স্মারক
স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়লো ১০ হাজার টাকা
দেশে স্বর্ণের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম ১০ হাজার টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০', 'বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী ১৯২০-২০২০' এবং 'স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১' শিরোনামের বাক্সযুক্ত ১০ গ্রাম ওজনের স্মারক স্বর্ণের মূল্য সংশোধন করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাগেজ নিয়মে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আর অনুমোদিত নয়
১ মাস আগে
ঢাকা ও রিয়াদ চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয় দেশেরই আরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার ও বিনিয়োগের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা সৌদি আরবের বিনিয়োগের বড় অংশীদার হবেন।
তিনি সোমবার রিয়াদে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে ব্যবসায়িক বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
আগামীতে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসে মৃত কর্মীর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
সমঝোতা স্মারকে রিয়াদ চেম্বারের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার সই করেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে ৬১টি বাংলাদেশি কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত বেসরকারি খাতের বৃহত্তম ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সৌদি সফর করছেন।
রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস চেয়ারম্যান নায়েফ আবদুল্লাহ আল রাজি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে সৌদি বাজার, উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বাজার যা বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে পারে বলে তিনি জানান।
তিনি বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে সৌদি ও বাংলাদেশের নতুন ও অভিন্ন সুযোগ অন্বেষণের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই এবং সৌদি উদ্যোক্তারাও তাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে আরও ব্যবসা করতে আগ্রহী।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, আমরা সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য দেখে গর্ববোধ করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত এক দশকে তার বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং বিদ্যমান নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ক্রমবর্ধমান রয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে, কাজেই শুধু বাজার বৈচিত্র্য নয়, পণ্য বৈচিত্র্যও প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে তবে এই সংখ্যাটি অন্তর্নিহিত অফুরন্ত সম্ভাবনাকে সবটুকু প্রতিফলিত করে না।
তিনি বলেন, ঢাকা চেম্বারের এ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বড় বিনিয়োগকারীরা বিশেষ করে আইটি, কৃষি পণ্য, অবকাঠামো, নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, গার্মেন্টস পণ্য, সিরামিক পণ্য, পর্যটন ও আতিথেয়তা, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন এবং তারা সবাই তাদের সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী।
পরে তিনি সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের উল্লেখ করে স্মার্ট ফার্মিং, আইটি, ফিনটেক, লজিস্টিকস ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলে চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত আছেন।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা চেম্বারের এ প্রতিনিধি দলের আগামী ১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মক্কা চেম্বার অব কমার্স এর সঙ্গে অনুরূপ বৈঠক এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন নির্ধারিত রয়েছে।
এ বৈঠকে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ইকনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সৈয়দা নাহিদা হাবিবা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে হবে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক
'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টে ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের অনুচ্ছেদ ২ পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার সরকার এ বিষয়ে সম্মতি দেয়।
দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াংগুন বাংলাদেশ সরকারের এ সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মিয়ানমারে আমাদের নিজের ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন’
এর আগে ২০০৪ সালে সই হওয়া এই সমঝোতা স্মারকের ২ নম্বর অনুচ্ছেদটি মিয়ানমার সরকার ২০২০ সালের ২৮ মার্চ কোভিড-১৯ অতিমারির পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিতভাবে স্থগিত ঘোষণা করে।
এ সমঝোতার আলোকে দু’দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অনধিক ৯০ দিন পরস্পরের দেশে ভিসা ব্যতীত অবস্থান করতে পারবে। সমঝোতা স্মারকটি পুনরায় চালু হওয়ায় শুধু সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগই বৃদ্ধি পাবে না, বরং দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার হয়ে চীনের বুলেট ট্রেন ভারত যাবে
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-হাঙ্গেরির মধ্যে ৩টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই
বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরি মধ্যে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে একটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তোর উপস্থিতিতে নথিগুলো সই হয়।
তিনটি বিষয় হলো: 'অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি', '২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্টিপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম প্রোগ্রামের কাঠামোর আওতায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই' এবং '২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই'।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা সই করেন।
বৈঠকে দুই দেশের মন্ত্রীরা খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বিশ্বজুড়ে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে যুদ্ধের অবসানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও সম্মত হন।
আরও পড়ুন: গায়ানার পক্ষে আইসিজে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ: মোমেন
তারা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই সফরে তিনটি চুক্তি ‘দ্বৈত কর পরিহার’, ‘বিনিয়োগের নিরপত্তা বিষয়ক চুক্তি’ এবং ‘পানি সহযোগিতার চুক্তি’ সই হবে।
মন্ত্রীরা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে হাঙ্গেরির সহযোগিতা কামনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হাঙ্গেরির প্রচেষ্টা থাকবে বলে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান।
মোমেন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ঢাকা থেকে হাঙ্গেরির ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, হাঙ্গেরির মন্ত্রী জানান যে বুদাপেস্ট ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু পরামর্শ দিতে পারে’: মোমেন
১ বছর আগে
হাসিনা-মোদি আলোচনার পর ঢাকা-নয়াদিল্লি ৩ সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো-
১.বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দু’দেশের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতে সহযোগিতা জোরদার হবে।
২. ২০২৩-২৫ এর জন্য কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম (সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রোগ্রাম)।
এর অধীনে শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদারকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
৩. ভারতের এনপিসিআই ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্টস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক।
এই সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক লেনদেন সম্পাদন সহজতর হবে।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
এফবিসিসিআই-রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরো শহরে এ স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে নীতিগত ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিল্প ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট তথ্য আদান-প্রদান, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর, উদ্ভাবন ও গবেষণা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দুটি একমত পোষণ করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মো. জসীম উদ্দিন, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাজিলে বাংলাদেশের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে এই সমঝোতা স্মারকটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, দুই দেশের সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়াই বর্তমানে ব্রাজিল ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ফলে ব্রাজিলের অন্যতম বৃহৎ চেম্বারের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; উভয়মুখী বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আগামী দিনগুলোতেও দুই দেশের ব্যবসায়ীগণকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: সার্বিয়া বাংলাদেশের খাদ্য সংরক্ষণ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী: এফবিসিসিআই
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
২ বছর আগে
দক্ষিণ সিটি ও বুখারেস্টের মধ্যে দেশের প্রথম ‘সিস্টার সিটিজ’ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের (থার্ড ডিস্ট্রিক্ট) মধ্যে দেশের প্রথম ‘সিস্টার সিটিজ’ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দুই দেশের দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বুখারেস্টের (থার্ড ডিস্ট্রিক্ট) মেয়র রবার্ট সোরিন নেগোইতা নিজ নিজ করপোরেশনের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই দেশের দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, যানজট নিরসন ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কারিগরি তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়, শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ এবং বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি রচিত হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
২ বছর আগে
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ফিলিপাইনে স্মারক খাম ও ডাকটিকেট প্রকাশ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণে স্মারক খাম ও বিশেষ ডাকটিকেট অবমুক্ত করেছে ফিলিপাইন পোস্টাল করপোরেশন ফিলপোস্ট।
শুক্রবার ফিলিপাইন পোস্টাল করপোরেশন ও ফিলিপাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী খাম ও ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন ফিলপোস্ট পোস্টমাস্টার জেনারেল ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নরম্যান ফুলগেনশিও এবং ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম।
আরও পড়ুনঃ ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে নেতা কর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে পোস্টমাস্টার জেনারেল নরম্যান ফুলগেনশিও ফিলপোস্টকে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে অংশীদার করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুজিব লোগো সম্বলিত এই ডাকটিকেট ও খাম ফিলিপিনোদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করবে।
জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতার নীতি, আদর্শ, ত্যাগ ও জীবনসংগ্রাম পৃথিবীর সব মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এই ডাকটিকেট ও খাম প্রকাশের মাধ্যমে ফিলিপাইন ও বহির্বিশ্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ব্যাপকভাবে প্রচারিত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনাদর্শ সাধারণ ফিলিপিনোদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুনঃ সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
তিনি জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগদানের জন্য ফিলপোস্টকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, মুজিব বর্ষের লোগো সম্বলিত উদ্বোধনী খাম ও ১৭ ফিলিপাইন পেসো মূল্যমানের ডাকটিকিট ডিজাইন করেছে ফিলপোস্ট ক্রিয়েটিভ টিম।
কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষিতে সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সীমিত পরিসরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ফিলপোস্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে