কোপা আমেরিকা
কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে গেল কানাডা। পার্থক্য হয়ে থাকলেন সেই লিওনেল মেসি। ফলে প্রথমবার কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই সেমিফাইনালে ওঠার পর থামল কানাডার স্বপ্নযাত্রা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে সর্বশেষ আট আসরের ৬টিতেই ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন দলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন হুলিয়ান আলভারেস। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো রদ্রিগো দে পলের থ্রু বল ধরে এগিয়ে যান আলভারেস। এরপর প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
এটি চলতি কোপার আসরে দ্বিতীয় এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি আসরে তার নবম গোল।
আরও পড়ুন: হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিওনেল মেসি। ৫১তম মিনিটে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সামনে থাকা এসনো ফের্নান্দেসকে তা দিয়ে ফেলেন কানাডার একজন ডিফেন্ডার। তিনি জোরালো শট নিলে গোলমুখে থাকা মেসির আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে যায়।
এই গোলের মাধ্যমে কোপার চলতি আসরে গোলখরা ঘোচালেন মেসি। এটি আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ১০৯তম গোল। শুধু তাই নয়, এই গোলের মাধ্যমে কোপা আমেরিকার ছয় আসরে গোল করলেন তিনি।
তবে এদিন গোল খেলেও কোনোভাবে দমিয়ে যায়নি কানাডা। গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে জেসি মার্শের শিষ্যরা। কিন্তু কোনোভাবে আর্জেন্টিনার ডেডলক ভাঙতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচজয়ীদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
৪ মাস আগে
হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
উরুগুয়ের কাছে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র দলের আরও উন্নতি করার জায়গা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার দল পূর্ণ মনোযোগ দেবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন দিকে উন্নতি করার কাজ চলছে।
শনিবার সকালে শেষের ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ব্রাজিলকে আটকে রাখে উরুগুয়ে। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ম্যাচটি জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
শুধু এই ম্যাচটি নয়, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে শুধু প্যারাগুয়েকে পরাজিত করে তারা। এছাড়া বাকি দুই ম্যাচ ড্র করে নকআউট পর্বে উঠলেও উরুগুয়ের বিপক্ষেও নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে ব্রাজিলের বিদায়, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে
দলের এই বাজে পারফরম্যান্সের পুরোটা দায় নিজের কাঁধে নিয়ে দরিভাল বলেন, ‘বর্তমানে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ সংষ্কার ও পুনর্নিমাণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই দলটিকে আমি মাত্র আট ম্যাচে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছি। আর এই (সংস্কার) প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আমাদের এখন যেতে হবে।’
‘আমাদের সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা সচেতন। তবে (নকআউট পর্বে) হারের বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ছিল। আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে হয়নি।’
‘কিন্তু আমি আবারও বলছি, আমাদের উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে, আর এগুলো ভেতর দিয়ে চলেই আমাদের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা (কনমেবল বাছাইয়ে) ষষ্ঠ অবস্থানে, এ নিয়ে আমরা মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না।’
আরও পড়ুন: পেনাল্টিতে সাফল্যের রহস্য জানালেন দিবু মার্তিনেস
এসময় উরুগুয়ে কোচের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তিনি (বিয়েলসা) যেভাবে নিজের দর্শন দিয়ে দলটিকে প্রভাবিত করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার।’
‘আমি মনে করি, এই উরুগুয়ে দলের একটি নির্দিষ্ট (খেলার) প্যাটার্ন আছে, খুব দারুণ একটি প্যাটার্ন। তারা বেশ কিছুদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। শুরুতে তাদেরও কিছু সমস্যা ছিল, তবে সেগুলো তারা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। এখন তারা দারুণ ফল অর্জন করছে।’
‘আমরাও এ ধরনের অর্জন করব, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে নিজেদের (ভুলগুলো) শুধরে নিতে আমাদের কিছুটা সময় দরকার।’
তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। তবে আমি মনে করি, আমরা প্রচুর ভুল সংশোধনও করেছি। তবে যেটুকু সময় আমরা পেয়েছি, তার মধ্যে এত দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে ওঠা আমাদের জন্য কঠিন। তবে ভবিষ্যতে আশা করি, আরও সময় পাব।’
৪ মাস আগে
টাইব্রেকারে হেরে ব্রাজিলের বিদায়, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে
এলোমেলো ফুটবলে গতবারের ফাইনালিস্ট ব্রাজিলকে যেন চেনাই গেল না! ম্যাচজুড়ে উরুগুয়েকে গোল করতে না দিলেও টাইব্রেকারে গিয়ে হারল তারা। এর ফলে সেলেসাউদের কাঁদিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠে গেল মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আলেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচটি টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে উরুগুয়ে।
নির্ধারিত সময়ের শেষের প্রায় ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ব্রাজিলকে আটকে রাখে উরুগুয়ে। তবে নিজেরাও গোল করতে না পারায় গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। এরপর কোপার নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যায় ম্যাচ।
টাইব্রেকারে ব্রাজিলের প্রথম শটটিই ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সের্হিও রচেত। এরপর দগলাস লুইসের তৃতীয় শটটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অপরদিকে, উরুগুয়ের হোসে মারিয়া হিমেনেসের চতুর্থ শটটি ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন বেকার ঠেকিয়ে দিলেও ফেদেরিকো ভালভার্দে, রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুর, জর্জিয়ান দে আরাসকায়েতা ও মানুয়েল উগার্তে পান জালের দেখা। ফলে ৪-২ ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন আরাউহো-ভালভার্দেরা।
এদিন বল দখলের লড়াইয়ে আধিপত্য (৬০ শতাংশ) বিস্তার করলেও গোলের সুযোগ তৈরিতে বেশ পিছিয়ে ছিল দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। উরুগুয়ের ১১টি শটের বিপরীতে তাদের শট ছিল ৭টি। এরমধ্যে অবশ্য ব্রাজিলের তিনটি শট লক্ষ্যে থাকলেও উরুগুয়ের ছিল মাত্র একটি।
তবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের বৈশিষ্ট্য বজায় ম্যাচে মোট ৪১টি ফাউল করেছে দুইদল, যার মধ্যে উরুগুয়ের ২৬টি।
আরও পড়ুন: মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল নান্দনিক ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। অন্যদিকে, শুরু থেকেই সেলেসাউদের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা শুরু করে উরুগুয়ে। তবে বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় তারা সফল না হলে পরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে ব্রাজিল।
ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে বাঁ পাশে ফ্রি কিক থেকে রাফিনিয়ার নেওয়া শট রক্ষণ দেওয়ালে লেগে বাইরে চলে যায়। এর পাঁচ মিনিট পরই কর্নার থেকে পাওয়া বলে দূরপাল্লার জোরালো শট নেন ফাকুন্দো পেলিস্ত্রি। তবে মার্কিনিয়োসের মাথায় লেগে তা গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
খেলার আধঘণ্টা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। তবে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়েও শট না নিয়ে রাফিনিয়ার উদ্দেশ্যে বল বাড়ান এন্দ্রিক। আর সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন উরুগুয়ের এক ডিফেন্ডার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দুঃসংবাদ পায় উরুগুয়ে। চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উরুগুয়ের বার্সেলোনা ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহো। চিকিৎসা নিয়ে মাঠে ফিরলেও খেলা আর চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। এরপর তার বদলি হিসেবে দলটির রক্ষণ সামলাতে নামেন আতলেতিকো মাদ্রিদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া হিমেনেস।
খেলা ফের শুরু হওয়ার পরপরই গোলের সুযোগ তৈরি করে উরুগুয়ে। তবে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে সতীর্থের পাওয়া ক্রসটি গোলের বাইয়ে দিয়ে হেড দেন দারউইন নুনিয়েস।
পরের মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এরপর তার ডান পায়ের জোরালো শট বাঁ দিয়ে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রাফিনিয়ার আরও একটি শট থামান রচেত। দুই দল মিলিয়ে এই দুটি শটই প্রথমার্ধে লক্ষ্যে ছিল।
৪ মাস আগে
মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলল দুর্বল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ম্যাচে ফিরে আরও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে একুয়েডর। এরপর ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে প্রথম শটটিই মিস করেন লিওনেল মেসি। তবে ফের গোলরক্ষক দিবু মার্তিনেসের বীরত্বে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার সকালে একুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া পর তা পেনাল্টিতে গড়ায়। এরপর শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচজুড়ে দুই দলের আক্রমণেই তেমন ধার খুঁজে পাওয়া যায়নি। বল দখলের লড়াইয়েও দুদল ছিল সমানে সমান (৫১/৪৯)। গোলের জন্য আর্জেন্টিনার আটটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে ৯টি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে একুয়েডর।
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
শঙ্কা কাটিয়ে মেসির ফেরার দিনে ফাউল করে একুয়েডর ম্যাচ শুরু করার পর দুই দলই সাবধানে খেলা শুরু করে। আক্রমণ বারবার দিক পরিবর্তন করার পর ১৫তম মিনিটে প্রথম শট নেয় একুয়েডর।
মইজেজ কাইসেদোর বাড়ানো পাস বাঁ পাশ থেকে ৬ গজ বক্সের মধ্যে ধরে শট নেন ইয়েরেমি সারমিয়েন্তো। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো (দিবু) মার্তিনেস তা ঠেকিয়ে দেন। পরমুহূর্তে বক্সের ভেতর থেকে কেন্দ্রি পায়েসের শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা এড়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
পরের মিনিটে একুয়েডরের আরও একটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে এই তিনটি শটই নেন ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা।
এরপর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। নাহুয়েল মলিনার ক্রস থেকে হেডারে গোল আদায়ের চেষ্টা করেন ডি বক্সের মাঝমাঝি থাকা এনসো ফের্নান্দেস। তবে তা ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এরপর ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ৩৪তম মিনিটে মেসির বাড়ানো পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন এনসো, কিন্তু তার শটটি রক্ষণে প্রতিহত হলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে দূরের পোস্টের দিকে বল ঠেলে দেন আলেক্সিস মাক আলেস্তার। এরপর বাঁ পাশে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থাকা লিসান্দ্রো মার্তিনেস লাফিয়ে উঠে বল জালিয়ে জড়িয়ে দেন।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটিই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। আর চলতি কোপার আসরে প্রথমার্ধে এই প্রথম গোল পেল আর্জেন্টিনা।
এরপর কোনো পাশে আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে না পেরে বিরতিতে যায় দুই দল।
৪ মাস আগে
কোয়ার্টার ফাইনালেও অনিশ্চিত মেসি
উরুতে চোট পাওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। শঙ্কা এড়াতে পেরুর বিপক্ষে ওই ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। তবে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হতে চলা কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচেও তাকে পাওয়া নিয়ে জেগেছে অনিশ্চয়তা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় ‘বি’ গ্রুপের রানার্স-আপ একুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে ‘এ’ গ্রুপসেরা আর্জেন্টিনা।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে চোট পান আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে চিলির ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল সুয়াসোর সঙ্গে বল দখলের চ্যালেঞ্জে গিয়ে ডান পায়ের উরুতে টান লাগে মেসির। এরপর ম্যাচ চলাকালেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। অবশ্য ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে মেসি অনুশীলন করলেও কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছেন, ‘(মেসির ব্যাপারে) আমরা আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তার কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
‘তাকে খেলানোর চেষ্টাই করব, কিন্তু যদি তা না হয়ে ওঠে, তাহলে সেরা বিকল্প খুঁজে বের করা হবে। তার সঙ্গে কথা বলার আগে সে আরও খানিকটা অনুশীলন করুক, নিজেই বুঝুক- এটাই আমি ঠিক বলে মনে করি।’
একুয়েডরকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্কালোনি বলেন, ‘একুয়েডরে একজন ভালোর কোচের তত্বাবধায়নে ভালো ভালো সব খেলোয়াড় রয়েছে। এবারের আসরে তারা অন্যতম সেরা দল। শিরোপার লড়াইয়েই যে (আগামীকাল) তারা মাঠে নামবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এবারের কোপা আমেরিকা আসরে পরিষ্কার ভেবারিট বলে কোনো দল নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘যে কেউ ফাইনালে উঠতে পারে। কলম্বিয়া-ব্রাজিল ম্যাচটির কথাই ধরুন, সেটি খুব উঁচু মানের একটি ম্যাচ ছিল। উরুগুয়েও খুব ভালো করছে। তাই যে কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
৪ মাস আগে
কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করে কোপা আমেরিকায় শেষ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। এর ফলে নকআউট পর্বে চূড়ান্ত হয়েছে সেরা আট দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ছাড়াও এবারের কোপা আমেরিকার শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে কানাডা, ভেনেজুয়েলা, একুয়েডর, উরুগুয়ে, পানামা, কলম্বিয়া ও ব্রাজিল।
টানা তিন জয়ে ‘এ’ গ্রুপসেরা হয়ে নকআউট পর্বে ওঠা আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে একুয়েডরের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
আরও পড়ুন: ইউরোর শেষ আট চূড়ান্ত, কবে কে কার মুখোমুখি
পরদিন ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে অভিষেক আসরেই গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে আসা কানাডা। এ ম্যাচটিও শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়।
এরপর রবিবার কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি ম্যাচদুটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমটিতে অতিথি দল পানামার বিপক্ষে মাঠে নামবে টানা ২৬ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়া। ভোর ৪টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
পরে সকাল ৭টায় সেমিফাইনালে ওঠার শেষ লড়াইয়ে মাঠে নামবে লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তি উরুগুয়ে ও ব্রাজিল।
গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বে উঠেছে উরুগুয়ে। অন্যদিকে, এক জয় ও দুই ড্রয়ে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্স-আপ হয় ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
৪ মাস আগে
তৃতীয় ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা কোচের শাস্তি
দল নিয়ে বারবার দেরি করে মাঠে আসায় শাস্তি পেয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর ফলে রবিবার সকালে পেরুর বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ডাগআউটে দেখা যাবে না তাকে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কনবেমবল জানিয়েছে, কোপা আমেরিকার প্রথম দুই ম্যাচেই বিরতির পর দেরি করে দল নিয়ে (মাঠে) ফেরার কারণে লিওনেল স্কালোনিকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এমনকি, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
চিলির কোচ রিকার্দো গারেসাও একই কারণে শাস্তি পেয়েছেন। একই দিন ও সময়ে কানাডার বিপক্ষে কোয়ার্টারে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চিলি।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
এ বিষয়ে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল বলেন, ‘এ বিষয়ে কোচ স্কালোনি কিছুটা হতাশ। গত ছয় বছরে এ ধরনের শাস্তির মুখে আমরা কখনোই পড়িনি। তিনি (স্কালোনি) দলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বিষয়টি খানিকটা অস্বাভাবিক।’
কোপা আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের বিরতির পর সঠিক সময়ে অবশ্যই মাঠে থাকতে হবে। একবার এ ভুল ক্ষমা করা হলেও দ্বিতীয়বার এর জন্য শাস্তির বিধান রেখেছে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।
গত ২১ জুন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হারের পর বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলে কানাডা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও একই ভুল করে বসে আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে তৃতীয় ম্যাচে জয় প্রয়োজন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকা পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কালোনির শিষ্যরা। একই সময় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চিলি ও কানাডা।
আরও পড়ুন: প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে কানাডা। অন্যদিকে, এক ড্রয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চিলি। ফলে ড্র করতে পারলেও কোয়ার্টারের টিকিট পাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে কানাডার জন্য। আর শেষ আট নিশ্চিত করতে জয়ের বিকল্প নেই চিলির।
শেষ আটে খেলার স্বপ্ন অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি পেরুরও। আর্জেন্টিনাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নকআউট পর্বে উঠে যেতে পারে তারাও।
৪ মাস আগে
ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
পায়ের উরুতে চোট পাওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে চোট পান আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার ওই ম্যাচটি ১-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে চিলির ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল সুয়াসোর সঙ্গে বল দখলের চ্যালেঞ্জে গিয়ে ডান পায়ের উরুতে টান লাগে মেসির। এরপর ম্যাচ চলাকালেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। অবশ্য ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
তবে শুক্রবার আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল জানিয়েছেন, মেসির ইনজুরির বিষয়টি প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
‘তার অনুপস্থিতি শুধু আমাদের জন্যই নয়, সর্বোপরি ফুটবলের জন্যই বিরাট বড় ধাক্কা।’
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
গত মৌসুমে মেজর সকার লিগে (এমএলএস) যোগদানের পর থেকেই ইনজুরি ভোগাচ্ছে লিওনেল মেসিকে। তবে ঠাসা সূচির মধ্যেও তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখেন মায়ামি কোচ তাতা মার্তিনো।
পায়ের চোটে প্রথম মৌসুমের ইন্টার মায়ামির ছয়টি ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। এছাড়া পরের মৌসুমের শুরুতে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ার কারণেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে ডাগআউটে বসে থাকতে হয় তাকে।
কোপা আমেরিকায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে তৃতীয় ম্যাচে জয় প্রয়োজন আর্জেন্টিনার। দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকা পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কালোনির শিষ্যরা। একই সময় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চিলি ও কানাডা।
আরও পড়ুন: প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে কানাডা। অন্যদিকে, এক ড্রয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চিলি। ফলে ড্র করতে পারলেও কোয়ার্টারের টিকিট পাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে কানাডার জন্য। আর শেষ আট নিশ্চিত করতে জয়ের বিকল্প নেই চিলির।
শেষ আটে খেলার স্বপ্ন অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি পেরুরও। আর্জেন্টিনাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নকআউট পর্বে উঠে যেতে পারে তারাও।
আরও পড়ুন: ইউরোর শেষ ষোলো চূড়ান্ত, কে কবে কার মুখোমুখি
৪ মাস আগে
প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
কোপা আমেরিকার চলতি আসরের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি ব্রাজিলের। কোস্টারিকার সঙ্গে ড্র করে নকআউট পর্বে ওঠা নিয়ে ভক্তদের মনে জাগিয়েছিল শঙ্কা। মূলত, ড্রয়ের কারণে নয়, ম্যাচে দলটির খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সই ছিল হতাশা জাগানিয়া। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে সে আশঙ্কা কাটিয়েছে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।
লাস ভেগাসের অ্যালেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ভিনিসিউসের জোড়া গোলের ম্যাচে স্যাভিনিয়ো এবং লুকাস পাকেতা বাকি গোল দুটি করেন।
স্কোরলাইন দেখে ম্যাচটি একপেশে মনে হলেও মাঠের খেলায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্যারাগুয়ে। ব্রাজিলের পায়ে ৫৪ শতাংশ সময় বল থাকলেও ৪৬ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখতে সক্ষম ছিল দলটি। এছাড়া পুরো ম্যাচে ব্রাজিল গোলের জন্য শট নেয় ১৭টি, যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, প্যারাগুয়ের ১৫টি শট থেকেও ৬টি লক্ষ্যে ছিল।
দুই অর্ধে দুটি পেনাল্টিতে ব্রাজিলের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে গেলেও তার একটি থেকে গোল আদায় করতে পারে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৩১তম মিনিটে পাওয়া প্রথম স্পট কিক থেকে গোল আদায় করতে না পেরে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন লুকাস পাকেতা। গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে গিয়ে তার শটটি গোলপোস্টেরই বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে এর চার মিনিট পরই দর্শকদের আনন্দে ভাসান ভিনিসিউস। ডি বক্সের ভেতর পাকেতার বাড়ানো বল থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
আরও পড়ুন: লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
এরপর প্রথমার্ধের খেলা দুই মিনিট বাকি থাকতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্যাভিনিয়ো। ব্রুনো গিমেরায়েসের শট গোলরক্ষকক ফিরিয়ে দিলে বল প্যারাগুয়ের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় স্যাভিনিয়োর কাছে। এরপর বল জালে জড়াতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি আসন্ন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়া জিরোনার এই ফরোয়ার্ডের।
এরপর মাঠের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিবাদে জড়ান ভিনিসিউস। তাকে ধাক্কা মেরে ফেলেও দেওয়া হয়। তবে বিরতির ঠিক আগেই অতিরিক্ত সময়ে গোল করে এর জবাব দেন তিনি। ফলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল।
৪ মাস আগে
লাউতারোর গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনাকে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত আটকে রেখেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেল চিলি। দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডেডলক ভেঙে দলকে জয় এনে দিলেন সুপার সাব লাউতারো মার্তিনেস।
জর্জিয়ার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও চিলি। লাউতারো মার্তিনেসের ৮৮তম মিনিটের গোলে ১-০ গোলে ম্যাচটি জিতেছে আর্জেন্টিনা।
এই জয়ে প্রথম দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্টে সবার আগে শেষ আট নিশ্চিত করেছে মেসি অ্যান্ড কোং। গ্রুপের বাকি ম্যাচটি তারা খেলবে ৩০ জুন। ওইদিন সকাল ৬টায় পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
ম্যাচে মোট ২২টি শট নেয় আর্জেন্টিনা, এর মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, মাত্র তিনটি শট নিয়ে তিনটিই লক্ষ্যে রাখে চিলি। এই তিন শটের প্রতিটিই ছিল বিপজ্জনক।
৪ মাস আগে