অভিযোগ
ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা ব্যাডমিন্টন খেলার সময় ‘ককটেল বিস্ফোরণের’ অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, সেগুলো ককটেল নয়, পটকা ফাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কলেজের কান্দিরপাড় উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের কান্দিরপাড়ের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার নতুন ১০তলা ভবন ও আখতার হামিদ খান ভবনের সামনে রাতের অন্ধকারে বহিরাগতরা প্রবেশ করে। তারা সারারাত মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে এসব চলছিল। নতুন অধ্যক্ষ আসার পর থেকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করেন। গত চার দিন ধরে শিক্ষকরা সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেন। এতে মাদকসেবীরা সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।
কলেজের শিক্ষকরা জানান, সোমবার রাতে শিক্ষকরা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। রাত ৯টার দিকে কয়েকটি ককটেল বিকট শব্দে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে এসে খেলার মাঠে পড়ে। এ সময় ধোঁয়ায় ছেঁয়ে যায় চারপাশ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও শিক্ষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে কলেজ প্রশাসন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করে। সম্প্রতি শিক্ষকরা রাতে সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করেন। রাতে সেখানে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ধারণা করছি যারা কলেজে মাদক সেবন করতে পারছিল না তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজে বহিরাগত ছেলেরা ঢুকতে পারছিল না, তাই তারা পটকা ফাটিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ভিক্টোরিয়া কলেজ ও আশপাশে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
গণহত্যা মামলায় আমু-কামরুল কারাগারে
গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর গ্রেপ্তার হওয়া শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আমু ও কামরুলের বিচার করতে মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল কারাগারে
আদালতের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ১৭ অক্টোবর একটি মামলায় দুজন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। সেখানে মোট আসামি ছিলেন ৪৫ জন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আরেকজন হলেন কামরুল ইসলাম।’
মামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রসিকিউটর বলেন, ‘কামরুল ইসলাম ও আমির হোসেন আমু ১৪ দলের সমন্বয়ক থাকা অবস্থায় গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চলাকালে গণভবন একটি মিটিং হয়। সেই মিটিং তারা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন এবং সেই বৈঠক থেকে কারফিউ জারি ও দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই ২০ জুলাই থেকে বহু মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর দায় তারা এড়াতে পারেন না। সেই মিটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা কেউই দায় এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘কামরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকা অবস্থায় তার দল ছাত্র-জনতাকে দলীয় সিদ্ধান্তে হত্যার নির্দেশ দেয়। তার নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-২ আসনে বহু ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর গ্রেপ্তার শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে।
শীর্ষ এসব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জামিন নামঞ্জুর, সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন কারাগারে
১ সপ্তাহ আগে
নওগাঁর পিপির বিরুদ্ধে বিচারকদের হুমকি-আদালত অবমাননার অভিযোগ
নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক আবু জাইদ মো. রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিচারকদের উদ্দেশ্য অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে।
নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম ওই সরকারি আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে নওগাঁ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আরও সাত বিচারক প্রতিস্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়া বিচারকদের হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলমকে ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন।
গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কাউন্সিলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) পাঠানো ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে গত ২৭ নভেম্বর নওগাঁ আদালত চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সমাবেশে পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, বিচারকদের উদ্দেশে বলব, ‘জুডিসিয়ারি কিলিং, ন্যায়বিচারের পরিপন্থী আপনারা অনেক বিচার করেছেন। আমি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিসিয়াল সকল বিচারকদের উদ্দেশে বলব, আপনারা আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আমি এনএসআই, ডিজিএফআই, এসবি, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদেরকে বলব, আপনারা আমার কথা লিপিবদ্ধ করবেন, সরকারকে জানাবেন।
আরও পড়ুন: সিলেট আদালতে দুই পিপি’র রুমে আইনজীবীদের তালা
তিনি বলেন, নওগাঁতে কিছু বিচারক আছেন, সে সকল বিচারক আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর ভাগিনা, ভাতিজা। বিচারকরা ভাল ব্যাখ্যা দেন। বদমায়েশী করার জায়গা পান নাই? ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনা হিন্দুস্তানে পালিয়েছে। আপনাদের পালানোর জায়গা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে বলব, যদি আপনাদেরকে ঘেরাও করে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে নিতে হবে। বাংলাদেশে চাকরি করবেন, আর আওয়ামী লীগের দালালি করবেন, চাকরি করতে দেবো না, ঘেরাও করা হবে। আগামীতে যদি কোনো সন্ত্রাসী লীগের কোনো কর্মী, কোনো নেতা যে আদালতে সারেন্ডার দিবে, সেই আদালত ঘেরাও করা হবে। বিচারককে আমি নাম ধরে বলতে চাচ্ছি না, এখনি সাবধান হয়ে যান এবং আগামীতে এই রকম কর্মকাণ্ড যদি আপনারা অব্যাহত রাখেন, আপনাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ও আইনজীবীরা আপনাদেরকে ঘেরাও করবে।’
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পিপি এজেডএম রফিকুল আলম অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিচারকদের উদ্দেশ্যে অশোভন বক্তব্য, হুমকি ও আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার এ ধরণের বক্তব্যে বিচার বিভাগ ও বিচারকদের ওপর চাপ সৃষ্টির একটি প্রবণতা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আদালত চত্বরে বিচারকদের নিয়ে একজন পিপির এ ধরনের বক্তব্য জনসাধরণের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেসি তথা বিচার বিভাগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল। ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালত ঘেরাওয়ের হুমকিসহ আদালত অবমাননার বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।
অভিযোগের বিষয়ে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এজেডএম রফিকুল আলম বলেন, ‘সেদিন সমাবেশে ওই বক্তব্য একজন আইনজীবী কিংবা পিপি হিসেবে দেই নাই। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সেদিন কথাগুলো বলেছি। ৮ আগস্টের পর ফ্যাসিজমের দোসর হত্যা, মানুষের ওপর অন্যায় জুলুমের অভিযোগে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, কিছু কিছু ম্যাজিস্ট্রেট আইন লঙ্ঘন করে ঢালাওভাবে তাদেরকে জামিন দিচ্ছেন। এতে করে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে সেদিন বক্তব্যগুলো দিয়েছি। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা আদালতকে অবমাননা করে আমি বক্তব্য দেইনি। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর অভিযোগ হয়েছে। সেখান থেকে তলব করা হলে, অবশ্যই আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরব।’
আরও পড়ুন: আইসিটিতে হাজির করা হলো সাবেক মন্ত্রী আমু-কামরুলকে
১ সপ্তাহ আগে
বলিউড অভিনেতা শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
সম্প্রতি টলিউডে এক পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। এরপর ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে তাকে নিষিধ্ধ করা হয়। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার রেশ না কাটতেই এবার বলিউডে বলিউডে আলোচনায় এসেছে যৌন হয়রানি।
বলিউড অভিনেতা শরদ কাপুরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।
সামাজিক মাধ্যম থেকে শরদের সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডাকেন অভিনেতা।
৩২ বছর বয়সি ওই তরুণী জানান, তার সঙ্গে শরদের আলাপ হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বেশ কিছু দিন কথাবার্তার পর শরদ নতুন ছবি নিয়ে কথা বলার জন্য নিজের কার্যালয়ে ডেকে পাঠান তরুণীকে।
তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর শরদের দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে যান। কিন্তু গিয়ে বুঝতে পারেন, সেটি আসলে শরদের অফিস নয়, বাড়ি! তরুণীর দাবি, দরজা খুলতেই শরদের গলা ভেসে আসে। তিনি পরিচারককে নির্দেশ দেন, তরুণীকে শোয়ার ঘরে পৌঁছে দিতে।
সেখানে যাওয়ার পর আপত্তিকর স্পর্শ করেন শরদ। সেখান থেকে কোনোরকমে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী। তবে সন্ধ্যায় শরদ আবার তাকে অশ্লীল বার্তা পাঠান।
এরপর ২৭ নভেম্বর মুম্বাইয়ের খার থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী।
পুলিশ ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানায়, শরদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৭৪, ৭৫ ও ৭৯ অনুযায়ী এফআইআর দায়ের হয়েছে।
তরুণী বলেন, বলিউডে পরিচিত নাম শরদ কাপুর। ‘জোশ’, ‘এলওসি কারগিল’, ‘লক্ষ্য’, ‘দস্তক’ এর মতো ছবিতে তাকে দেখেছেন তিনি। এছাড়া একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছে তাকে। এ কারণেই শরদকে উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
২ সপ্তাহ আগে
কুমিল্লায় সৎ মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
কুমিল্লার হোমনায় সৎ মা সেনোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মোফাজ্জল হোসেন বেনু নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
খাবার খাওয়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনা জেরে বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা শ্রীনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সেনোয়ারা শ্রীনগর গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি সিলেট ইসকন মন্দিরের নয়: পুলিশ
এদিকে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সৎ ছেলে মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, খাবার খাওয়া নিয়ে তুচ্ছ ঘটনা জেরে সেনোয়ারাকে পিটিয়ে আহত করে মোফাজ্জল। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুরাদনগর উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
সেখানে অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয় চিকিৎসক। সেখানে থেকে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়না হন স্বজনরা। পথে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের আরেক সৎ পুত্রবধূ হোসনে আরা বেগম বাদি হয়ে ওই দিন রাতে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু, বোন আহত
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ‘লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এছাড়া মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে বিকৃত মস্তিস্ক বলে মনে হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
পিলখানা ট্র্যাজেডির সত্য উদঘাটনে ২ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ জানানো হবে
পনের বছর আগে বিডিআর বিদ্রোহের সময় ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের 'প্রকৃত' ঘটনা উন্মোচন করতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহে শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর সন্তান আইনজীবী সাকিব রহমান।
একই সঙ্গে 'পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রকারীদের' বিচার নিশ্চিতের দাবিও জানানো হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মহাখালী রাওয়া হলে 'পিলখানায় ৫৭ অফিসারসহ ৭৪ জনের হত্যার বিচার এবং শহীদ সেনা দিবসের দাবিতে' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ জানান সাকিব।
সাকিব রহমান বলেন, ‘গত প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা বিডিআর বিদ্রোহের মামলাটি আপিল বিভাগে থাকলেও সর্বশেষ পরিস্থিতি শহীদ পরিবারের সদস্যদের জানা নেই। মামলা চলাকালীন এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। আমার যারা ভুক্তভোগী তারাই মামলার পরিস্থিতি জানি না, দেশের মানুষ কীভাবে জানবে?’
তিনি বলেন, ‘যারা গত সরকারের সময় ক্ষমতায় ছিল, তারাই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রকারী। আমাদের প্ল্যান অব অ্যাকশন হচ্ছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করব। এতদিনেও বর্তমান সরকারের আমাদের জন্য ৫ মিনিট সময় হয়নি। এখন আমরা যারা অভিযোগ দেব, সেসব শহীদ পরিবারকে সরকার নিরাপত্তা দেবে আশা করছি। কারণ আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব তারা, গত সরকারের ক্ষমতাধর।’
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
তিনি আরও বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব।
সাকিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের ডকট্রিন অব কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকেও বিচারের মুখোমুখি আনা সম্ভব। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে তিনিও দায় এড়াতে পারেন না। তার বিরুদ্ধেও আমরা অভিযোগ করব। এছাড়া, তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা, বিশেষ করে ডিজিএফআই কর্মকর্তা, তখনকার সময় কিছু সাংবাদিক যারা ভুল ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অভিযোগ আনব।’
তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকীন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার চাইবে না গুম-খুনের বিচার হোক। যেহেতু এখন বাধা নেই, তাই বিডিআর সদস্য হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করে জড়িতদের আইনের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হোক।
পিলখানা হত্যার দিনকে শহীদ দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জড়িতদের সাজা দিলে দেশের মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়াবে। হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ায় যাদের চাকরি থেকে বের করে দওয়া হয়েছে, তাদের সুনির্দিষ্ট একটি ব্যবস্থা করতে হবে।’
এছাড়া চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যার বিচার ও সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে গাড়ি চাপা দিয়ে যদি হত্যাচেষ্টা হয়ে থাকলে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে দাবিগুলো তুলে ধরেন শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌসী।
গ্যাজেটের মাধ্যমে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি এদিন দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখারও দাবি জানান তিনি।
পিলখানা হত্যার ঘটনা সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে নতুন ভাবে তদন্ত শুরুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত তদন্ত কমিশনের অগ্রগতি আমাদের জানানো হোক। এর আগের সব তদন্তের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করার হোক।
অফিসিয়াল গ্যাজেটে নিহত ৫৭ জন বীর সেনানীকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া ও পিলখানা ট্র্যাজেডিকে উপযুক্তভাবে স্কুলের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং দ্রুত বিচার শেষ করে আটক করা নির্দোষ সব মানুষকে দ্রুত ন্যায় বিচার দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্ররোচনায় ও নীলনকশায় শেখ হাসিনার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। শেখ হাসিনা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরাসরি জানতেন।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফুর রহমান খানের মেয়ে ফাবলিহা বুশরা।
এসময় আরও বক্তব্য দেন শহীদ লে. কর্নেল কাজী রবি রহমানের স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া রশিদ ও তার ভাই কাজী ওলি রহমান, শহীদ কর্নেল এরশাদের ভাই ডা. মামুন, শহীদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান, শহীদ কর্নেল কুদরত এলাহির স্ত্রী লবী রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
খুলনায় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
খুলনার তেরোখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নের খড়বাড়িয়া গ্রামের খাদিজাতুল কোবরা (রা) মহিলা দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন শিকদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাদরাসার শিক্ষক আলাউদ্দিন শিকদার ক্লাস নেওয়ার সময় বিভিন্ন অযুহাতে ছাত্রীর শরীরে স্পর্শ করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ব্যবসায়ী সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি করলে তার মা কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ওই ঘটনার কথা খুলে বলে।
প্রতিবেশীরা আলাউদ্দিন শিকদার সম্পর্কে জানান, পূর্বেও ওই শিক্ষক একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন। মাদরাসার এক ছাত্রীকে বিয়ে করে তিন বছর পর তালাক দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহু ও হামাসের নিহত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৩ সপ্তাহ আগে
লাশের সুরতহাল-ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ভয়ংকর তথ্য রয়েছে: মুনিয়া হত্যামামলার আইনজীবী
মোশাররাত জাহান মুনিয়া হত্যা মামলায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন উপেক্ষা করার অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী ও স্বজনরা। একই সঙ্গে আসামি পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পাল্টে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
তাদের দাবি মামলার প্রধান আসামি সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্যদের বাাঁচাতে আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতেই মুনিয়া হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা সাজিয়ে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে আদালতে।
সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করে বাদীপক্ষের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, এ দুটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলেই মুনিয়াকে হত্যার ঘটনার ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। মুনিয়ার স্বজনরাও একই দাবি করেন।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানের ভাড়া বাসা থেকে ২১ বছর বয়সি মোশাররাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনভীরকে প্রধান আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা: হুইপপুত্র শারুনের সাবেক স্ত্রী সাইফা কারাগারে
ওই বছরের ১৯ জুলাই সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে তিনি আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।
এদিকে সেই প্রতিবেদনে নারাজি দিয়ে পুনঃতদন্তের আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এবং আদালত সেই আপিল গ্রহণ করেন।
মামলার রিটকারী আইনজীবী সরোয়ার হোসেন জানান, মোশাররাত জাহান মুনিয়াকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বনানীর একটি বাসায় রেখেছিলেন আসামি আনভীর। এরপর ১ মার্চ থেকে খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুলশানের বাসায় আনভীর ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারতেন না।
সরোয়ার বলেন, ‘মুনিয়া মারা যাওয়ার পর তার লাশ ঝুলন্ত থাকলেও পা খাটের সঙ্গে লাগানো ছিল। কেউ আত্মহত্যা করলে পা খাটের সঙ্গে লাগানো থাকবে না। তার মানে তাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অপরাধী এটা খেয়াল করেনি। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার আগে তাদের মধ্যে জোর-জবরদস্তি করা হয়েছে। যার জন্য তার ইনার গার্মেন্টস ছেড়া ছিল। গুলশান থানায় বাদীর বক্তব্য গ্রহণ না করে, ভুল করে পেনাল কোডের ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যা প্ররোচনা হিসেবে রেকর্ড করে। কিন্তু প্রথমেই এই মামলা ৩০২ ধারার হওয়ার কথা ছিল।’
এ আইনজীবী বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুনিয়ার শরীরে পুরুষের বীর্য পাওয়া গেছে। তার মানে তাকে মৃত্যুর আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই বীর্য আনভীরের, কারণ সিসিটিভি ফুটেজ ও দারোয়ানের কথা অনুযায়ী সেই বাসায় আনভীর ছাড়া কেউ যেতে পারতেন না। আরও ভয়ংকর তথ্য হলো, মেয়েটা তিন সপ্তাহের অন্তঃসত্তা ছিল। তার মানে এটা দুইজনকে হত্যা করা। একদিনের ভ্রুণও যদি হত্যা করা হয়, সেটাও একটা হত্যাকাণ্ড।’
সরোয়ার বলেন, ‘এসব তথ্য গুলশান থানা ও পিবিআই দুটোর তদন্তেই এসেছে। তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্যই বলে এই মামলা সাজানো হয়েছে। এত কিছুর পরও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামিদের অব্যাহিতির আবেদন মানে আসামিরা প্রভাব খাটিয়েছে।’
মামলা সম্পর্কে সরোয়ার বলেন, ‘প্রথম মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয় ৩০৬ ধারায়। সেখানে আসামিকে অব্যাহতির আবদেন করা হয়। তার বিরুদ্ধে আমরা নারাজি দিই এবং ফ্রেশ পিটিশন নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে যাই। সেখান থেকে এই মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং ৩০২ ধারায় রেকর্ড করার জন্য দ্বিতীয়বার গুলশান থানাকে বলা হয়। পাশাপাশি পিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও আমরা আপিল করেছি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২৮ ধারায়। আপিল গ্রহণের পর আমরা হাইকোর্টে শুনানির জন্য দিয়েছি।’
মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বলেন, ‘আপনারা এখনও আমার বোনের হত্যা মামলা নিয়ে কাজ করছেন, এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তখন বিচার হয়নি। আমরা শুনানির জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা আসামির ফাঁসি চাই।’
নুসরাতের স্বামী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার শ্যালিকা মুনিয়া হত্যার সঙ্গে যারা যারা জড়িত, সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এদিকে মুনিয়া হত্যাকাণ্ডের মামলায় যেসব পুলিশ সদস্য কাজ করেছেন তাদের কেউ বর্তমানে সংশ্লিষ্ট থানায় দায়িত্বে নেই। এরপরও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইউএনবির এ প্রতিবেদক। তবে তারা কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে। তিনি একদিন সময় নেন তথ্য দেওয়ার জন্য। তবে পরদিন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগে যারা ছিলেন তারা মুনিয়ায় ব্যাপারে কথা বলতে চান না।
আরও পড়ুন: মুনিয়া হত্যা মামলা: ষষ্ঠবারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের তারিখ
৪ সপ্তাহ আগে
আবাসিক হোটেলে ‘গোপন বৈঠকের’ অভিযোগে ১৯ ইউপি সদস্য আটক
কক্সবাজার শহরে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ‘গোপন বৈঠকের’ অভিযোগে ১৯ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহরের কলাতলী ইউনি রিসোর্টের পঞ্চম তলার হল রুম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জহির আহমেদ বলেন, ‘জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা চলছিল। আমরা প্রায় ৭০ জনের মতো ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্রান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। পুলিশ ও সমন্বয়করা ঢুকে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আটক করে। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকতো তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পর্যটন কেন্দ্রে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, ‘আজ আমাদের মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিলেন। কিন্তু এভাবে আমাদের ভাইদের আটক করার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এদিকে পুলিশ হোটেল ঘেরাও করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একারণে হোটেলের পর্যটদের কাউকে কাউকে হোটেল ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
ইউনি রিসোর্টে ৫০৫ নম্বর কক্ষের পর্যটক মিরাজ বলেন, ‘আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এই হোটেলে উঠেছিলাম। হঠাৎ পুলিশ হোটেল ঘেরাও করে। কিছুক্ষণ পর কেয়কজন ছাত্র পরিচয় দিয়ে হোটেলে ডুকে পড়েন। আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি না। তাই চলে যাচ্ছি।‘
এদিকে অভিযানের নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ নিতে বাধা দেন সমন্বয়ক পরিচয়ধারীরা। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর হামলাও করেন তারা।
দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি আশরাফ বিন ইউছুফ বলেন, হোটেলে পুলিশের অভিযান চলছে এমন খবরে আমরা নিউজ সংগ্রহ করতে আসি। আমরা ছবি তুলতে গেলে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। ভিডিও ধারণ করতে গেলে দালাল বলে গালিগালাজ করেন এক যুবক। তিনি নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এখানে অনেক ইউপি সদস্য আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের আটক করা হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের অভিযানে অর্ধশত কথিত সমন্বয়ক কেন- এমন প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে পিস্তল-গুলি জব্দ, আটক ১
১ মাস আগে
চট্টগ্রামে পর্যটন কেন্দ্রে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পর্যটন কেন্দ্র মহামায়া লেকে ঘুরতে গিয়ে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি রিয়াজউদ্দিনকে (২৮) শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা ও ফেনী সদর থেকে বন্ধুদের নিয়ে মহামায়া পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে যান ওই তরুণী।
এসময় তারা ইকোপার্কের মহামায়া লেকের গহীনে গেলে কয়েকজন বখাটে যুবক তরুণীর বন্ধুদের আটকে রেখে ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
পরে তারা বিষয়টি জানালে নিরাপত্তা কর্মীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, বখাটেদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া রিয়াজউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
১ মাস আগে