ডিসেম্বর
এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মজুমদার বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
অর্থ সচিব বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভাল ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এডিবির সঙ্গে ৬০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে সফলভাবে আলোচনা করেছি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এই তহবিল পাওয়ার আশা করছি।’
একই সময়সীমার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হওয়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘শুরুতে, এই ঋণগুলো যথাক্রমে ৩০ কোটি ডলার এবং ২৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে পরে অনুকূল আলোচনার কারণে তা দ্বিগুণ হয়।’
সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে উল্লেখ করে ড. মজুমদার বলেন, 'আমরা এ বছর আইএমএফের সহায়তায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চেয়েছি। ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে এবং আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
অর্থ সচিব তার নীতিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতায় আস্থা প্রকাশ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
২ দিন আগে
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের নৃশংসতার প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আশা তুর্কের
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতার তদন্তকারী জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন।
এ সময় তুর্ক ঢাকায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজ এবং উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী প্রধান, সংস্কার কমিশনের প্রধান, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের টিম স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করছে এবং এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রভাব নেই।
শফিকুল আলম আরও বলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে এবং পরে তারা প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টাদের কাছেও হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বক্তব্য দেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজ নিয়েও আলোচনা করেন, যা এখন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থবহ সংস্কার পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন করেছ। এটি বিপ্লবের সময় সংঘটিত জঘন্য অপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে।
স্বৈরশাসনের সময় গুমের শত শত ঘটনা তদন্তকারী তদন্ত কমিশনের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন জানিয়ে তুর্ক বলেন, 'অনেকগুলো আছে, যা নির্দিষ্ট করা দরকার।’
তুর্ক বলেন, তার অফিস তদন্ত কমিশনকে সহযোগিতা করছে।
তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে 'স্বাধীন' ও 'পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী' করে শক্তিশালী করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ঢাকায় তাদের উপস্থিতি জোরদার করতে চায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে বাংলাদেশে সফর এবং বিপ্লবের সময় তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ‘আপনাদের সফরে বাংলাদেশের মানুষ খুশি। তারা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং উন্নয়ন ও মানবাধিকার যাতে একসঙ্গে চলতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, তার সরকার আগের সরকারের ভুল ও অপরাধের পুনরাবৃত্তি করবে না।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট বিশেষ করে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া নতুন করে হাজার হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ নিয়েও আলোচনা করেন।
তুর্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সংকট সমাধানে অব্যাহত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল গঠনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা করেন, যাতে এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকজন তাদের বাড়ির কাছাকাছি থাকতে পারে।
উভয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এই আঞ্চলিক ইস্যুটির দ্রুত টেকসই সমাধানের জন্য ‘কিছুটা গতিশীলতা’ আনার লক্ষ্যে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
৩ সপ্তাহ আগে
ডিসেম্বরে কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানাল মিশর
আগামী ডিসেম্বরে কায়রোতে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মিশর।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির আমন্ত্রণপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়া- অন্তত পাঁচটি দেশের সরকার প্রধানরা ১৬ থেকে ১৯ ডিসেম্বর কায়রোতে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব বৈঠকে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে আয়কর পরিশোধের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার সরকারের সমর্থনের কথাও জানান রাষ্ট্রদূত।
অধ্যাপক ইউনূস এই সমর্থনকে স্বাগত জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, মিশর ও বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম যেমন ওআইসি এবং ডি-৮ এ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি মিশরে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি আশা প্রকাশ করেন, ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও মিশর সফর করবেন।
তিনি বলেন, মিশর তৈরি পোশাক ও ওষুধ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হতে চায় এবং পাট চাষও শিখতে চায়।
তিনি বলেন, দুই দেশের উচিত কৃষি, বস্ত্র ও ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে অসম্পন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের কাজ ত্বরান্বিত করা।
রাষ্ট্রদূত ২০৩১-৩২ সালের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী আসনের বাংলাদেশের প্রার্থিতার জন্য মিশরের সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি ইউনেস্কোর মহাপরিচালক পদে কায়রোর প্রার্থিতার জন্য ঢাকার সমর্থন কামনা করেন।
তিনি বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন নবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
দুই দেশের মধ্যে প্রথম এফওসি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হলেও দ্বিতীয় এফওসি ২০২১ সাল থেকে মুলতবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নৌবাহিনী-বিমানবাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
ডিসেম্বরে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেছেন, ডিসেম্বরে রাস্তার চলমান কাজগুলো পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসিতে নতুনভাবে সংযুক্ত এলাকায় স্থায়ীভাবে টেকসই উন্নয়নের জন্য রাস্তা ও পয়োনিষ্কাশন নালা নির্মাণের কাজ চলমান।’
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিক গ্রেপ্তার
রবিবার (১৯ অক্টোবর) ডিএনসিসির নতুনভাবে সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত নতুনবাজার, বেরাইদ, সাতারকুল ও ফকিরখালী এলাকার রাস্তার চলমান কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির প্রশাসক এলাকাবাসীর সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
এসময় তিনি এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শোনেন এবং সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা ও ড্রেনেজের কাজগুলো করতে গিয়ে জনগণের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে। এবছর বর্ষায় সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসেও প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে কাজ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এই এলাকার মানুষের ভোগান্তি লাঘবে কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করা হবে। পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকটি রাস্তার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। ডিসেম্বরে রাস্তার চলমান কাজগুলো পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।
এসময় মাহমুদুল হাসান জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নতুন এলাকায় রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য আমাদের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের আছে। তবে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। রাস্তা নির্মাণের জন্য আপনারা সবাই কিছুটা জায়গা ছেড়ে দিলে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এর সুফল আপনারাই ভোগ করবেন।’
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাছিমা খানম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির আওতাধীন সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু
১ মাস আগে
হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিসেম্বর থেকে জরিমানা
পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকা শহরকে হর্নমুক্ত করতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে, পরে পুরো ঢাকা শহর এবং ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও শব্দদূষণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইউএনবিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ পরিকল্পনা জানালেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
হর্ন বাজানোর নিয়ন্ত্রণে বিধিতেও পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের শুরুতে পুরো ঢাকা শহরকে নীরব এলাকা করতে কর্মসূচি নেওয়া হবে। প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে, পরে পুরো ঢাকা শহর এবং ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও শব্দদূষণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
রিজওয়ানা বলেন, হর্ন বাজানোর দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে প্রথমে মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। এরপর আইনের প্রয়োগ। হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণ করতে ডিসেম্বর থেকে জরিমানা কার্যকর করা হবে। প্রথমবার আইন ভঙ্গ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার করলে আরও বেশি টাকা জরিমানা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জরিমানা কার্যকর করার আগে সব ধরনের গাড়ি চালক ও সাধারণ জনগণকে সচেতন করা হবে। হর্ন বাজানো দীর্ঘদিনের অভ্যাস তাই এটি পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, যানবাহনে অহেতুক হর্ন, যত্রতত্র সাউন্ড বক্স, মাইকের মাধ্যমে উচ্চ শব্দ সৃষ্টি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এসব মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।
তিনি বলেন, আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে অন্যান্য দূষণের পাশাপাশি শব্দদূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার এখনই সময়। ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন ও বিধি বাস্তবায়ন ও অতিরিক্ত শব্দ করা থেকে বিরত থাকার সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে হবে।
রিজওয়ানা মনে করেন, হর্ন বাজানো ও শব্দদূষণ বন্ধ করতে সবচেয়ে জরুরি হলো সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নিজেকে সচেতন করি, প্রতিটি চালক তার এই পুরনো অভ্যাস বন্ধে প্রতিজ্ঞা করে তাহলে দ্রুত হর্ন বাজানো ও শব্দদূষণ বন্ধ করা যাবে। সেজন্য জরিমানা করার আগে আগামী কয়েকদিন ব্যাপক আকারে সচেতনতার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চালকদের হর্ন না বাজাতে উৎসাহিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
তিনি জানান, লাইসেন্স নবায়নের শর্ত হিসেবে হর্ন বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এছাড়াও উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় যানবাহনের হর্নের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমছে। শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্নায়ুরোগ সৃষ্টি করতে পারে।
শব্দদূষণের বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জনগণকে ব্যাপকভাবে বধির হওয়া থেকে রক্ষা করতে শব্দদূষণ বন্ধ করতেই হবে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পকে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দদূষণের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে হর্ন ছাড়াও মাইকিং, বিজ্ঞাপন, কন্সট্রাকশনসহ বিভিন্নভাবে শব্দদূষণ হচ্ছে। হর্ন বন্ধ ছাড়াও সকল শব্দ বা সাউন্ড বন্ধ করা করতে হবে। নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে হলে আমাদের ‘কম শব্দযুক্ত’ দেশে থাকতে হবে।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, অনেক ড্রাইভার হর্ন বাজিয়ে পাশের মানুষকে বিরক্ত করেন। আমরা যদি বাস, ট্রাক বা গাড়িতে অপ্রয়োজনীয় হর্ন না বাজাই, তাহলে অনেক মানুষের স্বাস্থ্যহানি রোধ করা সম্ভব।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রেড লাইট থেকে গ্রিন লাইটে আসলেই সব গাড়ি হর্ন বাজানো শুরু করে। এটা উচিত নয়। হর্ন বাজানোর আগে ভাবতে হবে, এটি জরুরি কি না। সকল ড্রাইভারকে হর্ন না বাজানোর জন্য সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে, বাচ্চাদের স্কুলে নেওয়ার সময় রিকশায় যে শব্দ হয়, তাতে অনেক সময় কানের সমস্যা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মে উচ্চস্বরে নয়, নিচু করে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে কথা বলতে হবে যাতে মানুষের বিরক্তির কারণ না হয়। আমরা মনে করি যে যত জোরে কথা বলতে পারি, সে তত শক্তিশালী। কিন্তু আসলে যুক্তিপূর্ণ কথা বলাই আসল ক্ষমতা। আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবর্তন আনলেই সমাজে ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
এদিকে ১ অক্টোবর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকায় হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং হর্ন বাজালে কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া ইউএনবিকে জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর সম্মুখস্থ ৩ কিলোমিটার মহাসড়ক হর্নমুক্ত ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিমানবন্দরের উত্তরে স্কলাস্টিকা পয়েন্ট থেকে দক্ষিণে লা মেরিডিয়ান পয়েন্ট পর্যন্ত নীরব এলাকা।
এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় শব্দদূষণ রোধে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা কার্যক্রমকে সফলভাবে বাস্তবায়নের নানা কার্যক্রম চালায় বেবিচক ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
১ মাস আগে
ডিসেম্বর পর্যন্ত সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে: কৃষি সচিব
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, দেশে ইউরিয়া-নন ইউরিয়া সারের যে মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো সংকট হবে না।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সার নিয়ে কোনো চিন্তার কারন নেই।
রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বিএআরএফের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম, অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শওকত আলী পলাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য মুন্না রায়হান ও হরলাল রায় সাগর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হিলিতে আমদানি বন্ধের অজুহাতে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের
কৃষি সচিব বলেন, ‘সারের বর্তমান মজুদ দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মেটানো যাবে। তবে সার আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে এখনো কিছুটা সংকট রয়েছে, যেটা আমরা সমাধানে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।’
সভায় জানানো হয়, দেশে ১০ লাখ ৬৩ হাজার টন নন ইউরিয়া সার মজুদ আছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কয়েকটি ধাপে প্রণোদনা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান কৃষি সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের সহায়তার জন্য এখন পর্যন্ত ১৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা কয়েকটি ধাপে কৃষি পুনর্বাসনে ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, ২৩ টি জেলার ১৪ লাখের বেশি কৃষক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূলত ১১টি জেলায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রণোদনার বেশিরভাগই এই জেলাগুলোর কৃষকদের টার্গেট করেই দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব জেলা এবং আশপাশের জেলাগুলোর কৃষি বিভাগের যত অব্যবহৃত জায়গা রয়েছে সব জায়গায় রোপা আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যা আমন চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
পুনর্বাসনের আওতায় নয়টি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৮০ হাজার কৃষককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য বিনামূল্যে রোপা আমনের উফশী জাতের বীজ, সার সহায়তা (১০ কেজি) এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ১ হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, বসতবাড়িতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের জন্য ২২টি জেলায় দেড় লাখ কৃষককে বিভিন্ন জাতের সবজির বীজ ও এক হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হবে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে গত ১৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন। যে পরিমাণ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে তাতে করে ধান, সবজি, ফলমূল সহ প্রায় ১০ লাখ মে টন উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। টাকার অংকে এই ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। বন্যায় মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ধানের বীজ, চারা, সার ও নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সেই অনুযায়ী পূনর্বাসনের জন্য আর কী কী কর্মসূচি নেওয়া যায় তা ঠিক করা হবে বলে জানান কৃষি সচিব।
আরও পড়ুন: শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
বন্যার কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতিতে পড়বে কি না-জানতে চাইলে সচিব বলেন, আগামী মৌসুমে বোরো উৎপাদনে কোনো সমস্যা না হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট হবে না। তাই এখন আমাদের টার্গেট আগামী বোরো মৌসুমে ভালো উৎপাদন করা।
২ মাস আগে
ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক ঋণের টাকায় ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইএমএফ’র কাছ থেকে ৬৯ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০ কোটি ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৯ কোটি ডলার এবং অন্যান্য উৎস থেকে অতিরিক্ত ১৩ কোটি ডলার পাওয়ায় ডিসেম্বরে আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, স্বল্পমেয়াদে এই ঋণের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে রেমিট্যান্স ও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে টেকসই নীতির দিকে সরকারকে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি নমনীয় বিনিময় হারের উপরও জোর দিয়েছিলেন যা অর্থ পাচার এবং বাণিজ্য-ভিত্তিক মূলধন সড়িয়ে নেওয়া রোধে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
১১ মাস আগে
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
১ বছর আগে
ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নিজেদের উৎপাদন শুরু হলে আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজ ও আলু কম দামে পাওয়া যাবে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আমদানি ও বাজার মনিটরিং নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আলু ও ডিম আমদানি করতে হলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। আমরা সেই অনুমতি নিয়ে দুই মাস আগে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি। যদি পেছনের সমর্থন না পাই, তাহলে আমরা অনেক সময় করতে পারি না। সংকট যখন প্রকট হয়ে যায়, তখন তারা মেনে নেন, কিন্তু তখন আবার অনেক দেরি হয়ে যায়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরবরাহ যদি ভালো থাকে, তাহলে সমস্যা হয় না। আবার আলু যদি অতিরিক্ত থেকে যায়, তখন প্রশ্ন করা হয়, কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছেন না, আপনি কী ব্যবস্থা করেছেন? দুইভাবেই সমস্যা। উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেই প্রচারটা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটা হলো আমাদের দেশের উৎপাদন, আরেকটি আমদানি করে আনা হয়। বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন রকম অবস্থা। পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এটা আমরা সবাই বুঝি যে যখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, কৃষক যখন ফসল ঘরে তুলবে। হয়ত আগামী মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজটা বাজারে উঠবে, তখন হয়ত পেঁয়াজের দাম কমবে। আবার আলু যেমন ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজারে উঠতে শুরু করবে, তখন দাম কমবে।
আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ভারতীয় বাজারে ৮০ রুপি প্রতি কেজি পেঁয়াজ, যা আমাদের টাকায় ১০৫ বা ১১০ টাকা করে। পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত ৮০০ ডলার। ওই টাকায় আমরা আমদানি করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ কিংবা ১২৫ টাকা পড়ে যাবে। এজন্য আমাদের নিজেদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করতে হবে।
তিনি বলেন,‘একইভাবে আলু আমাদের যা আছে কোল্ড স্টোরেজগুলোতে, তা প্রয়োজন অনুসারে ভীষণ টাইট অবস্থা। ডিসেম্বরের শেষের দিকে আলু উঠতে শুরু করবে। তখন দাম কিছুটা কমবে। আমদানিও শুরু হয়েছে, বাজারে সেটার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, আমদানিটা ভালোভাবে এলে দাম কিছুটা সাশ্রয় হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে। এরইমধ্যে প্রথম চালান এসেছে।
টিপু মুনশি বলেন,‘যখন মুদ্রাস্ফীতি থাকে, তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। দামের ওপর মূল্যস্ফীতি একটা বড় প্রভাব বিস্তার করে। এখন প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি। সেটার সমাধান করতে না পারলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা অন্য কেউ খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় ধাপে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইএমএফের বেশ কিছু শর্ত ছিল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এসব শর্ত নিয়ে কাজ করেছে, কিছু শর্ত ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। গত বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ৬৮১ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় অংশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে আইএমএফ ডিসেম্বরে তার বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পলিসি রেট ৭৫ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২৫ শতাংশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকটি শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে। এগুলো হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম থাকা এবং রাজস্ব সংগ্রহের ঘাটতি।’
মেজবাউল বলেন, ‘তবে আইএমএফের অনেকগুলো শর্ত পূরণ হয়েছে। ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও তা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে।’
এছাড়া মুদ্রার বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার চালু করা হয়। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ঋণের প্রথম অংশে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
শিগগিরই এসক্রো বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে