লঙ্ঘন
১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির অগ্রগতি এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
দলটি এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে ৫ আগস্টের আগে ও পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্তের আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: জর্জিয়ার 'বিদেশি প্রভাব' আইন নিয়ে ভলকার তুর্কের গভীর দুঃখ প্রকাশ
এ বিষয়ে উদ্যোগ চেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে চিঠি দিয়েছে আইসিএসএফ।
এতে বলা হয়, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের অভিপ্রায় বিবেচনায় আমরা মনে করি তদন্তে ৫ আগস্টের আগে এবং পরের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা উচিত। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জানতে পেরেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল চান জাতিসংঘ শুধু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনাবলী দেখুক।’
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আটক ও আহত হওয়া ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত) একটি দল বাংলাদেশে এসেছে।
দলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে দলটি বৈঠকগুলোতে আলোচনা করেছে।
শামদাসানি বলেন, বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে- যার মধ্যে নাগরিক সুযোগ, সত্যের প্রয়োজনীয়তা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, ক্ষতিপূরণ ও সমঝোতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার অন্যান্য মানবাধিকারের পন্থাসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলো রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা টেকসই সহায়তা সরবরাহ করতে পারে।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
৩ মাস আগে
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অংক বাড়ানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
মালিকপক্ষ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই সাজা হিসেবে জরিমানা ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইএলও’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মালিকদের জরিমানা বাড়াতে আইএলওর পরামর্শ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে, এখানে মালিকদের সাজা বাড়ানোর কথা ঠিক না।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব সংকটে থাকলে আবোল-তাবোল বলে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিষয়টা হচ্ছে, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে সেখানে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ছিলো। সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে, তবে সেটা সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করে, মালিক, শ্রমিক এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হবে।
শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দর কষাকষির প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো দর কষাকষির মধ্যে নেই। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) হচ্ছে সারা বিশ্বের একটি সংগঠন। এখানে সব সময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সে বিষয়ে সব সময় তাদের বক্তব্য থাকে। তাদের সঙ্গে আমরা আজকে বসেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমরা এখন শ্রম আইন সংশোধন করছি। এটা সংশোধিত হয়েছিল গত সংসদে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে যায়, সেখানে পৌঁছানোর পরে দেখা যায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল, যে জন্য এটা আবার ফেরত আনা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন বিশ্বের প্রাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। সেখানে আইএলওর একটি অংশগ্রহণ থাকে। আপনারা এও জানেন যে, আইএলওয়ের যে গর্ভনিং বডিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কিছু দেশ নালিশ করেছিল ২০১৯ সালে।
তারপর আমরা বহুবার আইএলওয়ের গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে বলেছি, আমাদের শ্রমিকদের শুধু অধিকার রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটাকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণভাবে সংশোধন না করছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্টেকহোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে শোনাব।
তিনি বলেন, আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৭ মে আইএলওর পরামর্শ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটিতে উপস্থাপন করবে। ১২ মের সভায় শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলওয়ের বক্তব্য বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখব।
আইএলওয়ের পরামর্শ সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে ৩০ হাজারের অধিক শ্রম আছে যেসব কারখানায় সেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন বা সংগঠন করতে হলে ২০ শতাংশ সমর্থনের প্রয়োজন হতো। এখন সেটা কমিয়ে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা তাদের মেনে নিয়েছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানে সংঘ কিছু সার্বিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে সেটা করা হবে।
আইএলও তো ১০ শতাংশ থ্রেসোলের কথা বলেছিল সেটার কী হলো এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে কোনো কথা হয়নি। তারা ১৫ শতাংশেই রাজি হয়েছেন। কারণ আমি অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবে বলেছি এখন ১৫ শতাংশ হবে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী
৭ মাস আগে
দুঃখ প্রকাশ করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জবাব দিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জ -৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে লিখিত জবাব দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাশরাফির সমর্থকদের জরিমানা
এতে তিনি বলেন, গত ২ জানুয়ারি বিকালে চুনারুঘাট উপজেলা সদরে মধ্যবাজারে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তার জনসভা ছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের এবং নৌকা পাগল জনগণের বিপুল উপস্থিতির কারণে যানবাহন ও জনগণের চলাচলে কোনো প্রকার অসুবিধা হয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
লিখিত জবাবে ভবিষ্যতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার নিশ্চয়তা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ জবাব পাঠান। সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শরীফ মো. রুবেল প্রতিমন্ত্রীর জবাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
১১ মাস আগে
চট্টগ্রাম-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী 'স্বাস্থ্য কর্মকর্তা'
সরকারি চাকরিজীবী হয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. সালাউদ্দিন নামে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
উপজেলার ৫ নম্বর বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী তিনি। মাঠ পর্যায়ে শিশুদের টিকা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এই সরকারি কর্মচারী। এরই মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি।
নির্বাচনী হলফনামায় ১ শতাংশ ভোটারের তালিকা জমায় ত্রুটির কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে পরে উচ্চ আদালতের রায়ে ফিরে পান তিনি।
সোমবার (২৫) থেকে নির্বাচনী প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেন নি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত চিঠি দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পুলিশ সদস্য ছিলেন মো. সালাউদ্দিন। ২০১০ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। এরপর ২০১১ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়েই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্রে তিনি নিজেকে ফার্মেসি ব্যবসায়ী উল্লেখ করে কাগজপত্র দাখিল করলেও পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেওয়া এবং স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকার কথা গোপন করেছেন। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইকালে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংগ্রহে ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেখানেও প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এরপর উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান সালাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন তার হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রাম–৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
বিষয়টি জানার পর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের পাশাপাশি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম রফিকুল ইসলামকে জানান।
ইতোমধ্যে সালাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তার উত্তর না দিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। যে কারণে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতিও নেননি। তাছাড়া নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বেও তার নাম দেওয়া হয়েছে। তাই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। চিঠিতে তিনি সরকারি এ কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
সরকারি চাকরিতে থাকাবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
এ ছাড়া ১১ নভেম্বর ও ১৮ ডিসেম্বর সালাউদ্দিনকে পরপর দু’টি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ। কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। কিন্তু তিনি নোটিশের সুনির্দিষ্ট কোনো জবাবও দেননি।
সর্বশেষ রবিবার তাকে তৃতীয়বারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরপর ৩ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও জবাব না দেওয়ার পাশাপাশি এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সালাউদ্দিন।
সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিধি পরিপন্থীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন), চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ডের ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যে লিখিত অভিযোগ করেছেন সেটির অনুলিপি এখনো তার হাতে পৌঁছায়নি। অভিযোগ হাতে পেলে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে তিনি লিখিতভাবে জানাবেন।
সরকারি চাকরিতে থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মো. সালাউদ্দিন বলেন,তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে রকেট প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার থেকে জনসংযোগও শুরু করেছেন। তবে সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
১১ মাস আগে
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই বেশি বেশি মানবাধিকারের কথা বলে, নানা প্রেসক্রিপশন দেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এখন দেখা যাচ্ছে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা মানবাধিকার নিয়ে বেশি কথা বলা শুরু করেছে। দেশে আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে, তারা আবার প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলে। এটিই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও সিজেএফডি’র সাবেক দুই প্রয়াত সভাপতি এম ওয়াহিদ উল্লাহ এবং শীলব্রত বড়ুয়ার স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও চরম মানবাধিকার অধিকার হরণকারীদের পক্ষে যারা অবস্থান নেয়, তারা এখন মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই হচ্ছে পৃথিবী ও মানবসভ্যতার জন্য দুর্ভাগ্য বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশকে অপরাজনীতির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে। সাংবাদিক সমাজ সেই ক্ষেত্রে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, আজকের প্রেক্ষাপটেও পালন করবে।
প্রয়াত সাংবাদিক এম ওয়াহিদ উল্লাহ ও শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিক সমাজের উজ্জ্বল মুখ ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা গণমাধ্যমের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। সাংবাদিক হিসেবে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগতভাবে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের কাজ করে গেছেন।
একটি রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য ভালো সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় রাষ্ট্র পথ হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারাও অনেক সময় পথ হারিয়ে ফেলে, রাষ্ট্র যাতে সঠিকখাতে প্রবাহিত হয় এবং যারা দায়িত্বে থাকেন তারা যাতে খেই হারিয়ে না ফেলে সেক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকে যারা সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা ভালো সাংবাদিক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে এই পেশা ও গণমাধ্যমে অনেক চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে অনেকের গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা, ভুঁইফোড় অনলাইনের সাংবাদিক, মোবাইল সাংবাদিক -এ ধরনের নানা বিষয় আজকে যুক্ত হয়েছে। এতে করে দেখা যাচ্ছে যে, আসলে কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক নয় এই পার্থক্যের সীমারেখাটা জনগণ টানতে পারে না। এ জন্য এখানে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
ফেনী-১ (ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে ফেনী জেলা সিনিয়র সহকারী জজ ও ওই আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন এ শোকজের আদেশ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ১৬ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
আদেশে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে কমিটির কাছে ব্যখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর ১২ ধারা অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা দল মনোনীত ব্যক্তি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
এছাড়া ৬ (গ) ধারায় কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা দল মনোনীত ব্যক্তি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে সভা করতে চাইলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির ব্যাখ্যা তলবের বিষয়ে ফেনী-১ আসনের নৌকা প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে বারবার চেষ্টা করেও মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম নিষ্পত্তি করতে প্রতিটি আসনে একজন বিচারককে প্রধান করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখভাল করছেন। শোকজের কপি এখন পর্যন্ত আমার হাতে পৌঁছেনি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগে এমপি মোস্তাফিজুরকে শোকজ
যশোর বোর্ডে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, শোকজের সিদ্ধান্ত
১ বছর আগে
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না, কারণ তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, এখনও করছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আহমেদ ফিরোজ গ্রন্থিত ‘সোহরাওয়ার্দী’- গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
গ্রন্থকার, তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম এবং মো. আবদুল জলিল মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নামের মিল থাকায় মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বলেছে আমি সেই ব্যক্তি নই, আমি সেই ব্যক্তি নই; কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনও ঘটেছে, ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে রায় হয়েছে। অল দিজ আর ডকুমেন্টেড।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন যিনি, তিনি এখন কানাডায় থাকেন। তিনি নিজে বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ডের ফাইলগুলো জিয়াউর রহমান সকালবেলা নাস্তার সময় সই করতেন। বিদেশ যাত্রাকালে প্লেনে ওঠার আগে সিঁড়িতেও মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন। এভাবে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাদের গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ দুইজন অজ্ঞাত পরিচয় নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছিল। সেই হামলার পর বিচার বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট ছিল গাঁজাখুরী। আর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার সংসদ সদস্যদের হাস্যরস, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের উপর হামলা পরিচালনা করা। তারা তাদের সন্ত্রাসীদের নামিয়েছে, নেশাখোরদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে দিনমজুরকে সারাদিনের ৮০০-১০০০ টাকা মজুরির জায়গায় ২০০০ টাকা ধরে দিয়ে বলে এটা মেরে দিয়ে আসো। এগুলো দুষ্কৃতিকারীদের কাজ। বিএনপি-জামায়াত এ দুটি সংগঠন এখন দুষ্কৃতিকারী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা দুষ্কৃতিকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’
আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আমাদের কাছে শরিকদের সবসময় গুরুত্ব আছে, সেজন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা ও সমর্থন আছে। কিন্তু শরিকদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছে সেজন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
১ বছর আগে
সংসদ সদস্য নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, আপনি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসন- ২৯২, চট্টগ্রাম ১৫ এ আওয়ামী লীগ মনোনীত এ নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী। আপনার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব এ মর্মে অভিযোগ করেছেন যে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে দেওদিঘী বাজারে আপনার কর্মী আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন তার সমর্থকদের গাড়িসহ আটক করে দীর্ঘসময় তাদের আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৪টায় আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাওয়ার সময় সাতকানিয়া কেরাণীহাটে আপনার লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গী ও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে শাসাতে থাকে। তারা আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমনাত্মক আচরণ করেছে। তারা স্লোগান ও বক্তৃতায় আব্দুল মোতালেবের ভবিষ্যতে ক্ষয়ক্ষতি করবে মর্মে আস্ফালন করেছে।
তদুপরি, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আপনি সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এমতাবস্থায় উপরোল্লোখিত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তা শনিবারের (২ ডিসেম্বর) মধ্যে ব্যাখা করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জানা গেছে সংসদ সদস্য নদভী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে শনিবার বিকালে তার বক্তব্য জমা দেন।
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপির বক্তব্য জানতে মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তার ছবি পোড়ানো হয়েছে।
ঝাড়ু মিছিল ও ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পেছনে সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর অনুসারীরা রয়েছেন বলে সাংবাদিকদের দাবি করেছিলেন এম এ মোতালেব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়ের দায়ের কোপে প্রাণ গেল বাবার!
চট্টগ্রামে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ
১ বছর আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতে নিক্সন চৌধুরীর হাজিরা
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় ফরিদপুর আদালতে নির্বাচন তদন্ত কমিটির সভাপতি ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন চৌধুরীর কার্যালয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে হাজির হন।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জনপ্রতিনিধি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কাউকে আমন্ত্রণ করিনি। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে আমি নিজেও জানি না। রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে পাঁচজনের বেশি ঢুকতে দিইনি। আমার মতো জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের নেতার মনোনয়ন জমা দেওয়া দেখতে এসেছেন।’
কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার চালাব। দেশের সব জায়গায় বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়েছিল, কিন্তু আমিসহ কয়েকজনকে তিরস্কার করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
তিনি আরও বলেন, ‘এটা ভালো যে অন্য প্রার্থীরা এখন আরও সতর্ক হবেন। আমিসহ সবাই আগামীতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলব। সরকার যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, তাই আমরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদেরও একই কাজ করার নির্দেশ দেব। গণমাধ্যম আমার ও সাকিব সম্পর্কে বেশি লেখালেখি করেছে, তাই আমরা এই নোটিশ পেয়েছি।’
নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও ২০০টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে হুট খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ রয়েছে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং জনসাধারণের অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুর ৪-এর নির্বাচন তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, তিনি রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণবিধির ধারা ৮(এ) এবং ৩৮(বি), ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল যোগ দিয়েছে
হোম রাজনীতি নির্বাচন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭৪১টি মনোনয়ন ফরম জমা
১ বছর আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
মাগুরার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জবাব দিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়েছেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে কমিটি প্রধান মাগুরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের খাস কামরায় হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
সাকিব আল হাসানের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম পরে বলেন, ‘২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় জমা হয় তার ভক্ত ও উৎসুক জনতা।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বিচার চলবে
তিনি বলেন, ‘সেখানে ভক্ত ও সাধারণ জনতা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি ডাকেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নোটিশের জবাবে এসব কথা উল্লেখ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।’
বৃহস্পতিবারের ওই নোটিশে বলা হয়েছিল, আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন।
তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। যা গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হয়েছে।
এটির মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৬(ঘ), ৮(ক), ১০(ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় অত্র কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য আপনাকে বলা হলো।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবিরোধী ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মারলন স্যামুয়েলস ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
১ বছর আগে