ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখ দৃশ্যমান রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগেও খারিজ
আদালত বলেছেন, বাংলা বিভাগের পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রীদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পক্ষে করা আপিল আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোমবার (২৯ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং তাকে সহযোগিতা করেন রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ ও মাহমুদুল হাসান।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে’।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন।
কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: ‘১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিলই থাকবে: আপিল বিভাগ