বাংলা বিভাগ
ঢাবি হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ১৬৫ নম্বর কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের একযোগে পদত্যাগ
পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, পারিবারিক সমস্যা ও একাডেমিক ঘাটতির কারণে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, দুঃখজনক ঘটনার পর পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ঢাবির বাংলা বিভাগের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখ দৃশ্যমান রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগেও খারিজ
আদালত বলেছেন, বাংলা বিভাগের পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রীদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পক্ষে করা আপিল আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোমবার (২৯ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং তাকে সহযোগিতা করেন রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ ও মাহমুদুল হাসান।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে’।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন।
কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: ‘১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিলই থাকবে: আপিল বিভাগ
১ বছর আগে
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, আদালত বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। এটাই আমাদের সংবিধানের স্পিরিট। কাউকে কানসহ মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাবির বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন। ঢাবি ভিসি,বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক সাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮/৯/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন),মিডটার্ম পরীক্ষা,চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে। এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬/১২/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ‘১৮/৯/২০২২ তারিখে গৃহীত উপরোক্ত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ: ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহাগ-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
১ বছর আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আগুন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একটি কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই কক্ষটি বিভাগের শিক্ষকদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় বুধবার গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: করোনায় বরিশালে নতুন শনাক্ত ৫৩৩, মৃত্যু ১৯
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিরাপত্তারক্ষীরা আগুন লাগার বিষয়টি আমাকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তবে তাদের সহায়তা নেবার আগেই আমাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
৩ বছর আগে