সতীর্থ
জীবিত আছি: মৃত্যুর গুজবে হিথ স্ট্রিক
ক্রিকেটাঙ্গনে আজকের প্রধান আলোচনার বিষয় জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিকের মৃত্যু। কিন্তু, তিনি কি সত্যিই মারা গেছেন! এ নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। যার উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন। এর অর্থ দাঁড়ায়, তিনি বেঁচে আছেন।
স্ট্রিক তার সাবেক সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদানপ্রদানের সময় বলেন, ‘আমি বেশ জীবিত আছি।’
চলতি বছরের মে মাসে জানা যায়, সাবেক এই অলরাউন্ডার ক্যান্সারে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল
জিম্বাবুয়ের হয়ে ফাস্ট বোলার হিসেবে স্ট্রিকের সঙ্গে খেলা ওলোঙ্গাই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে প্রথম এই ধোঁয়াশার অবসান করেন। তিনিই সত্যের বাহক হিসেবে সবাইকে জানিয়ে দেন, স্ট্রিক আসলে জীবিত।
দুজনের মধ্যে আদানপ্রদান হওয়া বার্তার একটি অংশের স্ক্রিনশট দিয়ে ওলোঙ্গা তার এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘থার্ড আম্পায়ার তাকে ফেরত পাঠিয়েছেন।’
সেখানে তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজবটি বেশ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। আমি তার কাছ থেকে মাত্রই শুনেছি। বন্ধুরা, তিনি বেশ জীবিত আছেন।’
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয়
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের কয়েকটি সূত্রও নিশ্চিত করেছে, সাবেক এই অধিনায়ক বেঁচে আছেন, যদিও তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে তার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্ট্রিক বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান শক্তিশালী পেস আক্রমণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রিক ২৫৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ১৫ হাজারেরও বেশি রান করেছেন এবং ১ হাজার ৩০০-এরও বেশি উইকেট নিয়েছেন। তার সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিগার সুলতানার ৭৫ রানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
১ বছর আগে
টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর 'নাটকীয়' বিদায়, ‘গার্ড অব অনার’ সতীর্থদের
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার এবং টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের পঞ্চম দিন মাঠ নামার আগে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে তাঁর সতীর্থরা এই গুঞ্জন সত্যি প্রমাণ করে দিলেন।
আরও পড়ুনঃ কোপার শিরোপা মেসির হাতে
ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলার আগে তার অবসর সম্পর্কে সতীর্থদের অবহিত করেন বলে জানা গেছে। তিনি অবশ্য গণমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে টেস্টে নির্বাচিত হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ ১৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে খেলার বাইরে ছিলেন। এই প্রত্যাবর্তন টেস্টে তিনি অপরাজিত থেকে ১৫০ রান করেছিলেন, যা এখন তার শেষ টেস্ট ইনিংস হবে।
একটি বাংলাদেশি গণমাধ্যম হারারে থেকে জানিয়েছে, মাহমুদউল্লাহ গত রাতে ধারণা দিয়েছিলেন, তিনি এই অবসর নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।
আরও পড়ুনঃ মাহমুদউল্লাহ তাসকিনের বীরত্বে ৪৬৮ রানে থামল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান এর আগে একটি জাতীয় দৈনিককে বলেছেন, ‘তিনি আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি। আমি অন্য কারও কাছ থেকে জানতে পেরেছি। তবে এটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এটা অস্বাভাবিক। আমরা এখন একটি টেস্ট খেলছি। ম্যাচটি এখনও শেষ হয়নি।’
নাজমুল আরও বলেছিলেন, মাহমুদউল্লাহর এই সিদ্ধান্ত তাকে অনেক অবাক করেছে। কারণ এই অলরাউন্ডার বোর্ডের কাছে লিখিত সম্মতিতে টাইগারদের হয়ে সব ফরম্যাটে খেলতে রাজি আছেন বলে লিখেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ আচরণবিধি লঙ্ঘন: তাসকিন ও মুজারাবানিকে জরিমানা
নাজমুল আরও বলেন, ‘তিনি আমাদের লিখেছিলেন যে সুযোগ পেলে তিনি টেস্ট খেলবেন। আমরা জাতীয় দলের প্রত্যেক খেলোয়ারের কাছে জানতে চাই তাঁরা কোন ফরম্যাটে খেলতে পছন্দ করেন। মাহমুদউল্লাহ আমাদের জানিয়েছিলেন তিনি প্রতিটি ফরম্যাটেই খেলতে পারবেন।’
সম্প্রতি তিনি নিজে টেস্ট ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে মাহমুদউল্লাহর সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, দলের প্রয়োজন হলে তিনি টেস্ট খেলতে প্রস্তুত এবং বোলিংয়ের জন্যও প্রস্তুত।
ডানহাতি অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সব ধরণের খেলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তিনি একাধিকবার টেস্টে নিজের জায়গাটি হারিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ হারারে টেস্ট: লিটন রিয়াদের দৃঢ়তায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তি
চলমান টেস্টসহ মাহমুদউল্লাহ টাইগারদের হয়ে মোট ৫০টি টেস্ট খেলেছেন এবং হারারে টেস্টের প্রথম ইনিংস পর্যন্ত ১৯৪৯ রান করেছেন। তিনি পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন।
অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ ১৯৭টি ওয়ানডে ও ৮৯টি টি-২০ খেলেছেন এবং যথাক্রমে ৪৪১০ ও ১৫০৭ রান করেছেন এবং ৭৬ ও ৩১ উইকেটের পতন ঘটিয়েছেন।
৩ বছর আগে