টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জনের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তির পথ বেয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা সামনের দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর আওতাধীন অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থা সমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রূপান্তরের অগ্রযাত্রা আরও বেগবান করতে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মানুষ কাজ না করলে কর্ম সম্পাদন হবে না।
তিনি বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চাদপদ দেশে থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা। আমরা প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করি। সে দিক থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষের প্রয়োজনে. মানুষের কল্যাণে প্রযুক্তি ব্যবহার করবো। মানুষকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তি নয়।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আলোচিত একটি বিষয়। মানুষের ঘাটতির কারণে ইউরোপ প্রযুক্তিকে মানুষের বিকল্প ভেবেছিলো কিন্তু মানুষের বিকল্প কোন প্রযুক্তি হতে পারে না। জাপান মানুষ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে সোস্যাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো বা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের ধারণা নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ঠিক তেমনি পঞ্চম শিল্প বিপ্লব বা স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে প্রযুক্তি ও মানুষের মিশেলে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
এ সংগ্রাম এগিয়ে নিতে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মিন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন গতিশীল নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির বাস্তবায়নের পথবেয়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন এবং ১৯৭৫ এর ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র চালুর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও স্মার্ট বাংলাদেশের বীজ বপন করেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রী কর্মসম্পাদন চুক্তির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সমূহের অর্পিত দায়িত্ব বিগত দিনগুলোর মতো আগামী দিন গুলোতেও সফল হবেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ অধিদপ্তর এবং সংস্থাসমূহের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের রেট গ্রহণযোগ্য নয়, ফিক্সড রেট থাকতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজের রেট গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, আপনি যখন প্যাকেজ বিক্রি করবেন তার একটা গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। বর্তমানে যে প্যাকেজ রেট তা গ্রহণযোগ্য না। মোবাইল ডাটার একটা ফিক্সড রেট থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
রবিবার বিটিআরসি প্রধান সম্মেলন কক্ষে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান (কোয়ালিটি অব সার্ভিস) পরিবীক্ষণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) অত্যাধুনিক বেঞ্চমার্কিং সিস্টেমের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রাহকের যে চাহিদা তা অপারেটরেরা পূরণ করতে পারে না। তার কারণ হচ্ছে - ২০১৮ সালের স্পেকট্রাম এবং ২০২২ সালের স্পেকট্রাম এখনও রোল আউট করতে পারেনি। যার কারণে গ্রাহক সেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। আমরা অপারেটরদের চাপের মধ্যে রেখেছি। তারা অন্য সময় এমন চাপের মধ্যে পড়েনি।
মন্ত্রী বলেন, ডাটা প্যাকেজ রেট সমাধান করলে অন্তত ১০টি প্রশ্নের উত্তর এড়ানো যাবে। এজন্য বিটিআরসিকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহককে সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,আজকের তরুণ প্রজন্মকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে। এজন্য তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শনিবার রাতে ঢাকায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) স্টুডেন্টস ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের মহাসড়ক ফাইভ জি যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। আমাদের তরুণদেরকে ফাইভজির প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সামনের দিনে,মেশিন লার্নিং,রোবট কিংবা এআইসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি কেবল ব্যবহারই করবে না, উৎপাদন করবে এবং রপ্তানিও করবে।
তিনি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, মহাকাশ বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অপারেশন কাজ আমাদের সন্তানরাই দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছে। উৎক্ষেপণের পর এক মিনিটের জন্যও সমস্যা হয়নি।
এছাড়াও মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ অগ্রগতির প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিসিএস ও বেসিস-এর সাবেক সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা আয়োজনকে একটি মাইলফলক কাজ উল্লেখ করে বলেন, সাত বছর আগে যে অভিযাত্রা বেসিস শুরু করেছিলো তা আজ আমাদের সন্তানদের প্রতিভা বিকাশের একটি বড় প্লাটফর্মে রূপান্তর লাভ করেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা বিশ্বের ৩১৩টি শহরে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্ত্রী এ ধরনের একটি আয়োজনের জন্য বেসিসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার এক কোটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি দুই লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়।
এবার দেশের ৯টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ১১০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে শীর্ষ ৫০টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) -তে এবং বাকি ৬০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, সহ সভাপতি আবু দাউদ খান, পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২-এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক তানভীর হোসেন খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ জরুরি। এছাড়া ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এমন কোন জায়গা থাকবে না যেখানে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা পাবলিক হলে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোস্যাইটি নেত্রকোণা জেলা ইউনিট আয়োজিত ‘আকস্মিক বন্যা ২০২২’- এর ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক সময় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ পর্যাপ্ত ছিল না। আমরা সে বিষয়টি সমাধান করেছি। এছাড়া নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মন্ত্রী হাওরে বন্যাকবলিতদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, হাওরের সাম্প্রতিক বন্যাকবলিতদের জন্য আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে মদন, মোহসগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সুনামগঞ্জের শাল্লায় খাদ্য সহায়তা টিন ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বন্যার্তদের জন্য রেডক্রিসেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করেন। মন্ত্রী এ জন্য রেডক্রিসেন্ট স্থানীয় ইউনিটকে সাধুবাদ জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। যে গ্রামে একদিন হাইস্কুল পড়তে পারিনি সে গ্রাম থেকে আজ শত শত শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করছে। এছাড়া হাওরে এখন আউট সোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। নেত্রকোণার পাশে ধর্মপাশা উপজেলার আহমেদপুর গ্রাম থেকে এখন ৬০ জন প্রোগ্রামার সফটওয়্যার তৈরির কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা থেকে নেত্রকোণা আসার পথে ময়মনসিংহ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি আইএসপি’র চাইতেও কমমূল্যে আমরা ইন্টারনেট সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি, যেন গ্রাহকরা সহজেই বিটিসিএল’র জিপন সার্ভিস সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। যে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে সংযোগ-সেবা দেয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিটি অফিসের সক্ষমতা অনুযায়ী সংযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের।
অনুষ্ঠানে রেডক্রিসেন্ট জেলা ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মনির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ফকরুজ্জামান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: 'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
টেলিটকের ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থাকবে না: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ। নগদ সম্পর্কে বিশেষ মহলের ‘অপতৎপরতার বিষয়ে’ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেছেন।
রবিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৬ মার্চ থেকেই একটা বিষয় লক্ষ্য করে আসছি, ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ। যেখানে নগদ এর কারণে দেশের মোবাইল আর্থিক সেবার মান বেড়েছে এবং খরচ গত এক দশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে সেখানে কার স্বার্থে আঘাত লাগছে সেটি অনুমেয়? যেখানে নগদ এর কারণে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কোটি কোটি মানুষ অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে আসতে পারলো, যার ফলশ্রুতিতে আজ দেশের শিশু-মহিলা-বয়স্ক- বিধবাসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা ঘরে বসে সমস্ত সরকারি ভাতা পাচ্ছে ডিজিটালি, ১০০ ভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে, তাহলে এতে কার ক্ষতি হলো?
তিনি আরও বলেন, এটি স্পষ্ট করে বলা দরকার যে নগদ এর জন্য ডাক বিভাগের কোন ক্ষতি হয়নি বা হবেও না। ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে নগদ তার জাতীয় দায়িত্ব পালন করছে। অনুগ্রহ করে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না বা গুজবে কান দেবেন না। এছাড়া নগদ এর প্রতিটি পদক্ষেপ রাষ্ট্রের সমস্ত আইন এবং নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে, এতে কোন অনিয়মের স্থান নেই, তাই নিজ স্বার্থে কেউ জল ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২০২৩ সালেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২ বছর আগে
২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এনালগ যুগ থেকে ডিজিটাল যুগে উত্তরণের এই বিপ্লব এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সোমবার রাতে গুলশানের একটি রেস্তোরায় আইসিটি পাইওনিয়ার ক্লাব ‘ডিজিটাল বিপ্লব ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও অ্যাসোসিও’র সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি রচিত ‘আবর্ত এনালগ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমরা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
আরও পড়ুন: মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
ইন্টারনেট মূল্য সহজলভ্য করতে একদেশ এক রেট চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে মোস্তফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা আমরা কার্যত তা মাত্র ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি।
সাবেক বিসিএস ও বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার, মোবাইলের মনোপলি বন্ধে চারটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদান, ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ, জেআরসি কমিটি গঠন এবং গঠিত কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়ন ও মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে তারই ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় উন্নত দেশের সঙ্গে সমানতালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
১৯৮০ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা লেখক আব্দুল্লাহ এইচ কাফি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অসংখ্য বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ দেশের তথ্য প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের ভিতটি গড়ে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতকে এক অসাধারণ উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন তরুণ ছিলাম আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে এই জায়গায় উপনীত হবে, তা কল্পনাও করতে পারতাম না। বইটিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের নায়কদেরকেই তুলে এনেছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
বক্তারা বলেন, ১৯৬৪ সালে ঢাকায় কম্পিউটার আসে, কিন্তু ৮০ দশকের আগ পর্যন্ত কম্পিউটারের ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থাটা বিশদভাবে লেখক আবর্তে তুলে এনেছেন যা নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস্ হিসেবে কাজ করবে।
সাবেক অ্যাসোসিও সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি এস এম কামাল, বেসিস-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ তৌহিদ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু,সাংবাদিক পল্লব মোহাইমেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
২ বছর আগে
২০২৩ সালেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,২০২৩ সালের মধ্যে দেশের দুর্গম, পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপ, চর, বিল ও হাওরসহ দেশের প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবল আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই করবে্ না, বাংলাদেশ চতুর্থ-পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে।
বৃহস্পতিবার সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটির সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির নবীনবরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি এসময় দেশে স্থাপিত শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত ডিজিটাল অবকাঠামোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধি বিধান মানতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছি । এই অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের জীবন যাপন ও শিক্ষাব্যবস্থা বদলে যাবে।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সবার আগে বাংলাদেশ নামের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত করেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত, ২০১৫ সালে মালদ্বীপ এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল শব্দটি ব্যবহার করে ।
তিনি বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি পুণর্গঠনের পাশাপাশি কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, কারিগরি শিক্ষা প্রসার, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ‘র সদস্য পদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে রত্ন আখ্যায়িত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন তোমরাই সে সোনার মানুষ। তোমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এবং এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ৫ম শিল্প যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে।
২ বছর আগে
চলতি বছরেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটের জন্য অপটিক্যাল ফাইভার ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে যাবে। বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৭১টি দ্বীপ সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। হাওর ও দুর্গম চরসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। এ ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১২ হাজারেরও বেশি ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ফোরাম এফোরএআই আয়োজিত ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২১ (প্রস্তাবিত) রিভিসান শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটুআই এর পলিসি এডভাইসার আনির চৌধুরী, রবি‘র সিইও মাহতাব আহমেদ,অ্যামটবের সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ এবংএফোরএআই উপপরিচালক এলিনুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফোরএআই এর কান্ট্রি সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে চায় ভুটানডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্রডব্যান্ড পলিসির খসড়া প্রণয়নে এফোরএআই এর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সামনের দশবছরের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি লাগসই নীতিমালা সরকার তৈরি করছে। এই নীতিমালাকে কেবল ব্রডব্যান্ড নীতিমালা নয় এটি সবদিক বিবেচনায় একটি পুর্ণাঙ্গ ইন্টানেট নীতিমালা বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনলেই ফ্রি ইন্টারনেট
কম্পিউটার বিকাশের পথপ্রদর্শক মোস্তাফা জব্বার দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশের ধারবাহিকতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ মোবাইল যুগে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের পর ২জি , ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং ২০১৮ সালে ফোরজি নেটওয়ার্ক যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ফাইভজি যুগে প্রবেশের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভজি প্রযুক্তি আগামীদিনের শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে। আমরা কৃষিতেও এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারবো। সরকার টেলিকম এক্ট নিয়েও কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযোগ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ডিজিটাল মহাসড়ক হিসেবে কাজ করছে। করোনাকালে জীবনযাত্রা সচল রাখতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, আমরা টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তার চেষ্টা করছি। এব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের আলোচনাও হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে কিভাবে স্মার্টফোন সরবরাহ করা যায় এ বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি। শিক্ষায় ডিজিটাল কনটেন্টের উদ্ভাবক ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে ডিজিটাল কনটেন্ট এর চাহিদা পুরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন,করোনাকালে স্থানীয় কনটেন্ট এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই বিবেচনায় করে পাঠ্যক্রম ডিজিটাল কনটেন্টে রূপান্তর করা উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আপনজনদের হাতে ইন্টারনেটে যৌন নিপীড়নের শিকার ৬৯ শতাংশ
অনুষ্ঠানে শ্যামসুন্দর সিকদার ব্রডব্যান্ড নীতিমালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এটি একটি সময়োচিত পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। এই জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
৩ বছর আগে