খামার
চট্টগ্রামে খামারে আগুন লেগে ১১ গরুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় বৈলতলী বুড়ির দোকান এলাকায় একটি খামারে আগুন লেগে ১১টি গরু মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টায় আবদুল গফুর নামে এক খামারির গরুর খামারে আগুন লাগে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুল গফুরের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খামারে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গোয়াল ঘরে আগুন: ৪টি গরুর মৃত্যু
তবে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্টিক থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। খামারের দরজা বন্ধ ও গরুগুলো বাঁধা থাকায় খামারের ভেতরেই গরুগুলো ছটফট করতে করতে মারা যায়।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুনায়েদ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা এ আগুন বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও ধোঁয়ার কারণে সব গরু মারা গেছে। পুড়ে যাওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
বগুড়ায় বস্তিতে আগুনে পুড়ল ১৪টি বসতঘর
৯ মাস আগে
সিদ্ধিরগঞ্জে আগুনে পুড়ে ৮টি ছাগলের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে আগুনে একটি ছাগলের খামারে আগুন লেগে আটটি ছাগল পুড়ে মারা যায়।
শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসলাইন এলাকার রুপালী বেগমের ছাগলের খামারে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ৩টি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদমজী ফায়ার স্টেশন অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল হাই এই ঘটনা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে রুপালীর খামারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে খামারে। খবর পেয়ে রাত সোয়া ১টার দিকে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় খামারের আটটিটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসের চুলার আগুনে নারীসহ ৩ জন দগ্ধ
মণিরামপুরে চায়ের দোকানে আগুনে নিহত ১
১০ মাস আগে
'দুর্বৃত্তের বিষে' মরল খামারের ৭০০ হাঁস, ২ লাখ টাকার ক্ষতি
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে এক খামারির সাতশ’র বেশি হাঁস মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দিঘীরকোণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ওই খামারির দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাতিহাঁস পাড়লো কালো ডিম!
খামারি জাহেরুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে সকাল সাড়ে ১১টায় হাঁসগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয় মাঠে যাওয়ার জন্য। মাঠে পৌঁছানোর ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৭০০ হাস মারা যায়। পেছনে থাকা হাঁসগুলোকে পরে কোনমতে খামারে পুনরায় ফিরিয়েছি। নাহলে বাকি হাঁসগুলোও মারা যেত।
তিনি ধারণা করছেন, কে বা কাহারা মাঠের মাঝখানে বিষযুক্ত ধান ছিটিয়ে রেখেছিলো। সেগুলো খাওয়ার পরেই হাঁসগুলো মারা গেছে। যার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। গর্ত খুড়ে হাসগুলোকে পুতে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হাঁসের ঘর থেকে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার, সুন্দরবনে অবমুক্ত
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিজ বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে হাঁসপালন করছেন জাহেরুল ইসলাম। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন পরিবারের লোকজন। খামারে প্রায় এক হাজারের বেশি হাঁস পালন করেন তিনি। মাংস খাওয়ার উপযুক্ত হলেই তিনি এসব হাঁস বিক্রি করে দেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম বলেন, খামারি আবেদন করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও দেখা মেলেনি কয়েদির, খোকসার উপকারাগারে হাঁস-মুরগির খামার
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদার অতিরিক্ত ৫০ হাজার ৩১১টি কোরবানিযোগ্য পশু লালন-পালন করা হয়েছে। খামার ও পারিবারিকভবে এসব পশুকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। জেলার চাহিদা পুরণ করে অন্য জেলায়ও গরু চালান করে খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
তবে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খামারিরা। তারা বলছেন, বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু পালনের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। ফলে গরুর দামও বেড়ে যাবে।
জেলা প্রণিসম্পদ দপ্তরের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, এবার জেলায় কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৯ টি পশু। আর কোরবানির জন্য মোট পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯০টি। অর্থাৎ অতিরিক্ত রয়েছে ৫০ হাজার ৩১১ টি পশু। জেলার ৫ উপজেলায় খামারি রয়েছেন ১২ হাজার ১৫৯জন।
খামারে ও পারিবারিকভাবে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৯৬ হাজার ৫৪৩টি, ছাগল ৭০ হাজার ৩১৯টি, ভেড়া ৯ হাজার ৫৮৭টি ও মহিষ রয়েছে ২৪১টি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরবানিতে ৮,৬০৬ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে: প্রাণিসম্পদ বিভাগ
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো জেলার খামারিরা পশু পালন করেছেন। তারা জানান, গরু লালনপালনে বা মোটাতাজাকরণে তারা মানব স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন না। সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পুষ্টিকর খাবার ব্যবহার করছেন।
তারা জানান, বর্তমানে দেশে পর্যপ্ত পরিমানে গরুর খামার গড়ে উঠেছে। এ খাতের প্রতি সরকার নজর দিলে ভারত বা মিয়ানমার থেকে গরু আনার কোনো প্রয়োজন পড়বে না।
তারা আরও জানান, বর্তমানে পশু খাদ্যের দাম অনেক বেশি। পশু লালনপালনে গত বছরের চেয়ে এবার খরচ বেড়েছে দ্বিগুন। এতে গরুর দাম বেশি হবে।
সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার খামারি আবু বাক্কার বলেন, তার খামারে এবার ৮০টি গরু রয়েছে। যা কোরবানীর জন্য প্রস্তুত। এসব গরু ৫মন থেকে ১২ মন পর্যন্ত ওজনের। এসব গরু দেড় লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের।
ঈদকে সামনে রেখেই আমি প্রতি বছর ৩ মাস থেকে ৬ মাস আগে গরু কিনে মোটাতাজা করি। ২০১২ সাল থেকে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছি। তবে গরু মোটাতাজা করতে কোন সময়ই স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করি না। সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতেতে পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, গত রমজান মাসে এই ৮০টি গরু কিনেছিলাম। এসব গরুর মধ্যে কিছু ঢাকায় পাঠাবো, আর বাকিটা স্থানীয় হাটে বিক্রি করব। আশা করছি বাজার দর ভালো পাব।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে কিশোরগঞ্জের দম্পতির উপহার হিসেবে গরু গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোনিমগাছি এলাকার খামারি ইকবাল হোসেন জানান, তার খামারে এবার কেরবানির জন্য ১৫টি গরু ও ৮টি মহিষ আছে। তবে এবছর পশু খাদ্যের দাম দ্বিগুন। খবার খরছ এক বছর আগে যা ছিলো এবার তার চেয়ে বেশি।
তিনি জানান, যে ভুট্টা কিনতাম ১৮ টাকা কেজি সেটা এখন ৩৬ টাকা কেজি, যে গম ছিলো ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি সে গম এখন ৫৪ টাকা কেজি। ৭০০ টাকার খড় এখন ৪ হাজার টাকা, যে সোয়াবিন ভুষি খাওয়াতাম ৫২ টাকা কেজি সেটি এখন ৮৪ টাকা। যে ফিড কিনতাম ৩০ টাকা কেজি সেটা এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৫৪ টাকা কেজি।
সদর উপজেলা বুলনপুর এলাকার বাশরী এগ্রো ফার্ম -এর ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই খামারে দেশি জাতের ৭০টি গরু আছে। আমরা আশা করছি এসব গরু গড়ে দেড় লাখ টাকা করে দাম পাব। আমরা সব থেকে বিপদে পড়েছি পশু খাদ্যের দাম নিয়ে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর খাদ্যের দাম অনেক বেশি।
ভুট্টার গুড়া, গমের গুড়া, সরিষার খৈল, চালের গুড়া, কাঁচা ঘাস, খড় প্রভৃতি গরুকে খাওয়ানো হয়। আমরা কোনো হরমন জাতীয় ট্যাবলেট বা ওষুধ যেগুলো গরুকে দ্রুত মোটাতাজা করে এমন কিছু প্রয়োগ করি না বা খাওয়াই না।
বর্তমানে বাজার তেমন ভালো না। তবে আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে বাজার ভালো হবে। ভারত থেকে যদি গরু না আসে আশা করছি সামনে অন্যান্য জেলা থেকে অনেক পার্টি নামবে বাজারটা ভালো হবার আশা করছি আমরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলায় চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। কোরবানি পশুর কোনো সংকট হবে না। বরং স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে বাড়তি পশু অন্যান্য জেলার চাহিদা পুরণ করবে।
এখানকার খামারিরা বাড়তি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে নিয়ে যায় আবার অন্য জেলার ব্যবসায়ীরাও এসে কিনে নিয়ে যায়। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খামারিরা যেন গরু মোটাতাজাকরণে অসাধু উপায় অবলম্বন না করতে পারে সেজন্য উঠান বৈঠক, প্রশিক্ষণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব পর্যবেক্ষণে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ভারত থেকে গরু আসা একেবারেই বন্ধ। পশুর হাটগুলোতে বেচা-কেনা জমে উঠবে এবং খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
১ বছর আগে
খুলনায় খামারে দাম কমলেও বাজারে কমেনি পোলট্রি মুরগির দাম
খুলনায় পোলট্রি মুরগির খামারে দাম কমলেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমেনি। ফলে সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
আগের দামেই অর্থাৎ ২৪৫-২৫০ টাকায় মুরগি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এছাড়া শনিবার (২৫ মার্চ) খামারিরা মুরগি বিক্রি করেছেন ১৮৫-১৯০ টাকায়। এই দামে মুরগি কিনে ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
অথচ, একই দামে মুরগি কিনে ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
খামার পর্যায়ে দাম কমলেও এর প্রভাব পড়ছে না খুচরা বাজারে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
এর আগে গত সপ্তাহে একই দামে মুরগি বিক্রি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার মুরগির দাম খামার পর্যায়ে ছিল ২১৮-২২২ টাকা। পাইকারি বাজারে ছিল ২২৮-২৩০ টাকা এবং খুচরায় ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০, সোনালি মুরগি ৩৩০ ও পোলট্রি ২৪৫-২৫০ টাকা।
তবে কয়েকজন খামারি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে শনিবার কেজিতে ৩০ টাকা কমে মুরগি বিক্রি করেছেন।
পাইকারি বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, চাহিদা অনুযায়ী মুরগির বাচ্চা সরবরাহ নেই। উৎপাদন কমে বাজারে সরবরাহ কমেছে। ফলে দাম বেড়েছে। শুক্রবার ২২৮-২৩০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করেছি। খুচরায় ২৪৫-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শনিবার পাইকারি দর ১৯৫-২০০ টাকা হয়েছে।
কিন্তু আগের মুরগি খুচরা দোকানে থাকায় আগের দামেই বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। পাইকারি দাম কমলেও খুচরা বাজারে দাম কমছে না।
মহানগরীর বাইতিপাড়ার নয়ন পোলট্রি দোকানের বিক্রেতা মো. নয়ন বলেন, দাম বেশি হওয়ায় মুরগি বিক্রি দুই তৃতীয়াংশ কমেছে। নতুন মুরগি আনা হয়নি।
এছাড়া শনিবারও পোলট্রি ২৪৫-২৫০, সোনালি ৩৩০ ও কক ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
রূপসা বাজারের মুরগি বিক্রেতা বাদল বলেন, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে মুরগির দাম বাড়ছে। বাজারে মুরগির সংকট থাকায় দাম বেড়েছে।
খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেটে মুরগি কিনতে আসা ক্রেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, মুরগির দাম গরিবের নাগালের বাইরে। কিনতে গেলে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে।
খালিশপুর প্লাটিনাম গেট এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আগে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৩০-১৪০ টাকা কেজি ছিল। তখন কিনতে পারতাম। এখন ২৪০ টাকা হয়েছে, যা আমাদের নাগালের বাইরে।
রূপসার খামারি শামসুজ্জামান শাহিন বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। দুই মাস আগে যে খাবার ৩১ টাকায় কেনা যেতো এখন ৪৩ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া মুরগির বাচ্চার দামও বেড়েছে। বাচ্চা পালনে খরচ বাড়ায় মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমবে ৩০-৪০ টাকা: ডিএনসিআরপি’র ডিজি
বটিয়াঘাটা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের খলিশাবুনিয়া গ্রামের খামারি বিশ্বজিৎ তরফদার বলেন, আমার এক হাজার মুরগির খামার ছিল। আমি প্রায় চার বছর পালন করার পর ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি। খাবারের দাম বাড়তি। কিন্তু সেই তুলনায় ডিমের দাম কম। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারিনি। ধীরে ধীরে আমার খামারটি বন্ধ করতে হয়। এখন আমি ডিম সংগ্রহ করে বিক্রি করি।
লবণচরা রিয়া বাজারের পোলট্রি খাবার বিক্রেতা মনির মোল্লা বলেন, পোলট্রি খাবারের দাম বেড়েছে। দুই দফায় এক বস্তা খাবারের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। আগে এক বস্তা খাবারের দাম ছিল তিন হাজার টাকা। বর্তমানে সেই খাবারের দাম তিন হাজার ২০০ টাকা।
খুলনা পোলট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, আগে যেখানে একটি মুরগির বাচ্চা ৮-১০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন সেই বাচ্চার দাম ৫৫-৫৮ টাকা। এ ছাড়া মুরগির খাবারের দাম আগে ছিল প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা।
সেই খাবারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। মুরগি উৎপাদনে যে টাকা ব্যয় হচ্ছে, সেই টাকা উঠছে না। ফলে অনেকে ধারদেনা করে এখন ব্যবসা গুটিয়ে পথে বসেছে। অনেকে ধারদেনার দায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এছাড়া তাদের নামে মামলা হচ্ছে। খামারিরা খুব দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগে খামারিদের কোনও কর দিতে হতো না। গত অর্থবছর থেকে খামারিদের ওপর কর চাপানো হয়েছে। এর প্রভাব উৎপাদন খরচে পড়েছে। খাবারের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে ফার্মের মালিকরা সঠিক বাজারদর পাচ্ছেন না।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মণ্ডল বলেন, মুরগির খাবারের জন্য ভুট্টা প্রয়োজন। এই ভুট্টা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ১৮ টাকার ভুট্টা এখন বেড়ে ৩৮-৪২ টাকা হয়েছে।
এছাড়া সয়াবিনের খৈলও আমদানি করা হয়। ১০০ কেজির মধ্যে ৭৫ কেজি ভুট্টা ও সয়াবিনের খৈল দিয়ে খাবার তৈরি হয়। এসবের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। প্রতিটি খাবারের মূল্য বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
এখন লেয়ার মুরগির এক কেজি খাবারের দাম ৭২-৭৫ টাকা। সঙ্গত কারণে খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ক্রমান্বয়ে যখন খাবার ও বাচ্চার দাম কমতে থাকবে, তখন মুরগি ও ডিমের দামও কমতে থাকবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, খুলনায় দুই হাজার ৪৯২টি পোলট্রি খামার রয়েছে। তবে মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, জেলার প্রান্তিক পর্যায়ে চার হাজার ৯৫২টি পোলট্রি খামার রয়েছে।
যার মধ্যে প্রায় এক হাজার খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫০ টাকায় গরুর মাংস, ৪০ টাকায় মুরগির মাংস!
১ বছর আগে
কম খরচে অধিক ফলন: ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন বোয়ালখালীর কৃষকরা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় বেড়েছে ভুট্টা চাষ। কম খরচে, স্বল্প সময়ে লাভ হওয়ায় কৃষকেরা এখন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর বোয়ালখালীতে সাত হেক্টরেরও বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত বছর বোয়ালখালীতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল ১৮ হেক্টর জমিতে। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হেক্টরে। চলতি মৌসুমে ৩৫ জন কৃষককে ভুট্টার বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে।
এলাকার কয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ করছেন কৃষকেরা। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় ভুট্টা ও সবজি চাষে আগ্রহ তাদের। বর্ষা আসার আগেই কৃষক ভুট্টা ঘরে তুলতে পারেন। বোরো ধান চাষে সেচ খরচ বেশি, অনেক সময় উৎপাদন খরচই ওঠে না। আর ভুট্টার উৎপাদন খরচ কম, ফলনও বেশি হয়। ভুট্টা ও ভুট্টার খড় গো-খাদ্য হিসেবে চাহিদা রয়েছে উপজেলার বেশিরভাগ ডেইরি খামারে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার
সারোয়াতলী ইউনিয়নের গরুর খামারি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বাজারে ভুট্টার মতো উন্নতমানের গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ। তার চেয়ে ফিডের থেকে ভুট্টা খাওয়ালে গরু তরতাজা থাকে।
উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি এসএম বাবর বলেন, বাজারের ফিডের চেয়ে ভুট্টা গরুর জন্য অনেক ভালো। এতে গরু সহজে রোগাক্রান্ত হয় না ও শারীরিক গঠন থাকে মজবুত। তাই নিজের খামারের চাহিদা মেটাতে ভুট্টা চাষ করেছেন।
২ বছর আগে
খামারের আড়ালে ডাকাতি: ৪১টি গরু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬
গাজীপুরে খামারের আড়ালে গরু ডাকাতি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময় ৪১টি গরু উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে জিএমপি সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সুমন (৩৫), আসাদুজ্জামান বাবু (৩০), শহিদুল ইসলাম (৪০), আব্দুল মালেক (৪০), দুর্জয় (২৮) ও আলামিন (২৯)। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, বগুড়া ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৮ ‘ডাকাত সদস্য’ গ্রেপ্তার
মো. জাকির হাসান জানান, দিনের পর দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করে আসছিলেন ডাকাত চক্র। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় দিনাজপুর থেকে আসা একটি ট্রাক গতিরোধ করে ১৪টি গরু লুট করে ডাকাতরা। পরে এই মামলার সূত্র ধরেই ডাকাত দলের হোতা সুমনের সন্ধান পায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। তার মালিকানাধীন সাদিয়া ডেইরি ফার্ম নামে ওই খামার থেকে ৪১টি গবাদি পশু উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর ও বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই মধ্যে ১৩টি গরু শনাক্ত করেছেন পশুর মালিকরা। যাচাই বাছাই করে অন্য গরুগুলোও মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৫০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
আশুলিয়ার নাল্লাপোল্লা গ্রামের ওই খামারেই লুণ্ঠিত সব পশু রাখা হতো বলে জানা গেছে।
২ বছর আগে
টিভি, ফেসবুকে হাঁস পালন দেখে খামার গড়ে সফল কুড়িগ্রামের আবুল কালাম
হাঁসের খামার গড়ে চমক সৃষ্টি করেছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। গত দুই বছরে শুধু নিজেই স্বাবলম্বী হননি, প্রেরণা জুগিয়েছেন অন্যদের মাঝেও। সেই সাথে পাল্টে গেছে তার অভাবের জীবন।
৪ বছর আগে
কুমিল্লায় কোরবানির পশুর ঘাটতি
কুমিল্লা, ০৯ আগস্ট (ইউএনবি)- আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কুমিল্লা জেলায় কোরবানির পশুর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে দেশের অন্যান্য জেলার খামার থেকে আসা পশু এই ঘাটতি পূরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৫ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা খামার মালিকদের
কুষ্টিয়া, ০২ আগস্ট (ইউএনবি)- কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার খামার মালিকরা এখন গরু পরিচর্যা করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবার গত বছরের লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছেন বেশির ভাগ খামার মালিকরা।
৫ বছর আগে