হাট
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস
হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে এক সমন্বয় সভায় মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
করপোরেশনের কাউন্সিলর, অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (পিসিএসপি) প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র তাপস বলেন, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এবার প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি।
ঈদের ২য় দিনের মধ্যে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করতে আহ্বান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, কোরবানির ঈদে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ্য সরাতে কাজ শুরু করে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই কাজ চলে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সবার ঈদ উদযাপন এবং বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।
সভায় প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদের সঞ্চালনায় কাউন্সিলর ও পিসিএসপি প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সমন্বয় সভায় করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তৈরিতে আগ্রহী মাইক্রোসফট
আওয়ামী লীগ এখন পুলিশ-লুটেরাদের ওপর নির্ভরশীল: রিজভী
৬ মাস আগে
এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
ঈদুল আজহা আসন্ন। এর আগেই অস্ট্রেলিয়ান হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’ নামে দুইটি গরু নিয়ে হইচই পড়েছে সাতক্ষীরায়। বিশাল আকৃতির এ পশু দুইটি এবার সাতক্ষীরার কোবরানির হাটে মাঠ কাঁপাবে।
‘হিরো সম্রাট’ এর উচ্চতা- ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৪০ মণ।
অন্যদিকে, ‘শুভরাজ’ এর উচ্চতা- ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৩৫ মণ।
সম্রাটের ১৬ লাখ টাকা, আর শুভরাজের দাম হাকানো হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘুড্ডেরডাঙ্গী গ্রামের প্রভাষক ইয়াহইয়া তমিজী নিজ বাড়িতেই পরম যত্নে লালন পালন করে বড় করে তুলেছেন গরু দুটি।
পাঁচ বছর বয়সের সম্রাট ও সাড়ে চার বছর বয়সের শুভরাজকে এ বছরই কোরবানি ঈদে ছেড়ে দিতে চান তিনি।
গরু দুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে এলাকা বাসিসহ দূর-দূরান্তের মানুষ।
গরু দেখতে আসা তানজির কচি জানান, এত বড় গরু আগে কখনো দেখিনি। গরু দুটি এতোই বৃহদাকারের যে গোয়াল থেকে বের করা দায়। সারাদিন গোয়ালেই ফ্যানের বাতাসে দিন কাটে তাদের। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রকৃতির বাতাসও।
গরুর মালিক ইয়াহইয়া তমিজী জানান, ভূষি, একাত্তরের প্রি মিক্স, সয়াবিনের খৈল আর নিজ বাড়ির টাটকা ঘাস খেয়েই বেড়ে উঠেছে সম্রাট ও শুভরাজ।
আরও পড়ুন: এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
১ বছর আগে
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে কোনো প্রকার পশুর হাট যাতে না বসে আমরা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখব বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে কোনো প্রকার পশুর হাট যাতে না বসে আমরা সেটা লক্ষ্য রাখব। পশুর হাটে হাসিলের সাইনবোর্ড দৃশ্যমান রাখতে হবে। পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীও নিয়োজিত থাকবে। পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন ও এটিএম বুথ থাকবে।’
রবিবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৯ বা ৩০ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
মন্ত্রী জানান, ‘সারাদেশে ৪ হাজার ৩৯৯টি পশুর হাট বসবে বলে আমাদের কাছে এ পর্যন্ত খবর এসেছে। এসব হাটে নিরাপত্তা দিতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পশুর হাট বসলে তা যেন কোনোক্রমেই যেন মহাসড়কের ভেতর না আসতে পারে, সেজন্য ওই হাটের কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘কোরবানির পশু ঠিকমত যাতে শহরে ঢুকতে পারে এবং পরিবহন যাতে সুন্দর হয় সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় ও কোরবানির পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার বসাবো। পশুর হাটগুলো সিসি ক্যামেরায় আবৃত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পুলিশ নয়, অনেকেই পশুবাহী গাড়ি থামিয়ে থাকে। যদি কেউ পশুবাহী গাড়ি থামায় তাহলে স্থানীয় এসপিকে জানাতে হবে। এরপর তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া পথে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কেউ কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘কোনো পশুবাহী নৌযান ও ট্রাক পরিবহনের সময় জোরপূর্বক নির্দিষ্ট কোনো হাটে যাতে বাধ্য করা না হয়, থামানো না হয়। সেজন্য ট্রাক বা যানে সামনে ব্যানারে লেখা থাকবে পশুবাহী যান কোন হাটে যাচ্ছে। পশুবাহী যানবাহন সড়ক, মহাসড়ক বা নদীতে কেউ থামাতে পারবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থামাতে পারবে না। কেউ যান থামালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও ফেরিঘাটে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় থাকবে। মলম ও অজ্ঞান পার্টি যাতে কোনো কার্যক্রম করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর থাকবে। পশুর হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসক থাকবেন।’
আরও পড়ুন: ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিলেটে প্রথম বর্ডার হাটের উদ্বোধন, বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা
কয়েকদফা পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে জেলার প্রথম বর্ডার হাটের। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (৬ মে) সকালে এই হাটের উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই ক্রয়বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়।
হাটের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সিলেটে নিযুক্ত সহকারী ভারতীয় হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল। এসময় দু-দেশের প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এমন হাটের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
ভারতের মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস ও কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত এই বর্ডার হাট প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার দুই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এখানে ভারতের ২৬টি ও বাংলাদেশের ২৪টি স্টল থাকবে। হাটে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হবে এবং হাটের ৫ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দারা পণ্য ক্রয়বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, আবেদনকারী বিক্রেতাদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ২৪ জন বিক্রেতা বাছাই করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য আবেদনকারী বিক্রেতাদেরকে লটারির মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হবে।
এদিকে আবেদনকারী ক্রেতাদের মধ্যে বর্ডার হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সই করা কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের ভিজিটর কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, একজন ক্রেতা একদিনে সর্বোচ্চ ২০০ ডলারের সমমান টাকার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। প্রবেশ ফি বাবদ কার্ডধারী একজন ক্রেতাকে দৈনিক ৩০ টাকা ও বিক্রেতাকে দৈনিক ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। এ টাকা বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদনক্রমে এই হাটের সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।
বর্ডার হাটের ক্রয়বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্টানে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্ব ভালোবাসেন। এজন্য ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার হাট স্থাপন করেছেন। এতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নয়ন হবে।
মন্ত্রী বলেন, এ বর্ডারহাট পরীক্ষামূলক। এখান থেকে ভালো কিছু আসলে পরবর্তীতে সিলেটের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আরও হাট বসানো হবে।
আরও পড়ুন: বর্ডারহাট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিক খুলে দিয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যানমন্ত্রী বলেন, এ হাট পরিচালনার ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিকে আরো তৎপর হতে হবে। বর্ডার হাট ব্যবসার জন্য, স্মাগলিংয়ের জন্য না। এখানে আড্ডার জন্য যাওয়া যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, বর্ডার হাটে কেউ খারাপ কোনো উদ্যেশ্য নিয়ে যেতে পারে। কেউ যাতে ভিতরে গিয়ে কোনো অপকর্ম করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল বলেন, সিলেট থেকে যেসব পণ্য তৈরি হবে সেগুলো বর্ডার হাটে বিক্রি করতে পারবেন। ভারতের যারা তারাও বিক্রি করবে। এতে দুদেশের লাভ হবে।
তিনি বলেন, যাদের আত্মীয় স্বজন ভারতে আছেন বর্ডার হাটে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরণের ভিসা লাগবে না। সিলেটে আরও কয়েকটি বর্ডার হাট হবে। সুনামগঞ্জে একটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিজোরামের বাণিজ্য বাড়াতে সাজেকে বর্ডার হাট
সিলেটের জেলা প্রশাসক সিলেট মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি ছিলেন, ভারতের সহকারী হাই কমিশনার (সিলেট) নিরাজ কুমার জয়শওয়াল, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরুল হাসান। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে বর্তমান ১৩টি বর্ডার হাটের কার্যক্রম চালু রয়েছে। আরও ৩টি বর্ডার হাট চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।
২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারে সীমান্ত হাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বাংলাদেশ এবং ভারতের জিরো পয়েন্ট (ভারত অভ্যন্তরে) এক একর জায়গার উপর প্রস্তাবিত এই বর্ডার হাটের কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট ফের চালু
১ বছর আগে
বাগেরহাটে জমে উঠেছে পশুর হাট
বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে পশু বেচা-কেনা। হাটে দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের গরুর সরবারহের ঘাটতি নেই। তেমনি ক্রেতারও কমতি নেই। তবে হাটে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি।
ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা পশুর হাট শুক্রবার সকাল থেকে জমে উঠেছে। দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের কয়েক হাজার গরু আনা হয়েছে হাটে। দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা আসছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত এই হাটে গরু কেনা-বেচা চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে বিশাল গরুর হাট। ট্রাক এবং পিকআপ থেকে গরু নামানো হচ্ছে হাটে। মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় আশে পাশে ফাঁকা জায়গায় খুটি গেড়ে গরু রাখা হয়েছে। ক্রেতারা এসে নানাভাবে গরু দেখার পর বিক্রেতাদের সাথে দরকষাকষি করছেন। চাহিদা মতো মূল্য না পাওয়ায় অনেকই গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
ফয়লাহাটের এক প্রাশে গিয়ে দেখা গেলো, অস্টেলিয়ান হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের একটি গরু দেখতে ভিড় জমিয়েছে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা। ওই গরুটি হাটের সব চেয়ে বড় সাইজের বলে দাবি খামারীর। ওই গরুটির দাম হাকানো হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
হলেস্টিয়ান জাতের ওই গরুর খামারি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম জানান, গত তিন বছর ধরে সে ব্যবসার জন্য বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তুলেছে। তার খামারে ছোট-বড় মিলে মোট আটটি গরু রয়েছে। খামারের সব চেয়ে বড় দু’টি গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলেছে। এর মধ্যে সাদা রঙের উপর হালকা কালোছোপ দেয়া গরুটি তার খামারের সব চেয়ে বড়। আর কালো রঙে গরুটির তার চেয়ে একটু ছোট। বড় গরুটির ওজন হবে ১৪ মণ। বিক্রির জন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছে। ক্রেতারা সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। আর কালো রঙের গরুটির ওজন হবে ১২ মণ। দাম হাকিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা।
খামারি নিয়ামুল ইসলামের তথ্যমতে, তার খামারে হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের ওই গরুটি তিন বছর ২ মাস আগে জন্ম নিয়েছে। সে গরুটিকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছে। প্রতিদিন ওই গরুটির খাবারের জন্য তার ব্যয় হচ্ছে এক হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই খামারী তার গরু দু’টি বিক্রি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন, কালাম শেখ, আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খামারী ও গরু ব্যবসায়ী জানান, বছরজুড়ে তারা গরুর খাবার হিসেবে খড়, ভুট্টারগুড়া, ভুসি,সরিষার খৈল,তুলার খৈল, সয়াবিনের খৈল দিয়ে থাকে। গো খাদ্যোর মূলো বেড়ে যাওয়ায় গরুর মূল্যে বেড়ে গেছে। যে মূল্যে গরু বিক্রির টার্গেট নিয়েছে তার কমে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
ক্রেতা রামপাল উপজেলার সোলাকুড়া গ্রামের রাসেল গাজী জানান, দুপুর থেকে সে হাটে ঘুরে ঘুরে গরু দেখছে। হাটে গরুর আমদানি থাকলেও দাম অনেক। গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া। বিগত বছর সে যে সাইজের গরু এক লাখ টাকায় ক্রয় করেছে এ বছর ওই সাইজের গরুর দাম এক লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে। দাম বেশি হওয়ায় রাসেল গাজীর মতো অনেক ক্রেতা বাজেট করে গরুর হাটে এসে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
ফয়লাহাটের ইজারাদার গাজী আক্তারুজ্জামান জানান, হাটে ছয় থেকে সাত হাজার গরু উঠেছে। ছাগলও আছে কয়েক হাজার। বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি এবং ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এসেছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সুবিধার্থে হাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা নেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান জানান, জেলায় এ বছর ঈদুল আজহা সামনে রেখে ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার গরু এবং ১৫ থেকে ২০ হাজার ছাগল ও বেড়ার চাহিদা রয়েছে। লাভবান হতে খামার এবং পারিবারিক পর্যায়ে মানুষ গরু লালন পালন করছে। হাটগুলোতে ভ্যাটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু বিক্রি হচ্ছে।
গরুর দাম যাতে কম হয় এজন্য দানাদার খাবারের পরিবর্তে ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, জেলায় স্থায়ী ১৩টি এবং অস্থায়ী পাঁচটি মিলে মোট ১৮টি গরুর হাট বসেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাটে প্রবেশ এবং বাইর হওয়ার জন্য আলদা পথ রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া জাল টাকা রোধে আইনশৃ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকার নির্ধারিত হারে ইজারা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় পশুর হাট নয়
২ বছর আগে
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা দানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টিমগুলো এ কাজে নিযুক্ত হয়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে এ টিমগুলো কাজ শুরু করেছে।
রোগাক্রান্ত ও কোরবানির অনুপযুক্ত গবাদিপশু যাতে হাটে ক্রয়-বিক্রয় না হয় সেজন্য এ মেডিকেল টিম কাজ করছে।
এছাড়াও সারাদেশের কোরবানির হাটে এক হাজার ৭৩৯টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমও কাজ করছে।
অপরদিকে, রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ জন্য মন্ত্রণালয়ের ৯জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নির্ধারিত পশুর হাটে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১২টি মনিটরিং টিমও রাজধানীর কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে।
আরও পড়ুন: রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার পথে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
২ বছর আগে
রাস্তায় পশুর হাট নয়
আসন্ন ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এবার রাস্তায় পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, রাস্তার ওপর পশুর হাট, হাটে যে খাজনা নেয়া হয় বা হাসিল, পশুর ট্রাকে বাঁধা দিয়ে চাঁদাবাজি, জোর করে হাটে পশু নামানো এ বিষয়গুলো বৈঠকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন যেন সতর্ক থাকে কোন ব্যবসায়ী বা ক্রেতাদের যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।
তিনি বলেন, যত্রতত্র যাতে পশুর হাট না বসে।অনেক সময় দেখা যায়, ঢাকার বাইরেও রাস্তার পাশে হাট বসছে। ফলে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। কাজেই রাস্তার পাশে কোন অবস্থায় সাময়িকভাবেওযেনো কোরবানির পশু বিক্রি না হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এখন থেকেই বড় সাইনবোর্ড থাকবে টোল রেট (হাসিল) কতো। তারা তাদের ইচ্ছা মতো নেয়। শতকরা হার কতো তা হাটে চার্টটা দৃশ্যমান থাকতে হবে। পত্রপত্রিকার মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা হবে। যাতে বেশি নিতে না পারে সে জন্য সেখানে (পশুর হাট) ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
তিনি বলেন, পশুর চামড়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই বছর আমরা লক্ষ্য করেছি মানুষ চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। আমাদের দেশে প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাটা নেই, কাঁচা চামড়া বিদেশে বিক্রি করা যায় না। মধ্যস্বত্ব ভোগীরাই সব সুবিধা ভোগ করে। যারা চামড়া বিক্রি করে তারা খুব কম দাম পায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লাখের বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত: জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয় অচিরেই সভা করে চামড়ার রেট ঘোষণা করবে। আগামী দুই দিনের মধ্যে শিল্প ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সাভারের চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শন করবেন। যাতে ওখানকার কারখানাগুলো ইফেক্টিভলি রান করতে পারে। কোনো অজুহাত যাতে ব্যবসায়ীরা দাঁড় করাতে না পারে, সেটা দেখার জন্য।
একই সঙ্গে মিলকারখানার মালিকদের জন্য আমাদের পরামর্শ সময়ের মধ্যে যেনো তাদের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা, তাদের প্রাপ্য পেয়ে যায়। টাকা পয়সার জন্য তাদের মধ্যে যেনো কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়। স্থানীয় প্রশাসন আগে থেকেই এসব মিল কলকারখানা খবর নিতে থাকবে।
পদ্মা সেতুসহ দেশের অন্যান্য সেতু, ওভারব্রিজে ডিজিটাল টোল ব্যবস্থা চালুর করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আমরা দেখেছি পদ্মা সেতুতে অনেক টোল আদায় হচ্ছে। এই টোল দিতে অনেক কষ্ট হয়। কারণ ম্যানুয়ালি সংগ্রহ করা হয়।
'আসন্ন ঈদে হাজার হাজার গাড়ি যাবে। তখন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই ঈদে কিছু করা যাবে না। ভবিষ্যতের জন্য সারা দেশে যাতে অটোমেশন টোলের ব্যবস্থা করা যায়, এ জন্য আমাদের প্রত্যেকের গাড়িতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্থাপন করতে হবে। এতে করে কাউকে আর ম্যানুয়ালি টোল দিতে হবে। এই ব্যবস্থা দ্রুত চালুর জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি' বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নয়, দেশের অন্যান্য সকল সেতুতে যেখানে টোল দেয়া হয় সেখানেই মানুষের অনেক কষ্ট হয়। এ জন্য সেতুর সুফলটা মানুষ ঠিক মতো পায় না। তাই ব্রিজ ও ওভারব্রিজের সুবিধা পেতে হলে দ্রুত ডিজিটাল টোল ব্যবস্থায় যেতে হবে। তাহলে মানুষ এর সুবিধা পাবে। যত দ্রুত সম্ভব প্রতিটি গাড়িতে এই ব্যবস্থা করতে হবে। যেটা আমরা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে দেখে থাকি। এ বিষয় আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।
এ সময় তিনি আরও জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে। তবে যে পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থাকবে, সে সময়ে কোনো অপরাধ করলে কি আইনে ব্যবস্থা নেয়া যায়। সে বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে ৪৪০০টির বেশি পশুর হাট বসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এবার ১.২১ কোটির বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত: মন্ত্রী
২ বছর আগে
কোরবানির হাট মাতাবে ‘সম্রাট’ ও ‘ট্রাম্প’
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে খুলনায় কোরবানির জন্য সাড়ে ২৭ মণ ওজনের সম্রাট এবং ২৬ মণের ট্রাম্পকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শুধু সম্রাট-ট্রাম্পই নয় এই ফার্মে রয়েছে সম্রাটের ভাই নবাব, আছে ডন, বাদশা, টাইটেন, জেমস, কালুসহ বিভিন্ন বাহারি নাম আর রংয়ের ৬৫টি গরু।
খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের মধুমতি ডেইরি ফার্মে এবারের ঈদে কোরবারির জন্য ৯টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্রাট আর ট্রাম্প এবারের কোরবানির পশুর হাট মাতাবে বলে মন্তব্য করেছেন ফার্মের সংশ্লিষ্টরা।
ফার্মের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইমতিয়াজ হোসেন রনি বলেন, ফার্মটি আমার চাচা শামীম শেখের। আমি নিজেসহ বেশ কয়েকজন ফার্মটি দেখাশোনা করি। কিছু কর্মচারী রয়েছে। এই খামারের শুরুতে সাড়ে ৩ থেকে ৪ বছর আগে ১৪টি গরু আনা হয়। এখন চার প্রজাতির ৬৫টি গরু রয়েছে খামারে। এই সময়ের মধ্যে আরও ছয়টি গরু বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত খুলনার ৩২ মণের ‘কালো মানিক’
তিনি বলেন, এটি দুগ্ধ খামার। এখানে এবার কোরবানি ঈদের জন্য ৯টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে আকার-আকৃতি, গঠন, রং, স্বভাব, চেহারা সবদিক থেকে আকর্ষণীয় হচ্ছে সম্রাট। যে কারোরই পছন্দ হবে। এটির দাম ১৩ লাখ টাকা বলেছিল একজন। কিন্তু আমরা ২৫ লাখ টাকা বলেছি। আশা করছি হাটে নেয়ার পরই বিক্রি হবে। ট্রাম্পও ভালো দামে বিক্রি হবে-ইনশাআল্লাহ। দু’টি গরুই শান্ত প্রকৃতির।
ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এরা সাধারণ খাবারই খায়। গমের ভূষি, সয়াবিনের খৈল, ধান ও ভুট্টার কুড়া খেয়ে থাকে। এর সঙ্গে দুপুরে নিজেদের ফার্মেই উৎপাদিত ঘাস খাওয়ানো হয়।
ফার্মের কর্মচারী জাফর ভূঁইয়া বলেন, এই ফার্মের শুরু থেকে এখানে কাজ করি। গরুগুলোকে সাধারণ খাবার খাওয়ানো হয়। আর দুধের গরুগুলোকে এসব খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ওষুধ খাওয়ানো হয় ক্যালসিয়ামের জন্য। খাবারের সঙ্গে আয়োডিনযুক্ত লবণ দেয়া হয়। এসব খাবার দুই বেলা দেই আর এক বেলা ঘাস।
আরও পড়ুন: এবার ১.২১ কোটির বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত: মন্ত্রী
ফার্মের মালিক শামীম শেখ জানান, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ফার্মে ৯টি গরুর মধ্যে আকর্ষণীয় হচ্ছে সম্রাট ও ট্রাম্প। এর মধ্যে সম্রাটের ওজন সাড়ে ২৭ মণ হবে। আর কালো রংয়ের ট্রাম্পের ওজন ২৬ মণ হবে। গরুগুলো ঢাকা গাবতলীর হাটে নেয়া হবে। আকর্ষণীয় এই দু’টি গরুর দাম ৩২ থেকে ৩৩ লাখ টাকা প্রত্যাশা করছি। যার মধ্যে সম্রাট ১৭ থেকে ১৮ লাখ এবং ট্রাম্প ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা। বাকি গরুগুলো বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হবে।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মন্ডল বলেন, বিগত দিনে কোরবানির জন্য ৮০ হাজার গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। এই বছর তার চেয়ে কিছু বেশি হবে। কারণ করোনার প্রভাব না থাকার কারণে আমরা সকল উৎসবে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখছি। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার প্রেক্ষিত আমরা মনে করি এবার কোরবানির ঈদ আনন্দময় হবে।
তিনি বলেন, এবার ৭ হাজার ৬১৪ জন খামারি ২৩ হাজার ৯১৭টি গরু কোরবানির জন্য লালন-পালন করেছে। এছাড়া মহিষ ১৭টি, ছাগল প্রায় ৯৩ হাজার এবং দুই হাজার ৩৫০টি ভেড়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লাখের বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত: জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
তিনি বলেন, খামারির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে কোয়ালিটিও বাড়ছে। অনেকেই এখানে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করছে। প্রাণিসম্পদে লাভ আকাশচুম্বি না হলেও লাভ অবশ্যই আছে। এই সময়ে মৌসুমী কিছু খামারিও গরু প্রস্তুত করে। বরাবরই তারা লাভ পেয়ে আসছেন। এবারও তারা লাভ পাবে। বেকার যুববকরা অনেক বিনিয়োগও করছে।
২ বছর আগে
এবার কুষ্টিয়ায় হাট কাঁপাবে ‘শের খান’
‘শের খান’ নাম শুনে এলাকার কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি মনে হলেও প্রকৃত অর্থে এটি বিশাল আকৃতির একটি গরু। প্রায় এক হাজার ৬০০ কেজি ওজনের গরুটি এবার কুষ্টিয়ার কোবরানির হাট কাঁপাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের প্রান্তিক খামারি আকমাল ইসলাম। দীর্ঘ চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে বড় করেছেন। আদর করে গরুটি’র নাম দিয়েছেন ‘শের খান’।
সুঠাম দেহের অধিকারী সুউচ্চ এই গরুটিকে কোরবানির হাটে তোলার জন্য অনেক কষ্টে গোয়ালঘর থেকে বের করতে হয়েছে তাকে। গরুটির জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে উপজেলার সেরা খামারি হিসেবেও প্রশংসিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির গরু ‘সম্রাটের’ দাম ৬ লাখ টাকা!
গরুটির মালিক আকমাল ইসলাম জানান, চার বছর ধরে গরুটিকে ঘাস, খোল, ভূষি, কলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি খাইয়ে নজের সন্তানের মত অতিকষ্টে লালন-পালন করে বড় করে তুলেছি। আদরের পশু সেরখানকে লালন-পালন করতে তার অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে।
তিনি বলেন, সেরখানকে বড় করতে অনেক টাকা ঋণী হয়ে পড়েছি। ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই তাকে এবারের কোরবানির হাটে বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবানির হাটে যে সমস্ত গরু উঠছে তার মধ্যে ‘শের খান’ এখনও সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু।
আরও পড়ুন: কোরবানির গরুর নাম যখন বিন লাদেন, সাদ্দাম, গাদ্দাফি!
মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, এই উপজেলায় পশু স্বাস্থ্য সম্মতভাবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস তাদের নানাভাবে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় কৃষক আকমালের বাড়িতে গরুটিকে দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন। গরুটি দেখতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমরাও গিয়েছিলাম। গরুটির মালিক স্বাস্থ্য সম্মতভাবে লালন-পালন করে গরুটিকে বড় করে তুলেছেন।
২ বছর আগে
কুমিল্লায় স্কুল মাঠগুলোতে চলছে অবৈধ গরুর হাট!
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় স্কুল মাঠেই অবৈধ গরুর হাট চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উপজেলার ২৩টি পশুর হাটের মধ্যে ১১টি হাটেরই কোনও অনুমোদন নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জোয়াগ ইউনিয়নের ধেরেরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও বরকইট ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সপ্তাহে দুইদিন করে গরুর হাট চলে। এর মধ্যে নবাবপুর ও ধেরেরা অস্থায়ী হাট অন্য জায়গা দেখিয়ে সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে পরবর্তীতে বিদ্যালয় মাঠে হাট বসায়।
আরও পড়ুন: পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
এদিকে শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের হাট ইজারা ছাড়াই জোরপূর্বক হাট চলছে।
জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে চান্দিনা উপজেলায় চারটি স্থায়ী গরুর বাজার রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় আরও আটটি অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। স্থায়ী ও অস্থায়ী ১২টি গরুর বাজারের স্থলে বর্তমানে চান্দিনায় অন্তত ২৩টি গরুর হাট রয়েছে। চান্দিনার শ্রীমন্তপুর, ছয়ঘড়িয়া, শুহিলপুর, কালিয়ারচর, গল্লাই-তালতলা, মহিচাইল-ছেঙ্গাছিয়াসহ আরও অন্তত পাঁচটি হাট অবৈধভাবে চলছে। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের অনুমতি না মিললেও, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ওই সব হাটে পশু বেঁচা-কেনা হচ্ছে। এতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
চান্দিনার শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘কে বা কারা গরুর বাজার বসিয়েছে আমি কিছুই জানি না। শনিবার স্কুলে এসে মাঠে খুঁটি দেখে শুনেছি শুক্রবার নাকি গরুর হাট বসেছিল।’
ধেরেরা গরু হাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধেরেরা মৌজার ৫৫১ দাগে ইজারা নিয়েছি। মাঠের এক পাশে খুঁটি বসাই। যেখানে আমাদের ইজারা আছে। স্কুলের জায়গায় খুঁটি দেইনি।’
নবাবপুর গরু বাজার পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আশেক এলাহী জানান, ‘নবাবপুরে স্থায়ী গরুর বাজার আছে। ঈদের সময় ওই জায়গাতে সংকুলান না হওয়ায় স্কুল মাঠে নিয়ে আসি। ঈদের সময় মাত্র দু’টি বাজারই হয় স্কুল মাঠে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি জায়াগায় অস্থায়ী গরুর হাট ইজারা দিয়েছি। কোন বিদ্যালয়ের মাঠে নয়। যারা বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসিয়েছে, খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া অনুমোদনহীন গরুর হাট বন্ধে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।’
৩ বছর আগে