মানসিক
রিজভীর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন: ড. হাছান
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রিজভী সাহেবের কথা এত অশালীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত যে, মনে হয় তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা প্রয়োজন। ড্যাব না পারলে স্বাচিপের ডাক্তাররা চেষ্টা করতে পারে।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন এবং দেশ ভিক্ষুকে পূর্ণ এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও 'মানি-লন্ডারিং'য়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই পর্যন্ত এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। আর তার ছোট ভাই অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র কোকোর পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে- এসব ঢাকতেই তাদের এত কথা।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তাদের মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব আবার মঈন খানের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও এসব অবাস্তব কথা বলার আরেক কারণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে লর্ড জেরেমি পারভিসের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র (লর্ডস স্পোকসপার্সন) লর্ড জেরেমি পারভিস।
বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অব্যাহত সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকার জন্য লর্ড জেরেমিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তাদের লর্ডসভা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার বিষয়সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
৭ মাস আগে
মানসিক বিকাশে শিশুর সঙ্গে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা হতে পারে উপকারী
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় শিশুর সঙ্গে মা-বাবা থাকলে যতক্ষণ স্ক্রিন দেখা হচ্ছে তা শিশুর মানসিক বিকাশে উপকারী হতে পারে।
ফ্রান্সের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিস নান্টেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত দুই দশকে প্রকাশিত ৪৭৮টি গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তাদের প্রাপ্ত ফল থেকে জানা যায়, বিশেষ করে অল্পবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে খেলাধুলা, ভাষার উন্নয়ন ও নির্বাহী কার্যকারিতায় টেলিভিশন ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইডি’র মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ড. এজটার সোমোগি বলেন, ‘আমরা শুনতে অভ্যস্ত যে স্ক্রিন একটি শিশুর জন্য খারাপ এবং এক ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখলে তা তাদের বিকাশে গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। যদিও এটি ক্ষতিকর হতে পারে, তবে আমাদের গবেষণা শিশু কতক্ষণ টেলিভিশন দেখছে তার ওপর নয়, বরং কি দেখছে অর্থাৎ মানের ওপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, দুর্বল কাহিনী বিন্যাস, দ্রুতগতির সম্পাদনা ও জটিল উদ্দীপনা শিশুর জন্য তথ্য নেয়ার বা বুঝতে পাড়ার বিষয়কে কঠিন করতে পারে। কিন্তু স্ক্রিনের বিষয়বস্তু শিশুর বয়সের জন্য উপযুক্ত হলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে শিশুকে মিথস্ক্রিয়ায় উৎসাহিত করে সেভাবে উপস্থাপন করলে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার সময় মা-বাবা বা একজন প্রাপ্তবয়স্ক কেউ থাকলে তা শিশুর জন্য আরও উপকারী হতে পারে। কারণ শিশুরা মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে এবং প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারে।
ড. সোমোগি জানান, ‘তাদের (শিশু) মনোভাব বা আচরণে ও মিডিয়ার ব্যবহারে পরিবার যথেষ্ট পার্থক্য তৈরি করে।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই উল্লেখ করেছে, শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশে টেলিভিশন বা স্মার্টফোন দেখার প্রেক্ষাপটের পার্থক্য স্ক্রিন টাইমের শক্তি ও প্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষামূলক কর্মসূচীর সময় তাদের জ্ঞান অর্জনকে শক্তিশালী করা, একটি বিষয় বুঝতে সাহায্য করা এবং শিশুর মনে জাগা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য শিশুর সাথে মা-বাবার টেলিভিশন দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের নিজস্ব ‘আইডল’ প্রচারিত হবে ডিসেম্বরে
মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!
২ বছর আগে
‘মানসিক ও শারীরিকভাবে আনফিট’ সাকিব আপাতত ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন: জালাল ইউনুস
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে প্রস্তুত নন।
বুধবার জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আজ সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তার পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। সাকিব জানান, সে শারীরিক ও মানসিকভাবে আনফিট। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে অনিচ্ছুক।’
তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত সাকিবকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
জালাল ইউনূস আরও বলেন, ‘আমি বোর্ডের সভাপতি, সিইও এবং অন্যান্য বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে তাকে বিশ্রাম দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ সে মানসিক এবং শারীরিক ক্লান্তিতে ভুগছেন। সে এখন সব ধরনের ক্রিকেটের বাইরে থাকবেন।’
আরও পড়ুন: বিসিবি সাকিবের পেছনে ছুটতে পারে না: খালেদ মাহমুদ
তার মানে হলো ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিসন ক্রিকেট লিগে এই অলরাউন্ডার খেলতে পারে। ঢাকায় ৫০ ওভারের এই আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলার কথা রয়েছে সাকিবের।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘সে মিডিয়াকে বলেছে যে সে এখন খেলার জন্য মানসিকভাবে ফিট নয়। এখন আপনি কি এমন কাউকে দিয়ে জোর করে খেলাতে পারবেন যে ফিট না? আমরা তাকে ভাবতে আরও কয়েকদিন সময় নিতে বলেছিলাম। সে আমাদের বলেছে সে খেলতে প্রস্তুত নন।’
বিসিবি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দুটি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। যেখানে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা রয়েছে। সাকিবও এই দলে ছিলেন।
তবে রবিবার সাকিব জানিয়েছেন, মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তির কারণে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থা নেই তার।
একই সময়ে, ৩৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, তিনি লাল বলের ক্রিকেটের পরিবর্তে সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি মনোযোগ দিতে পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়ার্নের জন্য এক মিনিট নীরবতা: বিসিবি
জালাল ইউনুস বলেন, ‘এই বিরতির পর সাকিবকে সব ফরম্যাটেই পাওয়া যাবে কিনা, তা পরিষ্কার নয়। সে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরবেন। এর পরে সে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে বোর্ডের সঙ্গে বসতে চান।’
সাকিব এবারই প্রথম বিদেশ সফর এড়িয়ে যাচ্ছেন না। এর আগে, তিনি ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যাননি। সে নিউজিল্যান্ডে শেষ দুটি সফরও এড়িয়ে গিয়েছেন এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অংশ নেয়ার জন্য সে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি সিরিজ খেলা বাদ দেন।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান বোর্ডের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সম্প্রতি বলেছেন সাকিব, মুশফিকুর (রহিম), তামিম (ইকবাল) এবং মাহমুদুল্লাহ (রিয়াদ) এর মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রা তাদের ক্যারিয়ারের শেষের দিকে। তাই বোর্ডের উচিত নতুন মুখদের পরিচয় করিয়ে দেয়া। যারা দীর্ঘ সময়ের জন্য জাতির সেবা করতে পারবে।
মঙ্গলবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের এ সত্য মেনে নিতে হবে। সাকিব খেলতে না চাইলে বোর্ড তার কেয়ার করে না। আমাদের নতুন খেলোয়াড়দের সামনে আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: টাইগারদের নতুন বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড
২ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ঠাকুরগাঁও সদরে মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে মকছেদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার অভিযুক্ত মকছেদুলকে গ্রেপ্তার করে ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মকছেদুল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কুমারপুর আবদালপাড়া এলাকার মৃত নূরল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ধর্ষণ মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন, স্ত্রীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ৪ জানুয়ারি বিকালে প্রতিবন্ধী ওই যুবতীকে বাসায় একা পেয়ে প্রতিবেশি মকছেদুল ইসলাম ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে তার মা ও প্রতিবেশিরা ছুটে এসে মকছেদুলকে আটক করে থানায় খবর দেয়। এ ঘটনায় বুধবার সকালে মেয়েটির মা থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ: দুই নম্বর আসামি বাবুর ৩ দিনের রিমান্ড
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
করোনা মহামারি থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন কীভাবে?
করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিশুর পাশাপাশি আপনারও সুস্থ থাকা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে শিশুরা করোনার ভয়ানক সংক্রমণের বাইরে থাকলেও এখন ধীরে ধীরে শিশুদের সংক্রমণের হার বাড়ছে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় যে কোনও রোগের বেলাতেই শিশুদের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। একই সাথে অনেক দিন ধরে ঘরে থাকার কারণে মানসিক অবসাদেও ভুগতে পারে আপনার শিশু। তাই করোনা থেকে আপনার শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকা জরুরি।
করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতে আপনার করণীয়
শিশুর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করুন
অন্তত ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া থেকে শুরু করে হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় কনুইয়ে মুখ গুজা এবং মাস্ক ব্যবহার করার মত প্রাথমিক বাধ্যতামুলক স্বাস্থ্যবিধিগুলো খুব সহজ ভাষায় শিশুদেরকে বুঝিয়ে দিতে পারেন। বাইরে থেকে আগত কোনও লোকদের সংস্পর্শ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
পরিবারের কোনও সদস্যের সর্দি, কাশি, জ্বর হলে তাদের কাছে যাওয়া থেকে শিশুদের বিরত রাখুন। এমনকি নিজেরও এরকম কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দূরত্ব বজার রাখুন।
সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে তাদেরকে শিক্ষা দিন। এ সময়ে শিশুদের হালকা সর্দি-কাশি, জ্বর, পেট ব্যথা ইত্যাদি হালকাভাবে নেবেন না। শিশুকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করুন।
আরও পড়ুন: কিভাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে ইংরেজিতে বলা রপ্ত করবেন?
ঘরের সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন
এ সময়ে যেহেতু ঘরের ভেতরেই বেশি থাকা হচ্ছে সেহেতু ঘরের যে জায়গাগুলোতে মানুষের সংস্পর্শ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি সে জায়গাগুলো স্যানিটাইজ করুন। বিশেষত দরজার নব, চেয়ার-টেবিল, বিভিন্ন ফার্নিচারের হাতল, বিছানা এবং অবশ্যই রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন।
শিশুর ব্যবহৃত বালিশের কাভার, বিছানার চাদর সপ্তাহে অন্তত দু’বার বদলে দিন। মাস্কের পাশাপাশি শিশুকে হাতে নিয়মিত একটি পরিষ্কার কাপড় ও একটি ছোট্ট পকেট হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। নিয়মিত পরনের কাপড় ধুয়ে দিন। তাছাড়া হঠাৎ ময়লা হয়ে গেলে সাথে সাথে কাপড় বদলে দিন।
আরও পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
শিশুকে ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহারে উৎসাহ দিন
করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শিশুদের বিভিন্ন ভীড় থেকে বিরত রাখার কারণে তারা ঘরে বন্দি হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাদের সময়গুলোর সদ্ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট একটা উপযুক্ত উপায়। স্কুল বন্ধের সাথে শিশুর পড়াশোনা যেন বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্যে অনলাইন পড়াশোনায় আপনার শিশুকে নিয়ে সময় কাটান।
প্রযুক্তির প্রতিনিয় প্রসারের ফলে পাঠ্যক্রমের প্রতিটি বিষয় এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে অধ্যয়ন করা যায়। অনলাইন পাঠের বড় সুবিধা হলো- এখানে শিশু কোন চাপ অনুভব করবে না বরং নিজেই আনন্দ নিয়ে শিখবে। এছাড়া শুধু পড়াশোনাই নয়, ইন্টারনেট শিশুদের জন্য বিনোদনের এক বিশাল সংগ্রহশালা। এখন ঘরে বসেই অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমগুলোতে একজন খেলোয়ার পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের খেলোয়ারদের সাথে প্রতিযোগীতা করতে পারছে।
এতে করে এই করোনার সময়ে আপনার শিশুকে খেলাধুলার জন্য বাইরে না যেতে জোর করতে হবে না। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার শিশু যেন খারাপ কোনও সাইট বা গেমের প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়ে। এর জন্য ইন্টারনেটের আপত্তিজনক সাইটগুলো ব্লক করে রাখবেন।
এছাড়া ইন্টারনেট আপনার শিশুর মেধা ও মননকে উন্নত করার জন্য এক গতিশীল মাধ্যম যা তার স্বভাবিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন: সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
করোনা সম্পর্কিত গুজবে কান না দিয়ে সঠিক খবর জানুন। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর খবরগুলো নিয়ে নিজেদের ভেতর আলোচনা করার সময় সতর্ক থাকুন। সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়গুলো নিয়ে বেশি কথা বলুন।
কোথায় কোথায় কত মানুষ সংক্রমণ থেকে কত দ্রুত সেড়ে উঠেছে তা নিয়ে আলাপ করুন। এতে শিশুদের মনে ভীতির সঞ্চার ঘটবে না। শিশুরা প্রায় সব সময়ই বড়দের অনুকরণ করার চেষ্টা করে।
তাই নিজেরা করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাদের সামনে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করুন। আপনি যেভাবে আপনার শিশুকে সতর্ক করছেন খেয়াল ঠিক সেভাবেই ও আপনাকে অথবা অন্যদের সতর্ক করছে কিনা। এভাবে ব্যাপারটাকে খেলার ছলে শিক্ষা দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: বর্ষায় পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন
শেষ কথা
সর্বোপরি করোনাকালীন শিশুর নিরাপত্তা রক্ষার্থে দেহ ও মন, দুটোকেই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। শিশুদের শরীরের জন্য প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার দেয়া আর মনকে ঠিক রাখতে করোনার সংক্রমণের তথ্যগুলো ইতিবাচক ভাবে সরবরাহ করুন।
৩ বছর আগে