রাজধানী ঢাকা মঙ্গলবার কয়েক ঘন্টার তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছিল। এর ফলে স্কুল শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ইউএনবির প্রতিবেদক রাজধানীর আসাদগেট, খিলগাঁও, মগবাজার, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে প্রতিটি প্রধান সড়ক ও গলিতে দীর্ঘ যানজটের সারি দেখতে পান। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের সামনে তীব্র যানজট দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক বিভাগের একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, ‘মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস আজ আবার শুরু হয়েছে। ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী এখন তাদের ক্লাসে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপও বেশি। কারণ অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের দিতে ও নিতে স্কুলে আসেন। এর ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।’
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এনামুল হক হিমু জানান, যানজটের কারণে সেগুনবাগিচা থেকে ৩০০ ফিট পর্যন্ত যেতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা মশিন আলী বলেন, তার পাঁচ বছরের মেয়ে রেহেমার আজ স্কুলে প্রথম দিনটি খুব খারাপ ছিল। করোনার কারণে বন্ধের দুই বছর পরে শারীরিকভাবে ক্লাসে যাওয়া নিয়ে সে খুব উত্তেজিত ছিলেন। কিন্তু অস্বাভাবিক যানজটের কারণে তার আজ একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।
এদিকে মগবাজার এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা জামান মন্টু জানান, গত দুই বছরে এত বেশি যানবাহন রাস্তায় দেখেননি তিনি।
যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকায় অফিসগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নিত্যযাত্রীরা এদিন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন।
এছাড়া রাস্তা মেরামত কাজ ও মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজও নগরবাসীর দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৬ মার্চ থেকে প্রতিদিন ইউএস-বাংলার ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইট