জানিয়েছিল রোডর সেফটি ফাউন্ডেশন।
৪৯ দিন আগে
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৬১ কোটি ডলার
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫০ কোটি ৮৯ লাখ। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২০ কোটি ডলার
চলতি অর্থবছরের প্রবণতা
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে ওঠানামা প্রবণতা দেখা গেছে। গত জুনে ২৫৩ কোটি ডলারে রেমিট্যান্স আসার পর জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়ায় ১৯১ কোটি ডলারে, যা গত দশ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ ও দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেমিট্যান্সের পালে ফের হাওয়া লাগতে শুরু করে।
আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আসে ২৪০ কোটি ডলার যা চলতি অর্থবছরে এক মাসে সর্বোচ্চ।
এরপর অক্টোবরে (২৩৯ কোটি ডলার) ফের রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়ে যা নভেম্বরেও (২১৯ কোটি ডলার) অব্যাহত থাকে। তবে ডিসেম্বরে ফের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২.৬ কোটি ডলার
৭৬ দিন আগে
ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। আর এ হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে দ্রুতই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের।এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
সদর উপজেলার সামনে কুরবার আলী নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘দিন যখন তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানোও যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তাপমাত্রা আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
৭৭ দিন আগে
পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে জারি করা রুলের রায় ১৭ ডিসেম্বর
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।
রিটকারী ‘সুজন’এর বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: নওগাঁর পিপির বিরুদ্ধে বিচারকদের হুমকি-আদালত অবমাননার অভিযোগ
বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। আর ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন। এরপর ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরামসহ চার আবেদনকারী রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে পক্ষভুক্ত হন।
আরও পড়ুন: সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সাংঘর্ষিক নয়, হাইকোর্টের রুল
৭৯ দিন আগে
ডিসেম্বরে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে: বিইআরসি
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ডিসেম্বর মাসেও অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) জানায়, নভেম্বর মাসের মতো ডিসেম্বর মাসেও প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১২১ টাকা ২৫ পয়সা থাকবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রেখেই নতুন দাম ঘোষণা করেছে বিইআরসি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিইআরসির ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত একই হারে নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের এলপিজি মূল্য সমন্বয় আজ
বিইআরসির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অটো গ্যাসের (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) দামও প্রতি লিটার (ভ্যাটসহ) ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা এলপিজির দামও একই থাকবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে এলপিজির দাম প্রায় অপরিবর্তিতই থাকছে
৮১ দিন আগে
ডিসেম্বরেই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিবরা
প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবদের ডিসেম্বর মাসেই পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুর রহমান ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারের মধ্যে পদোন্নতির পাওয়ার যোগ্য- এমন উপসচিবদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। এসএসবির যারা সদস্য রয়েছেন, তারা আমাদের বলেছেন- এই কাজটি আগে ধরে শেষ করুন। আমরা ওটা নিয়েই কাজ করছি। কাজ হয়ে গেলে আমরা একটি তারিখ নিয়ে এটা করে দেব।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব
ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘যাদের এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) ও ডিপি (ডিপার্টমেন্টাল প্রসেডিং) রয়েছেন, তারা পদোন্নতি পাবেন না। ১৯৪ জনের সবাই তো যোগ্য নন। বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট আছে, যারা যোগ্য আমরা তাদের পদোন্নতি দেব। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি আমরা।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, যারা একটু বেশি সিনিয়র (জ্যেষ্ঠ) এবং যারা একটু দেরিতে উপসচিব হয়েছেন, আমরা তাদের আগে বিবেচনা করব। তাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করব।
তারা জানান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি নিয়ম রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, যদি কারও মোট চাকরিকাল ১৫ বছর হয় এবং উপসচিব হিসেবে তিনি ৫ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করে থাকেন, তাহলে তাকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতির দেওয়ার একটি বিধান রয়েছে। এছাড়া যদি কারও মোট চাকরিকাল ২০ বছর হয় এবং উপসচিব হিসেবে তিনি ৩ বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করেন তাহলে তাকেও যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার একটি বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসি নিয়োগে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ
৮১ দিন আগে