গ্রন্থ
ভুটানি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
ভুটানের জংখা ভাষায় অনূদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) ভুটানের থিম্পুস্থ জিচেনখার মিলনায়তনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুটান সফররত বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে দণ্ড: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে অগ্রগতি জানালেন প্রধান তথ্য কমিশনার
ভুটানের প্রিন্সেস ডেচেন ইয়াংজোম ওয়াংচুক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ ভুটানিজ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন।
থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ভুটানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজের (সিবিএস) কমিশনার ও ভুটানের প্রখ্যাত লেখক দাশো কর্মা উড়ার নেতৃত্বে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি জংখা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
অনূদিত গ্রন্থটি থিম্পুর পিটি প্রিন্টিং থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক, কৃষি ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ইয়ন্তেন ফুন্টশো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়েনপো শেরিং, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, ভুটানে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূ্ত।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়।
অনুষ্ঠানে থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ বাংলাদেশি ও ভুটানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রন্থটির সারমর্ম উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
৮ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রচিত ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বইটি হস্তান্তর করেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক ওসমান গনি ও বইটির সম্পাদনা সমন্বয়ক ড. এম আবদুল আলীম।
বইটি অনুবাদ করেছেন দুলাল আল মনসুর।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তার রচিত গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বইটির মাধ্যমে পাঠক সমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, পদ্মা সেতুর কাল্পনিক দুর্নীতি, সমসাময়িক রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও দিন বদলের পালাসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বইটি পাঠকপ্রিয়তা পেলে তার এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে এবং ভবিষ্যতে লেখালেখির জন্য আরও আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পাবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং অনুবাদক দুলাল আল মনসুর।
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
১০ মাস আগে
‘বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সোমবার বিকেলে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভিন মনি এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
বইটি প্রকাশ করেছে তৃণলতা প্রকাশ। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৩৭৩/৩৭৪ নং স্টলে এবং অনলাইনে রকমারি ডটকম থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
প্রধান অতিথি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই গ্রন্থটি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর একটি কালজয়ী উদ্যোগ। তিনি এই বইয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত সাবলীল ও ব্যাপক তথ্য নির্ভরভাবে জাতির পিতাকে তুলে ধরেছেন। আশা করি এই বইটি পাঠ করার মাধ্যমে পাঠক বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী জীবন সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বিশিষ্ট লেখক ও কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন,বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের উচিত বঙ্গবন্ধুকে জানা, আর বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে অনেক বেশি বেশি পড়তে হবে। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু রচিত বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুকে জানতে বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বইটি সংগ্রহ করতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
বইয়ের লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে বেড়ে উঠেছি। সবসময় বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে আমার পথচলা। আসলে বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি, যাকে সামান্য কয় পৃষ্ঠা কাগজে লিখে শেষ করা দুঃসাধ্য কাজ। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের চুম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরেছি।
পাঠক ভালোভাবে বইটি পাঠ করলেই আমার স্বার্থকতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
২ বছর আগে
চলে গেলেন ইতিহাসবিদ বজলুল করিম
ইতিহাসবিদ ও খুলনার সরকারি বিএল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. বজলুল করিম আর নেই। শুক্রবার সকাল ৭ টায় দৌলতপুরের পাবলা ২নং ক্রস রোডে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
গুণী এই শিক্ষাবিদ এ অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও বি. করিম স্যার নামেই সর্বাধিক পরিচিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রজলাল কলেজের ইতিহাসসহ বহু গ্রন্থের রচয়িতা ও সম্পাদনার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা
অধ্যাপক মো. বজলুল করিম ১৯৩৮ সালের ১১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর মহকুমার করিমপুর থানা চেচানিয়া দেওয়ানের পাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা রফিজ উদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা এবং মা বিধুজান নেছা (নক্সীকাঁথা শিল্পী) গৃহিনী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫৯ সালে এমএ (দর্শন) ডিগ্রি লাভ করেন। ময়মনসিংহ, মাদারিপুর নাজিমউদ্দিন কলেজ ও পরবর্তীতে খুলনা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ে এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সরকারি বিএল কলেজে দর্শন বিভাগে অধ্যাপনা করেন তিনি।
অধ্যাপনার সুবাদে সাবেক ইউওটিসি’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট থেকে ক্রমান্বয়ে বিএনসিসি’র মেজর পদ মর্যাদা লাভ করেন। অবসর নিয়েই বসে থাকেন নি তিনি। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত খুলনা জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
৩ বছর আগে