নৌপ্রতিমন্ত্রী
এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা ২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাই পৌঁছাবেন: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সোমালিয়ার দস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের বহনকারী জাহাজ ১৯-২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাইয়ে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের পথে। এটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে।’
সোমবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং সেটা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে।’
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দ্রুত নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি দেখা গেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ ও নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছেন, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবেন, নাকি তারা ফিরে আসবেন।'
তিনি বলেন, তবে মালিক পক্ষ গতকাল খুব ভালো একটি কথা বলেছে। নাবিকরা যদি চান বাংলাদেশে ফিরে আসবেন, তাহলে তাদের বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে, সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।
আরও পড়ুন: দুপুরে সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে পারে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’
সমুদ্রপথ নিরাপদ করতে প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত 'সি' ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কীভাবে সমুদ্রপথ নিরাপদ করা যায় সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ করছে।
সোমবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা ২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাই পৌঁছাবেন: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়াও বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন ধরনের সংকটের সময়ে সমুদ্রপথে চলাচল করতে পারে সেজন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়।
প্রস্তাবনাটি আইএমওতে পাঠানো হবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাহাজগুলো বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে ধরনের প্রস্তাবনা তৈরির জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর কাজ করছে। এটি একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি- দ্রুত প্রস্তাবনাটি তৈরির।
ঈদের দিন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৫
তিনি আরও বলেন, 'অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রতিটি ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভিন্ন ধরনের শাস্তি হয়।'
লঞ্চটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে পালিয়ে গেলেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোনো মালিক থাকলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।'
আরও পড়ুন: দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ডিপিপি পরিবর্তন করা সঠিক নয়: নৌপ্রতিমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিবর্তন সঠিক নয় উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রকল্পের কাজ সময় মতো সম্পন্ন করা ও অর্থের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের ডিপিপি সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। পরে ডিপিপি পরিবর্তন করা সঠিক নয়।’
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০২৩-২৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী খননের ড্রেজ ম্যাটেরিয়াল কোথায় ফেলা হবে এটি একটি সমস্যা। বিচার বিশ্লেষণ করে ডিপিপি ফর্ম করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজে ভিন্নতা আছে। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে হয়। গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল ইত্যাদি কাজ শেষ হলে অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধি হবে।
সভায় ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং দপ্তর ও সংস্থা প্রধানরা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২৮টি এডিপিভুক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এডিপিভুক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯ হাজার ৪৭৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৬৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এডিপিভুক্ত ২৮টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ৩টি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৪টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ১টি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২টি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪টি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ১টি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ১টি, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তরের ১টি এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর ১টি প্রকল্প। এছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অপহরণ হওয়া জাহাজ উদ্ধারের অগ্রগতি জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমাদের নাবিকদের আমরা বাংলাদেশে ফেরত আনতে বদ্ধপরিকর।’
এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, এখন পর্যন্ত থাকা খবর অনুযায়ী নাবিকরা সুস্থ এবং ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
খালিদ মাহমুদ বলেন, 'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমরা এই বিষয়ে অবহিত করেছি। জাহাজটাকে উদ্ধার করার জন্য আমরা সকলের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা প্রথম যে বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছি সেটা হচ্ছে, জাহাজে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন, সেই ২৩ জন নাবিকের জীবন নিরাপদ রাখা, জীবন রক্ষা করে তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসাটা হচ্ছে আমাদের প্রথম কাজ।'
তিনি আরও বলেন, 'ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং, মেরিটাইম যতগুলো উইং আছে তারা কাজ করছে। সমন্বিতভাবে আমরা এটি নিয়ে আসতে পারব।’
আরও পড়ুন: জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
জাহাজ উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা কীভাবে সহযোগিতা করবে সেটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক উইংগুলোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, জাহাজটি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে, তাই সময়টা এখানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য কিছু সংগঠন আছে। জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের কোনো কার্যক্রম নেই। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ আছে। অলিভিয়া বন্দরে আমাদের জাহাজ আটকে পড়ার পর আমরা কিছু কিছু জায়গায় সহযোগিতা নিয়েছি বলে সেখানে সফলতা পেয়েছি। যেকোনো মূল্যে আমাদের নাবিকদের বাংলাদেশের ফেরত আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।'
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ
সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজ জিম্মি করেছে বলা হলেও তারা সোমালিয়ার কি না এটি এখনও ‘আইডেন্টিফাইড’ না বলে জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।
‘মুক্তিপণ না দিলে জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে জলদস্যুরা’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কাছে এই ধরনের সংবাদ এখন পর্যন্ত আসেনি।’
নাবিকদের পরিবার উদ্বিগ্ন সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবারগুলোর সদস্যরা সেখানে আটকে আছে, তাদের কীভাবে দিন কাটছে সেটি আমরা অনুভব করছি। প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যান্য জায়গাগুলোতে তিনি কথা বলেছেন। নাবিকদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
উল্লেখ্য, কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন।
বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নেপাল বাংলাদেশের সমুদ্র ও দুইটি স্থলবন্দর (বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী) ব্যবহার করতে চায় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা মিটিং হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের অনেক এনগেজমেন্ট আছে। নেপালের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের ব্যাপারে নেপালের খুব আগ্রহ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নেপাল ভূমি বেষ্টিত একটি দেশ। তারা মূলত মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এছাড়া তারা বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে আগ্রহী। বন্দর ব্যবহার করে তারা পণ্য আনা-নেওয়া করতে চায়।
এসব ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি চান যাতে দ্রুত এগুলো হয়। আমরাও এটি বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এটি নিয়ে কথা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন যে, আমরা কীভাবে ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল এখন ফুলবাড়ী পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু আমাদেরগুলো যেতে পারে না। এ সংকট নিরসনে আমরা তিন দেশ মিলে কাজ করছি। এটা তারা চায়, আমরাও সেটা চাই। এটা হলে বহির্বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বেশি মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা ও বিজয় পেতাম না।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে মহান বিজয় দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিল।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অহংকার করে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তি পাইনি। শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে থাকতে পারি, তাহলে আমরা পথ হারাব না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। সেই মান-মর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম, তখন আমরা এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে- এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছেন। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এখন দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) প্রতিমন্ত্রী মাতারবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী শনিবার (১১ নভেম্বর) মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার সিম্বল হয়ে থাকবে। দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচ ১০ থেকে ২০ ভাগ কমে আসবে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। মাতারবাড়ীতে নতুন করে চঞ্চলতা ফিরে আসবে। অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত সূচিত হবে। মাতারবাড়ী শহর হবে। এখানে শিল্পায়ন হবে। বিপুল সংখ্যক শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হবে। আমরা গর্ব করে বলতে পারব বাংলাদেশে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর আছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে।দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হবে মাতারবাড়ী। আন্তর্জাতিক হাব হবে মাতারবাড়ী। এখানে সড়ক যোগাযোগ আছে, ভবিষ্যৎ রেল যোগাযোগ হবে।
তিনি বলেন, বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব থাকলে দেশ সংকটে পড়বে না।
আরও পড়ুন: ঢেপা-পুনর্ভবার তীরে ২৬ কি.মি. বাঁধ হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ীকে সিঙ্গাপুরের মতো করতে গেলে যা যা দরকার সবই করা হবে। এখন দেশ অন্ধকার যুগে নেই। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ী বন্দরও হবে প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন।
আগামী ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়ীতে শুরু হয়েছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের নির্মাণকাজ। দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ী টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততোধিক গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে। এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে।
বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের কাজ চলমান।
২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক শূন্য দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ী বন্দরের সঙ্গে জাতীয় মহাসড়কের সংযোগ স্থাপন করার কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ঢেপা-পুনর্ভবার তীরে ২৬ কি.মি. বাঁধ হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দিনাজপুরের বিরলের ধর্মপুর, কামদেবপুর থেকে ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত ঢেপা ও পুনর্ভবা নদীর তীরে ২৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দিনাজপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র অফিস ভবন, তুলাই নদীতে রাবার ড্যাম, পুনর্ভবা নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং এসব উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দিনাজপুরের বিরল উপজেলার খোসালডাংগী হাট এলাকায় এ অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ২৬ কিলোমিটার বাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এ নদীর পাড় শুধু দিনাজপুরের মধ্যে নয়, সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত নদীর পাড় হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ নদীর পাড়ে ভারতবর্ষের প্রাচীনতম 'কান্তজির মন্দির' আছে। যে মন্দির দেখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা পুরোটাই ভাল ও আনন্দদায়ক হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইতিহাসের অমর সাক্ষী রাজবাড়ি আছে। পুনর্ভবা ও ঢেপা নদীর দুই পাড় সুন্দর করে সাজাব। যেন দুই পাড়ের মানুষ উপভোগ করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ, দিনাজপুরের মানুষ তাদের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে, আমরা সেভাবে সাজাতে চাচ্ছি। জেলা প্রশাসককে সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুরের রামসাগর, সুখ সাগর, আনন্দ সাগরসহ প্রাচীনতম যেসব পুকুর আছে সেসব পুকুর অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হবে, যেন দিনাজপুর একটি সুন্দর দর্শনীয় জেলায় পরিণত হয়।
তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরের লিচু পৃথিবীর বিখ্যাত। চাঁদপুরে 'ইলিশের বাড়ি' করা হয়েছে; দিনাজপুরে 'লিচু বাড়ি' করা যায় কি না সেই পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ করছেন।
আগামী দিনে দিনাজপুরের 'লিচু বাড়ি' জন্য সারাদেশের মানুষ দিনাজপুরে আসবে এবং আসার পথে রামসাগর, সুখ সাগর, আনন্দ সাগর, কান্তজির মন্দির, রাজবাড়ি পরিদর্শন করবেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাংক আইএমএফ, বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী আমেরিকা, ইউরোপ বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিতে চায় যেন শেখ হাসিনাকে কাবু করতে পারে। শেখ হাসিনা কী কাবু হবার লোক! তিনি কাবু হবেন না। কারণ তিনি বাংলার মানুষের ভালোবাসায় ঋণী। আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন, পশ্চিমা বলেন- কেউ শেখ হাসিনাকে কাবু করতে পারবে না।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা দিয়েছেন। যারা শেখ হাসিনা কে কাবু করতে চায়- আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে এসব ষড়যন্ত্রের জবাব দেব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করেছেন। শেখ হাসিনাকে ব্রিকস সম্মেলন, ডি-৮ সম্মেলন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশকে তিনি তুলে নিয়ে এসেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্য (প্রকৌশল) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ছিল বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। আর এখন তার সন্তানরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংগ্রামের দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধু জীবনে কখনো কোনোদিন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে ঘোষণাপত্র, ইস্তেহার ও স্বাধীনতার ঘোষণা মেনেই রাজনীতি করার সুযোগ আছে। এর ব্যত্যয় ঘটালে দেশে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সেই সময় দেশে জিয়াউর রহমান সান্ধ্যআইন জারি করেছিলেন। যার কারণে সাধারণ জনগণ রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। অথচ তারাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলে দেশি-বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে আর মিথ্যাচার করছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দিনাজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সিভিল সার্জন ডা. বোরহান উল ইসলাম, উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামীম এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রের সুনিল অর্থনীতি বাংলাদেশকে ধনী দেশে পরিণত করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেননা করোনা মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের কারণে দুই দেশের মধ্যে অনেক আলোচনা স্থবির হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মৃতপ্রায় বিএসসি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কায় কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে সেই সভাটি হয়নি।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার সংকটে বাংলাদেশ তাদের পাশে ছিল। কলোম্বতে পরবর্তীতে যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে, সেখানে মেরিটাইম সেক্টরের বিষয়গুলো আমরা চূড়ান্ত করতে পারবো।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং শ্রীলঙ্কার বন্দর, নৌ ও বিমানমন্ত্রী নিমল সিরিপালা ডি সিলভা নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, কোস্টাল শিপিং বা উপকূলীয় নৌ চলাচল চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো চূড়ান্ত হবে আগামী সচিব পর্যায়ের বৈঠকে।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। পায়রা বন্দরে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। পায়রা বন্দর পরিদর্শনে তাদের একটি প্রতিনিধি দল আসবে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় না, দুই দেশ যাতে এগিয়ে যেতে পারে, সেটিই আমাদের মূল্য লক্ষ্য।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী থারাকা বালাসুরিয়া ব্লু অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। এগুলো পরবর্তীতে আলোচনা হবে।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন।
শ্রীলঙ্কার বন্দর, নৌ ও বিমানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে আমরা আরও এগিয়ে যাবো। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচল বাড়াতে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়া কলম্বো বন্দরে লজিস্টিক সহায়তা বাড়ানো হচ্ছে। যে কারণে এটি এখন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরের জায়গা বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখানে সহজেই বাংলাদেশের জাহাজ ভিড়তে পারবে। শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সাড়ে চার দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশ্বাস ও আস্থা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পেতে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক কাঠামো নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
সেখানে মেরিটাইম খাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে শ্রীলঙ্কার প্রাইভেট সেক্টর প্রস্তুত আছে। এটি বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের নতুন দৃষ্টান্ত হবে।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দুইটি ছোট দেশ হলেও, ভৌগোলিক কারণে আমাদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
কারণ বাংলাদেশের অনেক রপ্তানি পণ্য কলম্বো বন্দর হয়ে যায়। আমরা এর পরিমাণ আরও বাড়াতে চাই। এতে বাংলাদেশের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, শ্রীলঙ্কার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী থারাকা বালাসুরিয়া, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এযমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার নিযুক্ত হাইকমিশনার অধ্যাপক সুদর্শন সেনেভিরতে প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিদল ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ভারত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী