অস্বাভাবিক
কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কারিগরি ও অন্যান্য সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে ভুতুড়ে (অস্বাভাবিক) বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে।
তিনি বলেন, 'অনেক সময় টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল কারণে ভুতুড়ে বিলের ঘটনা ঘটতে পারে। ভুতুড়ে বা অস্বাভাবিক বিল রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রি-পেইড/স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বনিম্ন দামে বিদ্যুৎ পেলেও হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে না: সূত্র
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সংসদের অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের (নোয়াখালী-৩) এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৭১ লাখ উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ বিল নির্ভুল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,‘ভুতুরে বিলের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্ত করে সুরাহা করা হয় এবং এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং ভর্তুকি তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ৩১ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা নগদ এবং ২০ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
৪ মাস আগে
ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
শরীয়তপুরে সবজির বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক দোহাই দিয়ে রীতিমতো লুটপাট করছে। কাটছে ভোক্তার পকেট। অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি করছে সবজি।
বাজারে এখন অধিকাংশ সবজির কেজি ১০০ টাকার উপরে। শীতের ভরা মৌসুমেও গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) শরীয়তপুরে সবজির বাজারে একটি লাউয়ের দাম উঠেছে ১২০ টাকা। যা তিন বা চার সদস্যের পরিবারে এক দিন হবে না।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে
এক কেজি বেগুনের দাম ১০০। শিমের কেজি এখনও ১২০ টাকা। এছাড়া একটি ফুলকপি ৬০ ও বাঁধাকপিও ৫০ টাকার কমে মিলছে না।
শীতের ভরা মৌসুমেও গত দুয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ভোক্তারা। যদিও বছরের এই সময়ে সবজির দাম কম থাকার কথা, তবে এবারের চিত্র ভিন্ন।
শনিবার শরীয়তপুরের ডোমসার বাজার, শৌলপাড়া, লাউখোলাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০-১০০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, করলা ধরন ভেদে ৮০-১২০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা ও পেঁয়াজ (দেশি) মান ভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সবজিবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত
বাজারগুলোতে ফুলকপি পিসপ্রতি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা ও আকার ভেদে লাউ প্রতি পিস ৭০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডোমসার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মাদবর বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
লাউখোলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্বাস বলেন, সবজির মৌসুমেও সবজির দাম বেশি। তবে ক্রয় যেমন বিক্রি তেমন।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সবজি চাষ হওয়ার কারণে আমরা তাজা শাক-সবজি খেতে পারি। তবে এই সবজির মৌসুমে টমেটো, মূলা, লাউসহ অন্যান্য সবজির দাম থাকে একেবারেই কম। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।
ডোমসার বাজারে কথা হয় এক মুদি দোকানির সঙ্গে।
তিনি বলেন, গত বছর এই সময়ে ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি আলু, ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ ও ১৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলাম। কিন্তু এই বছর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের বিরামপুরে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
লাউখোলা বাজারে আকবর হোসেন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি সবজি কেনা কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি জানান, আমাদের এলাকায় এত সবজির চাষ হয়, তবুও এত দাম কেন জানি না। ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে আসলে সবজি কিনলে মাছ-মাংস কেনার টাকা আর থাকে না।
৯ মাস আগে
অস্বাভাবিক যানজটে দুর্ভোগে ঢাকাবাসী
রাজধানী ঢাকা মঙ্গলবার কয়েক ঘন্টার তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছিল। এর ফলে স্কুল শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ইউএনবির প্রতিবেদক রাজধানীর আসাদগেট, খিলগাঁও, মগবাজার, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে প্রতিটি প্রধান সড়ক ও গলিতে দীর্ঘ যানজটের সারি দেখতে পান। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের সামনে তীব্র যানজট দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক বিভাগের একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, ‘মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস আজ আবার শুরু হয়েছে। ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী এখন তাদের ক্লাসে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপও বেশি। কারণ অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের দিতে ও নিতে স্কুলে আসেন। এর ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।’
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এনামুল হক হিমু জানান, যানজটের কারণে সেগুনবাগিচা থেকে ৩০০ ফিট পর্যন্ত যেতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা মশিন আলী বলেন, তার পাঁচ বছরের মেয়ে রেহেমার আজ স্কুলে প্রথম দিনটি খুব খারাপ ছিল। করোনার কারণে বন্ধের দুই বছর পরে শারীরিকভাবে ক্লাসে যাওয়া নিয়ে সে খুব উত্তেজিত ছিলেন। কিন্তু অস্বাভাবিক যানজটের কারণে তার আজ একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। এদিকে মগবাজার এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা জামান মন্টু জানান, গত দুই বছরে এত বেশি যানবাহন রাস্তায় দেখেননি তিনি।
যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকায় অফিসগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নিত্যযাত্রীরা এদিন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন।
এছাড়া রাস্তা মেরামত কাজ ও মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজও নগরবাসীর দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৬ মার্চ থেকে প্রতিদিন ইউএস-বাংলার ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইট
সড়ক দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
২ বছর আগে
বিশ্বনাথে ঘরবন্দি যুবকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সিলেটের বিশ্বনাথে ঘরবন্দি যুবক অর্জুন দাস বেনুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাস।
সোমবার দুপুরে চিকিৎসক ও নরসুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ্য অর্জুন দাসের বাড়ি দেওকলস ইউনিয়নের কালিজুরি গ্রামে যান ইউএনও।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে ৬ বছর ধরে ঘরবন্দি বস্ত্রহীন যুবকএ সময় অর্জুন ইউএনওকে দেখে স্যালুট দেন। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, নিয়মিত ওষুধ ও চিকিৎসা দিতে না পারার কারণে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করেন। এ জন্য বাধ্য হয়ে তারা তাকে প্রায় ছয় বছর ধরে ঘরবন্দি করে রেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে ট্রাকচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যুবককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে তার চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন ইউএনও। আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত চিকিৎসা ও সকলের ভালোবাসায় সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারঅর্জুন দাসের বড়ভাই ঝুনু দাস বলেন, আমার ভাইয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ইউএনও স্যারের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি তিনি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ায় সাংবাদিকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান ।
৩ বছর আগে